এই
ব্লগটি শুধুমাত্র নব্য চিকিৎসক এবং শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য ।
দুগ্ধপায়ী শিশুদের দুগ্ধ সহ্য হয় না,
যেমন পান তেমন বমি উদরেতে রয়না।
বমি হলে কিছুকাল কোন কথা কয়না, খিচুনিতে চক্ষুস্থির সংজ্ঞা যেন রয়না।
অতীব দুর্ব্বল শিশু দাড়াইতে চায়না, ইথুজার যোগ্য শিশু জল বড় খায়না।
Aethuja- ইথুজা
সমজাতীয় নাম: ডগ পয়জন, গার্ডেন
হেমলক, বোকার
শাক, কুকুরে
বিষ।
উৎস: গার্ডেন হেমলক নামক এক প্রকার গাছ হতে এই ঔষধ প্রস্তুত করা হয়।
পরিচিতি: ইহা এক প্রকার তীব্র দূগর্ন্ধময় ও বিষাক্ত
বর্ষজীবি আগাছা।পাতাগুলো উজ্জ্বল সবুজ বর্ণের কখনও কখনও লাল রঙ এ রঞ্জিত
হয়। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসে সাদা ফুল ফোটে। সমস্ত টাকটা গাছ হতে ঔষধ তৈরী হয়।
প্রপ্তিস্থান: সমগ্র ইউরোপে এই গাছ গুলো জম্মিয়া থাকে।
প্রুভার: ১৮২৮ খ্রিঃ ডা.নিং
নামে একজন ডাক্তার ইহা প্রুভ করেন।
ক্রিয়াস্থান: অন্ত্র, পাকস্থলী, লিভার এবং মস্তিষ্কের উপর।
প্র্রয়োগক্ষেত্র: শিশু
উদরাময়, বমন, হিক্কা, মৃগী, মস্থিষ্কর ক্লান্তি, এবং
শিশুদের দুগ্ধ হজম না হওয়া।
৩টি
বিশেষ লক্ষণ:
১. শিশুদের
দুগ্ধ সহ্য হয় না।
২. হঠাৎ
প্রবল বেগে বমন।
৩. শিশুদের
দন্তোদগমনকালীন রোগ।
চরিত্রগত লক্ষণ:
১. ইথুজার রোগীর চক্ষু সবদা নিম্নদিকে ঘুরে, কখনও উর্দ্ধদিকে
যায়না।
২. বাহ্যে
বমি বা খিচুনীর পরে শিশু ঘুমাইয়া ও র্দুবল হইয়া পড়ে।
৩. আক্ষেপের সময় মুখে ফেনা ওঠে।
৪. দুধ খাইবার কিছু পরে চাপ চাপ বমি, খাইবার ১ ঘন্টা
পর বমি সবুজ বমি।
৫. অত্যন্ত দুর্বলতা মাথা তুলিতে পারে না।
৬. নড়াচড়া ও ঘুমের পর বৃদ্ধি, খোলা বতাসে উপসম।
১০. হিষ্টিরিয়া রোগীর মনে হয় ঘরের মধ্যে একটি ইঁদুর দৌঁড়াইতেছে।
মানসিক
লক্ষন:
শিশু অস্থির,
জড়বুদ্ধি সম্পন্ন, অনবরত ক্রন্দন করে।
চিন্তা করিতে
চাহেনা, কোন কাজে মনোযোগ দিতে পারে না।
অবাস্তব বস্তু
দর্শন, বিড়াল, কুকুর বা ইঁদুর দর্শন করে।
রোগ বৃদ্ধি
হইতে থাকিলে রোগী একা থাকিতে ভালবাসে।
মানসিক যন্ত্রনার
জন্য বৃদ্ধরা ক্রন্দন করে।
বৃদ্ধরা শিশু
ভাবান্ন থাকে।
ইথুজা
ও অনান্য ঔষধের সাথে তুলনা:
ম্যাগ্নেশিয়া র্কাব: দুগ্ধ সহ্য হয় না।
ক্যালকেরিয়া র্কাব: দুগ্ধ বমি। দুগ্ধ পানের পর দধির ন্যায়
বমি হওয়ার পর শিশু আর দুধ পান করিতে চায়না।( ইথুজা চায়) ক্যালকেরিয়া- চাকা চাকা বমি
সংঙ্গে অম্লস্বাদ ও অম্লগন্ধ থাকে মস্তকে ঘম থাকে। (ইথুজায় থাকেনা)
বমির পর অতিক্ষুধা বা বমির পর পর শিশু দুধ পান করা এন্টিমক্রুড
এ আছে। ইথুজা ও এন্টিমক্রুড এর জিহ্বা শ্বেতলেপাবৃত কিন্তু ইথুজার ন্যায় বমনের পর নিদ্রালুতা
লক্ষণ এন্টিমক্রুড এ নেই।
ডা. ন্যাস বলেন- ইথুজার পিপসার অভাব একটি গুরুত্ব লক্ষণ,
তাই বমন, পিপাসাহীনতা সহ অত্যন্ত জ্বালা এবং অস্থিরতা থাকলেও আর্সেনিক- না দিয়ে ইথুজা
দেওয়া উচিত।
পিপাসাহীনতা—পালসেটিলা, এন্টিম ক্রুড, এপিস মেলও আছে।তবে
বাকী লক্ষণসমূহ ভিন্ন।
বাহ্যে
বমি বা খিচুনীর পরে শিশু ঘুমাইয়া ও র্দুবল হইয়া পড়া এন্টিম টার্টারিকামেরও আছে, ইথুজা আক্ষেপের সময় মুখে ফেনা
ওঠে।
উপশম: বমির পর ও মুক্ত বাতাসে, সঙ্গী
থাকিলে।
সদৃশ: ক্যালকেরিয়া, আর্সেনিক, এন্টিম
ক্রুড।
অনুপুরক: ক্যালকেরিয়া, সালফার, এন্টিম ক্রুড,
আর্সেনিক।
ক্রিয়ানাশক: ভেজিটেবল
এসিড।
স্থিতিকাল: ১ হইতে
৭ দিন।
শক্তি: ৩x হইতে
৩০।
ডাঃ মোঃ মহি উদ্দিন
প্রভাষক:- ফেনী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ।
যোগাযোগ:- ফরাজী হোমিও হল
সদর হসপাতাল মোড়, উত্তর বিরিঞ্চি রোড়-ফেনী।
মোবাইল:- ০১৮১৪-৩১৯০৩৩
0 মন্তব্যসমূহ