Hypericum Perforatum - হাইপেরিকাম পারফোরেটাম





এই ব্লগটি শুধুমাত্র নব্য চিকিসক এবং শিক্ষাথীদের জন্য প্রযোজ্য।


Hypericum Perforatum - হাইপেরিকাম পারফোরেটাম



প্রতিশব্দ :
হাইপারিকাম, হাইপেরিকাম অফিসিন্যাল, ফুগা ডিসোনাম, হাইপেরিকাম ভার্জিনিকাম, সেন্ট জনস ওয়ার্ট।

ভারতীয় নাম : ব্যাল সান্ট।

স :
ভারতবর্ষ, ইউরোপ, আফ্রিকা ও উত্তর আমেরিকায় উপন্ন সেন্ট জনস ওয়ার্ট নামক প্রকার গাছড়া হইতে প্রস্তুত হয় । 

বর্ণনা :
ইহা কাষ্ঠযুক্ত শাখাময় ঘন বাদামী বর্ণের গাছড়া। কান্ড ১ ফুট পর্যন্ত লম্ভা । জুন হইতে সেপ্টেম্বার মাসে এই সকল গাছড়ায় ঘন হলুদ বর্ণের ফুল ফুটিয়া থাকে। 

প্রাপ্তিস্থান :
ইউরোপের ঝোপঝাড় এবং মাঠে, উত্তর আফ্রিকা এবং উত্তর আমেরিকায় এই গাছ জন্মিয়া থাকে। ভারতের হিমালয়ে পশ্চিমাঞ্চলে ও কাশ্নীর পর্যন্ত ৬০০০ হইতে ৯০০০ ফুট উঁচুতেও ইহারা জন্মায়। 

প্রুভার : ১৮৩৮ খৃষ্টাব্দে জার্মানীর ডাঃ এফ. মুলার ইহা প্রুভ করেন। 

প্রস্তুত প্রণালী :
ইহার গাছড়া হইতে সুরাসার সহযোগে ইহার মূল অরিষ্ট প্রস্তুত হয়। ২x প্র্রস্তত করিতে ১ ভাগ অরিষ্ট, ২ ভাগ পরিশ্রুত জল এবং ৭ ভাগ সুরাসার ব্যবহৃত হয়। ৩x এবং উচ্চ শক্তিতে পরিশ্রুত সুরাসার প্রয়োগ হয়। 

ক্রিয়াস্থান :
স্নায়ু মন্ডলী, আঘাত জনিত কোন পীড়ায়, স্নায়ুতে আঘাত লাগিয়া ধনুষ্টংকার, কড়া ও স্ত্রী পীড়ায়, ফিট, তড়কা প্রভৃতি।

মানসিক লক্ষণ :
১. রোগী মনে করে তাহাকে শূন্যে উঠানো হইতেছে।
২. লিখার সময় শব্দ ভুল করে, অক্ষর ছাড়িয়া যায়।
৩. কিছু বলিতে গেলে ভুলিয়া যায়।
৪. রত্রি ৪ টার পর বকে, ভুত প্রেতের স্বপ্ন দেখে।
৫. মাথাটি বড় বলিয়া বোধ হয়। 

চরিত্রগত লক্ষণ : 
১. সূঁচ, আলপিন, পেরেক, গজাল প্রভৃতি প্রায়ে ফুটিয়া কিম্বা ইঁদুরে কামড়াইয়া, ধনুষ্টংকার, দাঁতি লাগা।
২. কোন স্থান কাটিয়া যাওয়া, থেঁতলাইয়া যাওয়া অনেক দিন পর্যন্ত বেদনা যন্ত্রণা, ক্ষত হয়।
৩. রোগী মনে করে তাহাতে অনেক উপরে শূন্যে উঠাইতেছে।
৪. ঘাড়ে আঘাত লাগিয়া শিরঃপীড়া হওয়া।
৫. মাথা ভারী বোধ, সর্বদা ঘুম ঘুম ভাব।
৬. আঘাত লাগার পরই বেদনা, ধনুষ্টংকার পীড়া।
৭. হাতের, পায়ের, আঙ্গুলের নখ ও হাতের পায়ের তলায় আঘাত লাগিয়া আহত তথায় অসহ্য যন্ত্রণা।
৮. আঘাদের পর তড়কা ও খেঁচুনি।
৯. বাধক বেদনা ঋতু অনেক বিলম্বে হয়। রোগী মনে করে জরায়ু যেন জোরে ব্যন্ডেজ দিয়ে বাঁধা রহিয়াছে।
১০. শিশু বালিকাদের শ্বেত প্রদর (সাদাস্রাব)।

ব্যবহার ক্ষেত্র : - ইঁদুর, বিড়াল কামড়াইলে।
হাতের আঙ্গুল বা পায়ের আঙ্গুল বা তালুতে সূচ বা পেরাক ফুটিয়া গেলে।
মেরুদন্ড মস্তিষ্ক বা স্নায়ুকেন্দ্রে আঘাত লাগিলে বা ক্ষত দেখা দিলে ।
আক্রান্ত স্থান ঠান্ডায় উপশমে লিডম। 
চর্মপীড়ায় : -
মাথার তক্বে ঘর্ম, প্রাতঃকালে ঘুমের পর রোগের বৃদ্ধি। আঘাতের পর চুল পড়িয়া যায়। মুখে ও হাতে একজিমা, অত্যন্ত চুলকানি, মনে হয যেন চর্মের নীচে উদ্ভিদ প্রকাশ পাইতেছে। মুখেল পুরাতন ক্ষত বা ছাল উঠা, অত্যন্ত স্পর্শকাতর, ছিঁড়িয়া যাওয়া ক্ষত। 

ক্ষত : -
আঘাতের পর ক্ষত হইলে এবং ধনুষ্টংকার হইবার উপক্রম হইলে, আঙ্গুল পাটিয়া তথায় ক্ষত হইলে, পায়ের তলায়, হাতে বা আঙ্গুলের কোন স্থানে আঘাত লাগিয়া তথায় ক্ষত হইলে। পেরেক, গজাল, সুই প্রভৃতি ফুটিয়া ক্ষত হইলে। 

বৃদ্ধি : ঠান্ডায়, স্পর্শে, বন্ধ ঘরে, কুয়াশায়, সন্ধ্যায়। 

উপশম : গয়ার উঠিলে, ঘামে, পেছন দিকে মাথা অবনত করিলে, স্থির হইয়া থাকিলে, উত্তাপে। 

অনুপূরক : আর্নিকা। 

সদৃশ : ষ্ট্র্যাফিসেগ্রিয়া, সিস্ফাইটাম, ক্যলেন্ডুলা, আর্নিকা, রুটা।

ক্রিয়ানাশক : সালফার, আর্সেনিক, ক্যামোমিলা। 

ক্রিয়াস্থিতিকাল : ১ হইতে ৭ দিন। 

ক্রাম : Q হইতে ৩০ শক্তি । পুরাতন আঘাতে উচ্চশত্তি প্রযোজ্য ।






ডাঃ মহি উদ্দিন
প্রভাষক :- ফেনী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ।
যোগাযোগ :- ফরাজী হোমিও হল।
সদর হাসপাতাল, উত্তর বিরিঞ্চি রোড় - ফেনী

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ