জাষ্টিসিয়া আধাটোড
JUSTICIA ADHATODA
অবস্থা:- একাস্থাসিয়াই ।
প্রতিশব্দ:- বাসক, সিমহিকা, সিনহাপনা, বাসস্তা, আশা।
উৎস ও উদ্ভিদের বর্ণনা:- আমাদের দেশের বাসক পাতা হইতে এই ঔষধ প্রস্তুত হয়। ভারতবর্ষে উৎপন্ন ইহা ৬ হইতে ৭ ফুট উঁচু এক প্রকার চির সবুজ গাছড়া। পাতাগুলি বলমাকার, উপবৃত্তাকৃতি এবং দুই প্রাপ্ত ভাগই সূঁচালো। এই সকল পত্র বস্তুযুক্ত, পাতলা এবং উভয় দিক মসৃন। পাতা তীব্র দুর্গন্ধময় এবং সামান্য তিক্ত স্বাদযুক্ত। লাল এবং সাদা দুই ধরনের পাতা এই সকল গাছে দেখা যায়। লাল জাতীয় পাতাগুলি ঘন সবুজ বর্ণের এবং পুরু হয়। প্রতিটি শাখায় জোড়ায় লাল বিন্দু বর্তমান থাকে। অন্যদিক দিয়া উভয় প্রকারের পাতার মধ্যে সাদৃশ্য বিদ্যমান। তবে সাদা জাতীয় পাতাগুলি হইতে লাল জাতীয়, পাতার তিক্ততা বেশী।
প্রস্তুত প্রণালী:- টাটকা পাতা হইতে ইহার মূল অরিষ্ট প্রস্তুত হয়। হোমিও ফার্ম্মাকোপীয়ার নিয়মানুসারে ইহার উচ্চ শক্তি প্রস্তুত হয়।
প্রস্তুতের ফরমুলা:- এফ - ৩ ।
ক্রিয়াস্থান:- শ্বাসযন্ত্রের উপর ইহার প্রধান ক্রিয়া।
চরিত্রগত লক্ষণ:-
১) সারা বুক জুড়িয়া শুষ্ক কাশি
২) মস্তকে উত্তপ্ততা, পূর্ণতা ও গুরুত্ব অনুভব। উত্তেজনা প্রবন ।
৩) প্রচুর সর্দি তরল, অবিরত হাঁচি ।
৪) ঢোক গিলিতে বেদনাবোধ। মুখগহ্বর
৫) ঘ্রাণ ও আস্বাদন শক্তির বিলোপ।
৬) হুপিং কাশি।
৭) শ্বাসযন্ত্রের সর্দিজ লক্ষণ ।
১) সারা বুক জুড়িয়া শুষ্ক কাশি
২) মস্তকে উত্তপ্ততা, পূর্ণতা ও গুরুত্ব অনুভব। উত্তেজনা প্রবন ।
৩) প্রচুর সর্দি তরল, অবিরত হাঁচি ।
৪) ঢোক গিলিতে বেদনাবোধ। মুখগহ্বর
৫) ঘ্রাণ ও আস্বাদন শক্তির বিলোপ।
৬) হুপিং কাশি।
৭) শ্বাসযন্ত্রের সর্দিজ লক্ষণ ।
শ্বাসযন্ত্রের পীড়ায় (সর্দি কাশিতে) লক্ষণ:- শ্বাসযন্ত্রের সর্দিজ লক্ষণ। কাশির সহিত সর্দি, প্রচুর সর্দি । মস্তক উষ্ণ পূর্ণ ও ভারী। বুকের মধ্য দেশ হইতে সারা বুক জুড়িয়া শুষ্ক কাশি। স্বর ভঙ্গ, স্বরযন্ত্রে বেদনা। থাকিয়া থাকিয়া কাশির ধমক আসে। তৎসহ শ্বাসরোধ। কাশির সহিত হাঁচি । বুকে টানটানবোধ। হাঁপানী কাশির আক্রমন, বদ্ধ ও উষ্ণ ঘরে থাকিতে পারে না। হুপিং কাশি। মনে হয় যেন বুকে শেখা জমিয়া আছে। গলায় সাঁই সাঁই শব্দ, রাত্রে কাশি বাড়ে।
গলদেশে লক্ষণ:- গলদেশ শুষ্ক, ঢোক গিলিতে বেদনা, দুশ্চেদ্য শেখা, মুখগহ্বরের শুষ্কতা।
বৃদ্ধি:- বন্ধ ও উষ্ণ ঘরে।
উপশম:- মুক্ত বায়ুতে, সিপা ও ইউফ্রেসিয়ার মধ্যবর্তী।
শক্তি বা ক্রম:- ৩ হইতে ৩০ শক্তি ।
0 মন্তব্যসমূহ