এই ব্লগটি শুধুমাত্র নব্য চিকিৎসক এবং শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য ।
Drosera Rotundifolia - ড্রসেরা রোটান্ডিফোলিয়া
প্রাকৃতিক অবস্থা : ড্রসেরাসিয়াই
প্রতিশব্দ : ড্রসেরা, সানডিউ, ড্রসেরা ক্যাপিলারিস, রেড রট, রসোলিস।
উৎস
ও বর্ণনা : ইহা রেড রট নামক এক জাতীয় পাতলা আঁশযুক্ত
জলজ গাছড়া। পাতার উপরিভাগে চটচটে লোমদ্বার আবৃত থাকে। লোমগুলির খুব উত্তেজক স্বভাব
। যে কোন প্রকার কীট পতঙ্গ পাতার উপর বসিবামাত্র লোম রসের মধ্যে আটকাইয়া যায়। ইহার
টাটকা গাছড়া ঔষধে ব্যবহৃত হয়।
প্রুভার : মহাত্না হ্যানিম্যান, কুরি, টাইলার
প্রপ্তিস্থান : আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্রে এবং ইউরোপে এই গাছগুলি জন্মিয়া
থাকে।
ধাতু : এন্টিসোরিক ও এন্টিটিউবারকুলার।
ক্রিয়াস্থান : শ্বাসযন্ত্র, স্বরযন্ত্র, হুপিং কাশি,
শ্বাসনালী।
মানসিক লক্ষণ :
১. রোগী উৎকন্ঠিত,
একা থাকিতে ভয় করে।
৩. রোগী মনে করে তাহার পতি সর্বদা জুলুম
করা হইতেছে।
৪. মনের
মধ্যে এলোমেলো চিন্তা।
চরিত্রগত লক্ষন :
১. হুপিং কাশি, ঘনঘন কাশি, সকাল বেলা
ঘুম ভাঙ্গিলে কাশি শুরু হয় যতক্ষন পর্যন্ত বমি না হয় কশি চলতে থাকে, বমি হইলে কমে।
২. রাত্রি দ্বিপ্রহরের পর কাশির বৃদ্ধি।
৩. জলপান করিলে কাশির বৃদ্ধি হয়।
৪. গলনালীতে ক্ষত এবং সেই সঙ্গে গলনালীতে
সংকোচবোধ।
৫. ৩/৪ ঘন্টা পর একবার অনেক্ষণ স্থায়ী
কাশি।
৬. কুকুরের আওয়াজের ন্যায় কাশি হামের
সময় ও হামের পর আক্ষেপিক কাশি।
৭. যুবকদিগের যক্ষ্ণা কাশি, রাত্রিতে
কাশি বৃদ্ধি, গয়ারে রক্ত কিংবা পূঁজ।
৮. দেহের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতের মত চুলকানি।
৯. হাত পা ও কপালে শীতল ঘর্ম।
১০. মুখে
পঁচা অস্বাদ।
প্রয়োগ ক্ষেত্র :
ঘঙ ঘঙে কাশি এত ঘন ঘন হইতে থাকে যে রোগী যেন প্রশ্বাস লইতে সময় পয়
না। আক্ষেপযুক্ত কাশি । কোন এক নির্দিষ্ঠ
সময় অনতর কাশির ঝোঁক আসে ৩/৪ ঘন্টা অন্তর কাশি । দুপুর রাত্রির পর কাশি বেশ বাড়িয়া
যায় । রাত্রি কালে শয়ন করিবার জন্য বালিশটি মাথায় দিলেই প্রবল কাশি আরম্ভ হয় । রোগী
নীলাভ হইয়া যায়, চক্ষু তারকা রক্তবর্ণ হইয়া যায় , মনে হয় যেন চক্ষুগুলি বাহির হইয়া
আসিবে । কাশি কোন গয়ার না উাঠিলে বমি হইয়া যায় ; অনেক সময় রুগী বাহ্যও করিয়া পেলে এবং
শীতল ঘর্ম দেখা দেয় ।
যক্ষ্ণা কাশিতে
ড্রসেরার লক্ষণ :
যক্ষ্ণারোগে আক্ষেপযুক্ত কাশি, সন্ধ্যায় একবার কাশির বৃদ্ধি, রাত্রি
দ্বিপ্রহরে পর আবার বৃদ্ধি হয়। রোগীর স্বর বঙ্গ দেখা দেয় এবং চুপি চুপি কথা বলে। গয়ার
উঠা্ইতে গেলে বমি বা কাট বমি হয়। গয়ার শক্ত ডেলার ন্যায়, বুকে অত্যান্ত বেদনা, মনেহয়
যেন বুকের মধ্যে ক্ষত হইয়াছে। উক্ত লক্ষণে ড্রসেরা উপকারী।
গলক্ষতে ড্রসেরার
লক্ষণ :
ধর্মপ্রচারকদের গলক্ষত, ইহাতে গলকোষের গভীর দেশে কর্কশতা পূর্ণ, ঘসিয়া
যাওয়ার ন্যায় এবং শুষ্ক অনুভূতি। স্বর ভাঙ্গিয়া যায়,স্বর গভীর, সুর বিহীন, স্বর যেন
ছিড়িয়া যাইতেছে। কথা বলিবার সময় হা্ঁপানী,
প্রত্যেক কথাটি উচ্চারণ করিতে গেলে গলা সংকুচিত হইয়া আসে।
উদরাময় ও আমাশয়
লক্ষণ :
উপরোক্ত ড্রসেরার চরিএগত লক্ষণসহ যদি কাহারও আমাশয় বা উদরাময় দেখা
দেয় তাহা হইলে ইহাতে পীড়া আরোগ্য হইবে।
প্রান্তদেশে
ড্রসেরার লক্ষণ :
উরুসন্ধি ও উরুদেশে পক্ষাঘাতিক বেদনা। পায়ের সন্ধিগুলিতে আড়ষ্টতা।
সকল অঙ্গপ্রতঙ্গে খঞ্জতাবোধ। বিচানা অত্যন্ত শক্তবোধ।
বৃদ্ধি : মধ্যরাত্রির পর, শয়ন করিলে, গান করিলে,
হাসিলে।
উপশম : খোলা বাতাসে, হাঁটিলে।
অনুপূরক : সিনা, ক্যালকেরিয়া, ভিরেট্রাম, কোনিয়াম, পালসেটিলা,
সালফার।
ক্রিয়ানাশক : ক্যাম্পার।
ক্রিয়াস্থিকাল : ২০ থেকে ৩০ দিন।
ক্রম : ৩ হইতে ২০০ শক্তি।
ডাঃ মহি উদ্দিন
প্রভাষক:- ফেনী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ।
যোগাযোগ:- ফরাজীহোমিওহল,সদরহসপাতাল মোড়,
উত্তর বিরিঞ্চি রোড়-ফেনী।
0 মন্তব্যসমূহ