হ্যামামেলিস ভার্জিনিকা
Hamamelis Virginice
প্রাকৃতিক অবস্থা:- হ্যামামেলাসিয়াই।
প্রতিশব্দ:- হ্যামামেলিস এনড্রোজিনা, উইচ হ্যাজেল, হ্যাজেল নাট, উইন্টার ব্লুম, স্ট্রিপড এল্ডার, হ্যামামেলিস ডায়োয়িকা।
উৎস:- আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায় উৎপন্ন হ্যাজেল নাট নামক এক প্রকার গাছের মূল ও টাটকা বাকল হইতে এই ঔষধটি প্রস্তুত হয়।
বর্ণনা:- ইহা ৫ হইতে ১৫ ফুট লম্বা কণ্টকময় শাখা প্রশাখা বিশিষ্ট একজাতীয় পত্রমোচী গাছড়া। কাণ্ডের নিম্নভাগের ব্যাস ৪ হইতে ৫ ইঞ্চি। ইহার বাকল বাদামী বর্ণের এবং মসৃণ। বয়োসন্ধির সাথে সাথে বাকলের বর্ণ ধূসর হইয়া থাকে। পাতাগুলি ৩ হইতে ৫ ইঞ্চি লম্বা, অনেকটা নীচের দিকে নুইয়া পড়ে। সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে হলুদ বর্ণের ছোট ফুল দৃষ্ট হয়। মূল এবং গাছের টাটকা বাকল ঔষধে ব্যবহৃত হয়।
উৎপত্তিস্থান:- আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার আর্দ্ররসা জঙ্গলে এই গুল্ম জন্মিয়া থাকে।
প্রভার:- ডাঃ হেরিং ইহা প্রুভ করেন।
প্রস্তুত প্রণালী:- মূল ও টাটকা বাকল হইতে সুরাসার সহযোগে মূল অরিষ্ট প্রস্তুত হয়। ২০ শক্তি প্রস্তুত করিতে ১ ভাগ অরিষ্ট, ৩ ভাগ পরিশ্রুত জল এবং ৬ ভাগ, সুরাসার ব্যবহৃত হয়, ৩০ এবং উচ্চ শক্তিতে পরিশ্রুত সুরাসার প্রয়োগ হয়।
ক্রিয়াস্থান:- রক্তবহা শিরাসমূহে বিশেষতঃ মলদ্বার, জননেন্দ্রিয়ের শিরার উপর ইহার প্রধান ক্রিয়া দৃষ্ট হয়। ইহার ক্রিয়ার ফলে শিরার বৃদ্ধি, রক্ত সঞ্চয়, রক্তস্রাব প্রভৃতি লক্ষণ উৎপন্ন হয়। মূত্রাশয়, গর্ভাশয়, অস্ত্র, নাসিকা, অর্শ, ফুসফুস প্রভৃতি স্থানের শিরার রক্তস্রাবে এই ঔষধ বিশেষ কার্যকরী।
মানসিক লক্ষণ:- 'সকলে আমাকে সম্মান প্রদর্শন করুক'-রোগী এইরূপ প্রত্যাশা করে।
চরিত্রগত লক্ষণ:-
১। নাসিকা হইতে রক্তস্রাব।
২। শিরার রক্তাধিক্যতা, শিরা হইতে রক্তস্রাব।
৩। মূত্রাশয়, গর্ভাশয়, অস্ত্র, ফুসফুস প্রভৃতি হইতে রক্তস্রাব।
৪। আক্রান্ত স্থানে থেঁতলানো বেদনা।
৫। অণ্ডকোষের প্রদাহ।
৬। রজবন্ধ হেতু মুখ দিয়া রক্তস্রাব।
৭। প্রসবের পর শিরা স্ফীতি ও পদদ্বয় ফুলিয়া উঠা।
প্রয়োগক্ষেত্র:- সাধারণতঃ মূত্রাশয়, গর্ভাশয়, অস্ত্র, নাসিকা, অর্শ, প্রভৃতি স্থানের শিরার রক্তস্রাবে, টাইফয়েড জ্বরে, শিরা স্ফীতিতে এবং প্রসবান্তে পদদ্বয় ফুলিয়া উঠিলে ইহা ব্যবহৃত হয়।
রক্তস্রাব:- যেখান হইতেই রক্তস্রাব হউক না কেন হোমিওপ্যাথিতে বহুদিন যাবত এই ঔষধ রক্তবন্ধের জন্য ব্যবহৃত হইয়া আসিতেছে। যখন বুঝা যাইবে রক্তস্রাবের রক্ত শিরা হইতে উদাত এবং সেই রক্ত ঘন ঘন এবং ঘোলাটে ও কতকটা কালচে বর্ণের, তখনই ইহা প্রয়োগ করা যাইবে। গুহাদ্বার, মূত্রদ্বার, জননেন্দ্রিয়, নাসিকা, চক্ষু, মুখ, ফুসফুস প্রভৃতি যে কোন স্থানের রক্তস্রাবেই যদি রক্ত কালবর্ণের হয়, ঘন বা চাপচাপ অল্প নির্গত হয় এবং যে স্থান হইতে রক্তস্রাব হইতেছে সেইস্থানে আঘাত লাগার মত বেদনা ও টানভাব থাকে, রক্তস্রাব হওয়াতে রোগীর মনে কোন প্রকার ভয় বা উদ্বেগ না থাকে তবে অনতিবিলম্বে হ্যামামেলিস প্রয়োগ করা উচিত। শিরার রক্ত বিশুদ্ধ নহে দেখিতে সামান্য কালচে ঘন, আর হ্যামামেলিসের প্রধান ক্রিয়া শিরাসমূহের উপর। তবে কোন কোন সময় লালবর্ণ রক্তও ইহাতে দৃষ্ট হয়। রক্তস্রাবের সহিত মাথায় মুগুর মারার মত বেদনা থাকে। চক্ষু হইতে রক্তস্রাব, তাহা কাশির চোটেই হোক বা আঘাত লাগিয়াই হোক তাহাতে আর্ণিকা অপেক্ষা হ্যামামেলিস বেশী উপকারী। গাড়ীতে ঝাঁকি লাগিয়া অথবা অধিক দূর পথ হাঁটিবার জন্য জরায়ু হইতে রক্তস্রাব হইলে ইহা উপকারী।
গর্ভস্রাব হইয়া প্রচুর পরিমাণে রক্তস্রাবের সঙ্গে পেটে অত্যন্ত টাটানি বেদনা থাকিলে ইহার আভ্যন্তরীক ও বাহ্যিক প্রয়োগ অর্থাৎ হ্যামামেলিস লোশনে এক টুকরা কাপড় ভিজাইয়া পেটের উপর প্রয়োগ করিলে সত্বর রক্তস্রাব বন্ধ ও বেদনার উপশম হয় (লোশন-হ্যামামেলিসের ৪, ২০ ফোঁটা আধা ছটাক জলে মিশাইয়া)। রজঃরোধ হেতু কাহারও পাকস্থলী হইতে মুখ দিয়া রক্ত উঠিলে মিলিফোলিয়াম ও অষ্টিলেগোর ন্যায় হ্যামামেলিস উপকারী।
রক্তস্রাবে হ্যামামেলিসের সহিত অন্যান্য ঔষধের প্রভেদঃ-
কার্বোভেজ-ইহার রক্ত জমাট নহে-তরল ঘোলাটে। শরীরের যেকোন স্থানের রক্তস্রাবেই রক্ত অবিরামভাবে সামান্য সামান্য করিয়া নির্গত হয়। রোগী তাহাতে ক্রমশঃ দুর্বল হইয়া পড়ে এবং নিয়ত পাখার বাতাস চায়। নতুবা তাহার যেন দম বন্ধ হইয়া আসে। নাসিকা দিয়া অবিরাম রক্তস্রাব। একসময়ে ২/১দিন ধরিয়া অনবরত নির্গত হয়।
মিলিফোলিয়াম- সকল রক্তস্রাবেই ইহা ব্যবহৃত হয়। রক্ত অত্যন্ত উজ্জ্বল লাল, পরিমাণে প্রচুর, কিন্তু স্রাবের সঙ্গে কোন বেদনা বা যন্ত্রণা থাকে না।
বেলেডোনা- জরায়ুর রক্তস্রাবেই ইহা বেশী উপকারী। তবে নিম্নলিখিত লক্ষণে অন্য স্থানের রক্তস্রাবেও ইহা উপযোগী। রক্তস্রাব উজ্জ্বল লালবর্ণের। রক্ত নির্গত হইতে না হইতেই জমাট বাঁধিয়া যায় এবং যে স্থান দিয়া রক্ত বাহির হইয়া আসে, সেখানে পর্যন্ত রোগী উত্তাপ অনুভব করে।
চায়না- জরায়ুর রক্তস্রাবে রক্ত চাপচাপ, সামান্য কালচে রং এর, পেটে খুব। বেদনা হয়, ঋতু খুব শীঘ্র শীঘ্র হয়, স্রাব পরিমাণে বেশী তৎসহ বেদনা। তলপেটে বেদনা ও ভারীবোধ। অত্যধিক রক্তস্রাব হেতু রোগী হিমাঙ্গ হইয়া পড়ে। প্রসবের পর ফুল আটকাইয়া অধিক রক্তস্রাব হইলে ১০/১৫ মিনিট অন্তর ঘনঘন ইহা প্রয়োগ করা উচিত।
স্যাবাইনা- স্যাবাইনার রক্ত খুব উজ্জ্বল লাল বর্ণের এবং কতকটা জমাজমা বা চাপচাপ। নড়াচড়ায় রক্তস্রাব বাড়ে এবং সে সাথে ভয়ানক বেদনা কোমর হইতে আরম্ভহইয়া তলপেটের দিকে বিস্তৃত হয়। প্রসব বা গর্ভস্রাবের পর রক্তস্রাব।
সিকেল কর- জরায়ুর সকল রক্তস্রাবেই ইহা উপযোগী। পাতলা শীর্ণা ও রোগা স্ত্রীলোকেরাই এই ঔষধের উপযুক্ত ক্ষেত্র। রক্তস্রাবের সহিত রক্তের চাপ বা জমাট রক্ত বড় একটা থাকে না। রক্তস্রাব নিয়তই সামান্য সামান্য করিয়া হয়। রক্ত ঘোলাটে ও দুর্গন্ধ। প্রসব বা গর্ভস্রাবের পর অতিরিক্ত রক্তস্রাব, ঋতুকালীন অত্যধিক স্রাব। ইহা ছাড়া রক্তস্রাবের সহিত হাতে পায়ে এবং অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে ঝিনঝিন করে। রোগীর শরীর ঠাণ্ডা, অথচ গায়ে কাপড় রাখে না।
ইপিকাক- গা বমি বমির সহিত অধিক পরিমাণে লালবর্ণের রক্তস্রাব হইতে থাকিলে প্রথমেই ইহা ব্যবহার করা উচিত।
অর্শপীড়া:- যে অর্শের সহিত অধিক পরিমাণে রক্তস্রাব হয় এবং সেই সঙ্গে আক্রান্ত স্থানে যদি টাটানি ব্যথা থাকে ও কোমরে এত ব্যথা যেন কোমর ভাঙ্গিয়া গেল মনে হয়, তাহা হইলে ইহাতে উপকার হইবে। মলদ্বারে জ্বালা ও টাটানি উভয়ই থাকে। হ্যামামেলিস • রাহ্যিক ও আভ্যন্তরীক উভয় রূপেই ব্যবহার করা যায়। ভার্বাসকাম ও একড্রাম, ১ আঃ অলিভ অয়েল বা ভ্যাসেলিনসহ মিশ্রিত করিয়া মলদ্বারে বাহ্যিক প্রয়োগ করিলে অর্শের যন্ত্রণার ও বেদনার উপশম হয়।
টাইফয়েড জ্বর:- টাইফয়েড জ্বরে মরদ্বার দিয়া কালবর্ণের আলকাতরার ন্যায় রক্তস্রাব হইলে, পেটে বেদনা থাকিলে রোগীর মনে ভয় বা উদ্বেগ না থাকিলে হ্যামামেলিস উত্তম ঔষধ।
শিরা স্ফীতিতে (অণ্ডকোষের):- হ্যামামেলিসের আভ্যান্তরীক ও বাহ্যিক প্রয়োগ সকল স্থানের শিরাস্ফীতিতে উপকার হয়। তবে আক্রান্ত স্থানে টাটানি ব্যথা থাকা চাই। এই টাটানি আর্ণিকায় পড়িয়া। যাওয়া বা আঘাতজনিত টাটানির মত নহে। অণ্ডকোষের শিরা স্ফীতিতে যদি আক্রান্ত স্থানে টাটানি ও ব্যথা ও ফোলা থাকে তাহা হইলে ইহা আভ্যন্তরীক ও বাহ্য প্রয়োগে উপকার দর্শে। গনোরিয়া আবদ্ধ হইয়া কোষ প্রদাহ হইলে ক্লিমেটিস, পালসেটিলা ও হ্যামামেলিস উপযোগী। রোগ অধিক দিনের পুরাতন হইলে এসিড ফ্লোর হ্যামামেলিস অপেক্ষাও উপকারী।
আঘাত হেতু রক্তস্রাব, কালশিরা ও গায়ে ব্যথায় হ্যামামেলিসের প্রয়োগ লক্ষণ:-
আঘাত লাগিয়া রক্তস্রাব হইলে বা শরীরে কালশিরা পড়িলে ইহা উপকারী। আঘাত লাগার জন্য গায়ে ব্যথা হইলে ইহা প্রয়োগে অবিলম্বে ব্যথা দূরীভূত হয়। আঘাতের ফলে শরীরের কোনস্থান কাটিয়া মাংস ছিঁড়িয়া গেলে ইহা বাহ্য প্রয়োগে পূজ জমিতে পারে না। ঘাও সত্বর শুকাইয়া যায়।
প্রসবান্তে স্ত্রীরোগে হ্যামামেলিসের প্রয়োগ লক্ষণ:- প্রসবের পর শিরা স্ফীত 'হইয়া উঠে ও পদদ্বয় সাদা হইয়া ফুলিয়া উঠা এবং তাহাতে টাটানি বেদনা থাকা লক্ষণে হ্যামামেলিস উপকারী। রক্তস্রাব বা লোচিয়া স্রাব বন্ধ হইয়া পদদ্বয় ফুলিয়া উঠিলে পালসেটিলাও উপযুক্ত ঔষধ।
পুংজননেন্দ্রিয় পীড়ায় হ্যামামেলিসের লক্ষণ বা, অণ্ডকোষের পীড়ায় হ্যামামেলিসের লক্ষণ:
শুক্রবাহী রজ্জুতে বেদনা, অণ্ডকোষ পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। অণ্ডকোষের শিরা স্ফীতি। অণ্ডকোষে বেদনা। একশিরা। অওদ্বয় বর্ধিত, উষ্ণ ও যাতনাদায়ক। উপকোষের প্রদাহ।
প্রান্তদেশ:- বাহু ও পদদ্বয়ে ক্লান্তিবোধ। পেশী ও সন্ধিগুলি টাটান। শিরাস্ফীতি। পৃষ্ঠে, কোমরে এবং পা পর্যন্ত শীতবোধ। জঙ্ঘা শিরাদ্বয়ে শূলবৎ বেদনা।
বৃদ্ধি:- বৃষ্টির দিনে, উষ্ণ জলীয়বায়ুতে ও স্পর্শে, পরিশ্রমে, বেদনাদি-দিবাভাগে ও বিশ্রামে।
হ্রাস:- রাত্রিকালে ।
সম্বন্ধ:- আঘাতজনিত চক্ষুর অভ্যন্তরস্থ রক্তস্রাব দূরীকরণে ইহা আর্নিকা ও ক্যালেন্ডুলা অপেক্ষাও উৎকৃষ্ট। রক্তস্রাব ও রক্তস্রাব প্রবণ ধাতুতে-ফেরাম।
ক্রিয়ানাশক:- আর্ণিকা।
ক্রিয়াস্থিতিকাল:- ১ হইতে ৭ দিন।
ক্রম:- ৪, ১০ হইতে ৬ শক্তি (রক্তস্রাবে-১x)
হ্যামামেলিস-এর প্রধান লক্ষণ ও প্রয়োগক্ষেত্র
১. রক্তপাত (Bleeding)
-
হ্যামামেলিসের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য:
"রক্তপাত হয়, কিন্তু ব্যথা হয় না।" -
নাক, মুখ, মলদ্বার, জরায়ু বা আঘাত থেকে রক্ত পড়লেও ব্যথা থাকে না
২. হেমোরয়েড / পাইলস
-
পায়খানার সময় রক্ত যায়
-
পায়খানা কষা হলেও ব্যথা খুব কম
-
মলদ্বার ভারি ও ফোলাভাব, যেন কিছু ঝুলে আছে
-
রক্ত খুব লাল ও টাটকা, টপটপ করে পড়ে
৩. Varicose Veins (শিরা ফুলে যাওয়া)
-
পায়ে বা শরীরের অন্য অংশে শিরা ফুলে ওঠে
-
হালকা ব্যথা, ভারি লাগা, ক্লান্ত অনুভব
-
গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে খুব উপকারী
৪. আঘাত বা ট্রমা পরবর্তী রক্তক্ষরণ
-
চোখ, দাঁত, মাথা বা শরীরের কোথাও আঘাতের পরে রক্তপাত হলে
-
Arnica পরেও যদি রক্ত না বন্ধ হয়, তখন Hamamelis উপকারী
৫. মেয়েদের জরায়ু সংক্রান্ত রক্তপাত
-
ঋতুস্রাব খুব বেশি, লম্বা সময় ধরে চলে
-
প্রসব পরবর্তী রক্তপাত
-
টাটকা রক্ত, কিন্তু তেমন ব্যথা নেই
মানসিক লক্ষণ (Mental Symptoms):
-
দুর্বলতা, মানসিক ক্লান্তি
-
রক্তপাতের পর খুব দুর্বল বোধ করা
-
ভয়ের কারণে ঘাবড়ে যাওয়া
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা গ্রহণের ক্ষেত্রেও রুগীর উচিত একজন যোগ্য ও অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া। কারণ:
ব্যক্তিভেদে রোগ ভিন্ন হতে পারে: হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় রোগ নয়, রুগীর সামগ্রিক লক্ষণ, মানসিক অবস্থা, শারীরিক গঠন, জীবনধারা সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে ঔষধ নির্বাচন করা হয়।
সঠিক ঔষধ নির্বাচন জরুরি: একই রোগের জন্য একাধিক হোমিও ঔষধ থাকতে পারে, কিন্তু কোনটি রুগীর উপযোগী তা নির্ধারণ করতে একজন বিশেষজ্ঞের অভিজ্ঞতা প্রয়োজন।
মাত্রা ও সময়জ্ঞান গুরুত্বপূর্ণ: কখন, কী পরিমাণে, কতদিন ঔষধ খেতে হবে—তা ডাক্তারের নির্দেশনা অনুযায়ী হওয়া উচিত।
নিজে নিজে ঔষধ গ্রহণ ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে: ভুল ঔষধ বা মাত্রা রুগীর সমস্যাকে জটিল করে তুলতে পারে, কিংবা উপসর্গ লুকিয়ে রেখে দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
তাই হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাও অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহণ করা উচিত।
0 মন্তব্যসমূহ