Moschus - মস্কাস
চরিত্রগত লক্ষণ - মূৰ্চ্ছা , বুক ধড়ফড়ানি , হিষ্টিরিয়া
পীড়ায় কিংবা উক্ত পীড়ার সহিত পেটে বায়ুজমা , পেটফোলা , কম্পন , হিক্কা , ঠাণ্ডা বাতাস অসহ্য ঠাণ্ডায় উপসর্গের বৃদ্ধি।
মাথাঘোরা – একটু
নড়িলে চড়িলে , এমন কি চক্ষুর পলকটি
ফেলিলেই যেন মাথা ঘুরিয়া উঠে , মাথায় চাপবোধ , শরীরের বাহিরে শীত ও ভিতরে উত্তাপ , স্নায়বিক হিক্কা , অরুচি পেটে বায়ু জমিয়া পেটফোলা , কাণে শব্দ ।
হৃৎস্পন্দন – ( palpitation ) — স্নায়ুদৌর্ব্বলাজনিত বুক ধড়ফড়ানি তাহাতে
হৃৎপিণ্ড যেন কাঁপিতে থাকে , নাড়ী দুর্ব্বল , নিশ্বাসে কষ্ট রোগী মানে করে যে , তাহার মৃত্যু নিশ্চিত হিষ্টিরিয়াজনিত বুক
ধড়ফড়ানি।
হিষ্টিরিয়া— (
মূৰ্চ্ছাবায়ু ) —এই পীড়ার নাম শুনিলেই আমাদের যেন প্রথমে ইগ্লেসিয়া ঔষধটিই মনে
হয় । বাস্তবিকই – ইগ্লেসিয়া একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ হইলেও — মস্কাস , নক্স - মস্কেটা , ট্যারেন্টুলা , এসাফিটিডা - ভ্যালেরিয়ানা , জিন্তু ভ্যালেরিয়ানা ইত্যাদি আরও কতকগুলি এই
পীড়াৰ উপযোগী ঔষধ আছে মক্কাসে হঠাৎ বক্ষস্থলে খিলধরার মত কিম্বা গলনালীতে
সঙ্কোচবৎ একপ্রকার বেদনা হয় , তাহাতে রোগিণীর
যেন নিশ্বাস বন্ধ হইয়া কিম্বা দম আটকাইয় যায় বুক ধড়ফড় করে ও মূর্ছার মত হয় ।
ইগ্লেসিয়ার
ন্যায় মস্কাসেও — রোগীর পরিবর্তনশীল মেজাজ দৃষ্ট হয় , রোগী একবার চীৎকার করিয়া কাঁদে , পরক্ষণেই আবার খিল খিল করিয়া হাসিতে থাকে ।
অদমা হাসি , মাথাব্যথা , মাথাঘোরা , গা - বমি - বমি , দৃষ্টি শক্তির হ্রাস , মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন জন্য উত্তেজিত তাব , বিকারগ্রস্ত রোগীর মত - নেশাখোরের মত –
নানাপ্রকার অসম্বন্ধ কথা বলা , গালাগালি করা ও
অজ্ঞান হইয়া পড়া ইত্যাদিও — মস্কাসের লক্ষণ ।
হিষ্টিরিয়ার —
আরও কতকগুলি লক্ষণ মস্কাস আছে । স্মরণ রাখিবেন , যথা : -হাত - পা
ঠাণ্ডা , মুখের বর্ণ ফেকাসে যেন রক্তহীন , দুর্ব্বলতা , শরীরের কম্পন , অত্যন্ত বুক ধড়ফড়ানি , সৰ্ব্বাঙ্গে ব্যথা , পেটফোলা , অতিরিক্ত
প্রস্রাব , অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক
কাশি বুকে খিলধরা দিনে ঘুম - ঘুনভাৰ ও রাত্রিতে অনিদ্রা , এতদ্ভিন্ন — রোগী কেবল বলে যে , বোধ হয় শীঘ্রই তাহার মৃত্যু ঘটিবে , এই মানসিক লক্ষণটি প্রায় সর্ব্বদাই বর্তমান
থাকে
গ্লোবাস
হিষ্টিরিয়া — গলায় একটা গোলার মত পদার্থ ঠেলিয়া উঠে গলনলীতে চাপিয়া ধরার মত
একপ্রকার বেদনা ও শ্বাসবন্ধের মত হয় ।
অনিয়মিত ঋতুজনিত
হিষ্টিরিয়া – ঋতু – হয় খুব শীঘ্র ও পরিমাণে অধিক নয় স্বল্প বা
একেবারে বন্ধ থাকে সঙ্গমেচ্ছা প্রবল ইহার কারনে হিষ্টিরিয়া।
মাথাব্যথা–
স্নায়বিক ও হিষ্টিরিয়াগ্রপ্তা স্ত্রীলোকদের মাথাব্যথা উহা ঠাণ্ডায় ও ঠাণ্ডা
বাতাসে ভাল থাকে , উত্তাপে অথবা গরম ঘরে
থাকিলে যন্ত্রণার বৃদ্ধি হয় । নাসিকামলের উপর বেদনা মাথার চাঁদিতে চাপবোধ ।
কাশি — আক্ষেপিক
কষ্টকর হাঁপানি কাশি বিশেষতঃ হিষ্টিরিয়াগ্রস্ত ব্যক্তি দের হাপানি পীড়া হঠাৎ আক্রমণ করে হাপাইতে থাকে
যেন দমবন্ধ হয় , বুকে সর্শিতরা থাকে , ঘড়ঘড় করে । ফুসফুসের পক্ষাঘাত হইবার উপক্রম
হয় , বুকে প্রচুর পরিমাণে সর্দি জমিয়া রহিয়াছে
কিন্তু রোগী তাহা তুলিয়া ফেলিতে পারে না ।
হুপিং কাশিতে–
কাশিতে কাশিতে দমবদ্ধ হইবার মত হয় , গলা ঘড়ঘড় করে ।
হিক্কা –
আক্ষেপিক স্নায়বিক হিকায় উপশম হয় ।
বহুমূত্র –
পরিষ্কার স্বচ্ছ জলের মত প্রচুর পরিমাণে প্রস্রাব হয় ও তাহার সাথে অত্যন্ত পিপাসা থাকে ।
বহুমূত্র রোগে ( diabetes ) – অনবরত প্রস্রাব পায় , ভয়ানক পিপাসা , রোগী শীর্ণ হইয়া পড়ে রমণেচ্ছার লোপ হয় , প্রস্রাবে শর্করা মিশ্রিত থাকে । প্রবল
কামেচ্ছা তাহাতে লিঙ্গো উত্তেজিত না হইয়া শুক্রক্ষরণ
হয়, লিঙ্গমধ্যে জ্বালা
থাকিলে। ধ্বজভঙ্গ ও বহুমূত্র
, অকালে বার্ধ্যকা , স্ত্রী সঙ্গমের পর বমি , গা বমি
ক্রিয়ানাশক –
ক্যাম্ফর , কফিয়া ।
ক্রিয়া
স্থিতিকাল —১ দিন ।
ক্রম —৬ ষ্ঠ
শক্তি।
হিষ্টিরিয়ায় –
৩০ হইতে ২০০ শক্তি ফলদায়ক ।
0 মন্তব্যসমূহ