এই ব্লগটি শুধুমাত্র নব্য চিকিৎসক এবং শিক্ষাথীদের
জন্য প্রযোজ্য।
ক্লিমেটিস ইরেক্টা – Clematis Erecta
প্রতিশন্দ
:
ভার্জিনস, চোয়ার,
ক্লিমেটিস রেকটা, ক্লিমেটিস।
উৎস ও বর্ণনা :
নদীর তীরে গাছড়ার
উপরে ইহা আরোহন করিয়া থাকে।ইহার কান্ড প্রায় ৩ ফুট পর্যন্ত লম্ভা হয়ে থাকে, পাতাগুলি
বড়। জুলাই হইতে আক্টোবর মাসে এই সকল গাছে সাদা ফুল পুটিয়া থাকে ।
প্রুভার:
মহাত্না হ্যানিম্যান।
ঔষধে ব্যবহৃত অংশ
:
ফুল হওয়ার প্রারম্ভে
পাতা ও কান্ড ঔষধে ব্যবহৃত হয়।
মানসিক লক্ষণ :
রোগী সারাদেহে স্পন্দন অনুভূতি।
রুগী একাকী থাকিতে ভয় পায়, তবুও সে লোক সংগ চায়না।
সে মনে করে সৃষ্টি কর্তা তাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য সৃষ্টি করেছে।
রোগী মনে করে তাহার
দাঁত গুলো বড় হইয়া গিয়াছে।
চরিত্রগত লক্ষণ :
মস্তকে রগের উপর যেন ছিদ্র করা হইয়োছে এইরুপ অনুভূতি।
মস্তকের পিছনের ভাগে পূঁজ যুক্ত চুলকানী।
প্রমেহ পীড়াজনিত অন্ডকোষ প্রদাহ।
মূত্রনালীর পীড়া, মূত্রনালী হইতে ঘন পূঁজস্রাব।
শ্বেতপ্রদর, টিউমার, স্তনগ্রন্থির প্রদাহ, বাগী।
রোগী খুবই শীর্ণ।
দাঁত কনকন করে, রাত্রে ও তামাক খাইলে বৃদ্ধি।
আহারের পর দুর্বলতা।
প্রস্রাবর ধারা বাধা প্রাপ্ত হইতে থাকে।
প্রয়োগক্ষেত্র্:
প্রমেহ পীড়া, অন্ডকোষ
প্রদাহ, চর্মপীড়া, চক্ষুপীড়া, একজিমা, বাগী।
প্রমেহ পীড়া :
প্রস্রাব থামিয়া থামিয়া
হয়, অনেক্ষন বসিয়া থাকিতে হয়। প্রস্রাব কালে মূত্রনালীর গোড়া হইতে লিঙ্গমুন্ডু পর্যন্ত
বেদনা থাকে। মূত্রনালীতে ঝিনঝিন করে, প্রস্রাবের পরও কিছুক্ষন ইহা চলিতে থাকে। মূত্রনালীর
মুখে জ্বলা, প্রস্রাব ফোঁটা ফোঁটা করিয়া বাহির হয়।
অন্ডকোষ প্রদাহ :
ডানদিকের অন্ডকোষ
প্রদাহ, প্রমেহ স্রাব কোনও কারনে বন্ধ হইয়া কিংবা ঠান্ডা লাগিয়া অন্ডকোষ প্রদাহ ও ফোলা।
ফোলাস্থান পাথরের মত শক্ত ও জ্বালা। অন্ডকোষ ভারী হইয়া ঝুলিয়া থাকে অথবা উপরের দিকে
খিঁচিতে থাকে।
চর্মরোগ :
চর্ম লাল, জ্বালাকর, ফোলাযুক্ত ও মামড়িযুক্ত। মাখার উপর এ কপ্রকার ফোস্কার
ন্যায় চুলকানিযুক্ত ও বেদনাযুক্ত উদ্ধেদ। শরীরের অন্যান্য স্থানের উদ্ভেদও একই রকম,
ভীষন চুলকানী। শিতল জলে বৃদ্ধি, চর্ম থেকে তরল রস বাহির হয়। তাহাতে আক্রাস্ত স্থান
ক্ষত হয় ও পাকে।
একজিমা :
হাতে একজিমা এবং প্রমেহ স্রাব বন্ধ হইয়া লিঙ্গে ও অন্ডকোষে
একজিমা হইলে। পুরাতন চর্মপীড়া প্রতিমাসে শেষ ভাগে বৃদ্ধি হইলে অথবা আমবস্যা পরে পূর্নিমাতে
বৃদ্ধি।
চক্ষু পীড়া :
ঠান্ডা লাগা হেতু বা গর্মীপীড়ার কারণে চক্ষুর ভিতর লালবর্ণ।
রাত্রিতে চক্ষুর জ্বালা যন্ত্রনা বাড়ে, চক্ষু হইতে জল পড়ে, জ্বালা ও করকর করে। আলোর
দিকে তাকাতে পারে না, সামান্য ঠান্ডা বাতাস বা জল লাগিলে যন্ত্রনা বাড়ে, রোগী চক্ষু
বন্ধ করিয়া রাখে। চক্ষুর সম্মুখে ঝিলিক মারিয়া উঠে ও রাত্রে যন্ত্রনা বেশি হলে চোখ
বাদিয়া রাখিলে উপসম।
বৃদ্বি :
রাত্রে, শয্যার গরমে, অমাবস্যায়। চক্ষু ঠান্ডা বাতাসে।
উপসম :
মুক্ত বাতাসে, ঠান্ডা
জলে, চক্ষুপীড়ায় গরমে।
পরবর্তী ঔষধ :
সিপিয়া, রাসট্রক্স,
ক্যালকেরিয়া, সালফার।
ক্রিয়ানাশক :
ক্যাম্পার, ব্রায়োনিয়া,
ক্যামোমিলা, রাসট্রক্স, ক্রোটন, র্যানানকুলাস, এনাকার্ডিয়াম।
ক্রিয়া স্থিতিকাল : ১৪ হইতে ২০ দিন।
ক্রম : ৩x হইতে ২০০ শক্তি।
ডাঃ মহি উদ্দিন
প্রভাষক :- ফেনী হোমিওপ্যাথিক
মেডিকেল কলেজ।
যোগাযোগ
:- ফরাজী হোমিও হল।
সদর হাসপাতাল, উত্তর বিরিঞ্চি রোড় - ফেনী
0 মন্তব্যসমূহ