থুজা অক্সি - Thuja Occi, চতুর্থ বর্ষ - মেটেরিয়া মেডিকা

থুজা অক্সি 
Thuja Occi








প্রাকৃতিক অবস্থা:- কনিফেরাই।

প্রতিশব্দ:- আরবর ভাইটাই, সেড্রাসলিসিয়া, আমেরিকান আরবর ভাইটাই, অপ্রকৃত সাদা চিরহরিৎ গাছ, জীবনবৃক্ষ।

উৎস ও বর্ণনা:- জীবন বৃক্ষ নামক গাছ হইতে এই ঔষধ প্রস্তুত হয়। ইহা ২০ হইতে ৫০ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট চির সবুজ বৃক্ষ। শাখাগুলি ছড়ানো এবং চ্যাপ্টা। কাষ্ঠ হালকা কিন্তু খুবই টেকসই। পত্রসমূহ চিরসবুজ এবং অপরিবর্তিত। মে হইতে জুন মাসে এই সকল গাছে ফুল দেখা যায়। পাতাগুলিকে যখন দুই হাতের তালুতে ঘষা হয় তখন কটু মসলার ধুম্রময় গন্ধ বাহির হইতে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের জলাশয় এবং ঠাণ্ডা শিলাময় তীরাঞ্চলে এই সব বৃক্ষ উৎপন্ন হয়।

প্রস্তুত প্রণালী:- জীবনবৃক্ষের সবুজ তাজা পাতা এবং ছোট শাখা হইতে ইহার মূল অরিষ্ট প্রস্তুত হয়। ২x এবং উচ্চশক্তি পরিশ্রুত সুরাসারের সহিত প্রয়োগ হয় ।

 প্রুভার:- ১৮২৯ খৃষ্টাব্দে মহাত্মা হ্যানিমান ইহা প্রুভ করেন।
 
ক্রিয়াস্থান:- জননেন্দ্রিয়, মূত্রযন্ত্র, মলদ্বার ও চর্মের উপর থুজার প্রধানক্রিয়া দেখিতে পাওয়া যায়। হ্যানিমান সাইকোসিস বিষ ধ্বংস করার জন্য থুজাকে সর্বোৎকৃষ্ট ঔষধ হিসাবে স্থান দিয়াছেন। সাইকোসিস দোষের উপরই ইহার ক্রিয়া সর্বাধিক।

ধাতুপ্রকৃতি বর্ণনা:- ইহা একটি প্রধান এন্টিসাইকোটিক ঔষধ। তিনটি দোষের (সোরা, সিফিলিস, সাইকোসিস) সমন্বয় যুক্ত এই ঔষধটি দোষঘ্ন চিকিৎসা ক্ষেত্রে একটি সুদৃঢ় স্তম্ভ বিশেষ । সাইকোসিস দোষের উপর ইহার ক্রিয়া সর্বাধিক। রসবাত ধাতুর ব্যক্তিদের নানাবিধ পীড়ায় ইহা একটি উত্তম ঔষধ।

রোগীর উপযোগী ক্ষেত্র:- রসবাত ধাতুর লোকদের নান প্রকার পীড়ায় ও প্রমেহ রোগদুষ্ট এবং টিকার কুফলগ্রস্ত রোগীর ক্ষেত্রে থুজা উপযোগী ।

মানসিক লক্ষণ:-
১) সর্ববিষয়ে সন্দেহ চিত্ততা সাইকোসিস দোষের শ্রেষ্ঠতম মানসিক পরিচয় এবং ঐ সন্দেহপূর্ণ ধারণাটি ইহার মনে এইরূপ বদ্ধমূল আকারে বিরাজ করে যে, কোনও ব্যক্তি বা বিষয়ের উপর একবার তাহার যে ধারণা জন্মে, এরবিরুদ্ধে শতযুক্তি ও সাক্ষ্য প্রমাণ দেওয়া সত্ত্বেও কিছুতেই ঐ ভ্রান্ত ধারণভার পরিবর্তন হয় না।
২) সাইকোসিস দোষজ পরিচয় জ্ঞাপক স্মৃতিলোপ, বুদ্ধিভ্রংশ, কামুকতা, নীচতা প্রভৃতি লক্ষণ ইহাতে বর্তমান থাকে ।
৩) আবার ইহার রোগী ভয়ংকর একগুঁয়ে, জেদী, হিংসাপূর্ণ ও ক্রোধী, নৈরাশ্যপূর্ণ বিষণ্ণতা ইহাতে প্রাধান্য লাভ করে।
৪) বিভ্রান্ত সহ শরীরে বিভিন্ন স্থানে রোগে কাল্পনিক অনুভূতি ও বন্ধমল ধারণা এত বেশী সুপরিস্ফুট থাকে যে ইহার রোগী ধারণা করে, তাহার দেহটি যেন কাঁচ নির্মিত এবং আশংকা করে সামান্য আঘাতেই সব শরীরটি বুঝি ভাঙ্গিয়া চুরমার হইয়া যাইবে।
 ৫) অনেক সময় রোগীর মনে হয় তাহার দেহ হইতে আত্মটি যেন পৃথক হইয়া গিয়াছে, উদর মধ্যে বুঝি কোন জীবন্ত প্রাণী নড়াচড়া করিতেছে, কোনও অপরিচিত ব্যক্তি বুঝি তাহার কাছে ঘুরিয়া বেড়াইতেছে। এই ধরনের কাল্পনিক, ভ্রান্ত বা বদ্ধমূল ধারণা রোগীর মনের মধ্যেই সর্বদাই আন্দোলিত হইতে থাকে।
৬) উক্ত ভ্রান্ত ধারণা ব্যতীত থুজা রোগী নিজের দেহটিকে দেবমন্দিরের মত পবিত্র মনের করে এবং অন্য ব্যক্তির স্পর্শে নিজের শুচিকা ও পবিত্রতা নষ্ট হইবে ভাবিয়া অন্যের ছোঁয়াচ হইতে সব সময়েই দূরে থাকিতে চেষ্টা করে।
৭) 'শুচিবাই' গ্রস্ত অধিকাংশ রোগী, বিশেষতঃ স্ত্রীরোগী নিজেদের শুচিতা রক্ষাকল্পে বার বার হাতে পায়ে জল ঢালিতে চায় এবং গৃহস্থালীর বাসনপত্র ও বস্ত্রাদি পুনঃ পুনঃ ধুইতে চায় ।
৮) ইহার রোগীকে কোন সৎ প্রস্তাব করিলে সে সন্দেহ করে, মনে করে যে প্রস্তাবকারীর কোন কুমতলব আছে। সেজন্য ইহার রোগীনী নিজ স্বামীকে পর্যন্ত বিশ্বাস করে না।
১) রোগী তাহার প্রতিবেশী, বন্ধু বা শত্রুর সামান্যতম প্রভাব বা সমৃদ্ধিটুকুও মোটেই সহ্য করিতে পারে না।

চরিত্রগত লক্ষণ:-
১) উপদংশিক চর্মরোগ।
২) টাকার কুফল। লুপ্ত বিষ জনিত পীড়া, টীকা দেওয়ার পর কোনও পীড়া।
৩) আঁচিল বা কণ্ডালোমেটা নামক চর্মোদে। 
৪) প্রচুর পরিমাণে প্রস্রাব নিঃসরণ হওয়া সত্ত্বেও মূত্রথলীতে জ্বালা। প্রচুর পরিমাণে প্রমেহ স্রাব ।
৫) স্ত্রী ও পুরুষ জননেন্দ্রিয়ে আঁচিল, মলদ্বারে ও শরীরের লোমাবৃত স্থানে আঁচিল।
৬) যোনীর ভিতরে আঁচিল তাহাতে অত্যন্ত জ্বালা ও কনকনানি, সেজন্য স্বামী সহবাস করিতে পারে না।
৭) রোগী শীঘ্র শীঘ্র শীর্ণ ও দুর্বল হইয়া পড়ে।
৮) প্রতিদিন প্রাতঃকালে বা প্রথম আহারের পর উদরাময়, মল উজ্জ্বল হরিদ্রাবর্ণের ও জলবৎ, ভেদ জোরে শব্দ হইয়া তোড়ে নির্গত হয় ও পেটের মধ্যে কলকল করে।
৯) জিহ্বায় অবুদ, জিহ্বায় ও মুখের মধ্যে ভেরিকোসিল।
১০) কোষ্ঠবদ্ধতা।
১১) মস্তক ব্যতীত শরীরে অন্যান্য স্থানে ঘর্ম ।
১২) আঁসটে দুর্গন্ধ কর্ণস্রাব।
১৩) মোমবর্ণের চকচকে মুখমণ্ডল-উহার উপরে চর্বি মাখানো থাকার ন্যায় দেখায়।
১৪) ধর্মে ঈষৎ মিষ্টি গন্ধ থাকে, মধুর ন্যায় গন্ধ ছাড়ে, সময়ে সময়ে, রসুনের ন্যায়, তীব্র ঝাঁঝালো গন্ধ পাওয়া যায় ।
১৫) জননেন্দ্রিয় হইতে একপ্রকার ঝাঁঝাল গন্ধ নির্গত হয়, জননেন্দ্রিয়ের মর্মের গন্ধ ঈষৎ মধুর গন্ধের ন্যায় হয়, সে তাহার জননেন্দ্রিয়ের গন্ধ শোঁকে। * গন্ধ পোড়া শিংয়ের গন্ধের ন্যায়, পোড়া পালকের গন্ধের ন্যায়। যদি জননেন্দ্রিয়ের উপর ডুমুরের ন্যায় আঁচিল থাকে, তাহা হইতে এই অদ্ভূত প্রকারের উগ্র গন্ধ আরও বিশেষভাবে বর্তমান থাকে।

প্রয়োগ ক্ষেত্র:- টাকার কুফলে নানাবিধ পীড়ায়, বসন্ত পীড়ায়, বসন্তের পর রোগে, প্রমেহ, উপদংশ বা গর্মীপাড়া, আঁচিল, নাক ও কানের অর্বুদ, অর্শ, বাধক পীড়া, নানাবিধ স্ত্রীপীড়া, চক্ষুপ্রদাহ, চর্মপীড়া, বাত রোগ, উদরাময়, মাথাঘোরা ও মাথা ব্যথা, কাশি, হাঁপানি, প্রভৃতি ক্ষেত্রে খুজা প্রয়োগ হয়।


বসন্ত পীড়ায় এবং বসন্তের পর রোগে থুজার ব্যবহার:- বসন্ত রোগের শক্তিশালী প্রতিষেধকরূপে থুজার অদ্ভূত কার্যকারিতা লক্ষ্য করা যায়। শুধু তাহাই নহে বসন্তের গুটিকাগুলি বাহির হইয়া পড়িলেও ইহার দ্বারা রোগের গতিটি মুকুলেই বিনষ্ট হয় এবং সেগুলি আর পাকিবার সম্ভাবনা থাকে না। চটচটে ও মোটা ক্লেদাবৃত জিহ্বা খাদ্যবস্তু দর্শনে বিবমিষা, প্রচুর ঘাম, অঙ্গ প্রত্যঙ্গে বিশেষ করিয়া উদ্ভেদশূন্য স্থানে চরিত্রগত স্পর্শকাতরতা ও টাটানিযুক্ত বেদনা, শয্যাতাপে বৃদ্ধি প্রভৃতি লক্ষণসমূহ ইহাতে থাকে। প্রসংগত উল্লেখ্য যে, বসন্তের জ্বর বিকাশ লাভ করিবার পর রোগীর সমস্ত অবস্থাটিকে অনেক সময় ম্যালেডিনাম বা ভেরিওলিনাম প্রয়োগে প্রতিরোধ করা যায়। যদি তাহা করা না যায়, তাহা হইলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তৃতীয়, চতুর্থ বা পঞ্চম দিনে বসন্তের গুটিকাগুলি বাহির হইয়া পড়িয়াছে। এই অবস্থা আসিয়া পড়িলে গুটিকাগুলিতে পুঁজ সঞ্চয়, জ্বরের প্রবলতা এবং বসন্ত রোগের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য জ্ঞাপক মারাত্মক অবস্থাসমূহ আসিবার যথেষ্ট আশংকা থাকে। এইরূপ ক্ষেত্রে ১০০০ বা তদুর্ধ শক্তির খুঁজা প্রয়োগ করিতে পারিলে শতকরা আশিভাগ রোগীর যাবতীয় লক্ষণ ২/৩ দিনের মধ্যেই বিলুপ্ত হয়।
 বসম্ভের বিষ ক্রিয়ায় আবির্ভূত পররোগসমূহ রহিত করিতে সম্ভবতঃ গুজাই একমাত্র ঔষধ। এইরূপ ক্ষেত্রে ইহা সাইলিসিয়ার সমকক্ষ এমনকি উহা অপেক্ষাও শক্তিশালী। পূজপূর্ণ গুটিকাগুলি রোগী দেহে গর্তাকারে যে দাগ সৃষ্টি করে, তাহা পরিহার করিবার জন্য থুজার কার্যকারিতা প্রশংসনীয়। কোন প্রকার মনোবিশৃংখলা থাকিলে খুজাই সেক্ষেত্রে একমাত্র ঔষধ মনে করিতে হয়। শুধু তাহাই নয়, বসন্তের উদ্ভেদগুলি আরোগ্য হওয়ার পরেও যখন রোগীর শরীর হইতে শুমসানি গন্ধ যাইতে চায় না তখন থুজা অথবা সোরিনাম একমাত্র নির্ভরযোগ্য ঔষধ। উপরোক্ত প্রকার দুর্গন্ধ হইতে ইহাই প্রমাণিত হয় যে, বসন্ত রোগের কুফলটি সমগ্র শরীরের ঘর্মস্রাবী গ্ল্যাণ্ডগুলিতে ও তাহার চতুস্পার্শ্বস্থ স্থানসমূহে ধীর গতিতে একটি পচন ক্রিয়া চালাইতেছে। থুজা ধাতুযুক্ত শরীরে বসন্ত রোগের গতিটি অনেক সময় এরূপ বদ্ধমূল আকারে অবস্তান করে যে, রোগাক্রমণের কয়েক বৎসর পর পর্যন্ত ও থুজার সমলক্ষণ চলিতে থাকে। বসন্ত রোগের কুফল হেতু অনেক সময় শরীরে এরূপ অবস্থাও আসিতে দেখা যায় যে, ঐ রোগাক্রমণের দশ বৎসর পর পর্যন্ত কোনও তরুণ রোগ দেখা দিলে উপযুক্ত ঔষধ প্রয়োগ সত্ত্বেও কোনও প্রতিক্রিয়া আসিতে চায় না। উক্ত অবস্থায়ও থুজা কার্যকরী।

আঁচিলে থুজার লক্ষণ:- আঁচিলের জন্য খুজা একটি বিশেষ কার্যকর 8 ঔষদ্ধ। বিভিন্ন প্রকারের আঁচিল যেমন কানের ভিতরের রক্তবর্ণ আচিল, আঙ্গুল দিয়া সামান্য একটুমাত্র রগড়াইলে রক্ত বাহির হয়। কানে পূজ, স্রাবে মাংস পচার ন্যায় দুর্গন্ধ, নাসিকার উপর আঁচিল, মলদ্বারের পাশে আঁচিল, এই শেষোক্ত স্থানে আঁচিল উপশমের সাথে মলদ্বারে ফাটা, তাহা হইতে রস নির্গমন খাজা চরিত্রগত ভাবের যোনীদ্বারে মাংশে জরায়ু, মুখে, ঠোঁটের কোণদ্বয়ে এবং ক্ষেত্র বিশেষে বগলে এবং যোনীদ্বারে ও মলদ্বারের মধ্যভাগে ছেঁড়া ফাটা অবস্থা আনয়ন করে। জরায়ুর আঁচিলে অত্যন্ত বেদনা, সামান্যতেই রক্তস্রাব হয়, জরায়ু গ্রীবায় ফুলকপির মত একপ্রকার পদার্থের উৎপত্তি, যোনীর উপর আঁচিল তাহাতে হাত ছোঁয়ানো যায় না এরূপ তীক্ষ্ণ বেদনা এবং স্বরযন্ত্রের অর্বুদ। আঁচিল কিংবা অর্বুদ আকারে বড়, বৃহৎ দানাযুক্ত, ডুমুরের ন্যায় বা ফুলকপির ম্যায়, চর্ম মলিন এবং শরীরের চামড়ার স্থানে স্থানে বাদামী বর্ণের দানা থাকে। আভ্যন্তরীক ব্যবহারের সাথে সাথে ইহার মূল অরিষ্ট বাহ্যিক প্রয়োগে শীঘ্র উপকার হয়।

মূত্র ও পুংজননেন্দ্রিয় পীড়ায় পুজার লক্ষণ বা প্রমেহ পীড়ায় খুজার লক্ষণ:- তরুণ প্রমেহ স্রাব চাপা পড়িলে এবং তাহার ফলে কতকগুলি যন্ত্র আক্রান্ত হইয়া নানা বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে খুজা ব্যবহৃত হয়। খুজা চাপা পড়া স্রাবটি ফিরাইয়া আনে এবং রোগীর প্রতিক্রিয়া শক্তিটিকে নিয়মিত করে। থুজার প্রেমেহ স্রাব তরল এবং উহা সবুজ বা হরিদ্রাবর্ণের, প্রস্রাবকালীন ভয়ানক জ্বালা যন্ত্রণা থাকে। প্রস্রাব ত্যাগের পরও রোগীর মনে হয় যে, যেন এক ফোঁটা প্রস্রাব ভিতরে রহিয়া গেল। ভয়ানক প্রস্রাবের বেগ হয় অথচ ফোঁটা ফোঁটা করিয়া প্রস্রাব হয়, ঐ প্রস্রাবে রক্ত মিশ্রিত থাকে। যদি রক্ত প্রস্রাব না হয় তাহা হইলে প্রস্রাব নালী মধ্যে ভয়ানক চুলকানি অনুভূত হয়। প্রত্যেক প্রস্রাবের ধারা সরু ও দ্বিধাবিভক্ত। রাত্রে কষ্টকর লিঙ্গোচ্ছাস তাহাতে রোগীর নিদ্রা হয় না। লিঙ্গে, মলদ্বারে ও পেরিনিয়মে আঁচিলবং উদ্ভেদ বহির্গত হয়। সময়ে সময়ে লিঙ্গে উপদংশীয় ক্ষতের ন্যায় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ক্ষত হয়, ইহা ছাড়া মলদ্বারে অণ্ডকোষে ক্ষত হইলে এবং সেই ক্ষত গভীর ও পুঁজপূর্ণ থাকিলে ইহা উপযোগী। সময়ে সময়ে, গনোরিয়ার জন্য অতকোষ আক্রান্ত হয়, অণ্ডকোষ ফোলে এবং তথ্যয় অভ্যন্ত ব্যথা হয়।

উপদংশ বা সিফিলিস বা মাষক দোষে পুজার ব্যবহার:- উপদংশ পীড়ায় লিঙ্গে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ক্ষত হয়, ইহা ছাড়া মলদ্বারে, অণ্ডকোষে ক্ষত। সেই ক্ষতসমূহ গভীর ও পূজপূর্ণ। লিঙ্গের ক্ষতের নিমিত্ত থুজা, ২৫/৩০ ফোঁটা অর্ধ আউন্স ভ্যাসিলিনের সঙ্গে মিশাইয়া মলম প্রস্তুত করিয়া ব্যবহার করিলে এবং সেই সাথে ইহার আভন্তরীণ সেবনে উপকার হয়। পূর্বপুরুষগত উপদংশজনিত ছোট ছোট শিশুদের গাত্রচর্মে পারদের ন্যায় উদ্ভেদ নির্গত হইলে আর্স আয়োড প্রয়োগের পর থুজা ব্যবহার করা উচিত।

স্ত্রী পীড়ায় থুজার লক্ষণ (স্ত্রী জনন যন্ত্রে পুজার ক্রিয়া) বর্ণনা:- সাইকোসিস দোষে বংশপ্রবাহ, বীর্য ধাতু এবং জনশক্তি সাংঘাতিকভাবে আক্রান্ত হয়। অর্জিত বা বংশগত সাইকোসিস দোষ হেতুই প্রায় শতকরা ৯০ ভাগ স্ত্রীলোককে বস্তিকোটরের নানা বিশৃঙ্খলায় ভুগিতে দেখা যায়। ফিলোপিয়ান টিউবের প্রদাহ, ডিম্বাধারের প্রদাহ এবং জরায়ু যন্ত্রের বিশৃঙ্খলায় ভুগিতে দেখা যায়। ফিলোপিয়ান টিউবের প্রদাহ, ডিম্বাধারের প্রদাহ এবং জরায়ু যন্ত্রের বিশৃঙ্খলার কারণ ঐ সাইকোসিস দোষ। নিরীহ মাতৃজাতিই সাইকোসিস দোষে সর্বাধিক ক্লিষ্ট হইতে থাকেন। শুধু তাহাই না, স্বামীদেহে বা মাতাপিতার কাছ হইতে ঐ দোষটি প্রাপ্ত হওয়াতে প্রতিশোধ পরায়নতা, বিরক্তিকর ঈর্ষা প্রভৃতি সাইকোসিস দোষজ সমস্ত অবস্থাগুলি উহাদের মধ্যে দানা বাঁধিয়া বিরাজ করে। গ্রন্থির উপর থুজার ক্রিয়া গভীর। বাম ডিম্বকোষে সূচীবিদ্ধবৎ যন্ত্রণা। ঋতু আগমন কালে যদি কাহারও বাম ডিম্বকোষে ভীষণ যন্ত্রণা থাকে। ঐ যন্ত্রণা যদি ঋতুস্রাব কাল ব্যাপিয়া চলিতে থাকে এবং উরুদেশ পর্যন্ত নামিয়া আসে, স্রাব দেখা দিলেই যদি উহা বাড়িতে থাকে, যন্ত্রণা যদি ছিন্নকর, জ্বালাকর, ফাটিতে থাকার ন্যায়, যদি অঙ্গটিকে ছিঁড়িয়া ফেলিতেছে বোধ হয়, যদি রোগিনী হিষ্টিরিয়াগ্রস্তার ন্যায় হইয়া পড়েন, তাহা হইতে উহা থুজার প্রবল লক্ষণসমষ্টি হইবে। ইহা জিঙ্কাম ও ল্যাকেসিসের সম্পূর্ণ বিপরীত, কারণ ঐ দুইটি ঔষধে স্রাব দেখা দিলেই উপশম হয়। বাম ডিম্বাকোষের যন্ত্রণা বৃদ্ধি প্রাপ্ত হইলে অনেক সময় উহার তাড়নায় ডান ডিম্বকোষটিও যন্ত্রণাযুক্ত হইয়া উঠে। সে সাথে মানসিক লক্ষণসমূহ প্রচণ্ড ক্রোধপ্রবণতা, ঈর্ষা, কলহ প্রবণতা, কদর্যতা প্রভৃতি প্রকাশ পায়। যোনীপথ অত্যন্ত স্পর্শাধিক্যযুক্ত। যোনিকপাট ও মূলাধারের উপরে আঁচিলবৎ মাসাংকুর ও মাংসল গেঁজসমূহ।
 
চক্ষু প্রদাহে থুজার লক্ষণ:- অতি শৈশবকাল হইতেই চক্ষু প্রদাহের সূচনা করা থুজা ও মার্কের স্বভাব। এই রোগে এই দুইটি ঔষধের পার্থক্য বিষয়ে একটি পরিষ্কার ধারণা থাকা দরকার। থুজা চোখের পাতার ভিতর অংশে নিষ্ফল অঙ্কুরোদ্গম সৃষ্টি করে, আর মার্ক ঐ স্থানে ক্ষত লক্ষণ বিকাশ করে। গরমে ও আচ্ছাদনে থুজার চক্ষুরোগ উপশমিত হয় কিন্তু মার্কের উহাতে বৃদ্ধি হয়। আবার বর্ষাকালেই থুজার রোগলক্ষণ আবির্ভূত হয়, আর মার্কের গুমট আবহাওয়াতেই রোগাক্রমণ লক্ষ্য করা যায়। বমি থুজার আনুষঙ্গিক লক্ষণ। মার্কের স্রাব পাতলা ও ক্ষত প্রবৃত্তি শূন্য ।
চা পায়ীদের চক্ষুরোগের ইহা অধিকতর উপযোগী। প্রমেহ দোষজনিত চক্ষু প্রদাহে চক্ষুর ভিতর লালবর্ণ হওয়া, চক্ষু দিয়া জল পড়া, কর কর করা, ইহা ছক্ষুর ভিতর কিংবা পাতায় ক্ষুদ্র আঁচিল, চক্ষুর পাতায় টিউমার, চক্ষুর উপতারা প্রদাহ প্রভৃতি বহুবিধ চক্ষুপীড়ায় এবং নবজাত শিশুর চক্ষু প্রদাহ, আঞ্জিনা, অন্ধকার মত দৃষ্টিতে থুজা উপকারী। চক্ষু হইতে অনেক সময় ঘন হরিদ্রা বর্ণের পূজস্রাব নির্গত হয় ।

সদ্যজাত শিশুর চক্ষুপ্রদাহে থুজার কার্যকারিতা:- সদ্যজাত শিশুর চক্ষু প্রদাহে বিশেষতঃ উপদংশ বা প্রমেহ বিষ হেতু শিশুর চক্ষু প্রদাহে, চক্ষুর ভিতর লালবর্ণ ও চক্ষু দিয়া জল পড়িলে ইহা ব্যবহার্য ।

চর্মরোগে থুজার লক্ষণ:- বুকের চারিদিকে কটিবন্ধাকার দাদ, সর্বত্র যেখানে সেখানে ইন্দ্রবিধার ন্যায় উদ্ভেদ, 'সিপিয়া'র ন্যায় ভগৌষ্ঠের উপর এবং দেহের উপর ফুস্কুড়িযুক্ত বড় বড় চাকার মত উদ্ভেদ প্রকাশ পায়। এ স্থলে অবশ্য থুজা, রাসটক্স, মেজেরিয়াম ও গ্রাফাইটিসের সহিত তুলনা করিতে হইবে। থুজার আঁচিলের ন্যায় উন্নত মাংসপিণ্ড সকল নির্গত করার প্রবণতা আছে। ঐগুলি নরম, থলথলে এবং স্পর্শকাতর থাকে। উহারা জ্বালা করে, চুলকায় এবং কাপড়ের ঘষা লাগিলে রক্তপাত হয়। শিং এর ন্যায় উন্নত মাংসপিণ্ড, ঐগুলি হাতের উপর উৎপন্ন হয় এবং ফাটিয়া যায়। ফুলকপির ন্যায় উপমাংস, ঐগুলি জরায়ু গ্রীবায়, মলদ্বারের চারিদিকে উৎপন্ন হয়। টিকা দিবার পর যদি সমস্ত শরীরে বসন্তের ন্যায় গুটি নির্গত হয় তাহা হইলে থুজা উপকারী। টিকার কুফলে সৃষ্ট গুহ্যদ্বারের ক্ষত, কঠিন চর্মপীড়া, প্রভৃতিতে খুজা উপযোগিতার সহিত ব্যবহৃত হয়।

বাত রোগে থুজার লক্ষণ:- গনোরিয়া স্রাব বন্ধ হইয়া বাত রোগ হইলে থুজা উপকারী। বংশগত আকারে প্রাপ্ত সাইকোসিস দোষযুক্ত রোগীদের বাত লক্ষণ ও রোগী যদি একগুঁয়ে, জেদী, হিংসুটে, ক্রোধী, নৈরাশ্যপূর্ণ বিষণ্ণতা, স্মৃতিলোপ, বুদ্ধি ভ্রংশ, কামুকতা ও নীচতা প্রভৃতি মানসিক লক্ষণের প্রাধান্য থাকে তাহা হইলে থুজার প্রয়োজন হয়। টীকা হেতু বাতাক্রমণে থুজা অত্যন্ত ফলপ্রদ ঔষধ। কটিতে শুলবৎ কামড়ানি ও বেদনা থাকিলেও ইহা উপকারী।

উদরাময় লক্ষণ:- মলিন, হলদে, জলের মত তৈলাক্ত বা চর্বিময়, রক্তমিশ্রিত মল সজোরে নির্গত হয়। দাত্ত হইবার সময় হইতে জল ডালার মত গড় গড় শব্দ হয়, প্রাতে কিছু খাইবার পর, কফি পানের পর ও পেঁয়াজ খাইলে উদরাময় বৃদ্ধি হয়। মলত্যাগের পূর্বে পেটে বায়ুর জন্য গড়গড় শব্দ হয়। মলত্যাগ করার সময় সজোরে বায়ুর নিঃসরণ হয়। বাহ্যের পর দুর্বলতা বোধ হয়। পিপাসা বেশী, ঠাণ্ডা জিনিষ খাওয়ার ও পানের ইচ্ছা বেশী। টিকার কুফলে উদরাময় ।

পুরাতন কান পাকায় থুজা:- পুরাতন কান পাকায় ইহা উপযোগী। মাঝে মাঝে কানে প্রদাহ হইলে এবং ছিদ্রের ভিতর কান হইতে পচা মাংসের মত গন্ধযুক্ত পূঁজ বাহির হইলে, কানের ভিতর মাংসের গ্যাজ হইলে খুজা উপকারী।

চা পানের কুফলে থুজার ব্যবহার:- বহুদিন যাবত চা পান হেতু শরীর চা দ্বারা বিষাক্ত হইলে এবং অজীর্ণ রোগের সহিত বায়ুজনিত পেট ফাঁপা, স্নায়শূল ও পুরাতন শিরঃপীড়া, স্নায়বিক উত্তেজনা প্রভৃতি লক্ষণ পাওয়া গেলে পুজা উপযোগী।
 
শিরঃপীড়ায় থুজার লক্ষণ:- চক্ষু বুজাইলেই মাথা ঘোরে, চক্ষু
খুলিলে উপশম। গর্মী দোষজনিত কিংবা স্নায়বিক শিরঃপীড়া-মাথার চাঁদিতে ক্ষতবৎ বেদনা, রোগী বালিশ মাথায় দিয়া শুইতে পারে না, বেদনা রাত্রিতে বৃদ্ধি হয়। মাথার বেদনা প্রায় সব সময়ই থাকে। কখনও ছাড়িয়া ছাড়িয়া হয়, কপালে ও মাথার উপরে যেন পেরেক ঠুকিতেছে এইরূপ বেদনা, হাত দিয়া ধীরে ধীরে ঘষিলে বেদনার একটু উপশম হয়। মাথার বেদনা-মুখে, গণ্ডাস্থিতে পর্যন্ত পরিচালিত হয় এবং সেখানে অসহ্য বেদনা হয়, কোনও দ্রব্য চিবাইতে পারে না। চা পানজনিত শিরঃশূলেও ইহা উপকারী।

হাঁপানীতে থুজার লক্ষণ:- থুজা রোগী ক্ষেত্রে, বিশেষত হাঁপানী অবস্থায় থুজা প্রয়োগ করিবার পূর্বে বা পরে অনেক সময় আসে চিত্র আসিয়া চিকিৎসকের দৃষ্টি আচ্ছন্ন করিয়া ফেলিতে পারে। কিন্তু এই লক্ষণে প্রলুব্ধ হইয়া রোগীর আশু উপশমের আশায় আর্সেনিক যেন প্রয়োগ না করা হয়, কেননা ঐ উপশমটি স্থায়ী হয় না। কারণ এই যে, আর্সেনিক সোরা দুষ্ট রোগীতেই শুধু গভীর ভাবে কাজ করে- সাইকোসিসের উপর উহার কার্যকারিতা কিন্তু সুগভীর নয়। এইরূপ অবস্থায় রোগীর ধাতুগত লক্ষণ সাদৃশ্যে আর্সেনিকের গভীরতম পরিপূরক ঔষধ যথা- থুজা, নেট্রাম সালফ বা মেডোরিনাম প্রয়োগ করাই কর্তব্য। সাইকোটিক রোগীদের হাঁপানী রাত্রিতে বৃদ্ধি, হাঁপানীর সময় মুখমণ্ডল লাল হয়। প্রমেহ স্রাব পড়া হেতু বা আঁচিল পোড়াইয়া দেওয়া হেতু হাঁপানী ।

ঘর্মের বৈশিষ্ট্য:- থুজা রোগীর মাথা ব্যতীত অন্যান্য অনাচ্ছাদিত অংশেই ঘাম হইতে দেখা যায়। ঐ ঘামের আরও বৈশিষ্ট্য এই যে, নিদ্রিত অবস্থায় উহা অধিক নিঃসারিত হয় এবং নিদ্রা ভঙ্গের প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই বন্ধ হইয়া যায়। উপরন্তু ইহার ঘাম তৈলাক্ত, মধুর মত গাঢ় এবং মৃগনাভিবৎ গন্ধযুক্ত। গুজার ঘর্মের আর একটি বৈশিষ্ট্য হইল জননেন্দ্রিয়ের স্থানের ঘাম সুমিষ্ট গন্ধযুক্ত। কিন্তু ইহার ঘামের উক্ত বৈশিষ্ট্যসমূহ সকল ক্ষেত্রে পাওয়া যায় না, রোগী শরীরে অন্য কোনও একটি বা দুইটি দোষের সংমিশ্রণই ঐজন্য সম্ভবতঃ দায়ী।
 
রোগীর ইচ্ছা অনিচ্ছা:- থুজা রোগী ঠাণ্ডা পানীয় এমনকি বরফের মত ঠাণ্ডা পানীয়ই অধিক অভিলাষ করে এবং নেট্রাম মিউরের মত প্রচুর লবণ খাইতে চায়। উপরন্তু রোগী নিজে এবং তাহার লক্ষণ সমষ্টি নির্দিষ্ট কতকগুলি খাদ্য ও সময় বিশেষে যথা- পেঁয়াজ, রসুন এবং বর্ষার ভিজা আবহাওয়ায় বৃদ্ধি পায়। থুজা একটি প্রকৃষ্টতম এন্টিসাইকোটিক ঔষধ, সেজন্য রাত্রির শেষদিক হইতেই উহার বৃদ্ধির প্রবণতা বিশেষভাবে আরম্ভ হইতে দেখা যায় ।

বৃদ্ধি ও উপশম লক্ষণে লুজা ও মেডোরিনামের পার্থক্য:-
১) মেডোরিনামের ভিজা আবহাওয়ায় উপশম, অপরদিকে থুজার উহাতেই বৃদ্ধি ।
২) দিবালোকেই মেডোরিনামের বৃদ্ধি কিন্তু রাত্রি ২/৩টা হইতে থুজার বৃদ্ধি আরম্ভ হয়, উপরন্তু মার্ক ও মার্ক শ্রেণীভূক্ত অন্যান্য ঔষধের মত থুজার শয্যাতাপেও বৃদ্ধি লক্ষিত হয়।
৩) পেটের উপর ভর দিয়া অর্থাৎ উপুড় হইয়া শয়নে সাইকোটিক শ্ৰেণীভূক্ত সকল ঔষধই উপশম বোধ করে, মেডোরিনামেই ঐ অবস্থা অধিকতর সুস্পষ্ট।
৪) নড়াচড়ায় মেডোরিনামের বৃদ্ধি ।
৫) মেডোরিনাম অধিকতর বাতপ্রবণ এবং অল্পদিন পুর্বে সংঘটিত ঘটনাবলী মনে রাখিতে পারে না, অপরদিকে থুজা কল্পনা প্রবণ, হটকারী ও উত্তেজনাশীল। ইহারা উভয়েই অবশ্য শীতকাতর ।

বৃদ্ধি:- ভিজা ঠাণ্ডায়, রাত্রিকালে, শয্যার উত্তাপে, ভোর ও অপরাহ্ন ৩টায়, শুক্ল পক্ষের প্রতিপদ হইতে পূর্ণিমা পর্যন্ত, ঋতুকালে, পেঁয়াজ, রসুন ও চা সেবনে, টিকা গ্রহণে ও প্রতি এক বৎসর অন্তর, আলোকে, শীতল পানাহারে।
 
উপশম:- মর্দনে, চাপ প্রয়োগে, শৈত্য সংস্পর্শে, গরম বায়ু প্রবাহে, মাথাটি আচ্ছাদিত করিলে, হাঁচিলে, সঞ্চালনে, আড়াআড়িভাবে একটি পায়ের উপর একটি পা চালাইলে, বামদিকে, একটি প্রত্যঙ্গ টানিয়া গুটাইবার সময়ে।

সম্বন্ধযুক্ত ঔষধসমূহ:- মেডোরিনাম, মার্ক ও এসিড নাইট্রিক, ইহাদের পর থুজা ।

পরিপূরক ঔষধ:- আর্সেনিক, মেডোরিনাম, নেট্রাম সালফ, সাইলিসিয়া, সালফার।

পরবর্তী ঔষধ:- কেলি কার্ব, ক্যালকেরিয়া লাইকোপোডিয়াম, মার্কুরিয়াস, ইগ্নেশিয়া, পালসেটিলা, সালফার, এসাফিটিডা, সাইলিসিয়া, স্যাবাইনা ।

ক্রিয়ানাশক ঔষধসমূহ:- মার্কসল, ক্যাম্ফর, স্যাবাইনা, ক্যামোমিলা, ককুলাস, পালসেটিলা, সালফার, স্ট্যাফিসেগ্রিয়া ।

ক্রিয়াস্থিতিকাল:- ৬০ দিন।

শক্তি বা ক্রম:- ৩০ হইতে ১০০০ শক্তি।  

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ