সিজোফ্রেনিয়া একটি জটিল মানসিক
রোগ। নামটাই সিজোফ্রেনিয়া বা স্কিজোফ্রেনিয়া। এটা একটি জার্মানি
শব্দ। স্কিজ শব্দের অর্থ হলো ভাগ হয়ে যাওয়া। চিন্তার জায়গাটা যখন ভাগ হয়ে যায়, মানুষ যেটি দেখছে, সেটার সঙ্গে যখন কো রিলেট করতে
পারছে না, তখন সমস্যা হয়। এটা হলো থিউরেটিক্যাল কথা।
১. চিন্তার মধ্যে গন্ডগোল
২. আচরণের সমস্যা
৩. অনুভূতির সমস্যা এবং
চিন্তার মধ্যে হরেক রকম অসংলগ্নতা দেখা দিতে পারে । তাকে দেখে হাসছে , সমালোচনা করছে ।
আচরনের সমস্যা :
১. এই হাসছে আবার কোন কারণ
ছাড়াই কাঁদছে ।
২. হঠাৎ উত্তেজিত হওয়া ,
মারতে উদ্যত হওয়া ।
৩. বকাবকি ও গালিগালাজ করা
।
৪. বাথরুমে ঘণ্টার পরঘণ্টা
দাঁড়িয়ে থাকা ।
৫. মানুষের সঙ্গে মিশতে না
চাওয়া ।
৬. একা ঘরের মধ্যে সীমাবদ্ধ
জীবনযাপন করা ।
৭. হঠাৎ করে কাপড় বা অন্য
কিছুতে আগুন ধরিয়ে দেয়া ।
৮. বাইরে বাইরে ঘুরে বেড়ানো
দিনের পর দিন ) অথচ আগে এমন আচরণ ছিল না ।
৯. হারিয়ে যাওয়া যেমন
ব্রিজের নিচে , মাজারে , গোপন জায়গায় লুকিয়ে থাকা ।
১০. আত্মহত্যার চেষ্টা করা
।
১১. উল্টাপাল্টা আচরণ করা ও
কথা বলা ।
১২. গায়ের কাপড় চোপড়
সবার সামনে খুলে ফেলা ।
১৩. নিজের পায়খানা প্রসার
মুখে দেয়া ও দেয়ালে লাগালো ।
১৪. নিজের খাওয়া দাওয়া
ঘুম ও শরীরের প্রতি খেয়াল না রাখা ।
অনুভূতির সমস্যা :
১. গায়েবী আওয়াজ শোনা :
আশপাশে কোন লোকজন নেই , অথচ রোগীরা কথা শুনতে পায়
। কেউ কেউ একদম স্পষ্ট কথা শুনতে পায় ২/৩ জন লোক রোগীর উদ্দেশ করে কথা বলছে ।
২. আবার কখনও ফিসফিস আওয়াজ
পাখির ডাকের মতো শব্দ শুনতে পার । এ কথা শোনার কারণে অনেকে কানে তুলো বা আংগুল
দিয়ে বসে থাকে ।
৪. চামড়ার নিচে কি যেন
হাঁটে, এরকম অনুভূতি লাগা ।
ধাতুগত লক্ষণে ও চিকিৎসা
ল্যাকেসিস -
রোগী কোন কিছু খাইতে চায় না, এমন কি পানি খেতে চায় না,
সন্দেহপ্রবণ, কেহ কোন কিছু ক্ষেতে দিলে ভাবে তাতে বিষ দিয়েছে, নির্জনে বসে থাকে কোন প্রশ্ন করলে উত্তর দেয় না বরং মাঝে মাঝে বলে খাজা বাবা / আজমিরী শরীফে
গেলে ভাল হব, রাতে ঘর থেকে বের হয়ে
দৌড়া দড়ি বা ছুটাছুটি করে, বিভিন্ন স্থানে লুকায়,
হাসে, গান গায়, গায়ে কাপড় রাখে না, দিনে চুপচাপ পড়ে থাকে অর্থাৎ ঘুমায় ।
ব্যারাইটা কার্ব –
১৬ বছরের মেয়ে ছোটদের সাথে পুতুল খেলা করতে ভালবাসে , বৃদ্ধগণ ছোটদের সাথে মারবেল বা ঘুড়ি উড়াতে ভালবাসে।
হায়োসিয়ামস -
ব্যর্থ প্রেম কারণে সিজোফ্রেনিয়া মানসিক বা উন্মাদ, ঋতুকালে দেখা দেয়, অশ্লীল কথাবার্তা, গালমন্দ করতে থাকে, গান গায় ও উলঙ্গ হতে চায় .. বারবার জননেন্দ্রিয়ে হাত দেয়, নাচে, হাতু তালি ও শিষ দেয়, পড়নের কাপড় খুলে ফেলে দিতে চায়, নিজেকে অপরাধী মনে করে প্রার্থনা করে, সন্দেহপ্রবণ, হাতের আঙ্গুল দ্ধারা খেলা করে, টেরা বা এক দৃষ্টিতে তাকায় মল - মূত্র অসাড়ে নির্গত হতে থাকে, ভয়ে দেহের মাংস পেশি কাঁপতে থাকে, আত্মীয় - স্বজন তাকে বিষ খাইয়ে মারবে, তাই তাদের হাতে কোন খাবার ও পানি খেতে চায় না, এমকি তাদের হাতে ওষুধ খেতে চায় না, পানি ও কথা শু’লে বা দেখলে ভয় পায়, মুখ শুকিয়ে যায় তবুও পানি খেতে চায় না, একাকী থাকতে ভয় পায়, উজ্জ্বল বস্তু দর্শনে ও ঠাণ্ডায় বৃদ্ধি হয়।
এবসিস্থিয়াম –
রোগী পূর্বে কাল্পনিক ভূত, প্রেত, বাঘ ইত্যাদি দেখে ভীত হয়ে কম্পনের পর মুখ থেকে খিঁচুনি শুরু হয়ে সমস্ত দেহে ছড়ে পড়িয়ে অজ্ঞান হয়ে, গলার মধ্যে পুড়ে যাওয়ার মত একটা মাংসপিন্ড আটকে থাকার ন্যায় অনুভূতি, কমলা লেবুর রং এর মত ও ঘোড়ার প্রস্রাবের ন্যায় গন্ধযুক্ত।
থেরিডিয়ন –
কোনরূপ শব্দ সহ্য করতে পারে না অথবা শব্দে সকল যন্ত্রণা বৃদ্ধি পায়, মেরুদণ্ডে উপর সামান্য স্পর্শ সহ্য করতে পারে না, কোমলা ও কলা খাওয়ার প্রবল ইচ্ছা হয়।
মস্কাস –
রোগী সবসময় এমনভাবে মুখ
নাড়ে দেখলে মনে হয় সে কিছু চিবাচ্ছে, শুয়ে থাকলে মারা যাবে , ভয়ে বিছানায় ঘুমাতে চায় না, আহারে অরুচি, খাদ্যের গন্ধ অসহ্য,
শীতার্ত, নিদ্রার মধ্যে বিছানায় পায়খানা করে ।
ট্যারেন্টিউলা হিস -
ছোট বেলা থেকে পড়াশোনার ব্যাপক চ্যাপে রেজাল্ট ভাল হওয়ার কারণে , পিতামাতার অস্বাভাবিক কার্যকালাপের কারণে, অতীতে ঘুমের মধ্যে কেহ তার দেহে স্পর্শ কর কারণে, তালাকপ্রাপ্ত বা ব্যর্থ প্রেমের আক্রান্ত হওয়ার কারণে সিজোফ্রেনিয়া মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়ে বিভি নেশাগ্রস্থ হতে থাকে , এমনকি উলোঙ্গ হয়ে বারবার জরায়ুতে / লিঙ্গে হাত দিতে থাকে।
রোগীর গোপন প্রিয়তা অর্থাৎ সহজে কোন কথা স্বীকার করতে চায় না বা কথা চাপিয়ে রাখতে চায়, প্রকাশ করতে চায় না, প্রতারণা করার ইচ্ছা, অসুন্থতার ভান করে, গান বাজনায় বৃদ্ধি, ধীরে ধীরে কথা বলে, রাত বা দিন ৩ টায় রোগ বৃদ্ধি, মৃত ব্যক্তির স্বপ্ন, উড়িয়া যাওয়া বা পড়িয়ে যাওয়ার স্বপ্নে চমকিয়ে উঠে, হাতের আঙ্গুলের দ্বারা পায়খানার মল বের করার ইতিহাস,কাজকর্ম ধীরে করে, গাড়ে আঁচিল, ঠান্ডা খাবার ভালবাসে, চা সহ্য হয় না, ঘুম হয় না, এরূপ লক্ষণে - বলে, প্রেম বা ধর্ম বিষয়ে সর্বদা বকে, প্রার্থনা করে, মাথার চাঁদিতে একই সময়ে একবার ও গরম ব্যবহার করে, সমস্ত দেহ বরফের মত ঠাণ্ডা কপালে ঠাণ্ডা ঘাম, ঠান্ডা খাদ্য ও টক খেতে ভালবাসে, গরম খাদ্যে বিতৃষ্ণা, ঋতুকালে প্রচণ্ড বাধক ব্যথায় বমি, উদারাময়ের সাথে ঘামে শরীর হিমশীতল বা ঠাণ্ডা হয়ে যায়, এরূপ ক্ষেত্রে
বিধবা নারীর মানসিক রোগ অথবা বেশি বয়সে বিবাহ বা স্ত্রীকে রেখে তিন / পাঁচ বছর বিদেশে থাকা অবস্থায় যৌবনকে চাপিয়ে রাখার কারণে অথবা ঘুমের মধ্যে ভূত কেহ তাকে সহবাসের জন্য জরিয়ে ধরছে এমন ভয়ে ঘুমাতে পরে না, আবোলতাবল / বকাবকি করে।
ধাতুদৌর্ব্বল ও স্মৃতিশক্তি হ্রাস এবং ব্যর্থ প্রেমে ও প্রতিরিক্ত হস্তমৈথুন এবং স্ত্রী সহবাস এবং নতুনত্ত্ব সুন্দর নারী আকর্ষণের খারাপ চিন্তার কারণে রোগে আক্রান্ত হয়।
ব্যর্থ প্রেম ছাত্র ও পুরুষের স্বপ্নদোষ , চক্ষুর নিচে কালো ও মুখ বসা এবং কোমরে বেদনা, উদরাময়, মলদ্বারে ও লিঙ্গের ভিতরে ছোট ক্রিমিতে সুড়সুড় করে লিঙ্গের উত্তেজনা হেতু হথা বেদনা ও ধাতুদৌর্ব্বলে সিজোফ্রেনিয়া মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়, মানসিক রোগী অল্পেই রাগান্বিত হয়ে উঠে কিন্তু মুখ ফুঠে কিছু বলতে পারে না, রাগে সর্বশরীর থরথর কাঁপতে থাকে তথাপি মনের রাগ মনের মধ্যে চাপিয়ে রাখার কারণে অসুস্থ হয়।
প্রেমের ব্যর্থ রোগীর অন্ডকোষ ও জরায়ুর এর উপরে বা পার্শ্বে চলকানিতে ঠাণ্ডা পানিতে ভাল লাগে, মলদ্বারে ও লিঙ্গে ছোট ক্রিমির উত্তেজনা, মনে মনে খারাপ চিন্তায় স্বপ্ন না দেখে স্বপ্নদোষে শরীর দুর্বল, অথবা সব সময় স্ত্রী সহবাস ও নারী আসন্ডের কামনায় চিন্তিত কিন্তু লিঙ্গে বারবার উত্তেজনায় ডিস্টাব বা বিরক্ত হয়ে সিজোফ্রেনিয়া মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়।
সেলিনিয়াম -
প্রেমের ব্যর্থ রোগীর
নিদ্রায়, স্বপ্নে ভ্রমণের সময়,
কোষ্ঠকাঠিন্য ও মিউকাস পায়খানা এবং প্রসাবের
সময় শুক্রস্খলন, ধীরে ধীরে ধ্বজভঙ্গ হয়ে
সিজোফ্রেনিয়া মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়।
প্রেমের ব্যর্থ রোগীর নিদ্রায়, স্বপ্নে ভ্রমণের সময়, কোষ্ঠকাঠিন্য ও মিউকাস পায়খানা এবং প্রসাবের সময় শুক্রস্খলন, ধীরে ধীরে ধ্বজভঙ্গ হয়ে সিজোফ্রেনিয়া মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়।
প্রেমের জন্য ধাতুদৌর্ব্বল এবং স্মৃতিশক্তি হ্রাস রোগীর অতিরিক্ত হস্তমৈথুন ও স্ত্রী সহবাসের কারণে পোনিস বা লিঙ্গ যে কোন দিক বাঁকা হওয়ার কারণে সিজোফ্রেনিয়া মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়।
অনোসমোডিয়াম -
প্রেমের ব্যর্থ রোগীর অনবরত
লিঙ্গের উত্তেজনা তবুও সহবাসের ইচ্ছা নেই, লিঙ্গ পূর্ণাঙ্গ শক্তিশালী হয় না , তবুও যৌনলিপ্তে ব্যর্থতায় সিজোফ্রেনিয়া মানসিক রোগে
আক্রান্ত হয়।
ইরিজিরন -
নারী বিষয়ে সামান্য
কুচিন্তার কারণেই ধাতুবের হয় , স্বপ্নদোষ কিভাবে হয় রোগী
বুঝতে না পারে না, তবুও সামান্য উত্তেজনায়
হস্তমৈথুন কামনায় সিজোফ্রেনিয়া মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়।
বেলিস পিরে -
সিজোফ্রেনিয়া মানসিক
আক্রান্ত রোগীর হস্তমৈথুন থেকে সম্পূর্ণরূপে বিরত রাখতে হয়।
কেলিব্রোম -
স্বপ্নদোষ কিভাবে হয়েছে
রোগী ঘুমান্তাবস্থায় হস্তমৈথুন করলে অথবা অতিরিক্ত স্ত্রী সহবাস ও হস্তমৈথুনের
কামনার নিমিত্তে ধাতুদৌর্ব্বল ও স্মরণশক্তি হ্রাসে সিজোফ্রেনিয়া মানসিক রোগে
আক্রান্ত হয়।
প্রেমের ব্যর্থ রোগীর অনবরত লিঙ্গের উত্তেজনা তবুও সহবাসের ইচ্ছা নেই, লিঙ্গ পূর্ণাঙ্গ শক্তিশালী হয় না , তবুও যৌনলিপ্তে ব্যর্থতায় সিজোফ্রেনিয়া মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়।
ইরিজিরন -
নারী বিষয়ে সামান্য কুচিন্তার কারণেই ধাতুবের হয় , স্বপ্নদোষ কিভাবে হয় রোগী বুঝতে না পারে না, তবুও সামান্য উত্তেজনায় হস্তমৈথুন কামনায় সিজোফ্রেনিয়া মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়।
বেলিস পিরে -
সিজোফ্রেনিয়া মানসিক আক্রান্ত রোগীর হস্তমৈথুন থেকে সম্পূর্ণরূপে বিরত রাখতে হয়।
কেলিব্রোম -
স্বপ্নদোষ কিভাবে হয়েছে রোগী ঘুমান্তাবস্থায় হস্তমৈথুন করলে অথবা অতিরিক্ত স্ত্রী সহবাস ও হস্তমৈথুনের কামনার নিমিত্তে ধাতুদৌর্ব্বল ও স্মরণশক্তি হ্রাসে সিজোফ্রেনিয়া মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়।
ফসফরাস -
মানসিক আক্রান্ত রোগীর
প্রত্যহ সন্ধায় কম্পদিয়ে জ্বর আসে, পর্যায়ক্রমে শীত ও
উত্তাপ দেহের উপর দিক থেকে নিচের দিকে নামে আবার নিচের দিক থেকে উপর দিকে উঠে,
বারবার দেে ঠাঅ পানি প্রয়োগে উপশমবোধ করে।
মিউরেক্স -
মানসিক আক্রান্ত রোগীর
জরায়ুতে সুড়সুড়ি বা একটু স্পর্শেই কামপ্রবৃত্তি নারীকে জাগিয়ে তোলে, সময়ে সময়ে যৌন উত্তেজনা অধিক হওয়ার কার জ্ঞানবুদ্ধি আপ
পায় অথবা যে কোন উপায়ে বির্যাস্খলনে বা হস্তমৈথুনে বাধ্য হয়।
মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়- ছাত্রীদের তলাপেটে বা জরায়ুতে সুড়সুড় করে যৌন উত্তেজনায় অস্থির হস্তমৈথুন করে, চুরি দেখলে স্বামী ও সন্তানকে হত্যা করতে চায়, এরূপ লক্ষণে।
নেট্রামমিউর -
মানসিক আক্রান্ত রোগীর বেলা ১০ / ১১ টয় করে , প্রবল পিপাসা , ঠোঁট ও তালু শুকে যায় , ঠাণ্ডা পানি করতে চায় , হাড়ে ও মাংসে কামড়ানো বাঘা শীত করে জর ও খিঁচুনি আসে ঐ সময়ে হাতের তালু ও পায়ের তলায় ঠাজ থাকে , মাধাদপদপ করে যন্ত্রণা । সারাক্ষণ ঘুম ঘুম ভাব , ঘর্মে উপশম , কোষ্ঠবদ্ধতা , গরমেকাতর , লবণ ও তিতো প্রিয় , সান্তনায় বৃদ্ধি হয় রাত ১ টা পর্যন্ত ঘর্মহীনাবস্থায় উত্তাপে প্রবল কম্প জ্বরে একাধিক লেপ দিয়ে চাপিয়ে ধরতে বলে , মূৰ্চ্ছাভাব।
নেট্রামসালফ -
মানসিক আক্রান্ত রোগীর
বিকাল ৪ টা হতে রাত ৮ টার মধ্যে জ্বর ও খিঁচুনি এসে রাতের পর ও ভোরের দিকে ঘর্ম
দিয়ে জ্বর ছাড়ে , বিষণ্ণ , গরমেকাতর , পাতলা পায়খানার প্রবণতা ,
বর্ষায় বৃদ্ধি হয়।
মেডোরিনাম -
মানসিক আক্রান্ত রোগীর অতীতে গনোরিয়ায় এলোপ্যাথিক চিকিৎসা করে ছিল অর্থাৎ লিঙ্গ দিয়ে পুঁজ বের হয়ে ধ্বজভঙ্গ হয়ে পুরুষত্বহীনতা হয়।
সিফিলিনাম -
মানসিক আক্রার রোগীর অতীতে সিফিলিস হয়েছিল অর্থাৎ লিঙ্গের মাথার নরম স্থানে ফুস্কুরির ন্যায় চুলকানিতে ক্ষতরস যেখানে লাগে সেখানে অনুরূপ ক্ষতরস ঝরে এমন রোগের চিকিৎসায় এলোপ্যাথিকভাবে সুস্থ হওয়ার কারণে সৃষ্ট সিফিলিস গুপ্তভাবে দীর্ঘ মেয়াদীতে ধ্বজভঙ্গ হয়ে পুরুষত্বহীনতা হয়।
টিউবারকুলিনাম -
মানসিক আক্রান্ত রোগীর পরিবর্তনশীল মন , বাচাল , শীতার্ত , সর্দিলাগার প্রবণত কৃমির ইতিহাস , কুকুরভীতি মাংস প্রিয় রোগীর অতীতে যক্ষা হওয়ার কারণে ধ্বজভঙ্গ হয়ে পুরুষত্বহীনতা হয়।
এলুমিনা -
মানসিক আক্রান্ত রোগীর ২/৩/৫ দিন ধরে পায়খানা হয় না , প্রস্রাব ফোঁটা ফোঁটা , মলত্যাগকালে কোঁথ দিতে শুক্রস্খলন হয়ে ধ্বজভঙ্গ হয়ে পুরুষত্বহীনতা হয়।
পিওনিয়া অফ, ক্যালকেরিয়া এসেট, ক্যালকেরিয়া ফস, এসিড মিউর, ল্যাকেসিস , বার্ব্বেরিস, ইস্কিউলাস হিফার সালফার, এসিড নাইট্রিক -
মানসিক আক্রান্ত রোগীর অর্শ , ভগন্দর , ফেস্টুলা ও কোষ্ঠকাঠিন্যে মলদ্বারে ফাটা ঘা , ফোলা , ব্যাপক চুলকানি , পুঁজযুক্ত ক্ষত ও রক্ত বের হয়ে ধাতুদৌর্ব্বল হয়ে পুরুষত্বহীনতা হয়।
ওপিয়াম -
মানসিক আক্রান্ত রোগীর
মারাত্মক ভয়ের কারণে বা শক্ত মল বা ছাগলে মলের ন্যায় বড়ি বড়ি কোষ্ঠবদ্ধে
মলদ্বারে ঘা বা ফেটে যাওয়ার রোগীর মুখমন্ডল রক্তবর্ণ , নিদ্রায় নাক ডাকে , অর্ধচন্দ্র বা অর্ধনিমীলিত চোখ সামান্য খালি করে ঘুমায় ,
এমন রোগীর ধ্বজভঙ্গ হয়ে পুরুষত্বহীনতা হয়।
মানসিক আক্রান্ত রোগীর সঞ্চয়ী মন , গরম খাবার , গরম মিষ্টি প্রিয় , ভীষণ ক্ষুধায় সামান্য খেলে আর খেতে পারে না এমন রোগীর লিঙ্গ শিতল ও ধাতুদৌর্ব্বল এবং স্মরণশক্তি হ্রাস হয়ে পুরুষত্বহীনতা হয়।
এসিড ফস -
মানসিক আক্রান্ত রোগীর আইবিএস রোগে উদরাময় পায়খানা দিনের মধ্যে অনেকবার হওয়ার কারণে শরীর ধতল হয়ে ধ্বজভঙ্গ হয়ে পুরুষত্বহীনতা হয়।
মানসিক আক্রান্ত রোগীর কোষ্ঠবন্ধে মলদ্বারে ঘা বা ফেটে অর্শ ও ভগন্দর রোগীর মাথা , হাত ও পায়ের তালু গরম , জ্বালা , গায়ে আবরণ রাখতে পারে না , উত্তাপে পিপাসা , পাতলা মলত্যাগ , অপরিস্কার অপরিচ্ছন্ন , দুধ সহ্য হয় না , গরম খাবার ভালবাসে , ঠান্ডা পানি পানে , ব্যবহারে ও গোসলে ভয় পায় এমন রোগীর ধ্বজভঙ্গ হয়ে পুরুষত্বহীনতা হয়।
মানসিক রোগীর আহারে অরুচি , জীবনে বিষ্ণা , নিদ্রাকালে ঘর্ম , দুর্বলতা ও রক্তহীনতায় অনিদ্রা হলে।
মানসিক রোগী বলে আমি বাড়ি যাব , আমাকে বাড়ীতে নিয়ে চল , এমন মানসিক রোগীর লক্ষণগুলো বেলা ৩ টায় , রাত ৯ ঠায় বা ২ টায় বৃদ্ধি পায় , গরম মোটেই সহ্য করতে পারে না।
মানসিক রোগী পরীক্ষা দিতে বসে , বক্তৃতা , অভিনয় করতে হঠাৎ অবসন্নতা বা অজ্ঞান হওয়া অথবা অবশ হয় , সামান্য দুঃসংবাদ বা দুশ্চিন্তায় উদরাময় বা ডাইরিয়া হয়।
মানসিক রোগীর বমির রং কালচে এবং বমিতে ভীষণ মাংসপচা দুর্গন্ধ এবং মুখ ও দেহ হতে পচা দুর্গন্ধ বের হয়।
মানসিক রোগীর সন্তান প্রসবে ব্যাপক রজস্রাবে বা প্রচুর ঋতুস্রাবের সাথে যৌন উত্তেজনায় উন্মাদ হয়ে প্রলাপ বকে, কামড়াতে যায় এবং কাপড় খুলে ফেলে দিয়ে জরায়ুর মধ্যে আঙ্গুল দিয়ে কাতে ক্ষতবিক্ষত করে রক্তপাত ঘটায়, গরমে কাতর, শরীর ঠাণ্ড্র তথাপির দেহের মধ্যে জ্বালার জন্য বা আবরণ রাখতে পারে না, অত্যান্ত ক্ষুধা , প্রবল পিপাসা।
মানসিক রোগীর চর্মরোগ ভাল হওয়ার পরে খিঁচুনি হয় , আর ঠাণ্ডা পানি করলে অথবা ঠাজ পানি ঘরা যৌত করলে খিঁচুনির উপশম , খিঁচুনির সময়ে অথবা পূর্বে ও পরে রোগী হাসে বা কাঁদে , মাথার চুল ছেড়ার এটা করে , শীতাত , লবণ হালকা কিন্তু ঝাঁল বেশি খায় , মিষ্টির প্রতি অনীহা বিদ্যমান থাকে।
মানসিক রোগী বয়স্ক অথচ ছোট বাচ্চাদের সাথে পুতুল খেলতে চায় , আনন্দে লাফিয়ে উঠে ধরুর পূর্বে উভয় হাত দিয়ে মাথা ঠুকরাতে থাকে এবং মাথার পিছন দিকে বেঁকে গিয়ে মাটিতে পড়ে অজ্ঞান চোয়াল আটকে যায়, হাত পা শক্ত হয়ে সমস্ত শরীর কাঁপতে থাকে, এক দৃষ্টিতে উপরেরদিকে তাকিয়ে থাকে, গোসল করতে চায় না, খিঁচুনি ১০/১৫ মিনিত থাকার পর স্বাভাবিক হয় অথবা খিঁচুনিতে দাঁতে দাঁত লাগেছে , মুখে দিয়ে ফেনা কাটছে, শ্বাসরুদ্ধ হচ্ছে, পেট ফুলে উঠছে, ঘাড় একদিকে বাঁকিয়ে যাচ্ছে, মাথা পিছন দিকে হেলে যাচ্ছে, টেরা দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে, এমন অবস্থা হয়।
মানসিক রোগ বালিকাদের ঋতুর শুরুতে , শিশুদের দাঁত উঠার সময় , ভয়ের পর , শোকের পর , গোপনে হস্তমৈথুনের কুফলে , সস্তান প্রসবের পর খিঁচুনি হয় , খিঁচুনির সময় মাথা পশ্চাৎ দিকে এবং মুখ ঘাড়ের দিকে আড়ষ্ট হয় , মাথা গরমে উত্তপ্ত হয়।
মানসিক রোগে আক্রান্ত রোগীর রক্তে হেপাটাইটিস ভাইরাস জনিত করণে ধ্বজভঙ্গ হয়ে পুরুষত্বহীনতা হয়।
মানসিক রোগে আক্রান্ত রোগীর স্বপ্ন বা ঘুমের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের স্বপ্ন দেখে ওষুধ নির্বাচন সংক্ষিপ্তকারে স্বপ্নে বা ঘুমের মধ্যে বোবা ধরে বা বুক চাপা স্বপ্ন অথবা বুকের উপর চাপ দিচ্ছে , এরূপ লক্ষণে।
স্বপ্নে উলঙ্গ ব্যক্তি সহবাসের জন্য জরিয়ে ধরচ্ছে , এরূপ লক্ষণে।
স্বপ্নে গান গায়।
নাক্সভূমিকা –
স্বপ্নে ঝগড়া করচ্ছে , দাঁত পড়ে যাচ্ছে।
স্বপ্নে মরে যাচ্ছে , সৃষ্টিকর্তার , ঠাকুর , দেবতার নির্দেশ পায়।
স্বপ্নে চোর ডাকাত দেখে।
স্বপ্নে সাঁতার কাটচ্ছে।
স্বপ্নে কান্না করছে , বিছনায় প্রস্রাব করে।
উপরেরদিকে উড়ে যাচ্ছে।
বিছানায় পায়খানা করচ্ছে।
ভূত-প্রেত দেখে।
স্বপ্নে পানিতে ডুবে যাচ্ছে।
স্বপ্নে উপর থেকে নিচের দিকে পড়ে যাচ্ছে।
স্বপ্নে ইঁদুর দেখে।
স্বপ্নে মৃত ব্যক্তিকে দেখে।
স্বপ্নে মৃতদেহ দেখে।
স্বপ্নে কুকুর দেখে।
এনাকার্ডিয়াম, ক্যালকেরিয়া ফস, নেট্রামমিউর, বেলেডোনা, সালফার –
স্বপ্নে আগুন দেখে।
স্বপ্নে হত্যা করচ্ছে বা নিজেকে হত্যা করচ্ছে।
স্বপ্নে মরা মানুষ, কীট, উকুন ও ভূত - প্রেত দেখে।
1 মন্তব্যসমূহ
আসলেই সিজোফ্রেনিয়া একটি মারাত্মক ধরনের মানসিক রোগ। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় এটির আদর্শ আরোগ্য সম্ভব। তবে অবশ্যই কনস্টিটিউশনাল ট্রিটমেন্ট করতে হবে। অর্থাৎ ধাতুগত লক্ষণ সাদৃশ্যে হোমিওপ্যাথিক ঔষধ নির্বাচন করতে হবে ও তা সূক্ষ্মমাত্রায় প্রয়োগ করতে হবে।
উত্তরমুছুনআমার হোমিওপ্যাথি ব্লগ
মানসিক রোগ কিভাবে চেনা যায়.