ডাঃ বোনিং হোসেনের রেপার্টরী, চতুর্থ অধ্যায় - ৪র্থ বর্ষ

বোনিং হোসেনের রেপার্টরী
চতুর্থ অধ্যায়

 



 
প্রশ্ন-  ডাঃ বোনিং হোসেনের রেপার্টরীর বা থেরাপিউটিক পকেট বুকের গঠন প্রণালী বর্ণনা কর।

উত্তর ঃ ডাঃ বোনিং হোসেনের রেপার্টরী এমনভাবে গঠন করা হইয়াছে যেখানে রোগীর সাধারণ লক্ষণাদির উপর অধিক গুরুত্ব দেওয়া হইয়াছে। রেপার্টরীখানা ৭ ভাগে ভাগ করা হইয়াছে এবং প্রতিটি ভাগকে সাধারণভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার চেষ্টা করা হইয়াছে। যদিও প্রতিটি বিভাগকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দেওয়ার চেষ্টা করা হইয়াছে তবুও তাহাদের মধ্যে বহু অপূর্ণতা ও ত্রুটি রহিয়া গিয়াছে। রোগ চিত্রের ঔষধ বাহির করার জন্য এক বিভাগ প্রায়ই যথেষ্ট নয়। কয়েকটি বিভাগ অনুসন্ধানের পর হয়ত বা ঔষধটি পাওয়া যায়। তাছাড়া শ্রেণীবিভাগের মধ্যেও নানা রূপ বিশৃঙ্খলা পরিলক্ষিত হয়। একই শিরোনামে বিভিন্ন বিভাগও লক্ষ্যনীয়। 
নিম্নে বোনিং হোসেনের রেপার্টরীর গাঠনিক বিভাগগুলি উল্লেখ করা হইল ।
(১) প্রথম বিভাগ- এই বিভাগে রোগীর মানসিক ও চিত্ত বৈকল্যের লক্ষণ সমূহ স্থান পাইয়াছে।
(২) দ্বিতীয় বিভাগ - বিদই বিভাগে দেহের বাহ্যিক ও আভ্যন্তরীক অঙ্গ প্রত্যঙ্গ স্থান পাইয়াছে।
(৩) তৃতীয় বিভাগ- এই বিভাগে দেহের বহিরাঙ্গের অনুভূতি, অস্থি, চর্ম এবং গ্রন্থি সমূহ এবং যন্ত্রনাদি বর্ণমালা ক্রমিকভাবে সাজানো হইয়াছে ।
(৪) চতুর্থ বিভাগ- এই বিভাগে নিদ্রা এবং স্বপ্ন সম্বন্ধীয় বিষয়াদি সাজানো হইয়াছে।
(৫) গঞ্চম বিভাগ- এই বিভাগে জ্বর, শৈত্য, রক্ত, প্রদাহ ও ঘর্ম প্রভৃতি স্থান পাইয়াছে। অবশ্য ইহাদের সহযোগী লক্ষণসমূহ দ্বিতীয় ও চতুর্থ বিভাগেও রহিয়াছে। 
(৬) ষষ্ঠ বিভাগ- এই বিভাগে বিভিন্ন উপসর্গের হ্রাস বৃদ্ধি সন্নিবেশিত হইয়াছে।
(৭) সপ্তম অধ্যায়- এই বিভাগে বিভিন্ন ঔষধের সম্পর্ক, মিল ও অমিল সম্বন্ধে উল্লেখ করা হইয়াছে। প্রথম হইতে ষষ্ঠ বিভাগে বর্ণিত সকল লক্ষণাদির প্রয়োজনীয় বিভিন্ন মানের ঔষধের নামও এই বিভাগে দেওয়া আছে ।





প্রশ্ন- ডাঃ বোনিং হোসেনের রেপার্টরীর কয়টি বিভাগ ও কি কি? দ্বিতীয় ও ষষ্ঠ বিভাগে কি আছে?

উত্তর ঃ ডাঃ বোনিং হোসেনের রেপার্টরী এমনভাবে গঠন করা হইয়াছে যেখানে রোগীর সাধারণ লক্ষণাদির উপর অধিক গুরুত্ব দেওয়া হইয়াছে। রেপার্টরীখানা ৭ ভাগে ভাগ করা হইয়াছে এবং প্রতিটি ভাগকে সাধারণভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার চেষ্টা করা হইয়াছে। যদিও প্রতিটি বিভাগকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দেওয়ার চেষ্টা করা হইয়াছে তবুও তাহাদের মধ্যে বহু অপূর্ণতা ও ত্রুটি রহিয়া গিয়াছে। রোগ চিত্রের ঔষধ বাহির করার জন্য এক বিভাগ প্রায়ই যথেষ্ট নয়। কয়েকটি বিভাগ অনুসন্ধানের পর হয়ত বা ঔষধটি পাওয়া যায়। তাছাড়া শ্রেণীবিভাগের মধ্যেও নানা রূপ বিশৃঙ্খলা পরিলক্ষিত হয়। একই শিরোনামে বিভিন্ন বিভাগও লক্ষ্যনীয়। 
নিম্নে বোনিং হোসেনের রেপার্টরীর গাঠনিক বিভাগগুলি উল্লেখ করা হইল ।
(১) প্রথম বিভাগ- এই বিভাগে রোগীর মানসিক ও চিত্ত বৈকল্যের লক্ষণ সমূহ স্থান পাইয়াছে।
(২) দ্বিতীয় বিভাগ - বিদই বিভাগে দেহের বাহ্যিক ও আভ্যন্তরীক অঙ্গ প্রত্যঙ্গ স্থান পাইয়াছে।
(৩) তৃতীয় বিভাগ- এই বিভাগে দেহের বহিরাঙ্গের অনুভূতি, অস্থি, চর্ম এবং গ্রন্থি সমূহ এবং যন্ত্রনাদি বর্ণমালা ক্রমিকভাবে সাজানো হইয়াছে ।
(৪) চতুর্থ বিভাগ- এই বিভাগে নিদ্রা এবং স্বপ্ন সম্বন্ধীয় বিষয়াদি সাজানো হইয়াছে।
(৫) গঞ্চম বিভাগ- এই বিভাগে জ্বর, শৈত্য, রক্ত, প্রদাহ ও ঘর্ম প্রভৃতি স্থান পাইয়াছে। অবশ্য ইহাদের সহযোগী লক্ষণসমূহ দ্বিতীয় ও চতুর্থ বিভাগেও রহিয়াছে। 
(৬) ষষ্ঠ বিভাগ- এই বিভাগে বিভিন্ন উপসর্গের হ্রাস বৃদ্ধি সন্নিবেশিত হইয়াছে।
(৭) সপ্তম অধ্যায়- এই বিভাগে বিভিন্ন ঔষধের সম্পর্ক, মিল ও অমিল সম্বন্ধে উল্লেখ করা হইয়াছে। প্রথম হইতে ষষ্ঠ বিভাগে বর্ণিত সকল লক্ষণাদির প্রয়োজনীয় বিভিন্ন মানের ঔষধের নামও এই বিভাগে দেওয়া আছে ।


 
প্রশ্ন-  ডাঃ বোনিং হোসেনের রেপার্টরীর ব্যবহার লিখ।

উত্তর : ডাঃ বোনিং হোসেনের রেপার্টরী থানা যদিও সাধারণ লক্ষণ সমষ্টি দ্বারা পূর্ণ তবুও ইহার পদ্ধতি খুবই দ্রুত ও সহজ প্রাপ্তির উপযোগী। প্রথমে রোগীর লক্ষণ সংগ্রহ করিয়া লক্ষণগুলিকে রেপার্টরীর ভাষায় সজ্জিত করিতে হইবে। তারপর লক্ষণানুসারে রেপার্টরী হইতে ভিন্ন ভিন্ন লক্ষণের জন্য বিভিন্ন ঔষধ বাহির করিয়া লইতে হইবে। যেমন বেদনার জন্য ২য় বিভাগ খুঁজিতে হইবে, হ্রাসবৃদ্ধির জন্য ৬ষ্ঠ বিভাগ এবং ঔষধাবলীর জন্য ৭ম বিভাগ খুঁজিতে হইবে। উক্ত লক্ষণাবলীর জন্য প্রয়োজনীয় ঔষধগুলিকে ১ম, ২য়, ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম এই পাঁচটি গ্রেডে লেখা আছে । এই হিসাবে ইহাদের আংকিক মান ১ম গ্রেডে ৫, ২য় গ্রেডে ৪, ৩য় গ্রেডে ৩, ৪র্থ শ গ্রেডে ১ ধরিয়া প্রয়োজনীয় লক্ষণানুযায়ী রেপার্টরীতে লিখিত ঔষধগুলির নাম একটি পৃথক কাগজে লিখিতে হইবে এবং উহাদের পাশে সাংকিক মান বসাইতে হইবে। এইভাবে প্রতিটি লক্ষণের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ঔষধ লিখিয়া লইতে হইবে। তারপর প্রত্যেকটি ঔষধের মান পৃথক পৃথক ভাবে যোগ করিয়া যে ঔষধের মান সর্বোচ্চ হইবে উহাই রোগীর জন্য সঠিক ঔষধ বলিয়া নির্বাচন করিতে হইবে।
 




প্রশ্ন- ডাঃ বোনিং হোসেনের রেপার্টরী বা থেরাপিউটিক পকেট বুক ব্যবহারের সুবিধা কি? 
বা, ডাঃ বোনিং হোসেন রেপার্টরী ব্যবহারের আকর্ষনীয় দিক বা ভাল লাগার কারণ কি?

উত্তর ঃ যদিও ডাঃ বোনিং হোসেনের রেপার্টরী ব্যবহারের সুবিধার চাইতে অসুবিধাই বেশী তবুও এই রেপার্টরীর ভাল দিকগুলি নিম্নে আলোচনা করা হইল। রেপার্টরীর জগতে বোনিং হোসেনের নাম সবিশেষ উল্লেখযোগ্য। কারণ তিনিই প্রথম মুদ্রিত রেপার্টরী প্রকাশ করার গৌরব অর্জন করেন। তাঁহার প্রকাশিত "রেপার্টরী ডাঃ হ্যানিমান কর্তৃক অনুমোদন লাভ করে। তাই ইহার গুরুত্ব কম নয়। তাঁহার রেপার্টরীতে সাধারণ লক্ষণাবলীর উপর গুরুত্ব দিয়া উহা ব্যাপকভাবে সাজানো হইয়াছে। এই রেপার্টরীর লক্ষণসমূহ সহজে এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে বাহির করা যায়। কোন লক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় ঔষধগুলিকে ৫টি গ্রেডে ভাগ করিয়া ১ম গ্রেডের জন্য ৫, ২য় গ্রেডের জন্য ৪, ৩য় গ্রেডের জন্য ৩, ৪র্থ গ্রেডের জন্য ২ এবং ৫ম গ্রেডের জন্য ১ এইভাবে আংকিক মান ধরা হইয়াছে এবং প্রয়োজনীয় লক্ষণ অনুযায়ী রেপার্টরীতে লিখিত ঔষধগুলির নাম এবং উহাদের আংকিকমান বসাইয়া প্রত্যেকটি ঔষধের মান পৃথক পৃথক ভাবে যোগ করিতে হইবে এবং আংকিকমান যে ঔষধের সর্বাধিক হইবে উহা সঠিক ঔষধ নির্বাচিত হইবে। ইহা ছাড়া উক্ত রেপার্টরীর বিভাগ সংখ্যা ৭টি এবং সাতটি বিভাগের রুব্রিক গুলির প্রত্যেক লক্ষণের ঔষধের তালিকা খুবই ব্যাপক আকারে দেওয়া আছে। এইসব কারণে ডাঃ বোনিং হোসেনের রেপার্টরীটি ভাল লাগে।





প্রশ্ন- ডাঃ বোনিং হোসেনের রেপার্টরী বা থেরাপিউটিক পকেট বুক ব্যবহারের অসুবিধা কি কি? 
বা, ডাঃ বোনিং হোসেনের রেপার্টরীর ত্রুটিসমূহ কি কি?

উত্তর ঃ ডাঃ বোনিং হোসেনের রেপার্টরীখানা একটা পূর্ণাঙ্গ রেপার্টরী নয়। রেপার্টরী খানা ৭টি বিভাগে ভাগ করা হইয়াছে। কিন্তু উহাতে বিন্যাস পদ্ধতির ব্যতিক্রম এবং ত্রুটিপূর্ণ পদ্ধতি পরিলক্ষিত হয়। কোন রোগীর ঔষধ নির্বাচনের জন্য কদাচ একটি বিভাগ এবং প্রারক্ষেত্রেই একাধিক বিভাগে খোঁজাখুঁজি করিতে হয়। যেমন বেদনার জন্য দ্বিতীয় বিভাগে খুঁজিতে হইবে। বেদনার প্রকারের জন্য তৃতীয় বিভাগে, বেদনার হ্রাস বৃদ্ধির জন্য ষষ্ঠ বিভাগে এবং ঔষধাবনীর জন্য সপ্তম বিভাগে খুঁজিতে হইবে। আবার জ্বর, শৈত্যানুভূতি, রক্ত প্রবাহ, ঘর্ম প্রভৃতির জন্য পঞ্চম বিভাগে খুঁজিতে হইবে। অথচ উহাদের সহযোগী লক্ষণের জন্য আবার দ্বিতীয় ও চতুর্থ বিভাগে খুঁজিতে হইবে। উহাদের ঔষধের জন্য আবার সপ্তম বিভাগে খুঁজিতে হইবে। এই সব ত্রুটি পূর্ণ পদ্ধতির জন্য উক্ত রেপার্টরী ব্যবহারে যথেষ্ট অসুবিধা হয় ৷



 
প্রশ্ন- ডাঃ বোনিং হোসেনের রেপার্টরী সাধারণ (লাক্ষণিক), নৈদানিক অথবা কার্ড রেপার্টরী-কোন ধরনের?

উত্তর ঃ ডাঃ বোনিং হোসেনের রেপার্টরী সাধারণ (লাক্ষণিক)।




সমাপ্ত


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ