এই
ব্লগটি
শুধুমাত্র
নব্য
চিকিৎসক
এবং
শিক্ষার্থীদের
জন্য
প্রযোজ্য
।
Chlorum Phenicol - ক্লোরাম ফেনিকল
প্রতিশব্দ:-
ডাইক্লোরোএসিটামিডু, প্যারা নাইট্রোফেনাইল, অপ্রানিডিওল ।
ক্লোরাম
ফেনিকলের উৎস:-
একটি এসিডিক পদার্থ কিন্তু বিষাক্ত বস্তু নয় । ইহা একটি
স্কটিকাকার , বর্ণহীন সুঁই এর ন্যায় সরু
অথবা লম্বা পাতের ন্যায় যৌগিক জৈব রাসায়নিক বস্তু । ইহা ১৫০
. ৫° - ১৫১ . ৫° সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায়
গলিয়া যায় । পানিতে ইহা
সামান্য পরিমাণে দ্রবীভূত হয় কিন্তু সুরাসারে সম্পূর্ণ দ্রবণীয় । পূর্বে ইহা
ক্যামিকেল পদ্ধতিতে প্রস্তুত করা হইত , বর্তমানে সংশ্লেষণ পদ্ধতিতে ইহা প্রস্তুত করা হয় ।
ক্লোরাম
ফেনিকলের প্রস্তুতকরণ
বর্ণনা:-
হোমিওপ্যাথিক
মেটিরিয়া মেডিকায় ইহা একটি নূতন সংযোজিত ঔষধ । এলোপ্যাথিক চিকিৎসায়
ইহা সচরাচর ব্যবহৃত হইয়া থাকে । সুরাসারে দ্রব
করিয়া ইহার মাদার টিংচার প্রস্তুত করা হয় । ১ ভাগ
ওজনে ক্লোরাম ফেনিকল ৯৯ ভাগ ওজনে
পরিশুদ্ধ পানিতে দ্রবীভূত করিয়া ইহার মূল অরিষ্ট প্রস্তুত হয় । পরে বিভিন্ন
শক্তির ঔষধ । হোমিওপ্যাথিক ফার্মাকোপিয়ার
নিয়মানুসারে প্রস্তুত করা হয় ।
ক্লোরাম
ফেনিকলের ক্রিয়া
বর্ণনা:-
একটি এন্টিবাযোটিক ঔষধ । ইহা বহু
গ্রাম পজিটিভ ও গ্রাম নিগেটিভ
ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে । গ্রাম পজিটিভ
ব্যাকটিরিয়ার মধ্যে স্ট্রেপটোকক্কাস , স্ট্যাফাইলোকক্কাস , ডিপ্লোকক্কাস প্রভৃতি প্রধান এবং গ্রাম নিগেটিভ ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে সাল মোনিল্য , সাইজেল , নিসেরিয়া , ক্রসিলা প্রভৃতি প্রধান । শ্বাসযন্ত্রের উপর
ইহার প্রধান ক্রিয়া ।
ক্লোরাম ফেনিকলের লক্ষণ বা রোগচিত্র
:-
১. বিভিন্ন
ধরনের মানসিক বিপর্যয়ে রোগী জর্জরিত । নিজ নাম
ধাম পর্যন্ত ভুলিয়া যায় ।
২. সর্দি , কাশি , নিউমোনিয়া বুকের মধ্যে উচ্চ সাঁই সাঁই শব্দ ।
৩. টাইফয়েড ও অন্যান্য ধরনের
জ্বর - জ্বরে বিকারাবস্থা আসিয়া পড়ে ।
৪. মেনিনজাইটিস ।
৫. রোগীর
জিহ্বা খুবই শুষ্ক ।
৬. নাক ও কানের নানাবিধ
পীড়া । নাকের মধ্যে
ক্ষত । কর্ণপ্রদাহ ।
৭. হৃৎপিণ্ডের পীড়া । বুক ধড়ফড়ানি
।
৮. চক্ষু প্রদাহ । চক্ষু লাল
হয় ।
৯. অস্থিমজ্জার প্রদাহ ।
১০. প্লেগ
।
ক্লোরাম
ফেনিকলের মানসিক লক্ষণ:-
মানসিক
বিপর্যয়ে রোগী জর্জরিত । স্মৃতিশক্তির অভাব
, নিজের নাম পর্যন্ত ভুলিয়া যায় । মনে হয়
মাথা খারাপ হইয়া যাইবে এইরূণ আশংকা ।
ক্লোরাম
ফেনিকলের প্রয়োগক্ষেত্র :-
হুপিং কাশি , নিউমোনিয়া , টাইফয়েড , টাইফাস ও রিকেট জ্বর
, প্লেগ , এন্ডোকার্ডাইটিস , পেরিটোনাইটিস , মেনিনজাইটিস , অস্থিমজ্জার প্রদাহ , চক্ষু , কর্ণ , নাসিকা , গলা ও চর্মের নানাপ্রকার
সংক্রমণ ব্যাধি , হৃদপিণ্ডের পীড়া , বিভিন্ন মানসিক বিপর্যয় । ক্ষেত্রে ইহা
ব্যবহৃত হয় ।
জ্বর
লক্ষণ:-
জ্বর
- জ্বরে বিকারাবস্থা আসিয়া পড়ে । মনে হয়
যেন মাথা খারাপ হইয়া যাইবে । জ্বরে উত্তাপ
খুবই বেশী । রোগীর জিহ্বা
খুবই শুষ্ক ।
নিউমোনিয়ার
লক্ষণ:-
নিউমোনিয়ায়
রোগীর বুকের মধ্যে উচ্চ সাঁই সাঁই শব্দ হয় । বুক ধড়ফড়
করে । রোগী শ্বাস
গ্রহণ করিতে কষ্ট হয় না কিন্তু নিঃশ্বাস
ত্যাগে কষ্ট হয় , বাধা পায় , মুখমণ্ডল নীলাভ , নাড়ী
ক্ষীণ , শীতল ঘর্ম এবং রোগীর জিহ্বা খুবই শুষ্ক ।
এন্ডোকার্ডাইটিস
কি ?

এন্ডোকার্ডাইটিস
কেন হয় ?
মুখ
বা দেহের অন্যান্য অঙ্গের মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া বা অন্যান্য জীবাণু
রক্তে প্রবেশ করে এবং হার্টের দূর্বল অংশে আক্রমণ করে। ধীরে ধীরে এটি হার্টের কপাটিকাকে নষ্ট করে ফেলে যার কারণে ব্যক্তির মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যায়। যাদের হার্টের বিভিন্ন সমস্যা আছে তাদের এই রোগ হওয়ার
ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।
পেরিটোনাইটিস:-

কাশি
ও আপেক্ষিক কাশির
লক্ষণ:-
কাশি
আক্ষেপিক ধরণের , কাশিতে কাশিতে মুখমণ্ডল নীলাভ হইয়া যায় । কাশিবার সময়
বুকে সাই সাই শব্দ শ্রুত হয় ।
বৃদ্ধি:- পরিশ্রমে ও ঠাণ্ডায় ।
উপশম:- শুষ্ক আবহাওয়ায় , বিশ্রামে ।
সম্পূরক ঔষধ:-
পেনিসিলিন ।
ক্রিয়ানাশক
ঔষধ: - ক্যাফর
।
ব্যবহারের ক্রম:- নিম্নশক্তি ।
ডাঃ মোঃ মহি উদ্দিন
যোগাযোগ:- ফরাজী হোমিও হল
সদর হসপাতাল মোড়, উত্তর বিরিঞ্চি রোড়-ফেনী।
1 মন্তব্যসমূহ
অত্যন্ত ভালো লাগছে আপনার ব্লগটি পেয়ে।
উত্তরমুছুনব্যস্ত সময়ের পরও এত কষ্টকর ভাবে সুন্দর উপস্থাপনায় আপনার সাহিত্য বিজ্ঞতা আমাকে মুগ্ধ করেছে। এপিস মেল এর পর হতে আপনার এই ব্লগটি চিনি। আল্লাহ তায়ালা আপনাকে নিরাপদ ও ভালো রাখুন, এই দোয়া করছি।