ষষ্ঠ অধ্যায়
কেন্টের রেপার্টরী
প্রশ্ন- ব্যবহারিক ক্ষেত্রে কেন্ট রেপার্টরী কত প্রকার ও কি কি ?
বা, ডাঃ কেন্টের রেপার্টরীর শ্রেণীবিভাগ কর।
উত্তর ঃ ব্যবহারিক ক্ষেত্রে কেন্টের রেপার্টরীকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়।
(১) প্রথম শ্রেণী (Thumb Index পদ্ধতি) : এই প্রকারের রেপার্টরী ব্যবহার করা খুবই সহজ। কেননা পুস্তকের প্রতিটি বিভাগে নাম অনুযায়ী Thumb Index করা আছে।
(২) দ্বিতীয় শ্রেণী (Plain Paper পদ্ধতি) : এই প্রকারের রেপার্টরীতে কোন সূচীপত্র নাই। ফলে চিকিৎসককে প্রথম শ্রেণী Thumb Index অপেক্ষা অধিক সময় ব্যয় করিয়া লক্ষণ অনুযায়ী ঔষধ খুঁজিয়া বাহির করিতে হয় ।
(২) তৃতীয় শ্রেণী (Rubric Index পদ্ধতি) : এই প্রকারের রেপার্টরী শিরোনাম নির্দেশক পদ্ধতির। ইহাতেও কোন Thumb Index নাই। কিন্তু গ্রন্থের শেষে রুব্রিকের সূচীপত্র দেওয়া আছে। ফলে চিকিৎসক অতি সহজে ইহা ব্যবহার করিতে পারেন।
প্রশ্ন- ডাঃ কেন্টের রেপার্টরীর গঠন লিখ ।
উত্তর ঃ ডাঃ কেন্টের রেপার্টরীতে দেহের প্রধান অঙ্গগুলি (যেমন- মন, মাথা, মুখ প্রভৃতি) হইতে আরম্ভ করিয়া অপ্রধান অঙ্গগুলির (যেমন-হাত, পা প্রভৃতি) প্রত্যেকটির জন্য একটি করিয়া পৃথক অধ্যায় বা শাখা আছে। এই অধ্যায়গুলিকেও আবার কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হইয়াছে। যেমন-
মন:-
(i) আকাঙ্খা
(ii) বুদ্ধি বিচার
(iii) স্মৃতিশক্তি প্রভৃতি ।
[5:04 pm, 08/11/2023] +880 1828-164664: ৫৬
হোমিওপ্যাথিক কলেজ রেপার্টরী,
পাকস্থলী:-
(i) উদর
(ii) মলদ্বার
(iii) মল প্রভৃতি ।
এই ভাগগুলিকে পুনরায় কয়েকটি উপ বিভাগে ভাগ করা হইয়াছে। যেমন-
(i) ব্যথা
(ii) অনুভুতি
(iii) হ্রাসবৃদ্ধি
এই ক্ষুদ্র উপবিভাগগুলির নীচে সাধারণ লক্ষণ, অস্বাভাবিক ও অদ্ভুত লক্ষণ, কখন কিসে ও কিভাবে হ্রাসবৃদ্ধি হয় সেগুলি বর্ণমালা ক্রমিকভাবে সাজানো আছে। এই লক্ষণগুলির প্রত্যেকটির পাশে প্রয়োজনীয় এক বা একাধিক ঔষধের নাম লেখা আছে। এই একাধিক ঔষধের মধ্যে ঔষধের গুরুত্ব অনুযায়ী বড় অক্ষরে, তারকা চিহ্নিত এবং সাধারণ অক্ষরে লেখা আছে। বড় অক্ষরের মূল্য অধিক, তারকা চিহ্নের মূল্য মধ্যম এবং সাধারণ অক্ষরের মূল্য সাধারণ।
কেন্ট রেপার্টরীতে মোট ৩১ টি শাখা আছে। ইহার শাখাগুলি নিম্নে বর্ণনা করা হইল।
১। মন ঃ কেন্ট রেপার্টরীর প্রথম শাখাতে মানসিক লক্ষণাবলী স্থান পাইয়াছে।
(i) আকাঙ্খা
(ii) বুদ্ধি বিচার
(iii) স্মৃতিশক্তি প্রভৃতি ।
[5:04 pm, 08/11/2023] +880 1828-164664: ৫৬
হোমিওপ্যাথিক কলেজ রেপার্টরী,
পাকস্থলী:-
(i) উদর
(ii) মলদ্বার
(iii) মল প্রভৃতি ।
এই ভাগগুলিকে পুনরায় কয়েকটি উপ বিভাগে ভাগ করা হইয়াছে। যেমন-
(i) ব্যথা
(ii) অনুভুতি
(iii) হ্রাসবৃদ্ধি
এই ক্ষুদ্র উপবিভাগগুলির নীচে সাধারণ লক্ষণ, অস্বাভাবিক ও অদ্ভুত লক্ষণ, কখন কিসে ও কিভাবে হ্রাসবৃদ্ধি হয় সেগুলি বর্ণমালা ক্রমিকভাবে সাজানো আছে। এই লক্ষণগুলির প্রত্যেকটির পাশে প্রয়োজনীয় এক বা একাধিক ঔষধের নাম লেখা আছে। এই একাধিক ঔষধের মধ্যে ঔষধের গুরুত্ব অনুযায়ী বড় অক্ষরে, তারকা চিহ্নিত এবং সাধারণ অক্ষরে লেখা আছে। বড় অক্ষরের মূল্য অধিক, তারকা চিহ্নের মূল্য মধ্যম এবং সাধারণ অক্ষরের মূল্য সাধারণ।
কেন্ট রেপার্টরীতে মোট ৩১ টি শাখা আছে। ইহার শাখাগুলি নিম্নে বর্ণনা করা হইল।
১। মন ঃ কেন্ট রেপার্টরীর প্রথম শাখাতে মানসিক লক্ষণাবলী স্থান পাইয়াছে।
২। শিরঃঘুর্নন ঃ শিরঃঘুর্ননকে আলাদাভাবে দেখাইয়া একটি পৃথক শাখা করা হইয়াছে। মাথাঘোরার সময়, অবস্থা, হ্রাসবৃদ্ধি প্রভৃতি এখানে আলোচনা করা হইয়াছে।
৩। মস্তক ঃ যাবতীয় মস্তিষ্কের অনুভূতি, ব্যথা বেদনা, মস্তকের পীড়া প্রভৃতির বর্ণনা এমনকি মাথাঘোরার সহযোগী লক্ষণও এখানে আলোচনা করা হইয়াছে।
৪। চক্ষু ঃ চক্ষুর ব্যথা বেদনা, অনুভুতি, চক্ষুর যাবতীয় পীড়া লক্ষণ ইহাতে সাজানো হইয়াছে। তবে দৃষ্টি শক্তির জন্য আলাদা শাখা খোলা হইয়াছে।
৫। দৃষ্টি ঃ এই শাখায় দৃষ্টিশক্তি তথা চক্ষুর ক্রিয়াকলাপের বর্ণনা দিয়া যাবতীয় উপসর্গ সন্নিবেশিত হইয়াছে।
৬। কর্ন ঃ শ্রবণ সম্বন্ধীয় উপসর্গ ব্যতীত কানের ব্যথা, যন্ত্রনা, স্রাব, পূঁজ, ঘা, স্ফীতি প্রভৃতি এই অংশে দেখানো হইয়াছে।
৭। শ্রবণ : শ্রবণ সম্বন্ধীয় যাবতীয় উপসর্গ এই শাখায় প্রদর্শিত হইয়াছে।
৮। নাক ঃ নাসিকার স্রাব, রক্তপাত, ব্যথাবেদনা, অর্বুদ, ঘ্রান সহ নাকের
যাবতীয় উপসর্গের বিবরণ এই শাখায় সন্নিবেশিত হইয়াছে ।
৯। মুখমন্ডল ঃ চেহারার পরিবর্তন, বিকৃতি, অর্বুদ, বর্ণ, অবসন্নতা প্রভৃতি এই অংশে দেখানো হইয়াছে।
১০। মুখগহ্বর : মুখের অভ্যন্তরে যাবতীয় পীড়া, ক্ষত, ক্যানসার এমনকি পরিপাক ক্রিয়ার সাথে সম্বন্ধযুক্ত উপসর্গও এই শাখায় স্থান পাইয়াছে। তবে দন্তের ব্যাপারে আলাদা শাখা করা হইয়াছে।
১১। দত্ত ঃ এই শাখায় দাঁতের ব্যথা, যন্ত্রণা, ক্ষয়, অনুভুতি, দন্তরোগ সহ যাবতীয় উপসর্গ স্থান পাইয়াছে ।
১২। গলা ঃ গলার ভিতর ও বাহির দুইটি উপশাখায় সকল উপসর্গকে দেখানো হইয়াছে। গলগ্রান্থির উপসর্গাদি, টনসিল, আলজিব প্রভৃতি বিষয় এখানে সন্নিবেশিত হইয়াছে।
১৩। পাকস্থলী ঃ এই শাখায় সুবিশালভাবে ক্ষুধা, পিপাসা, বমন, রুচি, অরুচি,
পাকস্থলীর উপসর্গাদি বর্ণিত হইয়াছে ।
১৪। উদর ঃ এই শাখায় অর্বুদ, ব্যথা, উদরের ক্রিয়াকলাপ, বৈকল্য প্রভৃতি উল্লেখ করা হইয়াছে।
১৫। মলদ্বার : অর্শ, রক্তস্রাব, কোষ্ঠবদ্ধতা, উদরাময়, পায়খানার বেগ প্রভৃতি এই শাখায় বর্ণিত হইয়াছে ।
১৬। পায়খানা/মল : মলের প্রকৃতি, কঠিন/তরল প্রভৃতি, বর্ণ, গন্ধ, পরিমাণ প্রভৃতি ইহাতে বর্ণিত হইয়াছে ।
১৭। প্রস্রাব ঃ এই শাখাকে ব্লাড, প্রস্টেট, গ্লান্ড, ইউরেথ্রা এবং প্রস্রাব এই পাঁচটি উপশাখায় ভাগ করা হইয়াছে। প্রস্রাব যন্ত্রের পীড়া হইতে প্রস্রাব পর্যন্ত যাবতীয় পীড়ার বর্ণনা ইহাতে দেওয়া হইয়াছে ।
১৮। প্রজনন তন্ত্র ঃ জননতন্ত্রের বিভিন্ন লক্ষণ ও উপসর্গ এই শাখায় স্থান লাভ করিয়াছে। তবে পুরুষ জনন তন্ত্র ও স্ত্রী জনন তন্ত্র এই দুই অংশে ইহাকে ভাগ করা হইয়াছে ।
১৯। স্বরনালী : স্বরযন্ত্রের যাবতীয় উপসর্গ, স্বরভাঙ্গা, ব্যথা, স্বরলোপ, বেদনা, স্ফীতি প্রভৃতি এই শাখায় স্থান পাইয়াছে।
২০। শ্বাস নালী : শ্বাসযন্ত্রের যাবতীয় উপসর্গ ইহাতে সন্নিবেশিত হইয়াছে ।
২১। শ্বাস প্রশ্বাস : এই শাখায় শ্বাস প্রশ্বাসের অবস্থা, শ্বাসকষ্ট, শ্বাস বন্ধের উপক্রম, দ্রুত শ্বাস প্রভৃতি সন্নিবেশিত হইয়াছে ।
২২। কাশি ও গয়ার ঃ কাশির প্রকৃতি, সময়, গয়ারের বর্ণ, গন্ধ, পরিমাণ, হ্রাসবৃদ্ধি প্রভৃতি এই শাখায় স্থান পাইয়াছে।
২৩। বক্ষ : ফুসফুসের পীড়া, হৃদপিন্ড, রক্ত সঞ্চালন, স্তনের টিউমার ও অন্যান্য উপসর্গ এখানে স্থান পাইয়াছে।
২৪। পৃষ্ঠ ঃ কটিবেদনা, বাত, ব্যথা প্রভৃতি এই শাখায় বর্ণিত হইয়াছে ।
২৫। প্রান্তদেশ : শরীরের প্রান্তদেশের হাত, পা প্রভৃতি অঙ্গ প্রত্যঙ্গের গঠন, বিকৃতি ও যাবতীয় উপসর্গের বর্ণনা এই শাখায় দেওয়া হইয়াছে।
২৬। নিদ্রা ঃ ভীতি ও বৈচিত্রপূর্ণ স্বপ্ন, নিদ্রাহীনতা, অতিনিদ্রা প্রভৃতি এই শাখায় অন্তর্ভূক্ত।
২৭। শৈত্য ঃ এই শাখায় শরীরের শৈত্য ভাব ও অনুভূতি, স্থান, সময় সহ যাবতীয় লক্ষণাদি বর্ণিত হইয়াছে।
২৮। জ্বর : বিভিন্ন জাতীয় জ্বর ও প্রকৃতি, শীতবোধ, উত্তাপ, কষ্ট প্রভৃতি এই
শাখায় আলোচ্য বিষয় ।
২৯। ধর্ম : ধর্মের অবস্থা, কোন অঙ্গে ধর্ম, কখন কি অবস্থায় ঘর্ম, ধর্মের গন্ধ, বর্ণ, পরিমাণ প্রভৃতির বর্ণনা এই শাখায় আছে।
৩০। চর্ম : চর্মের বর্ণ পরিবর্তন, অনুভুতি, বিকৃতি, তৎসহ যাবতীয় চর্মরোগ
ও উপসর্গ এই শাখায় বর্ণিত হইয়াছে।
৩১। সাধারণ ঃ এই অংশটির অপর নাম ওমেগা। ইহাই সর্বশেষ শাখা। ইহাতে বিস্তারিত ভাবে সাধারণ অনুভূতিসহ প্রয়োজনীয় লক্ষণাবলী সন্নিবেশিত হইয়াছে।
৩। মস্তক ঃ যাবতীয় মস্তিষ্কের অনুভূতি, ব্যথা বেদনা, মস্তকের পীড়া প্রভৃতির বর্ণনা এমনকি মাথাঘোরার সহযোগী লক্ষণও এখানে আলোচনা করা হইয়াছে।
৪। চক্ষু ঃ চক্ষুর ব্যথা বেদনা, অনুভুতি, চক্ষুর যাবতীয় পীড়া লক্ষণ ইহাতে সাজানো হইয়াছে। তবে দৃষ্টি শক্তির জন্য আলাদা শাখা খোলা হইয়াছে।
৫। দৃষ্টি ঃ এই শাখায় দৃষ্টিশক্তি তথা চক্ষুর ক্রিয়াকলাপের বর্ণনা দিয়া যাবতীয় উপসর্গ সন্নিবেশিত হইয়াছে।
৬। কর্ন ঃ শ্রবণ সম্বন্ধীয় উপসর্গ ব্যতীত কানের ব্যথা, যন্ত্রনা, স্রাব, পূঁজ, ঘা, স্ফীতি প্রভৃতি এই অংশে দেখানো হইয়াছে।
৭। শ্রবণ : শ্রবণ সম্বন্ধীয় যাবতীয় উপসর্গ এই শাখায় প্রদর্শিত হইয়াছে।
৮। নাক ঃ নাসিকার স্রাব, রক্তপাত, ব্যথাবেদনা, অর্বুদ, ঘ্রান সহ নাকের
যাবতীয় উপসর্গের বিবরণ এই শাখায় সন্নিবেশিত হইয়াছে ।
৯। মুখমন্ডল ঃ চেহারার পরিবর্তন, বিকৃতি, অর্বুদ, বর্ণ, অবসন্নতা প্রভৃতি এই অংশে দেখানো হইয়াছে।
১০। মুখগহ্বর : মুখের অভ্যন্তরে যাবতীয় পীড়া, ক্ষত, ক্যানসার এমনকি পরিপাক ক্রিয়ার সাথে সম্বন্ধযুক্ত উপসর্গও এই শাখায় স্থান পাইয়াছে। তবে দন্তের ব্যাপারে আলাদা শাখা করা হইয়াছে।
১১। দত্ত ঃ এই শাখায় দাঁতের ব্যথা, যন্ত্রণা, ক্ষয়, অনুভুতি, দন্তরোগ সহ যাবতীয় উপসর্গ স্থান পাইয়াছে ।
১২। গলা ঃ গলার ভিতর ও বাহির দুইটি উপশাখায় সকল উপসর্গকে দেখানো হইয়াছে। গলগ্রান্থির উপসর্গাদি, টনসিল, আলজিব প্রভৃতি বিষয় এখানে সন্নিবেশিত হইয়াছে।
১৩। পাকস্থলী ঃ এই শাখায় সুবিশালভাবে ক্ষুধা, পিপাসা, বমন, রুচি, অরুচি,
পাকস্থলীর উপসর্গাদি বর্ণিত হইয়াছে ।
১৪। উদর ঃ এই শাখায় অর্বুদ, ব্যথা, উদরের ক্রিয়াকলাপ, বৈকল্য প্রভৃতি উল্লেখ করা হইয়াছে।
১৫। মলদ্বার : অর্শ, রক্তস্রাব, কোষ্ঠবদ্ধতা, উদরাময়, পায়খানার বেগ প্রভৃতি এই শাখায় বর্ণিত হইয়াছে ।
১৬। পায়খানা/মল : মলের প্রকৃতি, কঠিন/তরল প্রভৃতি, বর্ণ, গন্ধ, পরিমাণ প্রভৃতি ইহাতে বর্ণিত হইয়াছে ।
১৭। প্রস্রাব ঃ এই শাখাকে ব্লাড, প্রস্টেট, গ্লান্ড, ইউরেথ্রা এবং প্রস্রাব এই পাঁচটি উপশাখায় ভাগ করা হইয়াছে। প্রস্রাব যন্ত্রের পীড়া হইতে প্রস্রাব পর্যন্ত যাবতীয় পীড়ার বর্ণনা ইহাতে দেওয়া হইয়াছে ।
১৮। প্রজনন তন্ত্র ঃ জননতন্ত্রের বিভিন্ন লক্ষণ ও উপসর্গ এই শাখায় স্থান লাভ করিয়াছে। তবে পুরুষ জনন তন্ত্র ও স্ত্রী জনন তন্ত্র এই দুই অংশে ইহাকে ভাগ করা হইয়াছে ।
১৯। স্বরনালী : স্বরযন্ত্রের যাবতীয় উপসর্গ, স্বরভাঙ্গা, ব্যথা, স্বরলোপ, বেদনা, স্ফীতি প্রভৃতি এই শাখায় স্থান পাইয়াছে।
২০। শ্বাস নালী : শ্বাসযন্ত্রের যাবতীয় উপসর্গ ইহাতে সন্নিবেশিত হইয়াছে ।
২১। শ্বাস প্রশ্বাস : এই শাখায় শ্বাস প্রশ্বাসের অবস্থা, শ্বাসকষ্ট, শ্বাস বন্ধের উপক্রম, দ্রুত শ্বাস প্রভৃতি সন্নিবেশিত হইয়াছে ।
২২। কাশি ও গয়ার ঃ কাশির প্রকৃতি, সময়, গয়ারের বর্ণ, গন্ধ, পরিমাণ, হ্রাসবৃদ্ধি প্রভৃতি এই শাখায় স্থান পাইয়াছে।
২৩। বক্ষ : ফুসফুসের পীড়া, হৃদপিন্ড, রক্ত সঞ্চালন, স্তনের টিউমার ও অন্যান্য উপসর্গ এখানে স্থান পাইয়াছে।
২৪। পৃষ্ঠ ঃ কটিবেদনা, বাত, ব্যথা প্রভৃতি এই শাখায় বর্ণিত হইয়াছে ।
২৫। প্রান্তদেশ : শরীরের প্রান্তদেশের হাত, পা প্রভৃতি অঙ্গ প্রত্যঙ্গের গঠন, বিকৃতি ও যাবতীয় উপসর্গের বর্ণনা এই শাখায় দেওয়া হইয়াছে।
২৬। নিদ্রা ঃ ভীতি ও বৈচিত্রপূর্ণ স্বপ্ন, নিদ্রাহীনতা, অতিনিদ্রা প্রভৃতি এই শাখায় অন্তর্ভূক্ত।
২৭। শৈত্য ঃ এই শাখায় শরীরের শৈত্য ভাব ও অনুভূতি, স্থান, সময় সহ যাবতীয় লক্ষণাদি বর্ণিত হইয়াছে।
২৮। জ্বর : বিভিন্ন জাতীয় জ্বর ও প্রকৃতি, শীতবোধ, উত্তাপ, কষ্ট প্রভৃতি এই
শাখায় আলোচ্য বিষয় ।
২৯। ধর্ম : ধর্মের অবস্থা, কোন অঙ্গে ধর্ম, কখন কি অবস্থায় ঘর্ম, ধর্মের গন্ধ, বর্ণ, পরিমাণ প্রভৃতির বর্ণনা এই শাখায় আছে।
৩০। চর্ম : চর্মের বর্ণ পরিবর্তন, অনুভুতি, বিকৃতি, তৎসহ যাবতীয় চর্মরোগ
ও উপসর্গ এই শাখায় বর্ণিত হইয়াছে।
৩১। সাধারণ ঃ এই অংশটির অপর নাম ওমেগা। ইহাই সর্বশেষ শাখা। ইহাতে বিস্তারিত ভাবে সাধারণ অনুভূতিসহ প্রয়োজনীয় লক্ষণাবলী সন্নিবেশিত হইয়াছে।
প্রশ্ন- ডাঃ কেন্ট রেপার্টরীর আলফা (Alpha) অংশ এবং ওমেগা (Omega) অংশ বলিতে কি বুঝ?
উত্তর : কেন্ট রেপার্টরী ভালভাবে আলোচনা করিলে দেখা যাইবে যে ইহার দুইটি প্রধান অংশ বিশেষ স্থানে রহিয়াছে। ইহারা হইল (১) আলফা ও (২) শুমেগা।
(১) আলফা (Alpha) : কেন্ট রেপার্টরীর মানসিক লক্ষণের শাখা এবং মানসিক লক্ষণের পূর্ণ বিবরণ পুস্তকের প্রথমে স্থান পাইয়াছে। ইহা আলফা অংশ নামে পরিচিত।
(২) ওমেগা (Omega) ঃ কেন্টের রেপার্টরীতে সাধারন লক্ষণ পুস্তকের শেষভাগে সর্বশেষ শাখায় সন্নিবেশিত হইয়াছে।
উত্তর : কেন্ট রেপার্টরী ভালভাবে আলোচনা করিলে দেখা যাইবে যে ইহার দুইটি প্রধান অংশ বিশেষ স্থানে রহিয়াছে। ইহারা হইল (১) আলফা ও (২) শুমেগা।
(১) আলফা (Alpha) : কেন্ট রেপার্টরীর মানসিক লক্ষণের শাখা এবং মানসিক লক্ষণের পূর্ণ বিবরণ পুস্তকের প্রথমে স্থান পাইয়াছে। ইহা আলফা অংশ নামে পরিচিত।
(২) ওমেগা (Omega) ঃ কেন্টের রেপার্টরীতে সাধারন লক্ষণ পুস্তকের শেষভাগে সর্বশেষ শাখায় সন্নিবেশিত হইয়াছে।
প্রশ্ন- কেন্ট রেপার্টরীর আলফা অংশ এবং ওমেগা অংশের গুরুত্ব বর্ণনা কর।
উত্তর : হোমিওপ্যাথিতে রোগী চিকিৎসায় রোগীর মানসিক ও সাধারণ লক্ষণাবলীর গুরুত্ব অধিক। তাই এই দুইটি শাখার উপস্থাপনা রেপার্টরীর বিশেষ স্থানে হওয়া প্রয়োজন। যে কারণে মানসিক লক্ষণের শাখা পুস্তকের প্রথমভাগে এবং সাধারণ অংশের শাখা পুস্তকের শেষ ভাগে সন্নিবেশিত হইয়াছে। মানসিক লক্ষণ আলফা অংশরূপে এবং সাধারণ লক্ষণ ওমেগা অংশরূপে এই কারণেই সবিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন- ডাঃ কেন্ট রেপার্টরীতে কতগুলি রুব্রিক (Rubric) আছে?
উত্তর ঃ ডাঃ কেন্ট রেপার্টরীতে ৭৫,০০০ (পঁচাত্তর হাজার) রুব্রিক আছে।
প্রশ্ন- ডাঃ কেন্ট রেপার্টরীর সবচেয়ে বড় শাখা কোনটি? ইহাতে কি বর্ণিত হইয়াছে?
উত্তর ঃ ডাঃ কেন্ট রেপার্টরীর সবচেয়ে বড় শাখা হইল পাকস্থলী। ইহাতে বিস্ত ারিত ভাবে ক্ষুধার অবস্থা, পিপাসা, বমন, রুচি, অরুচি সহ যাবতীয় উপসর্গ বর্ণিত হইয়াছে।
উত্তর ঃ ডাঃ কেন্ট রেপার্টরীর সবচেয়ে বড় শাখা হইল পাকস্থলী। ইহাতে বিস্ত ারিত ভাবে ক্ষুধার অবস্থা, পিপাসা, বমন, রুচি, অরুচি সহ যাবতীয় উপসর্গ বর্ণিত হইয়াছে।
প্রশ্ন- ডাঃ কেন্ট রেপার্টরীর ব্যবহার পদ্ধতি লিখ।
উত্তর ঃ সঠিক রোগীলিপির উপর কেন্টের রেপার্টরী ব্যবহারের পূর্ণ সফলতা 8 নির্ভর করে। রোগীর লক্ষণসমূহ সংগ্রহ করিয়া লক্ষণগুলিকে রেপার্টরীর ভাষায় সজ্জিত করিতে হয়। তারপর লক্ষণনানুসারে রেপার্টরী হইতে ভিন্ন ভিন্ন লক্ষণের জন্য বিভিন্ন ঔষধ খুঁজিয়া বাহির করিতে হইবে। যেমন কেন্টের রেপার্টরীতে যেখানে বেদনা এর রুব্রিক দেওয়া হইয়াছে সেই রুব্রিক হইতে বেদনার স্থান, সময়, চরিত্র, সম্প্রসারণ, হ্রাসবৃদ্ধি প্রভৃতি প্রয়োজন অনুসারে খুঁজিয়া বাহির করিতে হইবে। উক্ত লক্ষণসমূহ বর্ণমালা ক্রমিকভাবে রেপার্টরীতে সাজানো আছে এবং উক্ত লক্ষণসমূহের পাশে প্রয়োজনীয় ঔষধের নাম দেওয়া আছে। ঔষধগুলি গুরুত্ব অনুসারে মোটা অক্ষরে, তারকা চিহ্নিত এবং সাধারণ অক্ষরে লিখিত আছে। মোটা অক্ষরের মূল্য বেশী, ইহার আংকিক মান ৩, তারকা চিহ্নিত অক্ষরের মূল্য মধ্যম, ইহার আংকিক মান ২ এবং সাধারণ অক্ষরের মূল্য সাধারণ, ইহার আংকিক মান ১ ধরিয়া প্রয়োজনীয় লক্ষণ অনুযায়ী রেপার্টরীতে লিখিত ঔষধগুলির নাম একটি পৃথক কাগজে লিখিয়া উহার পাশে আংকিক মান বসাইতে হয়। এইভাবে প্রতিটি লক্ষণের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ঔষধ লিখিয়া প্রত্যেকটি ঔষধের মান পৃথক পৃথক ভাবে যোগ করিতে হইবে। যে ঔষধের আংকিক মান সর্বাধিক হইবে উহাই উক্ত রোগীর জন্য সঠিক ঔষধ নির্বাচিত হইবে। এইভাবে কেন্ট রেপার্টরী ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্ন-৬.১১। ডাঃ কেন্টের রেপার্টরী ব্যবহারের সুবিধা সমূহ কি কি?
বা, ডাঃ কেন্টের রেপার্টরীর আকর্ষনীয় দিক বা ভাল লাগার কারণ কি?
বা, তোমার নিকট কোন রেপার্টরী সর্বাপেক্ষা উত্তম বলিয়া মনে হয় এবং কেন?
উত্তর ঃ বর্তমানে হোমিওপ্যাথিতে যতগুলি রেপার্টরী প্রচলিত আছে তন্মধ্যে ডাঃ কেন্ট রেপার্টরীই একমাত্র পূর্ণাঙ্গ রেপার্টরী। অত্যন্ত আকর্ষনীয় ভাবে ডাঃ কেন্ট রেপার্টরী বিন্যাস করা হইয়াছে। রোগী চিকিৎসায় রোগীর মানসিক ও সাধারণ লক্ষণের গুরুত্ব অধিক বিধায় এই দুইটি শাখার উপস্থাপনা রেপার্টরীর বিশেষ স্থানে করা হইয়াছে। কেন্ট রেপার্টরীতে মানসিক লক্ষণের শাখা (আলফা অংশ) পুস্তকের প্রথম ভাগে এবং সাধারণ লক্ষণের শাখা (ওমেগা অংশ) পুস্তকের শেষভাগে দেওয়া হইয়াছে। অন্যান্য শাখাগুলিও যথারীতি গুরুত্ব অনুসারে ও দৈহিক গঠন অনুসারে যথাস্থানে সাজানো হইয়াছে। রেপার্টরীর প্রথম হইতে শেষ পর্যন্ত রুব্রিক এর বিন্যাস একই পদ্ধতিতে করা হইয়াছে যাহাতে যে কোন শাখায় একই পদ্ধতিতে প্রয়োজনীয় লক্ষণ অনুসন্ধান করা যায়। প্রত্যেক লক্ষণের জন্য প্রথমেই সময় পরে অবস্থা যেমন— বেদনার স্থানে বেদনার সময়, সময়ের নির্দিষ্টতা, বেদনার চরিত্র, সম্প্রসারণ প্রভৃতি সর্বত্র একই নিয়মে বর্ণমালা ক্রমিকভাবে সাজানো হইয়াছে।
ইহা এমন একটি গ্রন্থ যাহা দ্বারা কোন চিকিৎসক সহজেই অতি দ্রুত নির্ভুল ব্যবস্থাপনা দিতে পারেন। লক্ষণগুলি বর্ণমালা ক্রমিকভাবে সাজানো থাকায় কোন প্রয়োজনীয় লক্ষণের ঔষধ খুঁজিয়া বাহির করাও খুব সহজ। কাজেই কেন্ট রেপার্টরীর শাখা প্রশাখার বিন্যাস ধরন অত্যন্ত সুন্দর ও প্রশংসার যোগ্য এবং লেখকের নিপুন হস্তের পরিচয় বহন করে। এই সব সুবিধার কারণেই কেন্ট রেপার্টরী সবচাইতে ভাল লাগে ।
বা, তোমার নিকট কোন রেপার্টরী সর্বাপেক্ষা উত্তম বলিয়া মনে হয় এবং কেন?
উত্তর ঃ বর্তমানে হোমিওপ্যাথিতে যতগুলি রেপার্টরী প্রচলিত আছে তন্মধ্যে ডাঃ কেন্ট রেপার্টরীই একমাত্র পূর্ণাঙ্গ রেপার্টরী। অত্যন্ত আকর্ষনীয় ভাবে ডাঃ কেন্ট রেপার্টরী বিন্যাস করা হইয়াছে। রোগী চিকিৎসায় রোগীর মানসিক ও সাধারণ লক্ষণের গুরুত্ব অধিক বিধায় এই দুইটি শাখার উপস্থাপনা রেপার্টরীর বিশেষ স্থানে করা হইয়াছে। কেন্ট রেপার্টরীতে মানসিক লক্ষণের শাখা (আলফা অংশ) পুস্তকের প্রথম ভাগে এবং সাধারণ লক্ষণের শাখা (ওমেগা অংশ) পুস্তকের শেষভাগে দেওয়া হইয়াছে। অন্যান্য শাখাগুলিও যথারীতি গুরুত্ব অনুসারে ও দৈহিক গঠন অনুসারে যথাস্থানে সাজানো হইয়াছে। রেপার্টরীর প্রথম হইতে শেষ পর্যন্ত রুব্রিক এর বিন্যাস একই পদ্ধতিতে করা হইয়াছে যাহাতে যে কোন শাখায় একই পদ্ধতিতে প্রয়োজনীয় লক্ষণ অনুসন্ধান করা যায়। প্রত্যেক লক্ষণের জন্য প্রথমেই সময় পরে অবস্থা যেমন— বেদনার স্থানে বেদনার সময়, সময়ের নির্দিষ্টতা, বেদনার চরিত্র, সম্প্রসারণ প্রভৃতি সর্বত্র একই নিয়মে বর্ণমালা ক্রমিকভাবে সাজানো হইয়াছে।
ইহা এমন একটি গ্রন্থ যাহা দ্বারা কোন চিকিৎসক সহজেই অতি দ্রুত নির্ভুল ব্যবস্থাপনা দিতে পারেন। লক্ষণগুলি বর্ণমালা ক্রমিকভাবে সাজানো থাকায় কোন প্রয়োজনীয় লক্ষণের ঔষধ খুঁজিয়া বাহির করাও খুব সহজ। কাজেই কেন্ট রেপার্টরীর শাখা প্রশাখার বিন্যাস ধরন অত্যন্ত সুন্দর ও প্রশংসার যোগ্য এবং লেখকের নিপুন হস্তের পরিচয় বহন করে। এই সব সুবিধার কারণেই কেন্ট রেপার্টরী সবচাইতে ভাল লাগে ।
প্রশ্ন- “কেন্ট রেপার্টরীই সর্বশ্রেষ্ঠ”- আলোচনা কর ।
উত্তর ঃ হোমিও জগতে এই পর্যন্ত প্রায় দুইশত রেপার্টরী লিখিত হইয়াছে। কিন্তু কোন রেপার্টরীই চিকিৎসকের মন জয় করিতে পারে নাই। একমাত্র ডাঃ কেন্টের রেপার্টরীই ইহার ব্যতিক্রম। ডাঃ কেন্ট হোমিও চিকিৎসার জটিলতা দূর করিয়া সহজভাবে রেপার্টরী লিখেন যাহা ১৮৭৭ খৃষ্টাব্দে সংকলিত হয় এবং সারা বিশ্বে সর্বশ্রেষ্ঠ ও অদ্বিতীয় রেপার্টরী হিসাবে খ্যাত। তাঁহার রেপার্টরীর শাখা সংখ্যা ৩১ টি। রোগী চিকিৎসায় মানসিক ও সাধারণ লক্ষণের গুরুত্ব অধিক বিধায় এই দুইটি শাখার উপস্থাপনা রেপার্টরীর বিশেষ স্থানে করা হইয়াছে। মানসিক লক্ষণের শাখা পুস্তকের প্রথম ভাগে এবং সাধারণ লক্ষণের শাখা পুস্তকের শেষভাগে দেওয়া হইয়াছে। রেপার্টরীর প্রথম হইতে শেষ পর্যন্ত রুব্রিক এর বিন্যাস একই পদ্ধতিতে করা হইয়াছে। যাহাতে যে কোন শাখায় একই পদ্ধতিতে প্রয়োজনীয় লক্ষণ অনুসন্ধান করা যায়। ইহা এমন একটি গ্রন্থ যাহা দ্বারা কোন চিকিৎসক সহজেই অতি দ্রুত নির্ভুল ব্যবস্থাপনা দিতে পারেন। কেন্ট রেপার্টরীর শাখা প্রশাখা ও বিন্যাস ধরনও অত্যন্ত সুন্দর ও প্রশংসার যোগ্য এবং লেখকের নিপুন হস্তের পরিচয় বহন করে। যে কারণে কেন্ট রেপার্টরীই সর্বশ্রেষ্ঠ এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায় ।
0 মন্তব্যসমূহ