আর্জেন্ট নাইট - ARGENTUM NITRICUM - চতুর্থ বর্ষ

  

আর্জেন্ট নাইটিকাম

ARGENTUM NITRICUM





 
 রাসায়নিক সংকেত:-  AgNO3.

প্রতিশব্দ- 
আর্জেন্টি নাইট্রাস, নাইট্রেট অব সিলভার, আর্জেন্টাম নাইট্রেট, সিলভার নাইট্রেট।


উৎস ও বর্ণনা:- 
সিলভারের উপর নাইট্রিক এসিডের ক্রিয়ার ফলে সিলভার নাইট্রেট পাওয়া যায়। ইহাতে শতকরা ১৯.৮ ভাগের কম AgNO থাকে না। ইহা উজ্জ্বল, বর্ণহীন, গন্ধহীন এবং বিষমকোণী সমচতুর্ভূজ আকারের স্ফটিক। ইহাতে তিক্ত জ্বালাকর ধাতব স্বাদ বর্তমান থাকে । ইহা ০.৫ ভাগ জলে এবং ১৪ ভাগ সুরাসারে দ্রবীভূত হয়। তাপের ফলে ইহা গলিয়া যায়। প্রচণ্ড তাপে ইহা বিচ্ছিন্ন হইয়া পড়ে। এবং শুধুমাত্র ধাতব সিলভারই পরিত্যক্ত হয়।

প্রস্তুতের ফরমুলা- এফ-৫-এ (তরল), এফ-৭ (বিচূর্ণ)।


প্রুভার- ডাঃ মূলার এবং ডাঃ হ্যানিম্যান ইহা প্রুভ করেন।
 
ক্রিয়াস্থান- 
আর্জেন্ট নাইটের বিষ ক্রিয়ার দ্বারা প্রবল প্রদাহ উৎপাদিত হইয়া গলা, পাকস্থলী ও অন্যান্য স্থানের শ্লৈষ্মিক ঝিল্লীতে রক্ত সঞ্চয় হয় এবং প্রদাহ ও ক্ষত জন্মায়। রক্তের উপর ইহার ক্রিয়া অধিক। ইহা দ্বারা লাল রক্ত কণিকা গুলো নষ্ট হয় ও ক্রমশ শরীর ক্ষয় হয়।

প্রদর্শক লক্ষণ:- 
শুষ্ক ক্ষীণদেহ, ক্ষত মাংস, চোপসান মুখ, কোটরাগত চক্ষু, বৃদ্ধদের। অনেক শিশু আছে বড়ই জীর্ণশীর্ণ, যেন শুকাইয়া গিয়াছে, যাহাদের শুধু অস্থি পঞ্জর মাত্র সার হইয়াছে। বিশেষত পা দুইটি যেন হাড় চামড়ায় মাত্র ঢাকা আছে । রোগের কারনে অতিশয় জীর্ণ ও শুষ্কতা প্রাপ্ত হয়।  

চরিত্রগত লক্ষণ-
১) মানুষের ভীড়ে ভয়।
২) খাওয়ার খাওয়ার কিছু পরেই পেট বেদনা এবং যতক্ষণ পেটে খাওয়ার থাকে ততক্ষণ বেদনা থাকে। খাওয়ারের এক ঘণ্টা পরই বমন।
৩) পেট বায়ুতে পরিপূর্ণ ও ফুলিয়া উঠে। মনে হয় যেন পেটটি ফাটিয়া যাইবে। ঢেঁকুর উঠিলে পেট পোলার উপশম। উচ্চ শব্দে ঢেঁকুর উঠে।
৪) শিশুরা চিনি ভালভাসে কিন্তু খাইলেই পেটের পীড়া শুরু হয়। 
৫) সব কাজে রোগী তাড়াহুড়া করে ।
৬) অজীর্ণ রোগ। উদরাময় ও আমাশয়ে তরল পদার্থ পানের পর বাহ্যের বৃদ্ধি এবং রোগীর মনে হয় যেন যাহা পানাহার করিতেছে, তাহাই নামিরা যাইতেছে।
৭) চক্ষু পিচুইটিতে জড়াইয়া যায়। চক্ষু রক্তবর্ণ এবং যন্ত্রণা বৃদ্ধি পায় । 
৮) আধ কপালে মাথা ধরা মাথায় কিছু জোরে বাঁধিলে সামান্য উপশম বোধ।
৯) দিবারাত্রি অসাড়ে প্রস্রাব নিঃসরণ। প্রস্রাবের সময় (গনোরিয়ায়) জ্বালা-মনে হয়।   
১০) ধূমপায়ীদের কাশি, যখন কাশে, মনে হয় যেন গলায় চুল আছে। উহা প্রথমে শুষ্ক পরে সরল।
১১) কোন স্থানে যাইতে আরম্ভ করিলে বাহ্য পায়।
১২) নাসিকার সেপ্টমে ক্ষত, নাসিকায় কোন গন্ধ পাওয়া যায় না। 
১৩) ইউট্রাস হইতে রক্তস্রাব, সেই সঙ্গে শিরঃপীড়া। নড়াচড়ায় পাড়ার বৃদ্ধি ঘটে। স্বামী সহবাসে কষ্ট ও বেদনানুভব। ইউট্রাসে ক্ষত ও রক্তস্রাব । 

 মানসিক লক্ষণ:-
১) মৃত্যুভয় ও মানসিক ভয় ।
২) রোগী সব সময় ব্যস্ত থাকে, কাজে তাড়াতাড়ি করে। চুপ করিয়া থাকিতে পারে না।
৩) দুশ্চিন্তাগ্রস্ত এবং বিমর্ষ। খামখেয়ালী ভাব। 
৪) কল্পনায় বহুবিদ মূর্তি দেখে সে জন্য অনিদ্রা। সর্গ সম্বন্ধে ভীতিপ্রদ এবং সঙ্গম সম্বন্ধীয় উপভোগের স্বপ্ন দেখে।

প্রয়োগক্ষেত্র:- 
হৃদপিণ্ডের পীড়া, শিরঃপীড়া, চক্ষুর পীড়া, উদরাময় ও শিশু কলেরা, রক্তামশায়, হাঁপানী, গলনালীর পীড়া, প্রমেহ, স্ত্রীরোগ, প্রস্রাবের পীড়া, পিঠের ক্ষত, পক্ষাঘাত প্রভৃতি ক্ষেত্রে ইহা প্রয়োগ হয় ।

শিরঃপীড়ার লক্ষণ:- 
শিরঃপীড়া রক্ত সঞ্চয় প্রকৃতির । অত্যন্ত দপদপানি, উহা ঠাণ্ডায় এবং কষিয়া কাপড় জড়াইলে উপশম হয়। মানসিক পরিশ্রম হইতে, উত্তেজনা হইতে আধ কপালে শিরঃপীড়া। মস্তিষ্কের ক্লান্তি, তাহার সাথে সমস্ত শরীর দুর্বলতা এবং কম্পন ও কানের মধ্যে ভোঁ ভোঁ শব্দ হয়। শিরঃপীড়ার, বমি বমি ভাব এবং বমন। মাথার ডান পার্শ্বে কাটিয়া ফেলার মত বেদনা। উঁচু বাড়ীর দিকে তাকাইলে মাথা ঘুরিয়া যায়। মাথার ভিতর সড়সড় করে যেন পোকা চলিতেছে। আর্জেন্টনাইট পুরাতন পীড়ায় অধিক ব্যবহৃত হয়। 

হৃৎপিণ্ডের পীড়ার লক্ষণ:- 
বুক ধড়ফড়ানি, কম্পন। রোগী ডানদিকে শুইতে পারে না, কারণ উহাতে হৃৎস্পন্দনের অত্যন্ত বৃদ্বি হয়। ডান পার্শ্বে চাপিয়া শুইয়াছিল বলিয়া তাহাকে উঠিয়া হাঁটিতে হয়। রোগী বলে যে ডান পার্শ্বে শুইলে তাহার পা হইতে মাথ্য দপদপ করে। হৃদকম্প রাত্রে বৃদ্ধি। সামান্য মনের আবেগে অথবা হঠাৎ পেশী সঞ্চালনে ভীষণ বুক ধড়ফড়ানি। বুক ধড়ফড়ানির উপশমের জন্য হৃৎপিণ্ডের উপর হাত দিয়া চাপিয়া ধরিতে বাধ্য হয়। হৃৎপিণ্ডের ক্রিয়া অনিয়মিত। অজিন্ন জনিত হৃৎস্পন্দনে বিশেষ উপকারী। গাড়ী চড়িবার সময় বুক ধড়ফড়ানি এবং উৎকণ্ঠার জন্য গাড়ী হইতে নামিয়া হাঁটিতে বাধ্য হয় । 

চক্ষু পীড়ার লক্ষণ:- 
সকল চক্ষু লক্ষণই উত্তপ্ত ঘরে বৃদ্ধি হয়। ঠাণ্ডা দ্রব্য লাগাতে চায় এবং ঠাণ্ডা জলে ধৌত করিতে চায়। অত্যন্ত আলোকাতঙ্ক, আলোক বিতৃষ্ণা। সূক্ষ্ম সূচীকার্য, সূক্ষ্ম ছাপা অক্ষরের দিকে অনেকক্ষণ তাকাইবার পর আলোকাতঙ্ক। সহসা হয়ত সে ছাপা অক্ষর স্বাভাবিক দূরত্বে দেখিতে পায় না। দেখিবার জন্য তাহাকে জিনিষটিকে অনেক দূরে সরাইয়া ধরিতে হয়। কোন ২৪/২৫ বৎসর বয়স্ক ব্যক্তির বা শিশুর এই লক্ষণটি দেখা গেলে আর্জেন্ট খুবই উপকারী। চক্ষু প্রদাহ-চক্ষু উঠিলে বিশেষতঃ যদি সে সাথে পুঁজের ন্যায় পিচুটি চক্ষু হইতে নির্গত হয় তবে ইহা অধিকতর উপযোগী। চক্ষুর পাতায় বা চক্ষুতে কোন প্রকার প্রদাহ আরম্ভ হইয়া ক্রমশঃ উহা ক্ষতে পরিণত হইয়া পিঁচুটি বা পূঁজ পড়িতে থাকিলে এবং উহা ঘন হরিদ্রাভ হইলে আর্জেন্ট ব্যবস্থেয়। ছেলেদের চোখ উঠিয়া যখন প্রচুর পূঁজ পড়ে তখন মার্কুরিয়াস ও পালসেটিলা ব্যবহারে কোন উপকার না হইলে ইহাতে ফল দর্শে। চক্ষুর পাতায় যদি চাপ চাপ পুঁজের মামড়ি পড়ে এবং নিকটস্থ টিসু সকল হইতে পূঁজ নির্গত হইতে থাকে, অথবা কর্ণিয়ায় অত্যন্ত প্রদাহ এমনকি ক্ষত পর্যন্ত হয় এবং উহা বহুদিন পর্যন্ত থাকে ও সামান্য উত্তাপে বৃদ্ধি পায় তাহা হইলে আর্জেন্ট নাইট প্রকৃত ঔষধ । গ্রানুলার কনজাংটিভাইটিস রোগেও ইহা উপকারী। চক্ষুর সাদা স্থান এক কোণে ঘোর লাল এবং চক্ষু হইতে প্রচুর পূজ ও মিউকাস মিশ্রিত পদার্থ নির্গত হইতে থাকে। দৃষ্টিহীনতা ও যন্ত্রণা এবং সেই সঙ্গে পেটের পীড়া অর্থাৎ অজীর্ণ ও উদরাময় লক্ষণ থাকিলে আর্জেন্ট কার্যকরী। 

পাকস্থলীর পীড়ার লক্ষণ:- 
পাকাশয়িক লক্ষণের উপর এই ঔষধটির ক্রিয়া অনেক। জলপান করা মাত্রই বাহ্যের বেগ, বায়ুশূল বেদনা, ঢেকুর উঠা, আহারের পরেই পেট ফোলা ও বাহ্যের সঙ্গে জোরে কড় কড় শব্দ হইয়া বায়ু নিঃসরণ এই লক্ষণ কয়টি উদরাময়ে আর্জেন্টের বিশেষ লক্ষণ বলিয়া স্মরণ রাখা উচিত। বাহ্যে অত্যন্ত দুর্গন্ধ, বাহ্যের রঙ অল্প সবুজ কিম্বা হরিদ্রা বর্ণের, আবার হলদে রঙ এর বাহ্য হইলে ও উহা কিছুক্ষণ ন্যাকড়ায় থাকিলে তাহার রঙ সবুজ হইয়া যায়। ক্ষুধানাশ এবং পানীয়ে অনিচ্ছা। রোগী চিনি খাইতে চায়। চিনি খাইলেই রোগী পিড়ীত হয়, ঢেকুর উটে, পেট ফাঁপা বাড়ে, পাকস্থলীলে অম্ল জমে। চিনি হইতে বৃদ্ধি এত স্পষ্ট যে, মাতা মিছরী খাইলে দুগ্ধপোষ্য শিশুর সবুজ বর্ণ উদরাময় হয়। আহারের পর পেট ফুলিয়া দাস্ত হয়। তাহার কিছুক্ষণ পর অত্যধিক শব্দের সহিত জোরে বায়ু নির্গত হয়। উদ্ধারে রোগী উপশম বোধ করে। পাকস্থলী, যকৃত ও উদরা যন্ত্রণা পূর্ণ। পাকস্থলীর প্রদাহ, পাকস্থলীর ক্ষত। উদরাময়েরে সহিত প্রচুর বায়ু নির্গমণ। স্তন্যপায়ী শিশুদের মলের সহিত অত্যন্ত বায়ু নির্গমন, তাহার সাথে-সাথেই পেট কামড়ান, চটচটে, রক্তাক্ত মল ও কুছন। মাই ছাড়ার পর শিশুদের উদরাময়। উদরাময় ও আমাশয়ের মলের সহিত পর্দার মত পদার্থ নির্গত হয়। বাহ্যের সঙ্গে সুতার ন্যায় লাল বা সবুজ রঙের আম অথবা থোলো থোলো সাদা আম নির্গত হয়।  

গলনলীর পীড়ায়:- 
গলনালীর পীড়ায় আজেন্টের বিশেষ ক্রিয়া দৃষ্ট হয়। গলার অতিশয় ঘন চটচটে শ্লেষ্মা জমিয়া থাকে। উহা টানিলে তারের মত বাড়ে (কেলি বাইক্রম)। রোগী কেবল গলা পরিষ্কার করিতে চায়। তাহাতে কাশি আসে এবং একটু স্বরভঙ্গও হয়। আর্জেন্টে আঁচিল উৎপাদনের অনুকূল বিশেষ প্রবণতা আছে এবং গলার মধ্যে ছোট ছোট আঁচিলের ন্যায় মাসাংকুর জমে। গিলিবার সময় মনে হয় যেন গলায় একটি কাঠি রহিয়াছে। ইহা ছাড়া গলায় ব্যথা ও টাটানি ভাব।  

স্ত্রীজননেন্দ্রিয় লক্ষণ:- 
ঋতুস্রাব আরম্ভ হইবার সময় পাকাশয় শূল উপস্থিত হয়। রাত্রে কামোত্তেজনা, রজোনিবৃত্তি কালে স্নায়বিক উত্তেজনা। প্রদর স্রাব প্রচুর। তৎসহ জরায়ুর গ্রীবাদেশে ক্ষয়প্রাপ্ত । মূত্রত্যাগকালে যোনীতে অত্যন্ত ক্ষতকর বেদনা, বহিস্থ কোমল অঙ্গ স্ফীত, ফোলাযুক্ত। জরায়ু হইতে রক্তস্রাব, ইহা ঋতুকালের দুই সপ্তাহ পরে আরম্ভ হয় বা ডিম্বাশয়ের বেদনাদায়ক পীড়া। সহবাস যন্ত্রণাদায়ক ও অসম্ভব হইয়া পড়ে। গর্ভাশয়ের মধ্যে এবং চারিদিকে কাঠি বেঁধার ন্যায় অথবা কাটা ছেঁড়ার ন্যায় বেদনা। গর্ভাশয়ের দোষজনিত শ্বেতপ্রদরে পুঁজের ন্যায় অথবা রক্তপূঁজ নিশ্রিত স্রাব প্রচুর পরিমাণে নির্গত হইতে থাকিলে আর্জেন্ট উপকারী।
 
প্রস্রাবের পীড়ায়:- 
ছোট ছোট পাথরী নির্গমন হেতু কিডনীতে রক্ত সঞ্চিত হইয়া প্রস্রাব কালে ভংঙ্কর বেদনা ও যন্ত্রণা অনুভূত হইলে ডাঃ প্রেসটনই সর্বপ্রথম ইহা ব্যবহারের পরামর্শ দেন। মূত্র অজ্ঞাতসারে এবং অবাধে নির্গত হয় তবে সরল স্বচ্ছন্দ ভাবে নয়। প্রস্রাব নির্গমন কালে অত্যন্ত জ্বালা, মনে হয় যেন ইউরেথ্রা ফুলিয়াছে। হঠাৎ প্রস্রাবের বেগ আসে। প্রস্রাব ঘন, রক্ত মিশ্রিত অথব ইউরিক এসিড মিশ্রিত। বহুমূত্র বা অন্য কোন প্রস্রাবের পীড়ায় অধিক পরিমাণে প্রস্রাব নির্গত হয়। প্রস্রাব বন্ধ হওয়ার পরেও ২/১ ফোঁটা প্রস্রাব নির্গত হয়। সহজে প্রস্রাবের বেগ বন্ধ করা যায় না। এই পীড়ার প্রধান লক্ষণ হইল এই যে রোগীর মুখমণ্ডল নিমগ্ন, বিবর্ণ ও নীলাভ। তাহাকে অকাল বৃদ্ধের মত দেখায়। মুখখানি যেন শুকাইয়া গিয়াছে। কোমরের একদিক হইতে অন্যদিক পর্যন্ত ও মূত্রথলীর উপর ঘিনঘিনে ব্যথা ।

ক্ষত:- 
সর্বত্র ক্ষত জন্মে। কিন্তু ক্ষতগুলির আরম্ভ হয় উপস্থিত পেশীতে এবং উহা কৈশিক পেশী পর্যন্ত বিস্তৃত হয় এবং প্রচুর স্রাব হইতে থাকে। ক্ষতগুলির তলদেশে রস প্রসেক হয় এবং উহা কঠিন হইয়া উঠে। ক্ষতের গর্ত মাংসপূর্ণ হইয়াও অধিক মাংস উপরে ঠেলিয়া উঠিলে আর্জেন্টের মধ্য বা উচ্চ শক্তিতে উপকার হইবে। জরায়ুর ক্ষতে যখন জরায়ু ফোলে, আকারে বড় হয়, পুঁজের ন্যায় হলদে স্রাব নির্গত হয় তখন ইহা বিশেষ উপযোগী।
 
 বৃদ্ধি- 
যে কোন প্রকার উত্তাপে, রাত্রে, শীতল খাদ্য আহারে, মিষ্টিদ্রব্য খাইলে, আহারের পরে, ঋতুকালে, মানসিক আবেগ হইতে, বাম পার্শ্বে শয়ন করিলে, ব্যায়াম ও মানসিক পরিশ্রমে ।
 
উপশম: - 
নির্মল বায়ু সেবনে, উদ্গারে শীতলতায়, চাপে।
 
ক্রিয়ানাশক:- 
নেট্রাম মিউর, আর্সেনিক, ক্যালকেরিয়া, লাইকোপোডিয়াম, ফসফোরাস, রাসটক্স, সেলিনিয়াম ।

পূর্ববর্তী ঔষধ- 
স্পঞ্জিয়া, কষ্টিকাম । 

পরবর্তী ঔষধ- 
ভেরেট্রাম, সাইলিসিয়া, ব্রায়োনিয়া, কেলি কার্ব, মার্কুরিয়াস, পালসেটিলা, স্পাইজেলিয়া, সিপিয়া ।

 ক্রিয়া কাল:- ৩০ দিন ।
 
শক্তি বা ক্রম:- ৩ হইতে ২০০ শক্তি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ