অর্গানন অব মেডিসিন - তৃতীয় বর্ষ
প্রথম অধ্যায়
অর্গানন অব মেডিসিনের ভূমিকা
প্রশ্ন:- অর্গানন শব্দের আভিধানিক অর্থ কি?
উত্তর:-
অর্গানন শব্দের অভিধানিক অর্থ:
অর্গানন (Organon) গ্রীক শব্দ। এর অর্থ অনুসন্ধান বা গবেষণা প্রণালী (Method of investigation)।
গ্রীক দার্শনিক এরিস্টেটল তাঁর যুক্তি শাস্ত্রের নাম রাখেন Organon। অর্থাৎ তাঁর চিন্তার ফসল তিনি এ বইতে লিপিবদ্ধ করেন। ডাঃ স্যামুয়েল হ্যানিম্যান হোমিওপ্যাথির নীতিমালা সম্বলিত বইটির নাম 'এরিস্টেটলের Organon শব্দটি একই অর্থে ব্যবহার করেছেন। অর্গাননের আভিধানিক অর্থ হল "Independent Part of body which performs special functions" অর্থাৎ দেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ যা সুনির্দিষ্ট কর্ম সম্পাদন করা।
প্রশ্ন:- অর্গানন অব মেডিসিনের সংজ্ঞা দাও।
বা হোমিওপ্যাথিতে অর্গানন অব মেডিসিন বলতে কি বুঝায়?
বা, অর্গানন অব মেডিসিনের পূর্ণাঙ্গ সংজ্ঞা লিখ। ইহার কয়টি অংশ?
প্রত্যেকটির উদাহরণসহ লিখ।
উত্তর:-
অর্গানন অব মেডিসিন এর সংজ্ঞা:
অর্গানন অব মেডিসিন বলতে রোগী, ঔষধের ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে অনুসন্ধান বা গবেষণা প্রণালীকে বুঝায়। অর্থাৎ যে চিকিৎসা পদ্ধতি সুস্থ মানবদেহে ভেষজ ও অসুস্থ দেহে ঔষধের ক্রিয়াস্থান ও ধরণ ইত্যাদি সম্পর্কে পরীক্ষা, পর্যবেক্ষণ ও গবেষণার মাধ্যমে বিস্তারিত তথ্য জানা যায়, তাকে অর্গানন অব মেডিসিন বলে।
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বিজ্ঞানের প্রবর্তক ডাঃ ক্রিশ্চিয়ান ফেড্রিক স্যামুয়েল হ্যানিম্যান (Dr. Christian friedrick samuel Hahnemann) কর্তৃক প্রণীত যে গ্রন্থে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য, আদর্শ আরোগ্য, চিকিৎসকের গুণাবলী, রোগের কারণ, রোগ লক্ষণ ও লক্ষণ সমষ্টি, জীবনীশক্তি, রোগ সম্বন্ধে, ঔষধ সম্বন্ধে, ঔষধ প্রস্তুত ও প্রয়োগ সম্বন্ধে, সদৃশ নীতি, আরোগ্য ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত ও সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ও চিকিৎসা কর্ম পরিচালনা সম্পর্কে দিক নির্দেশনা রয়েছে, তাকে অর্গানন অব মেডিসিন বলে।
অর্গানন অব মেডিসিন ডাঃ হ্যানিম্যান কর্তৃক আবিষ্কৃত হোমিওপ্যাথির চিকিৎসা বিজ্ঞান ও আরোগ্য কলা সম্বলিত একটি গ্রন্থ। যার মধ্যে হোমিওপ্যাথির যাবতীয় বিধিবিধান অত্যন্ত সুন্দরভাবে লিপিবদ্ধ আছে। এতে ২৯১টি অনুচ্ছেদের মধ্যে ১-৭১নং অনুচ্ছেদে চিকিৎসা বিজ্ঞান ও ৭২-২৯১নং অনুচ্ছেদে আরোগ্য কলার যুক্তি ভিত্তিক বিশদ ব্যাখ্যা প্রদত্ত হয়েছে। তাই এটির প্রথম অংশকে আরোগ্য বিজ্ঞান এবং দ্বিতীয় অংশকে আরোগ্য কলা বলা হয়।
অর্গানন অব মেডিসিন এর সংজ্ঞা:
অর্গানন অব মেডিসিন বলতে রোগী, ঔষধের ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে অনুসন্ধান বা গবেষণা প্রণালীকে বুঝায়। অর্থাৎ যে চিকিৎসা পদ্ধতি সুস্থ মানবদেহে ভেষজ ও অসুস্থ দেহে ঔষধের ক্রিয়াস্থান ও ধরণ ইত্যাদি সম্পর্কে পরীক্ষা, পর্যবেক্ষণ ও গবেষণার মাধ্যমে বিস্তারিত তথ্য জানা যায়, তাকে অর্গানন অব মেডিসিন বলে।
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বিজ্ঞানের প্রবর্তক ডাঃ ক্রিশ্চিয়ান ফেড্রিক স্যামুয়েল হ্যানিম্যান (Dr. Christian friedrick samuel Hahnemann) কর্তৃক প্রণীত যে গ্রন্থে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য, আদর্শ আরোগ্য, চিকিৎসকের গুণাবলী, রোগের কারণ, রোগ লক্ষণ ও লক্ষণ সমষ্টি, জীবনীশক্তি, রোগ সম্বন্ধে, ঔষধ সম্বন্ধে, ঔষধ প্রস্তুত ও প্রয়োগ সম্বন্ধে, সদৃশ নীতি, আরোগ্য ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত ও সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ও চিকিৎসা কর্ম পরিচালনা সম্পর্কে দিক নির্দেশনা রয়েছে, তাকে অর্গানন অব মেডিসিন বলে।
অর্গানন অব মেডিসিন ডাঃ হ্যানিম্যান কর্তৃক আবিষ্কৃত হোমিওপ্যাথির চিকিৎসা বিজ্ঞান ও আরোগ্য কলা সম্বলিত একটি গ্রন্থ। যার মধ্যে হোমিওপ্যাথির যাবতীয় বিধিবিধান অত্যন্ত সুন্দরভাবে লিপিবদ্ধ আছে। এতে ২৯১টি অনুচ্ছেদের মধ্যে ১-৭১নং অনুচ্ছেদে চিকিৎসা বিজ্ঞান ও ৭২-২৯১নং অনুচ্ছেদে আরোগ্য কলার যুক্তি ভিত্তিক বিশদ ব্যাখ্যা প্রদত্ত হয়েছে। তাই এটির প্রথম অংশকে আরোগ্য বিজ্ঞান এবং দ্বিতীয় অংশকে আরোগ্য কলা বলা হয়।
প্রশ্ন:- কখন কার দ্বারা অর্গানন অব মেডিসিনের ষষ্ঠ সংস্করণ প্রকাশিত হয়?
উত্তর:-
অর্গানন অব মেডিসিনের ষষ্ঠ সংস্করণ প্রকাশিত হয়:
অর্গানন অব মেডিসিনের ষষ্ঠ সংস্করণের পান্ডুলিপি তৈরি হয় ১৮৪২ সালে। ১৮৪৩ সালে ডাঃ হ্যানিম্যান মৃত্যুবরণ করেন। ডাঃ হ্যানিম্যানের জীবনদ্দশায় ষষ্ঠ সংস্করণ প্রকাশিত হয় নাই। এ ষষ্ঠ সংস্করণের পান্ডুলিপি প্রথমবার ফ্রাঙ্কো প্রসিয়ান যুদ্ধের সময় ১৮৭০-৭১ সালের এবং দ্বিতীয় বার ১৮৯৪-১৯১৮ সালের বিশ্বযুদ্ধের সময় হারিয়ে যাবার উপক্রম হয়।
পুস্তকটি জার্মান ভাষায় ১৯২০ সালে ডাঃ আর হেল কর্তৃক এবং ১৯২১ সালে আমেরিকা হতে ডাঃ উইলিয়াম বোরিক কর্তৃক ইংরেজী ভাষায় অনুবাদ করে এটি প্রকাশিত হয়।
অর্গানন অব মেডিসিনের ষষ্ঠ সংস্করণ প্রকাশিত হয়:
অর্গানন অব মেডিসিনের ষষ্ঠ সংস্করণের পান্ডুলিপি তৈরি হয় ১৮৪২ সালে। ১৮৪৩ সালে ডাঃ হ্যানিম্যান মৃত্যুবরণ করেন। ডাঃ হ্যানিম্যানের জীবনদ্দশায় ষষ্ঠ সংস্করণ প্রকাশিত হয় নাই। এ ষষ্ঠ সংস্করণের পান্ডুলিপি প্রথমবার ফ্রাঙ্কো প্রসিয়ান যুদ্ধের সময় ১৮৭০-৭১ সালের এবং দ্বিতীয় বার ১৮৯৪-১৯১৮ সালের বিশ্বযুদ্ধের সময় হারিয়ে যাবার উপক্রম হয়।
পুস্তকটি জার্মান ভাষায় ১৯২০ সালে ডাঃ আর হেল কর্তৃক এবং ১৯২১ সালে আমেরিকা হতে ডাঃ উইলিয়াম বোরিক কর্তৃক ইংরেজী ভাষায় অনুবাদ করে এটি প্রকাশিত হয়।
প্রশ্ন:- অর্গানন অব মেডিসিন হোমিওপ্যাথির পরম দিশারী ব্যাখা কর।
বা অর্গানন অব মেডিসিনকে হোমিওপ্যাথির সংবিধান বলা হয় কেন?
উত্তর:-
অর্গানন অব মেডিসিন হোমিওপ্যাথির পরম দিশারী/অর্গানন অব মেডিসিনকে হোমিওপ্যাথির সংবিধান বলার কারণ:
অর্গানন অব মেডিসিন হোমিওপ্যাথির পরম দিশারী বা অর্গানন অব মেডিসিনকে হোমিওপ্যাথির সংবিধান বলার কারণ এটি হোমিওপ্যাথির মৌলিক নিয়ম-নীতি সম্বলিত গ্রন্থ যা হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বিজ্ঞানের সকল শাখার বিস্তারিত বর্ণনা দেয়া আছে। যেমন-
(i) চিকিৎসকের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য সম্বন্ধে।
(ii) আর্দশ আরোগ্যের ধরন ও প্রকৃতি সম্বন্ধে।
(iii) একজন আর্দশ চিকিৎসককের গুণাবলী যথা- রোগ, ঔষধ, ঔষধের প্রস্তুত প্রণালী, ঔষধের শক্তি মাত্রা, প্রয়োগ পদ্ধতি, আরোগ্য পথে বাধা ইত্যাদি সম্বন্ধে জ্ঞান।
(iv) রোগ কি? এটির প্রকারভেদ, কারণ ও লক্ষণাবলী, চিকিৎসা সম্বন্ধে বিস্তারিত বর্ণনা।
(v) হোমিওপ্যাথি ও এলোপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতি সম্বন্ধে।
(vi) সুস্থ মানবদেহে ঔষধ পরীক্ষা পদ্ধতি সম্বন্ধে।
(vii) ঔষধের শক্তিকরণ পদ্ধতি।
(viii) মানসিক রোগ, সবিরাম, অবিরাম, একদৈশিক রোগ প্রভৃতি সম্বন্ধে বিস্তারিত আলোচনা।
(ix) মেসমেরিজম, চুম্বক, মেসেজ ও খনিজ পানিতে গোসল প্রভৃতি সম্বন্ধে বিস্তারিত আলোচনা।
উপরিউক্ত আলোচনা হতে ইহাই প্রতীয়মান হয় যে, আদর্শ চিকিৎসকের চিকিৎসাকার্য পরিচালনা করার জন্য অর্গানন অব মেডিসিন একটি স্বয়ং সম্পূর্ণ নীতি সম্বলিত চিকিৎসক আইন বিদ্যা। সুতরাং উক্ত কারণে অর্গানন অব মেডিসিন হোমিওপ্যাথির পরম দিশারী বা অর্গানন অব মেডিসিনকে হোমিওপ্যাথির সংবিধান বলা হয়।
অর্গানন অব মেডিসিন হোমিওপ্যাথির পরম দিশারী/অর্গানন অব মেডিসিনকে হোমিওপ্যাথির সংবিধান বলার কারণ:
অর্গানন অব মেডিসিন হোমিওপ্যাথির পরম দিশারী বা অর্গানন অব মেডিসিনকে হোমিওপ্যাথির সংবিধান বলার কারণ এটি হোমিওপ্যাথির মৌলিক নিয়ম-নীতি সম্বলিত গ্রন্থ যা হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বিজ্ঞানের সকল শাখার বিস্তারিত বর্ণনা দেয়া আছে। যেমন-
(i) চিকিৎসকের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য সম্বন্ধে।
(ii) আর্দশ আরোগ্যের ধরন ও প্রকৃতি সম্বন্ধে।
(iii) একজন আর্দশ চিকিৎসককের গুণাবলী যথা- রোগ, ঔষধ, ঔষধের প্রস্তুত প্রণালী, ঔষধের শক্তি মাত্রা, প্রয়োগ পদ্ধতি, আরোগ্য পথে বাধা ইত্যাদি সম্বন্ধে জ্ঞান।
(iv) রোগ কি? এটির প্রকারভেদ, কারণ ও লক্ষণাবলী, চিকিৎসা সম্বন্ধে বিস্তারিত বর্ণনা।
(v) হোমিওপ্যাথি ও এলোপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতি সম্বন্ধে।
(vi) সুস্থ মানবদেহে ঔষধ পরীক্ষা পদ্ধতি সম্বন্ধে।
(vii) ঔষধের শক্তিকরণ পদ্ধতি।
(viii) মানসিক রোগ, সবিরাম, অবিরাম, একদৈশিক রোগ প্রভৃতি সম্বন্ধে বিস্তারিত আলোচনা।
(ix) মেসমেরিজম, চুম্বক, মেসেজ ও খনিজ পানিতে গোসল প্রভৃতি সম্বন্ধে বিস্তারিত আলোচনা।
উপরিউক্ত আলোচনা হতে ইহাই প্রতীয়মান হয় যে, আদর্শ চিকিৎসকের চিকিৎসাকার্য পরিচালনা করার জন্য অর্গানন অব মেডিসিন একটি স্বয়ং সম্পূর্ণ নীতি সম্বলিত চিকিৎসক আইন বিদ্যা। সুতরাং উক্ত কারণে অর্গানন অব মেডিসিন হোমিওপ্যাথির পরম দিশারী বা অর্গানন অব মেডিসিনকে হোমিওপ্যাথির সংবিধান বলা হয়।
প্রশ্ন:- চিকিৎসাক্ষেত্রে অর্গানন অব মেডিসিন পাঠের প্রয়োজনীয়তা বর্ণনা কর।
উত্তর:-
চিকিৎসাক্ষেত্রে অর্গানন অব মেডিসিন পাঠের প্রয়োজনীয়তা:
অর্গানন অব মেডিসিন ডাঃ হ্যানিম্যান কর্তৃক আবিষ্কৃত হোমিওপ্যাথির চিকিৎসা বিজ্ঞান ও আরোগ্য কলা সম্বলিত একটি গ্রন্থ। যার মধ্যে হোমিওপ্যাথির যাবতীয় বিধিবিধান অত্যন্ত সুন্দরভাবে লিপিবদ্ধ আছে। এতে ২৯১টি অনুচ্ছেদের মধ্যে ১-৭১ নং অনুচ্ছেদে চিকিৎসা বিজ্ঞান ও ৭২-২৯১নং অনুচ্ছেদে আরোগ্য কলার যুক্তি ভিত্তিক বিশদ ব্যাখ্যা প্রদত্ত হয়েছে। তাই এটির প্রথম অংশকে আরোগ্য বিজ্ঞান এবং দ্বিতীয় অংশকে আরোগ্য কলা বলা হয়।
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বিজ্ঞানের প্রবর্তক ডাঃ স্যামুয়েল হ্যানিম্যান কর্তৃক প্রণীত "অর্গানন অব মেডিসিন" গ্রন্থ পাঠ করলে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতিতে একজন আর্দশ চিকিৎসকের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য, আদর্শ আরোগ্য, চিকিৎসকের গুণাবলী, রোগের কারণ, রোগ লক্ষণ ও লক্ষণ সমষ্টি, জীবনীশক্তি, রোগ সম্বন্ধে, ঔষধ সম্বন্ধে, ঔষধ প্রস্তুত ও প্রয়োগ সম্বন্ধে, সদৃশ নীতি, আরোগ্য ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত ও সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ও চিকিৎসা কর্ম পরিচালনা সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞান অর্জিত হয় যা চিকিৎসককে সফলতার দ্বার প্রান্তে পৌছায়।
চিকিৎসাক্ষেত্রে অর্গানন অব মেডিসিন পাঠের প্রয়োজনীয়তা:
অর্গানন অব মেডিসিন ডাঃ হ্যানিম্যান কর্তৃক আবিষ্কৃত হোমিওপ্যাথির চিকিৎসা বিজ্ঞান ও আরোগ্য কলা সম্বলিত একটি গ্রন্থ। যার মধ্যে হোমিওপ্যাথির যাবতীয় বিধিবিধান অত্যন্ত সুন্দরভাবে লিপিবদ্ধ আছে। এতে ২৯১টি অনুচ্ছেদের মধ্যে ১-৭১ নং অনুচ্ছেদে চিকিৎসা বিজ্ঞান ও ৭২-২৯১নং অনুচ্ছেদে আরোগ্য কলার যুক্তি ভিত্তিক বিশদ ব্যাখ্যা প্রদত্ত হয়েছে। তাই এটির প্রথম অংশকে আরোগ্য বিজ্ঞান এবং দ্বিতীয় অংশকে আরোগ্য কলা বলা হয়।
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বিজ্ঞানের প্রবর্তক ডাঃ স্যামুয়েল হ্যানিম্যান কর্তৃক প্রণীত "অর্গানন অব মেডিসিন" গ্রন্থ পাঠ করলে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতিতে একজন আর্দশ চিকিৎসকের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য, আদর্শ আরোগ্য, চিকিৎসকের গুণাবলী, রোগের কারণ, রোগ লক্ষণ ও লক্ষণ সমষ্টি, জীবনীশক্তি, রোগ সম্বন্ধে, ঔষধ সম্বন্ধে, ঔষধ প্রস্তুত ও প্রয়োগ সম্বন্ধে, সদৃশ নীতি, আরোগ্য ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত ও সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ও চিকিৎসা কর্ম পরিচালনা সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞান অর্জিত হয় যা চিকিৎসককে সফলতার দ্বার প্রান্তে পৌছায়।
সদৃশ্য বিধান: সুস্থ্য মানবদেহে ভেষজ পদার্থ প্রয়োগের মাধ্যমে জীবনীশক্তি বা প্রাণীশক্তির বিশৃংখলা সৃষ্টির মাধ্যমে দেহ ও মনে যে কৃত্রিম রোগ লক্ষণসমূহ উৎপন্ন করে, এরূপ কৃত্রিম রোগ লক্ষণ সদৃশ প্রাকৃতিক রোগে ঐ ভেষজকে সুনির্দিষ্ট ফার্মাকোপিয়া মতে ঔষধে রূপান্তর পূর্বক সূক্ষ্মমাত্রায় প্রয়োগে আরোগ্য সাধন করাকে সদৃশ্য বিধান বলে।
প্রশ্ন:- অর্গানন অব মেডিসিন গ্রন্থের বিভিন্ন সংস্করণের প্রকাশ কাল, স্থান, শিরোনাম, অনুচ্ছেদ কয়টি উল্লেখ কর।
উত্তর:-
অর্গানন অব মেডিসিনের মোট ৬টি সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ৫টি সংস্করণ ডাঃ হ্যানিম্যানের জীবনদ্দশায় এবং ৬ষ্ঠ সংস্করণ তাঁর মৃত্যুর ৭৮ বছর পর প্রকাশিত হয়েছে। তা
নিম্নরূপ :-
প্রশ্ন:- অর্গানন অব মেডিসিনের ৫ম ও ৬ষ্ঠ সংস্করণের পার্থক্য লিখ।
নিম্নরূপ :-
প্রশ্ন:- অর্গানন অব মেডিসিনের ৫ম ও ৬ষ্ঠ সংস্করণের পার্থক্য লিখ।
উত্তর:-
অর্গানন অব মেডিসিনের ৫ম ও ৬ষ্ঠ সংস্করণের পার্থক্য নিম্নরূপ:
অর্গানন অব মেডিসিনের ৫ম ও ৬ষ্ঠ সংস্করণের পার্থক্য নিম্নরূপ:
প্রশ্ন:- হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় রোগীর ব্যক্তি স্বাতন্ত্রতার গুরুত্ব কি?
উত্তর:-
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় রোগীর ব্যক্তিস্বাতন্ত্রতার গুরুত্ব:
হোমিওপ্যাথির একটা অনন্য নিয়মনীতি হচ্ছে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসককে ঔষধ ও রোগীর সদৃশতম বস্তুসমূহের প্রকৃতির তুলনা স্বাতন্ত্র্য ও পার্থক্য নির্ণয় এ বিষয় সমূহ অবশ্যই সতর্কভাবে বিচার করতে হবে। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতিতে এক ঔষধের পরিবর্তে অন্য ঔষধ প্রয়োগের চিন্তা অথবা সমর্থন করা অন্যায়। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক স্বাতন্ত্র্য নির্ণয় ও পার্থক্য নির্ণয় করতে বাধ্য। একদিকে বিশাল পার্থক্য অথচ অন্যান্য দিকে সাদৃশ্য সমন্বিত বস্তুসমূহের স্বাতন্ত্র্য নির্ণয় কার্যে তাকে অবশ্যই পারদর্শী হতে হবে। উদাহরণ স্বরূপ সিকেলি কর এবং আর্সেনিক অ্যালবাম এ দুটো ঔষধকে ধরা যেতে পারে। ঔষধ দুটোর মধ্যে অত্যন্ত জ্বালা দেখা যায়। কিন্তু সিকেলি-করের রোগী তাঁর গায়ের আবরণ উন্মুক্ত করতে চায়, শীতল বায়ুপ্রবাহ চায় এবং গরমকাতর। পক্ষান্তরে আর্সেনিকের রোগী সব বস্তুতেই উষ্ণতা চায়, গায়ে আবরণ চায়, শীতকাতর। যদিও মাথায় ঠান্ডা চায়। এভাবে ঔষধ দুই তাৎক্ষণিক পৃথক হয়ে যায়। এগুলোর সামগ্রিক অবস্থায় ঔষধ দুটো সম্পূর্ণ বিসদৃশ, অথচ বিশেষ অবস্থায় এ দুটো সম্পূর্ণ সদৃশ সমগ্র রোগক্ষেত্রটা পরীক্ষা করতে হবে এবং সমস্ত ঔষধের মধ্যে কোন ঔষধটা রোগীর ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্যের সাথে অধিকতর সদৃশ, তা পর্যবেক্ষণ করতে হবে। আদি হতে অন্ত পর্যন্ত হোমিওপ্যাথি চিকিৎসককে রোগীর অবস্থা অনুসন্ধান ও পর্যবেক্ষণ করতে হবে। রোগীর বিশেষ লক্ষণসমূহের জ্ঞান না থাকলে তিনি সাফল্য লাভ করতে পারবেন না।
উপরিউক্ত আলোচনায় ইহাই প্রতীয়মান হয় যে, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় রোগীর ব্যক্তি স্বতন্ত্র তার গুরুত্ব অপরিসীম।
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় রোগীর ব্যক্তিস্বাতন্ত্রতার গুরুত্ব:
হোমিওপ্যাথির একটা অনন্য নিয়মনীতি হচ্ছে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসককে ঔষধ ও রোগীর সদৃশতম বস্তুসমূহের প্রকৃতির তুলনা স্বাতন্ত্র্য ও পার্থক্য নির্ণয় এ বিষয় সমূহ অবশ্যই সতর্কভাবে বিচার করতে হবে। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতিতে এক ঔষধের পরিবর্তে অন্য ঔষধ প্রয়োগের চিন্তা অথবা সমর্থন করা অন্যায়। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক স্বাতন্ত্র্য নির্ণয় ও পার্থক্য নির্ণয় করতে বাধ্য। একদিকে বিশাল পার্থক্য অথচ অন্যান্য দিকে সাদৃশ্য সমন্বিত বস্তুসমূহের স্বাতন্ত্র্য নির্ণয় কার্যে তাকে অবশ্যই পারদর্শী হতে হবে। উদাহরণ স্বরূপ সিকেলি কর এবং আর্সেনিক অ্যালবাম এ দুটো ঔষধকে ধরা যেতে পারে। ঔষধ দুটোর মধ্যে অত্যন্ত জ্বালা দেখা যায়। কিন্তু সিকেলি-করের রোগী তাঁর গায়ের আবরণ উন্মুক্ত করতে চায়, শীতল বায়ুপ্রবাহ চায় এবং গরমকাতর। পক্ষান্তরে আর্সেনিকের রোগী সব বস্তুতেই উষ্ণতা চায়, গায়ে আবরণ চায়, শীতকাতর। যদিও মাথায় ঠান্ডা চায়। এভাবে ঔষধ দুই তাৎক্ষণিক পৃথক হয়ে যায়। এগুলোর সামগ্রিক অবস্থায় ঔষধ দুটো সম্পূর্ণ বিসদৃশ, অথচ বিশেষ অবস্থায় এ দুটো সম্পূর্ণ সদৃশ সমগ্র রোগক্ষেত্রটা পরীক্ষা করতে হবে এবং সমস্ত ঔষধের মধ্যে কোন ঔষধটা রোগীর ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্যের সাথে অধিকতর সদৃশ, তা পর্যবেক্ষণ করতে হবে। আদি হতে অন্ত পর্যন্ত হোমিওপ্যাথি চিকিৎসককে রোগীর অবস্থা অনুসন্ধান ও পর্যবেক্ষণ করতে হবে। রোগীর বিশেষ লক্ষণসমূহের জ্ঞান না থাকলে তিনি সাফল্য লাভ করতে পারবেন না।
উপরিউক্ত আলোচনায় ইহাই প্রতীয়মান হয় যে, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় রোগীর ব্যক্তি স্বতন্ত্র তার গুরুত্ব অপরিসীম।
প্রশ্ন:- সর্বোচ্চ আদর্শ আরোগ্য বলতে কি বুঝ?
উত্তর:-
আদর্শ আরোগ্যের সংজ্ঞা:
ডাঃ হ্যানিম্যান "অর্গানন অব মেডিসিন" এ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদে আদর্শ আরোগ্য সম্বন্ধে বিশাল আলোচনা করেছেন।
দ্রুত, বিনা কষ্টে, সামগ্রীক ও স্থায়ীভাবে, অল্প সময়ের মধ্যে রোগীকে কোন রূপ কষ্ট না দিয়ে স্থায়ীভাবে বিশ্বাসযোগ্য এবং নির্দোষ উপায়ে রোগীর হারানো অর্থাৎ রোগাক্রান্ত হবার পূর্বে যে রূপ স্বাস্থ্য ছিল, সে রূপ স্বাস্থ্যের পুণরুদ্বার করাকে, আদর্শ আরোগ্য বলে।
আদর্শ আরোগ্যের সংজ্ঞা:
ডাঃ হ্যানিম্যান "অর্গানন অব মেডিসিন" এ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদে আদর্শ আরোগ্য সম্বন্ধে বিশাল আলোচনা করেছেন।
দ্রুত, বিনা কষ্টে, সামগ্রীক ও স্থায়ীভাবে, অল্প সময়ের মধ্যে রোগীকে কোন রূপ কষ্ট না দিয়ে স্থায়ীভাবে বিশ্বাসযোগ্য এবং নির্দোষ উপায়ে রোগীর হারানো অর্থাৎ রোগাক্রান্ত হবার পূর্বে যে রূপ স্বাস্থ্য ছিল, সে রূপ স্বাস্থ্যের পুণরুদ্বার করাকে, আদর্শ আরোগ্য বলে।
প্রশ্ন:- কোন অসংগত মতবাদ চিকিৎসা পদ্ধতিকে বিপজ্জনক করেছে?
উত্তর:-
নিম্নরূপ অসংগত মতবাদ চিকিৎসা পদ্ধতিকে বিপজ্জনক করেছে:
আরোগ্য সাধনের পদ্ধতি দুইটি, একটি হচ্ছে প্রাকৃতিক পদ্ধতি বা সদৃশ বিধান এবং অন্যটি হচ্ছে এলোপ্যাথিক বা হেটারোপ্যাথিক পদ্ধতি। এ দুইটি পদ্ধতি সম্বন্ধে যাদের সুস্পষ্ট ধারণা নাই। তারা মনে করেন এই দুইটি চিকিৎসা সেবা একই ধরনের বা একটির সাথে অন্যটি চলতে পারে। প্রকৃতপক্ষে তারা মিশ্র পদ্ধতিতে রোগ আরোগ্য করতে চেষ্টা করে যা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতির নীতি বিরুদ্ধ। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতি 'কখনও মিশ্র পদ্ধতি সমর্থন করে না। অতএব, মিশ্রপদ্ধতি একটি অসংগত মতবাদ এবং প্রাকৃতিক চিকিৎসা পদ্ধতি এর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্টভাবে বিদ্রোহ বলা হয়।
প্রশ্ন:- প্রকৃত আরোগ্য শিল্পী বলতে কি বুঝায়?
উত্তর:-
প্রকৃত আরোগ্য শিল্পী:
ডাঃ স্যামুয়েল হ্যানিম্যান তাঁর বিখ্যাত "অর্গানন অব মেডিসিন" গ্রন্থের ৩-৪ নং অনুচ্ছেদে প্রকৃত আরোগ্য শিল্পীর বিস্তারিত বর্ণনা দিয়াছেন।
(i) রোগ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
(ii) ঔষধ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
(iii) ঔষধের শক্তি, মাত্রা ও প্রয়োগ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
(iv) আরোগ্য পথে বাধা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
উপরিউক্ত জ্ঞানসমূহকে বাস্তবিকভাবে কাজে লাগিয়ে যে চিকিৎসক চিকিৎসা কার্য পরিচালনা করেন, তাকে প্রকৃত আরোগ্য শিল্পী বলে।
প্রকৃত আরোগ্য শিল্পী:
ডাঃ স্যামুয়েল হ্যানিম্যান তাঁর বিখ্যাত "অর্গানন অব মেডিসিন" গ্রন্থের ৩-৪ নং অনুচ্ছেদে প্রকৃত আরোগ্য শিল্পীর বিস্তারিত বর্ণনা দিয়াছেন।
(i) রোগ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
(ii) ঔষধ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
(iii) ঔষধের শক্তি, মাত্রা ও প্রয়োগ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
(iv) আরোগ্য পথে বাধা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
উপরিউক্ত জ্ঞানসমূহকে বাস্তবিকভাবে কাজে লাগিয়ে যে চিকিৎসক চিকিৎসা কার্য পরিচালনা করেন, তাকে প্রকৃত আরোগ্য শিল্পী বলে।
0 মন্তব্যসমূহ