Apis Mel – এপিস মেল Dr Muhi uddin


এই ব্লগটি শুধুমাত্র নব্য চিকিৎসক এবং শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য

Apis Mel – এপিস মেল
প্রতিশব্দ :
হানি-বি, মৌমাছির বিষ, মধুমক্ষী।
উৎস :
জীবিত মৌমাছি ইহার উৎস।
প্রস্তুত প্রণালী
প্রয়োজনীয় পরিমাণে জীবন্ত মৌমাছি কাঁচের ছিপি বিশিষ্ট পরিষ্কার বোতলে রাখিতে হয়। আটকানো বোতলটিকে ধীরে ধীরে নাড়িয়া মৌমাছিগুলিকে উত্তেজিত করিতে হয়। অল্পপরিমাণে রজঃ বোতলে ঢালিতে হয় এবং ৮ হইতে ১০ দিন পর্যন্ত মৌমাছিগুলিকে জলসিক্ত করিতে হয়। দশ দিন পর সে টিংচার পাওয়া যাইবে তাহা ঢালিয়া ছাঁকিয়া লইতে হইবে। টিংচার ঢালিয়া লওয়ার পর অবশিষ্ট মৌমাছিগুলিকে কখনও চাপ দিতে নাই। ২x শক্তি প্রস্তুত করিতে ১ ভাগ অরিষ্ট, ৪ ভাগ জল ও ৫ ভাগ পরিশ্রুত সুরাসারের প্রয়োজন হয়, ৩x এবং উচ্চ শক্তিতে পরিশ্রুত সুরাসারের প্রয়োজন হয় না।
মধুমক্ষির হূলের মধ্যে যে এত মনের কাথা লেখা আছে, তা কে জানত বলুন?
ক্ষত, জ্বালা, শুলব্যথা, ফোলা, অবসন্নতা ও মূর্ছা ভাব।
আরো আছে:-
অস্থিরতা, উত্তেজনা, অযথা হাস্য, প্রবল কামেচছা, হিংসা, হাত থেকে জিনিস পড়ে যাওয়ার লজ্জা ইত্যাদি।
প্রয়োগক্ষেত্র :
পিত্তপ্রধান ও সহজে উত্তেজনাশীল ব্যক্তি, নার্ভাস ধাতুর লোক, বিধবা ও বয়স্ক কুমারীদের পীড়া, জ্বর – টাইফয়েড, আমবাত – বতরোগ, ডিপথিরিয়া, প্রদাহ, কাশি ও হাপানি, হিষ্টিরিয়া, বসন্ত ও হাম প্রভৃতি ক্ষেত্রে এপিস মেল প্রয়োগ হয়।
 মানসিক লক্ষন:-
১। অস্থিরতা, স্নায়ুমন্ডেলের উত্তেজনা হইতেই অস্থিরতা আরম্ভ হয়।
২। মস্তিষ্ক বিকারে রোগী হঠাৎ করে চীৎকার করিয়া উঠে।
৩। অনেক সাবধান থাকিলেও ছোট ছেলে মেয়েদের হাত থেকে জিনিষ পড়িয়া যায়।
৪। ছোট বালক রোগী ছটফটে হয়। এটা নাড়ে ওটা নাড়ে, না নাড়ীলে     ভাল লাগেনা।
৫। রোগীর মনটি সর্বদাই হিংসায় ও সন্দেহে পূর্ণ থাকে।
চরিত্রগত লক্ষন:-
১। বেদনা পর্যাক্রমে আসে, উহা হঠাৎ উপস্থিত হইয়া অল্পমাত্র থাকে ও অত্যান্ত            যন্ত্রনা দে, এবং হঠাৎ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সরিয়া যায়।
২। কোন কোন পীড়ায় পিপাসাহীনতা, শোথ, উদরী, প্রস্রাবের বেগ ধারণে           অসমর্থ ও সেই সঙ্গে প্রস্রাব দ্বারে জ্বালা।
৩। প্রস্রাব ঘোর রক্ত বর্ণের।
৪। বেলা ৩ টার সময় জ্বর আসে। উত্তপ্ত ঘরে থাকিতে কষ্ট অনুভব হয়।
৫। পীড়া ডানদিকে আরম্ভ হইয়া বামদিকে যায়।
৬। কোনও পীড়ায় রোগীর গায়ের চামড়া মোমের মত সাদা।
৭। যে কোন পীড়ায় রোগী নিদ্রিত অবস্থায় বা নিদ্রা ভঙ্গকালে রোগী উচ্চস্বরে চীৎকার করিয়া উঠে।
৮। চক্ষুর নিচের পাতা ফোলা। শরীরের নানা স্থানে ফোলা। উত্তাপ সহ্য হয় না।
৯। কাশি ও বাম দিকের বুকে বেদনা।
স্ত্রী-জননেন্দ্রিয়ের পীড়া:-
ডিম্ভকোষের প্রদাহ, হুলফোটানো বেদনা, ডানদিকের ডিম্ভকোষের প্রদাহ ও ব্যথা, জ্বালার সহিত জরায়ুর প্রদাহ, ডানদিকের টিউমার, সিষ্টিক টিউমার এবং কাশি।
প্রস্রাবের পীড়া:-
প্রস্রাব করিবার সময় মূত্রনালীর মধ্যে অত্যন্ত জ্বালা ও হুলফোটানো ব্যথা। ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ; প্রস্রাবরে বেগ আসিলে রোগী এক মিনিটও তাহা ধারন করিতে পারেনা, জ্বালা যন্ত্রনার সহিত রক্তস্রাব। 
জ্বর:-
ইহা সবিরাম, অবিরাম, স্বল্প-বিরাম, টাইফয়েড, বিকার, হাম, বসন্ত, এবং লক্ষন বিদ্যমান থাকিলে –ম্যালেরিয়া, প্লীহা ও লিভার-সংযুক্ত, কুইনাইন আটকান ইত্যাদি সব্ববিধ জ্বরেই ব্যবহৃত হয়।  
সবিরাম জ্বর:-
জ্বর প্রায় বেলা ৩ টায় আসে, শিত কখনো থাকে কখনো থাকেনা।
ত্বক শুষ্ক, মধ্যে মধ্যে ঘাম হয় আবার কখনো ঘাম হয়না।
পিপাসা প্রায় কোন অবস্থাতে থাকনো।
শীতাবস্থায়:- কখনো পিপাসা থাকে কিন্তু তাহা অতি অল্প।
উত্তাপাবস্থায়:- রোগীল গাত্রদাহ এবং বুকের ভারবোধ ও দম-আটিকানভাবের আরও বৃদ্ধি হয়।
আমবাত:-
সমস্ত উদ্ভেদেরই রঙ গোলাপী, অত্যান্ত চুলকায়, জ্বালা করে এবং হুলফোটার মত ব্যথা করে।
ঘুমাইলে ফুষ্কুড়ি মিলাইয়া যায়, কিন্তু বিছানা হইতে উঠিলেই আবার বাহির হয়।
প্রদাহ:-
হুলফোটার মত বেদনা, জ্বালা, ফোলা, ফোলা-স্থান লালবর্ণ হওয়া।
চক্ষুর পীড়া:-
চক্ষুর বিতরে ও বাহিরে প্রদাহ, অত্যন্ত জ্বালা, চোখের নিচের পাতা থলীর মত ফুলিয়া উঠে, লালবর্ণ হয়, চোখ খুলিতে পারেনা – বন্ধ হইয়া যায়, আলোক সহ্য হয় না, কুটকুট করে জল পড়ে, 
গর্ভাবস্থায়:-
দুই তিন মাসের গর্ভকালে এই ঔষধ নিম্নশক্তি ব্যবহার করা নিষিদ্ধ, তাহাতে গর্ভস্রাব হইতে পারে।   (অনেকের মতে)
শোথ :-
শোথরোগে ইহাতে রোগীর পিপাসা থাকে না, প্রস্রাব অল্প পরিমাণে হয়, গায়ের চামড়া সাদাটে বা স্বচ্ছ দেখায়; চোখ, পা অধিক ফোলে, রোগী শুইতে পারেনা। অত্যন্ত শ্বাসকষ্ট, একবার শ্বাস লইয়া মনে করে পরের বার আর শ্বাস লইতে পারিবে না—এই যেন তার শেষ নিশ্বস। শোথে টিপিলে টোল পড়ে।
এপিস মেলের বৃদ্ধি সময়:-
গরম ঘরে, উত্তাপে, নড়াচড়ায়, উদরাময়, স্বরভঙ্গ,
কামড়ানি বেদনা, প্রাতঃকালে, জ্বর বৈকালে।
শিরঃপীড়া, বেদনা, চক্ষু ও বক্ষঃস্থলের পীড়া, রাত্রিতে
এবং বৈকালে প্রায় ৫ টায় ও গরমে।
এপিস মেলের  উপসমঃ-
ঠান্ডায়, স্নানে, শীতল জলে, মুক্ত বাতাসে।
এপিস মেলের অনুপূরক ঔষধ
নেট্রাম মিউর, আর্সেনিক, গ্র্যাফাইটিস, সালফার, পালসেটিলা।
এপিস মেলের পরবর্তী ঔষধ
আর্নিকা, আর্সেনিক, গ্র্যাফাইটিস, আয়োডিয়াম, লাইকোপোডিয়াম, পালসেটিলা, নেট্রাম মিউর, ষ্ট্রামোনিয়াম, সালফার।
এপিস মেলের ক্রিয়ানাশক
এসিড কার্বলিক, ক্যান্থারিস, ইপিকাক, ল্যাকেসিস, ল্যাকটিক এসিড, লিডম, প্ল্যান্টেগো, লবন, মিষ্টিদ্রব্য, তৈল, পেঁয়াজ।
এপিস মেলের ব্যবহার
৬ থেকে ১০০০ শক্তি
এপিস মেলের ক্রিয়া কাল
১০ থেকে ২০ দিন
এপিস মেলের মায়াজম
এ্যান্টিসোরিক ও এ্যান্টিসাইকোটিক।

চোখ দেখলেই চিনবে আমার নীচের পাতা ফোলা।
ঠান্ডায় উপশম হয়
, গরমে বাড়ে জ্বালা।
ক্ষুধা নাই
,তৃষ্ণা নাই,
খাওয়ায় কার সাধ্য।
দুধ ছাড়া লাগেনা ভাল
, অন্যকোন খাদ্য।
এই বুঝি মরণ হবে হলো দম বন্ধ। মিথ্যা মনে পালিয়ে যাওয়ার সকল দুয়ার বন্ধ।
কাম ইচ্ছা প্রবল হলে তীব্র হয় মেজাজ।
হাতের জিনিস খসেপড়ে এটাই আমার লাজ।
ডিম্বাশয়ে ভারবোধ জরায়ুতে ফোলা।
মাঝে মাঝে হুলফুটানো করে ভিষণ জ্বালা।
সবকিছুতে কেঁদে জেতা এটাই আমার খেল।
উম্মাদ বা বন্ধ্যা হলেও আমিই এপিস মেল। (সংগৃহীত)




ডাঃ মোঃ মহি উদ্দিন
প্রভাষক:- ফেনী হোমিও প্যাথিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
যোগাযোগ:- ফরাজী হোমিও হল
সদর হসপাতাল মোড়, উত্তর বিরিঞ্চি রোড়-ফেনী
মোবাইল:- ০১৮১৪-৩১৯০৩৩

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ

  1. স্যার,৩৫বছর বয়সি একটা লোকের পাঁয়ে প্রথমে ঘামাচির মত দেখা দিয়ে পরে পানি জমে ব্যাথ্যা করে। এমতাবস্থায় কি এপিস প্রয়োগ করা যাবে???

    উত্তরমুছুন
Emoji
(y)
:)
:(
hihi
:-)
:D
=D
:-d
;(
;-(
@-)
:P
:o
:>)
(o)
:p
(p)
:-s
(m)
8-)
:-t
:-b
b-(
:-#
=p~
x-)
(k)