Cina – সিনা



এই ব্লগটি শুধুমাত্র নব্য চিকিসক এবং শিক্ষাথীদের জন্য প্রযোজ্য।

Cina – সিনা

সিনার প্রতিশব্দ
১। ওয়ার্মসীড
২। আর্টিমিশিয়া
৩। আর্টিমিশিয়া স্যান্টোনিকা
৪। কারমল
৫। সেরীগান
৬। সিহসোমরাজ
সিনার উৎস
একপ্রকার চারাগাছের শুষ্ক হইতে টিংচার প্রস্তুত হয়, ইহার উগ্রবীর্য্য পদার্থই-স্যান্টোনাইন।
সিনা গাছের বর্ণনা
চির শ্যামল এই বৃক্ষ গুলিতে বহু শাখা এবং শাখার নিচে পাতা বিদ্যমান থাকে। শাখার উচ্চতম স্থানে পুষ্পসমূহের শীর্ণস্থল অতি ঘন। সেপ্টেম্বর মাসে এই সব গাছে ফুল দেখা দেয়।
সিনার প্রাপ্তিস্থান
রাশিয়ায় ইহা বিস্তৃতভাবে ছড়ানো। এশিয়া মাইনর, আফ্রিকা, ইউরোপের বিভিন্ন অংশে, ভারতে, আমেরিকা এবং কাশ্মীরে ইহা উৎপন্ন হইয়া থাকে। তুর্কীস্থানের কিরমিজ অঞ্চলে ইহা প্রচুর পরিমাণে জম্মিয়া থাকে।
সিনার প্রুভার
ডাঃ হ্যানিমান ইহা প্রুভ করেন।
সিনার ক্রিয়াস্থান
মস্তিষ্ক ও শরীরের অন্যান্য যন্ত্রের উপর ক্রিয়া প্রকাশ করে থাকে।
অন্ত্রের উপরে উহার প্রদান ক্রিয়া প্রকাশ হইয়া থাকে।
সিনার মনসিক লক্ষণ
সর্বদাই খাই খাই ভাব অথচ কিছুই খায়না ।
রোগী একাকী ও নির্জনে থাকিতে ভালবাসে, মসনিক বিষাদ ।
খেলা করিতে করিতে সহপার্টীকে কামড় দেয় । (এন্টিম ক্রুট)
শিশু সামান্য কারণে রাগিয়া যায় ।
রোগী খিটখিটে প্রকৃতির ।

সিনার চরিত্রগত লক্ষণ
১. রোগীর প্রবল ক্ষুধা ।
২. খাই খাই করে কিছুই খায়না, দিন দিন শীর্ণ হইয়া যায় ।
৩. শিশু ঘ্যান ঘ্যান করে ও কাঁদে, মিষ্টিদ্রব্য  খাইতে চায় । (আজ্জেন্ট নাইট)
৪. ঘুমের মধ্যে দাঁত কড়কড় করে, শিশু শুধু নাক খোঁটে ও চুলকায় ।
৫. চক্ষুর কোনে নিল আভা অথবা কালিমা পড়ে ।
৬. নিদ্রিত অবস্থায় শিশু চিৎকার করিয়া কাঁদিয়া উঠে এবং করুন স্বরে কাঁদে।
৭. মিষ্টিদ্রব্য এবং অন্যান্য বস্তু খাইতে ভালবাসে, কিন্তু স্থনের দুগ্ধ খায় না।
৮. প্রস্রাব প্রথমে ঘোলা, পরে চুনা এবং খড়ি গোলার মত হইয়া যায় ।
৯. আসাড়ে প্রস্রাব ।
১০. শিশু জননেন্দ্রিয়ে বার বার হাত দেয় ।
১১. নাভির চতুর্দিকে বেদনা হয়, মুখ দিয়ে জল উঠে ।
১২. কাশিবার সময় গলার মধ্যে কোঁ কোঁ শব্দ হয় ।
চক্ষু পীড়ার লক্ষণ
চক্ষুর তারা প্রসারিত, দৃষ্টি হলদে দেখায়, পড়িতে আরম্ভ করিলে চোখে ব্যথা করে। চোখের সামনে ধোঁয়া ধোঁয়া দেখে। চক্ষু রগড়াইলে লক্ষন উপসম হয়।
কাশি
সকাল বেলায় কাশিতে কাশিতে শ্বাস রোগের ন্যায় অবস্থা হয়। হুপিং কাশি, এত ভীষণ হয় যে, তাহার ফলে চক্ষুতে পানি আসে ও বুকে ব্যথা হয়। বসন্ত ও শরৎকালে রোগের প্রত্যাবর্তন। শিশু কাশির পর করুন স্বরে কাঁদে এবং কাশিতে কাশিতে শিশু শক্ত হইয়া পড়ে।
কৃমি লক্ষণ
বার বার নাকে হাতদে ও নাক খুঁটিতে থাকে, কৃমির জন্য ছোট ছোট মেয়েদের জরায়ু হইতে রক্তস্রাব।
জ্বর
সিনার জ্বর ক্ষণে ক্ষণে উঠা-নামা করিতে থাকে, অর্থাৎ এই মাত্র ১০৪ ডিগ্রী, আবার দেখা যায় ৯৯ ডিগ্রী, তার পর আবার দেখা যায় ১০২ ডিগ্রী। কি চায় বা কি চায় না রোগী নিজেও বুঝিতে পারেন। কে কি বলিতেছে কে কি করিতেছে সবদিকে তাহার লক্ষ্য থাকে এবং যদি বুঝিতে পারে তাহার সম্বন্ধে বলা হইয়াছে তখনি বিরক্ত হইয়া পড়ে।
শিশু লক্ষণ
শিশু কোলে উঠিয়া বেড়াইতে চায়, কিম্বা কোলে বসিয়া দোল খাইতেও ভালবাসে।
কখন যে শিশু কি চায় তাহা ঠিক বুঝিতে পারা যায় না।
পেটের উপর চাপ দিয়ে শুইয়া থাকে।
অপরিচিত ব্যক্তিকে পছন্দ করে না।
শিশু পুরুষাঙ্গ ঘাঁটিতে থাকে ।
আদর করা পছন্দ করে না।
সর্বদাই বিরক্ত করে।
লক্ষণ বৃদ্ধি
রাত্রিকালে, কোন জিনিসের প্রতি তাকাইলে, জলপানে, কথা বলিলে, হাসিলে, গ্রীম্মকালে, রৌদ্রে।
লক্ষণ উপশম
শিশু কোলে উঠায়া দোল খাইলে, ঘর্ষণে।
সিনা সম্বন্ধযুক্ত ঔষধ
হুপিং কাশিতে ড্রসেরার পর সিনা এবং কৃমিতে সিনায় ফল না হইলে টিউক্রিয়াম, স্যান্টোনাইন, ষ্ট্যানম, স্পাইজেলিয়া। ক্ষুদ্র কৃমিতে কোয়াশিয়া এন্ডিকা।
সিনার সদৃশ ঔষধ
এন্টিম ক্রুট, ইগ্নেসিয়া, সাইলেসিয়া, ষ্ট্র্যাফিসেগ্রিয়া, ক্যামোমিলা, ক্রিয়োজোট, এন্টিম টার্ট।
ক্রিয়ানাশক ঔষধ
ক্যামোমিলা, ক্যাপসিকাম, আর্ণিকা, ক্যাম্ফার, চায়না।
ক্রিয়াকাল
১৬ থেকে ২০ দিন|
ব্যবহার শক্তি:-
৩x হইতে ২০০ শক্তি।


ডাঃ মহি উদ্দিন
প্রভাষক :- ফেনী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ।
যোগাযোগ :- ফরাজী হোমিও হল।


























একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ