Selenium – সেলেনিয়ম - Dr. Muhi Uddin


এই ব্লগটি শুধুমাত্র নব্য চিকিৎসক এবং শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য

Selenium – সেলেনিয়ম






সেলিনিয়ামঃ
১।অতিরিক্ত শুক্রক্ষয় বা অতি দীর্ঘ রোগ ভোগের পর দেহ মনে অবসাদ
২।মলৈত্যাগ কারে শুক্রক্ষরন
৩।কামভাবের প্রাবাল্য শুক্রতারল্য
৪।স্বরভঙ্গ কোষ্টকাঠিন্য

উৎস :
সেলিনিয়ম নামক একপ্রকার ধাতব পদার্থ হইতে বিচূর্ণ আকারে ইহা প্রস্তুত হয়। ইহা লাল বাদামী বর্ণের উজ্জল।

আবিষ্কার করেন :
ডাঃ হেরিং ইহা আবিষ্কার করেন।

ক্রিয়াস্থান :
স্নায়ুমন্ডল, স্বরযন্ত্র, পুংজননেন্দ্রিয়ের উপর ইহার ক্রিয়া প্রকাশ হইয়া থাকে ।

অদ্ভুত লক্ষণ :
সূর্যোদয়ের পর হইতে ইহার রোগী দুর্বলবোধ করিতে থাকে।
সন্ধার পর থেকে রোগী নতুন করিয় জিবন লাভ করে ও শক্তি পায়, রাত্রিকালে সে বেশ সবল ও সুস্থবোধ করে।

রোগী চিত্র :
দৈহিক ও মানসিক দৌর্বল্য, পুরুষত্ব হানি, জননেন্দ্রিয়ের দুর্বলতা। আসাড়ে অল্প অল্প ধাতুস্রাব বা স্বপ্নদোষ প্রভৃতি কারণ জনিত দুর্বলতা। রোগীর মুখ, হাত ও উরু ক্রমশঃ শীর্ণ হইতে থাকে এবং মলমূত্র ত্যাগের পর অথবা বেড়াইতে বেড়াইতে অসাড়ে অল্প অল্প প্রস্রাব নিঃসরণ হয় । রোগী কোন প্রকারের উত্তাপ সহ্য করিতে পারে না। বৃদ্ধ বয়সে পীড়ায় রোগীদের ইহা অধিক উপযোগী।

মানসিক লক্ষণ :
১. চারিদিকে বস্তু সম্বন্ধে সম্পূর্ণ জ্ঞানহীনতা ও উদাসীনতা।
২. কাজকর্মে কোন মনোযোগ থাকে না।
৩. ধ্বজভঙ্গ সহ কাম বিষয়ক চিন্তা। সঙ্গম বিষয়ক চিন্তায় সর্বদাই বেস্ত থাকে।
৪. মানসিক শ্রমে ক্লান্তি আসে। বিষাদভাব কোনভাবেই র্দরহয় না। 

চারিত্রগত লক্ষণ :
১. গ্রীম্মের দিনে নিদ্রার পর সঙ্গম শত্তি লোপ পায়, কিন্তু সঙ্গম ইচ্ছাটি প্রবল থাকে।
২. রোগী অতিমাত্রায় মধ্যপান করে, এমনকি উহা না পাওয়া পর্যন্ত সে হাহাকার করিতে থাকে।
৩. স্মৃতিশক্তিহীনতা, নিদ্রিতাবস্থায় রোগী অনেক ঘটনাবলীর স্বপ্ন দেখে, জাগ্রত অবস্থায় তাহার স্মরণ থাকে না।
৪. গরম বা ঠান্ডা কোন প্রকার বায়ু সহ্য করিতে পারে না। বিশেষ করে রৌদ্র কিংবা উত্তপ একেবারে সহ্য করিতে পারে না।
৫. রোগী শুইয়া দিন কাটাইতে চায়, তাহার মনে কোন ফুত্তি থাকে না।
৬. বাম চক্ষুর উপরে বেদনা, রৌদ্র ভ্রমণ করিলে, তীব্র গন্ধে এবং চা পানে বৃদ্ধি ঘটে। চা পানে বৃদ্ধি ঘটে। চা পান করিয়া শিরঃপীড়া।
৭. স্বরভঙ্গ, প্রাতঃকালে কাশি, তৎসহ রক্তময় শ্লেষ্মা বাহির হয়।
৮. ধীরে ধীরে মূত্র নিঃসরণ। মূত্রনালীর অগ্রভাগ মনে হয় যেন মূত্র পথ কাটিয়া এক ফোঁটা সজোরে বাহির হইয়া আসিতেছে।

প্রয়োগ ক্ষেত্র :
চুল উঠা, স্বরভঙ্গ, চর্মপীড়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, জননেন্দ্রিয় পীড়া।

অদ্ভুত বিশেষত্ব :
সঙ্গম শক্তি ও উত্তেজনার একন্ত অভাব অথচ প্রবল সঙ্গম ইচ্ছা জাগে।
সর্বদাই কাম বিষয়ক গ্রন্থাদি পাঠ ও কাম বিষয়ক চবি দেখার ইচ্ছা।
শুক্রধাতু এত তরল যে সামান্য বেগ দিতে না দিতেই শুক্র বাহির হইয়া পড়ে।
সাংবাদ পত্রাদিতে প্রকাশিত কাম বিষয়ক ঘটনা পাঠ করিতে বা কোথায় কাম সম্পর্কিত চবি আছে তাহা দেখিতে উৎসুক থাকিতে দেখা যায়।
অধিক সঙ্গম শক্তি লাভের আশায় সে মদ্যাদি ও নানা প্রকার উত্তেজক ঔষধ সেবন করিয়া থাক।

পুঃজননেন্দ্রিয় :
দুর্বলতা ও পুঃজনন্দ্রিয়ের দুর্বলতায় ইহা বিশেষ উপকারী। লিঙ্গ উত্থান ও সতেজ হয় না, যদি বা বহু বিলম্বে হয়, তখনি আবার নামিয়া পড়ে, স্ত্রী কাছে গেলে অল্পতে শুক্রক্ষরণ হয়ে যায় ও ভয়ানক দুর্বল হইয়া পড়ে, তাই অত্যান্ত বিরক্ত ও খিটখিটে হয়। সাপ্তাহে ২/৩ বার স্বপ্নদোষ হয়, স্বপ্নদোষের পর ভয়ানক দুর্বলতা ও কোমরের ব্যথা হয।
বাহ্যের সময় অসাড়ে শুক্রপাত হয়। এই সকল কারনে দুর্বলতা বাড়িতে থাকে এবং দুর্বলতার উপশম না হইলে হাত, মুখ ও উরুদেশে ক্রমশঃ শীর্ণ হইতে থাকে। এই সকল রোগী প্রায় সময় কোষ্ঠকাঠিন্য থাকে। প্রস্রাব ত্যাগের পর চলিতে গেলে অসাড়ে ফোঁটা ফোঁটা করিয়া শুক্র বাহির হয়।

চুল উঠা :
চুল আচঁড়াইবার সময় চুল উঠিয়া যায়। মাথার চাঁদনিতে টাক পড়ে, সেখানকার চামড়া চক চক করে। জ্বর কিংবা কোন দুর্বলকর পীড়াভোগার পর মাথার চুল উঠিতে থাকিলে। ভ্রু, লিঙ্গস্থন, দাড়ি ইত্যাদি স্থানের চুল উঠিয়া যায়।

শিরঃপীড়া :
বাম চক্ষুর উপরিভাগেই অধিক বেদনা করে। রৌদ্রে, তীব্র গন্ধে, চা পানে, কোনও প্রকার টকদ্রব্য পান করিলে শিরঃপীড়া বৃদ্ধি পায়। মদ্যপানকারিদের নেশা ছুটিয়া গেলেই মাথা ধরে। মাথা উঁচু করিলে ও দাঁড়াইলে মাথা ধরে।

স্বরভঙ্গ :
অনেক্ষণ ধরিয়া কথাবার্তা অথবা সংগীতাদির ফলে ইহার রোগীর প্রায়ই স্বরভঙ্গ হইতে দেখা যায়। স্বরলোপ অবস্থায় ইহার রোগী বার বার গলা ঝাড়িতে বাধ্য হয়।

কোষ্ঠবন্ধতা :
মল আকারে এত বড় হয় যে, সহজে নর্গিত হয় না, আঙ্গুল দিয়া তবে নিঃসরণ করিতে হয়। বাহ্যের সময় অত্যন্ত বেগ, সেই বেগের সহিত অথবা বাহ্যের পর ধাতু বাহির হয়।

পরবর্তী ঔষধ :
মার্কসল, সিপিয়া, ক্যালকেরিয়া।

ক্রিয়ানাশক ঔষধ :
পালসেটিলা, ইগ্নেশিয়া।

বৃদ্ধি :
নিদ্রান্তে, গরম আবহাওয়ায়, বায়ু প্রবাহে ও সঙ্গমে।

হ্রাস :
সূর্য্যাস্তের পর এবং ঠান্ডা বাতাসের শ্বাস গ্রহনে।

ক্রিয়াস্থিতিকাল :
৪০ থেকে ৫০ দিন।

ব্যবহার শক্তি :
৬, ৩০, ২০০ শক্তি।

 ডাঃ মোঃ মহি উদ্দিন
প্রভাষক:- ফেনী হোমিও প্যাথিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
যোগাযোগ:- ফরাজী হোমিও হল
সদর হসপাতাল মোড়, উত্তর বিরিঞ্চি রোড়-ফেনী
মোবাইল:- ০১৮১৪-৩১৯০৩৩
Youtube – fhhfeni Youtube.com



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ