এই ব্লগটি শুধুমাত্র নব্য চিকিৎসক এবং শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য ।
Abrotanum – এব্রোটেনাম
এব্রোটেনামের প্রতিশব্দ :- সাউদার্ন
উড, ওল্ডম্যান, লেডিস লাভ।
উৎস ও বর্ণনা :- দক্ষিণ ইউরোপের পাহাড়িয়া
অঞ্চলে জম্মায়। সোজা কান্ড ৩/৪ ফুট লম্বা হয়।
পাতাগুলো ধুসর সবুজ বর্ণের। আগষ্ট হইতে অষ্টেবর মাসে এই সকল গাছে হলুদ ফুল দেখা যায়।
প্রুভার :- ডাঃ গেটসিল।
ক্রিয়াস্থান :- কাঁধ, হাত, হাতের কব্জী, গোঁড়ালীতে
বেদনা, গাঁড় শক্ত, বাতজনিত বেদনা, শরীর কাঁপা, নৈরাশ্য, কর্ম্মে অনিচ্ছা, অনিদ্রা,
অর্শ ও আমাশয়, শিশুদের একপ্রকার হেকটিক-জ্বর, শিশুদের ম্যারাসমাস।
মানসিক লক্ষন :- ইহার রোগী এক গুয়ে ও কৃপন স্বভাবের
অতিশয় ঊদ্ধিগ্ন ও হতাশাযুক্ত। রোগী খুবই ব্যাকুল
দর্শিয়া স্নায়ুধিয় রক্তাধিক্য উৎপান্ন হয়।
পূর্বের ইতিহাস :- উদরাময়ের ইতিহাস
পাওয়া গেলে, উদরাময় চাপা পড়িয়া উপরোক্ত লক্ষণগুলি দেখা দিলে এব্রোটেনাম প্রয়োজন।
চরিত্রগত লক্ষন :- ১. প্রচুর ক্ষুধা প্রচুর আহার সত্ত্বেও শীর্ণতা।
২.
ভিজাঠান্ডা রোগীর অপছন্দ এবং গরমে থাকাই পছন্দ করে।
৩.
দূর্বলতা, শরীরে কম্পন, নৈরাশ্য, কর্মে অনিচ্ছা, শরীরের স্থানে স্থানে ভীষণ বেদনাযুক্ত
স্নায়বিক পীড়া।
৪.
হস্তপদাদিতে বাত জনিত বেদনা ও তজ্জনিত অনিদ্রা ও অস্থিরতা।
৫.
ইনফ্লুয়েঞ্জার পর শিশুদের হেকটিক জ্বর।
৬. প্রদাহ ও বেদনাযুক্ত
বাতে ফুলিবার আগেই বেদনা।
৭.
কাঁধ. হাত, হাতের কব্জী, গোড়ালিতে বেদনা। গাঁট শক্ত আড়ষ্ট।
৮.
পর্যায়ক্রমে বাত ও অর্শ, আমাশয়, শিশুদের ম্যারাসমাস।
শিশুচিত্র ও শিশু
ম্যারাসমাস (শীর্ণতায়)
শিশুর শীর্ণতায় সূত্রপাত ঘটে পায়ের
দিক হইতেই আরম্ভ হয় এবং ক্রমান্নয়ে উপরের দিকে প্রসারিত হয়। সর্বশেষে শিশুর গলদেশটি
এইরুপ শীর্ণতাপ্রাপ্ত হয় যে, রোগী মাথাটি সোজা করিয়া রাখিতে পারেনা। পা দুইটিও এত শুষ্ক
ও দুর্বল হয় যে শিশুর চলিবার আর শক্তি থাকে না। শরীরের সমস্ত চামড়া অপরিচ্ছন্ন ও পেশীসমূহ
কোঁচকাইয়া বৃদ্ধের ন্যায় ধারণ করে। দেখিলে মনে হয় ঠিক একটি বানর শিশু।
শিশুদের শরীরে সাইকোটিক দোষের প্রাধ্যদ্য
থাকে। এজন্য প্রায়ই তাহাদের বাত লক্ষণ দেখা দেয়, অজীর্ণ, উদারাময় ও কোষ্ঠবন্ধতা পর্যাক্রমে
আসা যাওয়া করে। রক্তস্রাবের প্রবণতা বা বাত লক্ষণের আবির্ভাব ইহার বৈশিষ্ট্যজনক লক্ষ
।
উদরাময় ও কোষ্ঠবদ্ধতা :- এব্রোটেনামের রুগী হয় উদরাময়, না হয় কোষ্ঠবদ্ধতা
থাকে। কোষ্ঠবদ্ধতা থাকিলে তাহার বাতরোগ দেখা দেয়; উদরাময় থাকিলে সে খুবেই ভাল থাকে,
আবার উদরাময় কম হইলে তাহার নানা যন্ত্রনা উপস্থিত হয়।
পাকস্থলীর পীড়া :- উত্তম ক্ষুধা সত্বেও দিন দিন শরীর শুকাইতে থাকে,
যাহা খায় উহাই অজীর্ণ-বাহ্যে হয়, পাকস্থলীর মধ্যে কাটা-ছেঁড়ার মত বেদনা, সময় সময় পচা
দুর্গন্ধ বমি হয়। পেটফোলা, পাকস্থলীর ভিতর একটা শক্ত ডেলার মত পদার্থ অবস্থিত করা,
পর্য্যায়ক্রমে কোষ্ঠবদ্ধ ও উদরাময় প্রভৃতি লক্ষণগুলি এবং বৃদ্ধদের ডিস্পেপসিয়ার সহিত
হৃৎপিন্ডের গোলযোগ।
বাত পীড়ায় :- প্রচুর যন্ত্রনার সহিত
কাঁধের, হাতের কব্জির এবং পায়ের গোড়ালীর গাঁড়ে বাত হইলে। আক্রান্ত স্থান হইতে বাত কখনও
বক্ষে চলিয়া যায়। কোমরের বেদনা রেতঃজ্জুর মধ্য দিয়ে পরিচালিত হয়। গাঁট শক্ত ও আড়ষ্ট
হইয়া থাকে, রোগী খোঁড়াইয়া চলে।
রোগীর সুন্দর একটি লক্ষন :- রোগীর
হয় উদারাময়, না হয় কোষ্টবন্ধতা থাকে। কোষ্টবন্ধতা থাকিলে তাহার বাতরোগ দেখা দেয়; উদরাময়
থাকিলে সে খুবই ভাল থাকে, আবার উদরায়ম কম হইলে তাহার নানা যন্ত্রনা উপস্থিত হয়। নেট্রাম
সালফ ও জিঙ্কামের ন্যায় ইহার রোগীরও উদারাময়য়ে প্রভূত শান্তি।
আর একটি লক্ষন দেখা যায়, যেখানে সেখানে
তীব্র বেদনা, - বিশেষতঃ ডিম্বাষয়দ্বয়ে এবং সন্ধিস্থলগুলিতে।
অর্শ :- অর্শ পীড়ার সহিত পাছার হাড়ে
বেদনা, ক্রমাগত মলত্যাগের ইচ্ছা ও বেগ, রোগী অনবরত পায়খানায় যায়, মল অতি অল্প।
সদৃশ :- একোনাইট, ব্রায়ো, কলচি, এসিড-বেনজো,
আয়োডিন, ন্যাট্রাম মিউর।
বৃদ্ধি :- শীতল বতাসে।
উপশম :- নড়াচড়ায়।
ডাঃ মোঃ মহি উদ্দিন
প্রভাষক:- ফেনী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।
যোগাযোগ:- ফরাজী
হোমিও হল
সদর
হসপাতাল মোড়, উত্তর বিরিঞ্চি রোড়-ফেনী।
মোবাইল:-
০১৮১৪-৩১৯০৩৩
0 মন্তব্যসমূহ