Chamomilla - ক্যামোমিলা - dr muhi uddin


এই ব্লগটি শুধুমাত্র নব্য চিকিৎসক এবং শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য

Chamomilla - ক্যামোমিলা

ক্যামোমিলাঃ
১। কলহপ্রিয়তা কৃপন স্বভাব।
২। শিশু কোলে উঠতে চায়।
৩। ক্রন্দনশীলতা স্পর্শকাতরতা।         
৪। ব্যথায় গালি দেওয়া।
উৎস :
ক্যামোমাইল নামক গাছ হইতে প্রস্তুত হয়।
আবিষ্কার :
মহাত্না হ্যানিমান ঔষধ টি আবিষ্কার করেন।
প্রাপ্তিস্থান :
ইউরোপের চষাজমিতে একপ্রকার চারা গাছ হয়, তাহার টিংচার।
লক্ষণ :
ইহার বিশেষ লক্ষণের মধ্যে মানসিক লক্ষণ বেশি প্রকাশ পায়। বৃদ্ধ, শিশু, স্ত্রী সকলে পীড়ায় প্রয়োজন হইলেও শিশুদের পীড়াতেই এই ঔষধ অধিক উপকারে আসে।
ক্রিয়াস্থল :  
মন, নার্ভাস, আবেগ, মিউকাস মেমব্রেন, পরিপাকতন্ত্র, লিভার, স্ত্রী শিশুগন, শরীরের বামদিকে আক্রমণ  
প্রয়োগক্ষেত্র :
অস্থির অভদ্র, ক্রোধ পরায়ণ, উদরাময়, উদরশূল, শিশুদের দন্ত উঠার সময় পীড়া, তড়কা, কর্ণশূল, দন্তপীড়া, স্ত্রী-পীড়া, বতরোগ, প্রসব বেদনা, বমন।

মানসিক লক্ষণ :
. রোগী অত্যন্ত রাগী খিটখিটে, সামান্য কারনেই ঝগড়া-গালাগালি করে, ডাক্তরকেও গালি দেয়।
. শিশু কেবল ঘ্যান্ ঘ্যান্ করে, কাঁদে, রেগে থাকে। মনে হয় কিছু চায়: কিন্তু হাতে কিছু দিলে ছুড়ে ফেলে দেয়।
. শিশু কেবল ঘ্যনঘ্যন করে, শিশুকে কোলে নিয়ে বেড়ালে শান্ত থাকে।
. কিছু সহ্য করতে পারে না। নিজেকেও সহ্য করতে পারে না, অন্যদের সহ্য করতে পারে না, ব্যথা সহ্য করতে পারে না, কোনো জিনিস সহ্য করতে পারে না।এক কথায় সবকিছুই অসহ্য।
. কাহারও কথায় প্রতিবাদ সহ্য করিতে পারে না, প্রশ্ন করিলে কর্কশভাবে উত্তর দেয়।

চরিত্রগত লক্ষণ :
. শিশু ভয়ানক বদমেজাজী। রাগ বিরক্তির জন্য পীড়ার উৎপত্তি।
. দিনরাত শিশু ঘ্যান ঘ্যান করে, এটা ওটা চায়, দিলে আবার ফেলিয়া দেয।
. খোলা বাতাস সহ্য হয় না, পীড়া হয়। ইহার যন্ত্রনা ঘরমে, ঠান্ডা প্রয়োগে, ঠান্ডা বতাসে কিছুতেই উপশম হয় না, বরং বৃদ্ধি হয়।
. যে কোন বেদনাই হোক, রোগী সহ্য করিতে পারে না। কতর হইয়া পড়ে। কেহ সান্তনা দিলে আরও অসহ্য হয়।
. শুষ্ক কাশি, রাত্রে ঘুমানোর সময় কাশির বৃদ্ধি, শীতকালে ঠান্ডা বাতাসে পুরাতন কাশির বৃদ্ধি।
. পানাহারের সময় মুখে ঘাম।
. পেটে বেদনা, মলদ্বারে টাটানি। পেটে বায়ু জমা হেতু শূল বেদনা, পেট খুব ফোলে। বায়ু নির্গত হইলেও পেট ফোলার উপশম হয় না।
. সর্ব শরীর ঠান্ডা কিন্তু মুখমন্ডল নিঃশ্বাস গরম।  
. দন্তশূলে গরম জল মুখে লইলে যন্ত্রনার বৃদ্ধি হয়। ঘরে প্রবেশ করিলে দন্তশূল বাড়্।
১০. দন্ত উঠার সময় উদরাময়, বাহ্যের রং সবুজ, তরল এবং উহাতে ডিম পঁচার ন্যায় অত্যন্ত দুর্গন্ধ। মলদ্ধার হাজিয়া যায়।
১১. সন্তানকে দুধ দেওয়ার সময় এবং দুধ খাওয়ানোর শেষ হইলে স্তন হইতে দুধ চোয়াইয়া বাহির হয়।

স্ত্রী রোগ :

 সাধারণত স্ত্রীলোকদের রোগে বেশী ব্যবহার হয়। যে সব মহিলারা ক্রুদ্ধ স্বভাব, কথায় কথায় রেগে উঠে, কোমর বেঁধে জগড়া করে। এতা ক্রোধের কারনে নানাবিধ রোগে ভোগে----আজ দাঁতের যন্তণা, কাল কানের যন্ত্রণা বা মাসিকের যন্ত্রণা। তাই ক্রুদ্ধ হয়ে যন্ত্রণায় ভোগলে নিশ্চিত ক্যামোমিলা। 

শিশু :
শিশুদের জ্বর, পেটের পীড়া, কার্ন পীড়া, দন্ত ব্যথায় শিশু শুদু ঘ্যান ঘ্যান করে, অত্যান্ত রাগী খিটখিটে, প্রথমে মনে হয় বুঝি কিছু চাহিতেছে; কিস্তু কোন জিনিষ হাতে দিলে তৎক্ষানিক ছুড়িয়া ফেলিয়া দেয়। কোলে তুলিয়া হাটিলে শিশুর কান্না বন্ধ করে, নিছে রাখিলে আবার কান্না শুরু করে দে।  তখন বুঝিতে হবে শিশু আপনার কাছে কিছুই ছায়না, ছায় শুদু ক্যামোমিলা।
ঠান্ডর চিত্র :
ঠান্ডা সহ্য করতে পারেনা। কিন্তু মুক্ত বাতাস পছন্দ করে এবং শুধু দাঁতের যন্ত্রণায় ঠান্ডা পানিতে আরাম পায়। ঠান্ডা বাতাস সহ্য নয় কিন্তু হাঁপানি ঠান্ডা বাতাস ঠান্ডা পানিতে কমে। রোগী গরম পানি খেতে পারেনা, তাই সব সময় ঠান্ডা পানি পান করে
 
ব্যথা :
 রোগী ব্যাথার চেয়ে চিৎকার বেশী করে। ব্যাথার সময় গালাগালি করে। ক্যামোর রোগী কে ভাল কিছু জিজ্ঞেস করলে মেজাজ খারাপ করে গালি দেয়।
কান :
রোগী তার কানের ভীতর জলরাশির শব্দ শুনতে পায়। কানে সুচফোটা ব্যাথা বোধ করে।
কাশি :
 কাশি নিদ্রাকালে বৃদ্ধি, কিন্তু তাহাতে ঘুম ভাঙ্গে না  প্রতিবার নিঃশ্বাস লইবার সময় সাঁই সাঁই ঘড়ঘড় শব্দ হয়। কাশিলে শব্দ আর থাকে না। শিশু কান্নাকাটি করিলে কাশি হয়, আবার কাশি হয় বলিয়াই শিশু কান্নাকাটি করে।
দন্তশূল :
গরম জল বা গরম দ্রব্য মুখে রাখিলে যন্ত্রনার বৃদ্ধি হয়। কাণ কটকটানি বেদনা শিশু কাদিতে থাকে, ঠান্ডা বাতাসে যন্ত্রণার বৃদ্ধি, অন্যান্য যন্ত্রণা গরম প্রয়োগে বৃদ্ধি হয়, আবার শীতল প্রয়োগেও উপশম হয় না। শীতল বাতাস কর্ণের মধ্যে প্রবেশ করিলেও যন্ত্রণা বাড়ে।
বৃদ্ধি :
ক্রোধে, গরমে, সন্ধ্যাকালে, দুপুর রাত্রের পূর্বে, খোলা বাতাসে।
উপশম :
উপবাসে, কোলে থাকিলে, গরম আর্দ্র আবহাওয়ায়।
পরবর্তী ঔষধ :
আর্নিকা, একোনাইট, বেলেডোনা, ক্যালকেরিয়া, সাইলিসিয়া, নাক্স, মার্কসল, ব্রায়োনিয়া, ক্যাষ্টাস, পালসেটিলা, রাসটক্স, সিপিয়া।
ক্রিয়ানাশক :
ক্যাস্ফার, নাক্স, পালসেটিলা, এলুমিনা, বোরাক্স, চায়না, ককুলাস, কফিয়া, কলোসিন্থ, কোনিয়াম, ইগ্নেশিয়া, ভিরেট্রাম।
ক্রিয়াস্থিতিকাল :
২০ হইলে ৩০ দিন।
ব্যবহার শক্তি :
, ১২, ৩০, ২০০ শক্তি।


ডাঃ মোঃ মহি উদ্দিন
প্রভাষক:- ফেনী হোমিও প্যাথিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
যোগাযোগ:- ফরাজী হোমিও হল
সদর হসপাতাল মোড়, উত্তর বিরিঞ্চি রোড়-ফেনী
মোবাইল:- ০১৮১৪-৩১৯০৩৩

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ