পরিচিতি - প্র্যাকটিস অব মেডিসিন - পরিচিতি, চতুর্থ বর্ষ- প্রথম অধ্যায়


প্রথম অধ্যায়
পরিচিতি

(Introduction)




প্রশ্ন:- প্র্যাকটিস অব মেডিসিন বা ব্যবহারিক চিকিৎসা বিধান কাহাকে বলে?
উত্তর : প্র্যাকটিস অব মেডিসিন বা ব্যবহারিক চিকিৎসা বিধান : চিকিৎসাবিজ্ঞানের যে শাখায় কোন বিশেষ রোগের সংজ্ঞা, লক্ষণ, কারণ, উপসর্গ, রোগের নিদানতত্ত্ব, নৈদানিক পরিবর্তন, পীড়ার জটি তা, ভারীফল, প্রয়োজনীয় ঔষধ, আনুষঙ্গিক ব্যবস্থাদি, আহার, পথ্য প্রভৃতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয় তাহাকে প্র্যাকটিস অব মেডিসিন বা ব্যবহারিক চিকিৎসা বিধান বলে।

প্রশ্ন-১.২। হোমিওপ্যাথিক প্র্যাকটিস অব মেডিসিন বা ব্যবহারিক চিকিৎসা বিধান পাঠের গুরুত্ব বা প্রয়োজনীয়তা কি?
উত্তর : হোমিওপ্যাথিক মতে রোগ চিকিৎসার জন্য বিশেষ নামের রোগের জন্য কোন বিশেষ ঔষধ ব্যবস্থা করা যায় না। কোন বিশেষ রোগের চিকিৎসা করার সময় রোগীতে প্রকাশিত সাধারণ লক্ষণ ছাড়াও কতকগুলি অদ্ভুত ও বিশেষ চরিত্রগত লক্ষণ পাওয়া যায়। এসব লক্ষণের সমন্বরে যে রোগচিত্র তৈরী হয় তাহা দ্বারাই পীড়ার জন্য সদৃশ ঔষধ নির্বাচন করা সম্ভবপর হয়। দেহস্থ কোন অংশ বিশেষের পীড়া লক্ষণ দূর করা হোমিও চিকিৎসকের উদ্দেশ্য নয়। স্থানীয়ভাবে কোন পীড়া রোগী দেহে প্রকাশ পাইলে যে সব সাধারণ ও অসাধারণ লক্ষণ দৃষ্ট হয় তাহার সমন্বয়েই একটি পীড়ার নামকরণ করা হয়। এইদিক হইতে প্র্যাকটিস অব মেডিসিনের জ্ঞান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।
প্র্যাকটিস অব মেডিসিনের জ্ঞান বার্তাত ডায়াগনোসিস করা সম্ভবপর হয় না। চিকিৎসা বিষয়ক জ্ঞানের পরিপূর্ণতার জন্য প্রকৃত রোগ নির্ণয় পদ্ধতির অবশ্যই প্রয়োজনীয়তা রহিয়াছে। প্র্যাকটিস অব মেডিসিনে কোন বিশেষ নামের পীড়ার বিশেষ উদ্দীপক কারণ লইয়া আলোচনা করে। তাই একথা বলা যায়, প্র্যাকটিস অব মেডিসিন পীড়ান্ত কারণ দূরীভূত করার, পীড়ার আক্রমণ ও আরোগ্যের বিষয়ে জ্ঞান দান করে। রোগের নামকরণ করার জন্য একজন চিকিৎসককে পারদর্শী করিতে পারে প্র্যাকটিস অব মেডিসিন। প্র্যাকটিস অব মেডিসিনে পীড়ার গতি, প্রকৃতি, কারণ ও ভাবী ফল সম্বন্ধে জানা যায় এবং এগুলি জানা গেলে ঔষধ প্রয়োগ ছাড়াও প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে চিকিৎসক অবহিত হইতে পারেন। প্র্যাকটিস অব মেডিসিনে রোগ প্রতিরোধ ও প্রতিকারের ব্যবস্থা সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়। রোগীকে বিনাকষ্টে স্থায়ীভাবে দ্রুত আরাম করা আদর্শ চিকিৎসকের একমাত্র লক্ষ্য। অনেকক্ষেত্রে পীড়া অত্যন্ত কঠিন, দুরারোগ্য এবং আরোগ্যে দীর্ঘসময় বায়িত হইতে পারে। সে সকল ক্ষেত্রে কিছু কিছু উপশমকর চিকিৎসার ব্যবস্থা করিতে হয়। এই উপশমকর চিকিৎসার জন্যও প্র্যাকটিস অব মেডিসিনের জ্ঞান। থাকা দরকার। একজন চিকিৎককে সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠালাভের জন্য বিশেষ বিশেষ পীড়ার জ্ঞান সম্পর্কে জানা থাকা দরকার এবং সেজন্য প্র্যাকটিস অব মেডিসিনের জ্ঞান তাঁহার অবশ্যই থাকা প্রয়োজন ।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ