এই ব্লগটি
শুধুমাত্র
নব্য
চিকিৎসক
এবং
শিক্ষার্থীদের
জন্য
প্রযোজ্য
।
অরাম
মেট - AURUM MET
অরাম মেটের রাসায়নিক সংকেত - Au ।
অরাম মেটের প্রতিশব্দ :-
অৱম
প্রিসিটেটাম , মেটালিক গোন্ড , অরাম ফলিয়েটাম , স্বর্ণ , অরাম ।
অরাম
মেটের উৎস:-
বিশুদ্ধ স্বর্ণ হইতে ইহা প্রস্তুত হয় ।
অরাম মেটের বর্ণনা:-
স্বর্ণ
উজ্জ্বল হলদে কমলা রং এর নরম
ধাতু ।
অরাম
মেটের প্রস্তুশ্রণালী :-
ইহার
ঘণত্ব ১৯ . ৪৩ এবং ইহা
১০৬৩ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় গলিয়া যায় । নাইট্রো মিউরেটিক
এসিডে ইহা দ্রবণীয় । লৌহ প্রোটোসালফেটের
সহিত স্বর্ণ ক্লোরাইডের দ্রবণ ব্যবহার করিয়া বাদামী চূর্ণরূপে তলানি স্বর্ণকে পাওয়া যায় । বিচুর্ণ প্রস্তুত
করার পর হোমিও ফার্মাকোপিয়ার
নিয়মে প্রস্তুত
করা হয় ।
অরাম মেটের
প্রাপ্তিস্থান:-
এই মূল্যবান
স্বর্ণ খনিতে পাওয়া যায়।
অরাম
মেট
প্রস্তুতের
ফরমুলা:
-
এফ
- ৭ বিচূর্ণ
অরাম মেটের
আবিষ্কার:
-
মহাত্মা
হ্যানিমান স্বয়ং এই ঔষধটি আবিষ্কার
করেন ।
আরাম মেট
ক্রিয়াস্থান:-
রক্ত,
গ্রন্থি ও অস্থির উপরেই
অরাম মেট ক্রিয়া প্রকাশ করিয়া থাকে । নাসিকা, নাসিকা অস্থি, তালুর অস্থি, চক্ষুর শ্লৈষ্মিক ঝিল্লি ক্রিয়া প্রকাশ করে, উপদংশ এবং পারদজনিত লক্ষণে। বুদ্ধিবৃত্তি অপেক্ষা ভাবনা বৃত্তিতেই এটি ক্রিয়া প্রকাশ
করে। রক্তপ্রধান ধাতুর রোগী, গন্ডমালাদোষ এবং পারদ ও উপদংশের একত্রিত
মন্দ ফলস্বরূপ যাহাদের স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হইয়াছে তাহাদের পীড়ায় ইহা ভাল কাজ করে।
অরাম
মেট মানসিক বিপর্যয় বা লক্ষণ: -
রোগীর
মনটি উদাসীনতার ভাব দেখা দেয়। তৎসহ বিষণ্ণতা ও হতাশার মধ্যে
মন একেবারে নিরানন্দে হইয়া উঠে এর ফল স্বরূপ
আত্মহত্যা একটি ইচ্ছা জাগ্রত হয়। জগতে বাচিয়া থাকা অনর্থক মনে করে। শিশু রাগী খিটখিটে মজাজের হয়ে থাকে। ধীরে ধীরে বয়সে বাড়ীতে থাকে মনটিও ততই কলহপ্রিয়
হয়। শিশু মনেও বিমর্ষতা এবং নৈরাশ্যের ভাবনা অংকিত হয়, শৈশববস্থা এবং যৌবনকাল মধ্যবর্তী সময় প্রাণশক্তি, শ্রবণশক্তি ইত্যাদি ইন্দ্রিয়গুলি অতিশয় প্রবণ হয়ে ওঠে এবং রাগী কোন প্রতিবাদ সহ্য করতে পারে না। বৃদ্ধ বয়সে অত্যান্ত ক্লান্তি,
অবসাদ এবং স্মৃতিশক্তি শক্তি বিলুপ্তি প্রদর্শিত হয়। এটা রাগী কোন বিচার বিবেচনার মধ্য দিয়ে কাজ করতে পারে না। কোনটি
করলে ভালো হবে আর কোনটি করলে মন্দ হবে সে বিবেচনা না করতে পেরে শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যা
করিয়ে থাকে।
চরিত্রগত লক্ষণ:-
১. উপদংশজনিত অস্থির
পীড়া। নাসিকার অস্থির ক্ষত, নাসিকার ক্ষত।
২. পারদ
অপব্যবহারজনিত স্বাস্থ্য ভঙ্গ, ঠান্ডা সব সহ্য হয়
না।
৩.
প্রেমে হতাশা বা দুঃখ , ভয়,
রাগ, বিরাগ ও নিরানন্দ জনিত
কষ্ট।
৪. অতিশয়
বুক ধড়ফড়ানি ।
৫. অতিশয়
আলোক ভীতি । চক্ষু পীড়ায়
বেদনা , চক্ষুর বেদনা বহির্ভাগ । হইতে আরম্ভ
হইয়া অভ্যন্তর প্রদেশে চালিত হয় ।
৬.
যৌবনে পদার্পণকালে মেয়েদের মুখে দুর্গন্ধ । মাড়ী ক্ষতযুক্ত
।
৭. গলাধঃকরণ
করার সময় সূচীবিদ্ধবৎ বেদনা , গ্রন্থিসমূহে বেদনা ।
৮. মাথার
প্রবল বেদনা , রাত্রিকালে বৃদ্ধি , যেন বাহিরের দিকে ঠেলিতেছে ।
৯. কোষ্ঠকাঠিন্ন
, মল শক্ত এবং গ্রন্থিময় । রাত্রিকালীন উদরাময়
, তৎসহ সরলান্ত্রে জ্বলন ।
১০. প্রস্রাব ঘোলাটে
, পুরু তলানি পড়ে ।
১১. হাড়ে
ও পেরিষ্টিয়ামে বেদনা ।
১২.
নিদ্রাহীনতা
, নিদ্রাকালে উচ্চস্বরে ফোপাইতে থাকে । ভীতিপূর্ণ স্বপ্ন
।
১৩.
অণ্ডদ্বয়
স্ফীত ও বেদনাযুক্ত , বালকদের
অণ্ডগুলির শীর্ণতা ।
১৪.
রোগী
শীতকাতর , সব সময় কাপড়
গায়ে দিয়া খোলা বাতাসে
বেড়াইতে পছন্দ করে ।
অরাম মেটের প্রয়োগক্ষেত্র:-
উপদংশ
, নাসিকার ক্ষত , চক্ষুর পীড়া , শিরঃপীড়া , কর্ণরোগ , নাসিকার পীড়া , মুখের পীড়া , সরলান্ত্রের পীড়া , প্রস্রাবের পীড়া , স্ত্রীরোগী , পুংজননেন্দ্রিয়ের পীড়া , লিভারের পীড়া , হৃৎপিণ্ডের পীড়া , জ্বর প্রভৃতি ক্ষেত্রে অরাম মেট ব্যবহৃত হয়।
সিফিলিস বা উপদংশে অরামের
ব্যবহার: -
সেকেন্ডারী
উপদংশ রোগে বিশেষতঃ পারদ অব্যবহারের পর অরাম মেট
চমৎকার ঔষধ । নাকের হাড়ে
ঘা , উপদংশ দ্বারা অস্থি আক্রান্ত , ওজিনা , বিষাদ , মৃত্যু কামনা , হজম না হওয়া , নাকে
মুখে ঘা ও তাহা
হইতে পঁচা গন্ধযুক্ত স্রাব নির্গমন , মাথার খুলিতে আলুর মত উচু হইয়া
উঠা , অস্থি আবরণ প্রদাহ , উপদংশ ও পারদ অপব্যবহার
হেতু শরীর ভাঙ্গিয়া পড়া প্রভৃতি ।
গলক্ষতে অরাম মেটের লক্ষণ: -
গিলিবার
সময় গলার ভিতর সঁচ ফোটানো বেদনা বোধ হয় , টনসিল গ্রস্থি লাল হয় , ফোলে ও উহাতে বেদনা
হয় । তালুর অস্থি
ক্ষত উপদংশজনিত গলক্ষতে উপকারী ।
শোথ পীড়ায় :-
নিম্নাঙ্গে
শোথ , উহাতে আঙ্গুল দিয়া চাপ দিলে
আঙ্গুল বসিয়া যায় । শোথ রাত্রে
বাড়ে ও প্রাতে কমে
। ঐ সাথে গভীর
বিষন্নতা , শ্বাসকষ্ট , নাড়ী ও হৃদপিণ্ডের দুর্বলতা
থাকে ।
আত্মহত্যার ইচ্চায়
অরামের
লক্ষণ:-
ইহা অরামের একটি প্রধান চরিত্রগত লক্ষণ । মরণ চেষ্টা
, জীবনে হতাশা , মানসিক অবসাদ , অত্যন্ত বিষাদ , সকল ব্যাপারে খারাপ দিকটা বেশী দেখে , ক্রন্দন করে , প্রার্থনা করে , মনে করে এ জগতে সে
স্থান পাওয়া উপযুক্ত নয় । জীবন ভারবোধ
হয় , মনে । মনে ভাবে
সকলেই তাহাকে ঘৃণা করে , তাই আত্মহত্যা করিয়া সব জ্বালা জুড়াইতে
চায় । সাধারণতঃ উপর
হইতে পড়িয়া বা জলে ডুবিয়া
মরিতে চায় । আত্মহত্যার প্রবল
ইচ্ছা অরাম মেটেরই চরিত্রগত লক্ষণ ।
শিরঃপীড়ায়: -
মস্তিষ্কের উভয় পার্শ্বেই এক প্রকার বেদনা
হয় এবং তাহা রাত্রেই বৃদ্ধি পাইয়া থাকে । এই প্রকার
শিরঃপীড়া স্নায়বিক জাতীয় নয় । শিরঃপীড়ার সময় রোগী অনুভব করে যে একটি
ঠাণ্ডা হাওয়া মাথার উপর প্রবাহিত হইতেছে । রোগী সে
কারণে সোরিনামের ন্যায় মাথাটিতে কিছু দিয়ে বেদে রাখতে চায়। অথচ
ঐ অবস্থায় ঠাণ্ডা তাহার সহ্য হয় না । শিরঃপীড়াটি
বরং আরও বৃদ্ধি পায় । এইভাবে কিছুদিন
চলিতে থাকিলে মাথার চুল উঠিয়া টাক পড়িয়া যায় । ঠাণ্ডায় ইহার
রোগ লক্ষণের বৃদ্ধির জন্য অনেকেই ইহাকে শীতকাতর বলিয়া উল্লেখ করিয়াছেন কিন্তু রোগ হিসাবে অরাম গরম কাতর ।
চক্ষুপীড়ার লক্ষণ :–
চক্ষুতে
বেদনা , সেই বেদনা যেন বহির্দেশ হইতে অভ্যন্তরে প্রবেশ করিতেছে - এই লক্ষণ অরামে
নির্দিষ্ট । আবার চক্ষুপীড়ার
সহিত যদি সময়ে সময়ে মনে হয় যে , রোগীর চক্ষু যেন কেহ উপড়াইয়া ফেলিতেছে অথবা চক্ষু ভিতর হইতে টানিতেছে এইরূপ বেদনা । অরামে একটি
দ্রব্য দুইটি দেখায় কিংবা একটি দ্রব্যের অর্ধভাগ মাত্র দেখিতে পাওয়া যায় । চক্ষুর পীড়ার সহিত মস্তকে রক্তাধিক্যজনিত মাথাধরা , কান ভো ভো করা
, মাথায় থেতলানি ব্যথা , মনের অশান্তি এবং চক্ষুর সম্মুখে আলোকচ্ছটা দেখা প্রভৃতি লক্ষণেও অরাম উপকারী ।
নাসিকা অস্থি
বা হাড়ের :-
বহুদিনের
পুরাতন নাসিকার সর্দি নাক দিয়া পচা দুর্গন্ধ বাহির হয়। ওজিনা পীড়ায়ও ইহা
উত্তম ঔষধ । অস্থিসমূহেক ক্রমশঃ দুর্বল ও পাতলা করিয়া
পরিশেষে রোগীকে একেবারে শুষ্ক ও শীর্ণ করিয়া
তোলে । শরীরের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করিয়া অস্থিতে গর্ত করিবার মত অনুভূতিযুক্ত ও
জ্বালাজনক এই দুই প্রকার
বেদনাই ইহাতে আছে । ইহার ক্ষত লক্ষণ প্রধানতঃ নাসিকার মধ্যস্থলের হাড়টিতেই বিশেষভাবে লক্ষিত হয় এবং নাসিকায় নালী ক্ষত হইলেও উপকারী ।
কর্ণপীড়ায়
: -
উপদংশীয়
পীড়া সংক্রমণ দ্বারা রোগীর কর্ণের অস্থি ক্ষত হয় । কর্ণমূল স্ফীত ও শক্ত এবং
তথায় দপদপানি ব্যথা , কর্ণমধ্যে ভো ভো শব্দ
এবং শ্রবণ শক্তির হ্রাস , পারদ দোষজনিত পুরাতন কান পাকা ।পূজ অত্যন্ত দুর্গন্ধযুক্ত । ইহা ছাড়া মেমব্রেন - টিমপ্যানাই আক্রান্তহ্যায় ক্রমশঃ প্রদাহ অভ্যন্তর থেকে পরিচালিত হত্তয়া কর্ণমুললে পর্ন্ত যায় এবং বহুদিন পরে সেই জায়গা অস্থির পর্যন্ত ক্ষত হয়।
জরায়ুর
পীড়ায় ( স্ত্রীরোগ
) :-
স্ত্রীলিদের
জরায়ু স্ফীতি হইলে বা জরায়ু স্থানান্তরিত
হইয়া বাহির হইয়া পড়লে উপকারী । জরায়ুর বিবৃদ্ধি এবং জরায়ু ঝুলিয়া
পড়া, তথায় জ্বালা যন্ত্রণা। অরাম রোগী দেখতে মোটাসোটা, বিশেষতঃ পেট ভয়ানক বড় এবং রাগগিরি অত্যন্ত মানসিক উত্তেজনা এবং জীবনের প্রতি ঘৃণা, মৃত্যুর
ইচ্ছা থাকে। যদি হৃদপিণ্ডের কোনও পীড়া সহিত আত্মহত্যার ইচ্ছা থাকে, তবে তার মনে হয় যে, সে আত্মীয় স্বজনের
ভালবাসা হারায়, অতএব মৃত্যুই মঙ্গল, তাহা হইলে অরাম নির্দিষ্ট। আরামে রায়েগিনীর কামেছশা প্রবল থাকে। জরায়ুর ক্যান্সারসহ ক্ষতিকারক প্রচুর পরিমাণে প্রদরস্রাব এবং ঋতুস্রাবের
অল্পতা আসিয়া গর্ভধারনের শক্তিকে বিনষ্ট হইয়া অথবা পুনঃ পুনঃ গর্ভস্রাবের একটি প্রকৃতি উদ্ভব হইলে অরাম উপকারী।
পুং জননেন্দ্রিয় পীড়ায়:-
পুরুষের
সঙ্গম ইচ্ছা অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে অত্যধিক উত্তেজনার আবির্ভাব হয় এবং নিদ্রাঘোরে রুগীর প্রায় বীর্যপাত হয় এবং তার ফলে রাগী ক্লান্ত
হয়ে যায় - লিঙ্গটি শীন্ন এবং শুষ্কতা প্রাপ্ত
হয় এবং অন্ডকোষ দুটি ফুলে উঠে। উপদংশ বা পারদ দোষজনিত
না হলেও ডানদিকের অনাকোষ প্রদাহে উপকারী। আন্ডোকোষের পুরাতন ফোলা, বৃদ্ধি এবং হাইড্রোসিল।
হৃদপিণ্ডের
পীড়ায়: -
হৃৎপিণ্ডের
বিবৃদ্ধি , সজোরে হৃৎস্পন্দন হয় । হৃৎপিণ্ডে চর্বি
জমে এবং পরিশ্রম করিলেই বুক ধড়ফড় করে । স্টার্নম অস্থির
নিচে ভারী কোন পদার্থ চাপাইয়া রাখা বোধ , তহার জন্য চলিতে কষ্ট , থাকিয়া থাকিয়া হঠাৎ হৃৎপিণ্ডের কম্পন প্রভৃতি লক্ষণে উপকারী ।
লিভার
পীড়ায়: -
লিভার প্রদেশে এত টাটানি বেদনা
থাকে যে , উহা সামান্য স্পর্শ করিবারও উপায় থাকে না । এই
পীড়ার সহিত প্রস্রাবের পীড়া থাকিলে অরাম মেট অধিকতর উপযোগী । লিভারের স্ফীতি
জন্য ডানদিকের পেটে জ্বালা ও ছুরি দিয়া
কাটার ন্যায় যন্ত্রণা থাকে । এই পীড়ায়
অল্প দিনের মধ্যে শোথ বা উদরী আনিয়া
ফেলে , পিত্ত নিঃসরণ বন্ধ হইয়া যায় এবং মলে পিত্তের লেশমাত্র থাকে না । মল
ছাই বর্ণের হয় ।
জ্বর:-
চর্মপীড়া চাপা দেওয়ার ফলে জ্বর সন্ধ্যাকালীন কখনও ৯৯
হইতে ১০০ ডিগ্রীর অধিক উঠে না এবং আত্মহত্যার
পরিবর্তে যখন রোগী ভয়ার্ত মনে নির্বাক অবস্থায় ঘরের কোণটিতে বসিয়া বসিয়া কোন মতে দিন কাটায়। সেজন্য জীবনের প্রতি তাহার কোন আকর্ষণই থাকে না । সর্বদাই মনে
রাখা উচিত , অরাম সিফিলিটিক দোষের প্রাধান্যযুক্ত মাতাপিতার সন্তানদের উপর গ্রহণযোগ্য একটি টিউবারকুলার ঔষধ ।
বাত
রোগে: -
অরাম
মেটে বেদনার জন্য রোগী আত্মহত্যা করিতে চায় । বেদনা অনবরত
স্থান পরিবর্তন করে , এক গাঁট হইতে
অন্য গাঁটে বেদনা স্থানান্তরিত হয় । অবশেষে হৃৎপিণ্ড
আক্রমণ করে এবং হৃৎশূল দেখা দেয় । রাত্রিকালে , ঠাণ্ডা
প্রয়োগে এবং বিছানার গরমে বেদনার বৃদ্ধি হয় ।
প্রান্তদেশের পীড়ায়:-
মস্তক
হইতে সমস্ত রক্ত যেন নিম্নাঙ্গে ধাবিত হয় , নিম্নাঙ্গ পক্ষাঘাতগ্রস্ত বোধ হয় । সেজন্য বসিয়া
পড়িতে হয় । নিম্নাঙ্গে শোথ
, শিরাসমূহের উত্তেজনা যেন উহাদের মধ্যে রক্ত ফুটিতেছে । গ্রন্থিসমূহে পক্ষাঘাতের
ন্যায় , ছিড়িয়া ফেলার ন্যায় বেদনা । হাঁটু দুর্বল
। হাতে ও পায়ে ছিন্নকর
অস্থিবেদনা ।
বৃদ্ধি: -
ঠাণ্ডা
বাতাসে , শয়নে , সূর্যাস্ত হইতে সূর্যোদয় পর্যন্ত , মানসিক পরিশ্রমে , শীতের দিনে , রাগান্বিত হইলে , প্রতিবাদে ও সঞ্চিত অসন্তোষে
।
উপশম:-
উষ্ণ বায়তে , প্রাতঃকালে ও গ্রীষ্মে , মুক্ত
বাতাসে ভ্রমণে ।
পূর্ববর্তী ঔষধ :-
সিফিলিনাম ।
পরবর্তী ঔষধ: -
একোনাইট
, বেলেডোনা , চায়না , ক্যালকেরিয়া , মার্কসল , লাইকো , এসিড নাইট্রিক , পালসেটিলা , সিপিয়া , সালফার , রাসটক্স ।
বেলেডোনা
, চায়না , ককুলাস , কফিয়া , কুপ্রাম , মার্কসল , পালসেটিলা , স্পাইজেলিয়া , ক্যাম্পর ।
অরাম
মেটের ক্রিয়া স্থিতিকাল: -
৫০
হইতে ৬০ দিন ।
অরাম
মেটের ক্রম বা ব্যবহারের শক্তি: -
৩x
, ৩০ , ২০০ , ১০০ এবং উচ্চ শক্তি ।
0 মন্তব্যসমূহ