হায়োসিয়ামস - HYOSCYAMUS, চতুর্থ বর্ষ - মেটেরিয়া মেডিকা

হায়োসিয়ামস নাইজার
HYOSCYAMUS NIGER







প্রাকৃতিক অবস্থা:- সোলানাসিয়াই ।

প্রতিশব্দ:- হাইওসায়েমাস, হেলবেন, হায়োসিয়ামস ভালগ্যারিস, ব্যাক হুগবিন, ইগবিন, বিষ তামাক। 

দেশীয় নাম:- খোরসানী জার্মানি, জবানি, বা আওওয়ান। 

উৎস ও বর্ণনা:- ব্যাক হবিন নামক গাছড়া হইতে এই ঔষধ প্রস্তুত হয়। ইহা শাখাযুক্ত মূল বিশিষ্ট সংযুক্ত লোমদ্বারা পুরুভাবে আবৃত একপ্রকার দ্বিবর্ষজীবি পত্র মোচী গাছড়া। কাণ্ড ২ ফুট লম্বা, নলাকৃতি, পুরু ও ক্রমশঃ সরু হইয়া গিয়াছে এমন। পাতাগুলি বড়, লোমশ, অবৃন্তক ও পরিবর্তনশীল। পাতাগুলি ফ্যাকাশে সবুজ বর্ণের হইয়া থাকে। জুন হইতে আগষ্ট মাসে এক পার্শ্বস্থ পত্রময় মঞ্জরীতে অনুজ্জ্বল হলুদ বর্ণের ফুল ফুটিয়া থাকে। এই গাছ হইতে গন্ধময় ছড়িবৎ ক্ষরণ ক্ষরিত হয়। এশিয়া, ইউরোপ ও আমেরিকায় রাস্তার পার্শ্বে বালুকাময় ভূমিতে ও আর্দ্রস্থানে ইহারা জন্মিয়া থাকে।

প্রস্তুত প্রণালী:- হেলবেন (বিষ তামাক) নামক উৎপন্ন একপ্রকার নব পলবিত চারা গাছ তাজা অবস্থায় পিথিয়া বস বাহির করিয়া ইহার মূল অরিষ্ট প্রস্তুত হয়। পরে হোমিও ফার্মাকোপীয়ার নিয়মানুসারে শক্তিকৃত করিতে পারে।

 প্রস্তুতের ফরমুলা:- এফ-১।

ক্রিয়াস্থান:- মস্তিষ্ক ও স্নায়ুমণ্ডলীর উপর ইহা ক্রিয়া মুখ্য এবং রক্ত সঞ্চালনকারী যন্ত্রসমূহের উপর ইহার গৌন ক্রিয়া প্রকা পায়। রক্ত প্রধান, হিংসুক, কলহ প্রিয়, যাহারা বেশী কথা বলে এবং ক্রোধ প্রব তাহাদের পক্ষেই হায়োসিয়ামস, বিশেষ উপযোগী।

মানসিক লক্ষণ:- রোগী অত্যন্ত সন্ধিগ্ধচিত্ত অত্যধিক প্রফুলতা। রোগী অজ্ঞানভাবে থাকিয়া যাহারা নিকটে নাই বা কখনও আসে নাই তাহাদিগকে দেখিতে পায় এইরূপ মনে করে। কেহ বিষ প্রয়োগ করিবে, কেহ তাহার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করিতেছে সর্বদাই এইরূপ সন্দেহ। একেল থাকিতে ভয় হয়। রোগী নানা প্রকার খেয়াল দেখে। মনে করে কেহ শত্রুভাবে আসিয়া তাহার জীবন নাশের জন্য ঘুরিয়া বেড়াইতেছে। অর্থ শূন্য কথা বলে ও জোরে হাসে।

চরিত্রগত লক্ষণ:-
১) রোগী অতিশয় সন্দেহ প্রবন । প্রলাপে কখনও রোগী অস্থির হয়, বিছানা হইতে লাফাইয়া উঠে এবং পালাইবার চেষ্টা করে, কখনও বিছানা খোটে, বিছানা হাতড়ায়, বিড়বিড় করিয়া থাকে।
২) দাঁতে ময়লা জমে, জিহ্বা শুষ্ক, অসাড়ে বাহ্য ও প্রস্রাব হয়।
৩) গায়ে কাপড় রাখিতে চায় না। কাপড় দিলে ও ফেলিয়ে দেয়, উলঙ্গ হইয়া থাকে। অশ্রাব্য গান গায় ।
৪) স্বীয় দেহকে (স্ত্রী) অনাবৃত অথবা তাহার যোনীদেশের কাপড় খুলিয়া ফেলিতে বিশেষ তৎপর।
৫) জ্বরের সময় (পুং) জননেন্দ্রিয় লইয়া খেলা করে। অনবরত লিঙ্গে হাত দেয়।
৬) ব্যবসাদি সম্পর্কিত অথবা কোনও বিষয়ে উত্তেজিত হইয়া অনিদ্ৰা ।
৭) উন্মত্ততা - রাগ করে, কামড়ায়, ধমকায়, মারে এবং হত্যা করিতে। 
৮) হিংসা, রাগ কিংবা ভালবাসায় বঞ্চিত হইবার কুফলে কোনও পীড়া।
৮) রাত্রিতে শুইলে প্রবল আক্ষেপিক কাশি, উঠিয়া বসিলে সেই কাশির উপশম ।
১০) প্রসবের পর মূত্রথলীর পক্ষাঘাত, প্রস্রাব বন্ধ কিংবা প্রস্রাবের বেগ ধারনে অক্ষম, প্রস্রাব করিবার আদৌ ইচ্ছা থাকে না।
১১) ঋতু স্রাবের সময় হাতে পায়ে কম্প। 

উন্মত্ততায় লক্ষণ:- উন্মাদ রোগে হায়োসিয়ামসের অধিকার অতি বিস্তীর্ণ । তরুন উন্মাদ রোগ লক্ষণে ইহা বিশেষ উপকারী। প্রেম, বিদ্বেষ বা প্রণয়ে হতাশ। ভালবাসার প্রতিদান না পাইয়া বা নিরাশ হইয়া পাগল হইলে তৎসহ অতিশয় সন্ধিক্ষভাব, কাম ভাব, কামোন্মত্ততায় চুমা খাইতে বা আলিঙ্গন করিতে চার, অশীল কথা বলে ও গুপ্ত অঙ্গের কাপড় খুলিয়া ফেলে, সর্বদা বিড় বিড় করিয়া বকে। অভিমান করে, মনে করে তাহাকে অপমান করা হইয়াছে, আপনজন, স্ত্রী পুত্র কন্যা কাহাকেও বিশ্বাস করে না। রোগী মনে করে বাড়ীর সকলে তাহাকে ঘৃনা করে ও অনিষ্ট করার মতলবে আছে, বিষ খাওয়াইবে সন্দেহে ঔষধ সেবন করে না। রোগী কখনও ঊা কখনও ভীত, কখনও নম্র। ঈর্ষা বশতঃ অন্যের প্রশংসা শুনিতে পারে না। প্রভৃতি লক্ষণে হায়োসিয়ামস বিশেষ কার্যকরী। সুতিকা উন্মাদ রোগেও এই ঔষধ বিশেষ উপযোগী ।
ট্রামোনিয়াম- অত্যন্ত ক্রোধ সহ উন্মত্ততা ও সেই সঙ্গে পর্যায়ক্রমে মারধর করিবার বা কামড়াইবার ইচ্ছা। রোগী ভূত প্রেতের সহিত কথা বলে, বক্তৃতা করে ও ভক্তিভরে উপসনা করে। অবিরাম আবোল তাবোল প্রলাপ বকে। হাসে, কামোত্তেজনা অত্যন্ত বেশী। ব্র্যামোতে গায়ের কাপড় খুলিবার ইচ্ছা, আর হায়োসিয়ামসে শুধু লিঙ্গের উপরের কাপড় খুলিয়া ফেলিতে চায়। সতীসাধ্বী স্ত্রীলোকও অত্যন্ত কামুক হইয়া কমপূর্ণ গান করেও কুকথা বলে।

টাইফয়েড জ্বরে হায়োসিয়ামসের লক্ষণ এবং ট্র্যামোনিয়াম, ল্যাকেসিস ও ওপিয়ামের সহিত ইহার তুলনা:-
হায়োসিয়ামস- টাইফয়েড জ্বরে বিকারে প্রথম অবস্থায় যখন প্রচণ্ড প্রলাপ থাকে, পরে ক্রমশঃ আচ্ছন্নভাব আসে কিংবা একবার প্রচণ্ড ভাব অর্থাৎ সামনে যাহাকে পায় কামড়ায়, মারে, গাত্রাবরণ ফেলিয়া দেয়, বিছানা হইতে উঠিয়া পালাইতে চেষ্টা করে এবং আচ্ছন্ন ভাবের সহিত বিড় বিড় করে বকে। রোগী আলোক সহ্য করিতে পারে না। হায়োসিয়ামসে বিড় বিড় করিয়া বকা, কাপড় বিছানা খোঁটা, অঘোর ভাবে বোকার মত পড়িয়া থাকার ভাবই অধিক, এবং বেলেডোনায় একঘেঁয়ে রকমের প্রচণ্ডতা ও উদ্ধত ভাবই নির্দিষ্ট। হায়োসিয়ামসের আর একটি বিশেষ লক্ষণ এই যে, রোগী অতি শীঘ্র শীঘ্র অচৈতন্য ও আচ্ছন্ন হইয়া পড়ে, চক্ষু দুইটি খোলা থাকে এবং এদিকে সেদিকে একদৃষ্টে চাহিয়া দেখে। লোকে মনে করে যেন সে কিছু দেখিতেছে কিন্তু বাস্ত বিক তাহা নহে, হাত দিয়া সম্মুখে কি ধরিতে চায়। সেজন্য হাত দুইটি আস্তে আস্তে তোলে এবং নামায়। উপরোক্ত মানসিক লক্ষণ সহ রোগী বোকার মত হাসে, অনেক সময় আবার কিছুক্ষণ চুপ করিয়া থাকে। সেই সময় কোন প্রকার প্রলাপ থাকে না। রোগী নিচের চোয়াল ধরিয়া যায়, দাঁতে ময়লা জমে, জ্ঞান লোপ হয় এবং অসাড়ে বাহ্য প্রস্রাব হয়। স্মরণ রাখা উচিত যে, হায়োসিয়ামসে বিকার ও টাইফয়েড লক্ষণ অতি শীঘ্র আসিয়া পড়ে এবং অতি শীঘ্রই অন লোপ হয়। জিহ্বা মোটা ও ভারী, নাড়িতে পারে না। অনেক ডাকা ডাকির পর রোগী এক আধটু সাড়া দেয়। রোগী উলঙ্গ হইয়া থাকে ও লিঙ্গে বার বার হাত দেয়, অশীলতা পূর্ণ প্রলাপ বকে।

ট্র্যামোনিয়াম:- রোগী মনে করে ঘরের কোন হইতে কিছু তাহার দিকে আসিতেছে। রোগী একাকী এবং অন্ধকারে ভয় পায়। সেজন্য সর্বদাই কাহাকেও তাহার নিকট চায় ও আলোকের কাছে থাকিতে চায়, বিকারে রোগী গান গায়, হাসে, গালাগালি করে, ভক্তি ভরে প্রার্থনা করে, আবার বিছানা হইতে পালাইয়া যাইতে চায়। রোগী বালিশ হইতে মাথা তুলিয়া যেন কিছু দেখে, আবার তখনই মাথা নামায়। কখনও গায়ে প্রচুর ঘাম হয়। বিকারে রোগী হাত পা যেমন নাকে তাহা দেখিতে বেশ সুন্দর ও ভব্যতাযুক্ত।

ল্যাকেসিস:- ল্যাকেসিস ও হায়োসিয়ামসের রোগীর নীচের চোয়াল ধরা ও পেশীর পান থাকে। তবে পেশী সমূহের স্পন্দন হায়োতে যত অধিক ল্যাকেসিসে তত নহে। কিন্তু কাঁপনী ও অবসাদ ল্যাকেসিসে বেশী। ল্যাকেসিসে নিদ্রা আসিলেই পীড়ার বা প্রলাপের বৃদ্ধি ঘটে।

ওপিয়াম:- ইহাতে অঘোর ভাব ও অচৈতন্য ভাব অধিক; অন্য কোনও ঔষধেই ইহার মত এত অথোর ভাব নাই। রোগী চক্ষু দুইটি অর্থ মুদ্রিত করিয়া শিবনের ভাবে পড়িয়া থাকে, মাছি বসিলেও চক্ষুর পাতা নড়ে না, চক্ষুতে যেন জাল পড়িয়া যায়, নিঃশ্বাসের সঙ্গে নাক ডাকে, ঠিক যেন ঘুমাইতেছে । হায়োসিয়ামসের তুলনায় ওপিয়াম এই লক্ষণটি অধিক। বিকারাবস্থায় কখনও অনর্গল বকে, চোখ খোলা থাকে ।

তড়কায় হায়োসিয়ামসের লক্ষণ:- শরীরের প্রত্যেক পেশীর স্পন্দন এমনকি চক্ষু হইতে বুড়ো আঙ্গুলের পেশী পর্যন্ত স্পন্দিত হয়। এই লক্ষণটি সর্বাগ্রে দেখার বিষয়। ইহা ছাড়া মুখভঙ্গি, মুখ ছিটকানো, শিহরিয়া ও চমকাইয়া উঠা, দেহের একদিকের পেশীর স্পন্দন, মুখে ফেনা প্রভৃতি লক্ষণেও ইহা উপকারী। ইহাতে অল্প সময় স্থায়ী পেশীর সংকোচ হয়। হায়োতে প্রথমে একটি হাত, পরে অন্য হাত নড়িয়া উঠে। স্পন্দনে হাত পা নাড়া কোন যুক্ত হইলে সাইকিউটা উপকারী। শিশুদের তড়কা আক্ষেপ, খেঁচুনী, প্রসবের পর খেচুনী, ভয় পাইয়া কখনও শিশুর তড়কা বা ফিট এবং কোনও পীড়ায় মৃগীরোগের মত ফিটে বা গেঁচুনীতে হায়োসিয়ামস বিশেষ উপকারী।

কোরিয়া লক্ষণ:- হায়োতে (হাতের) পেশীর স্পন্দন অত্যন্ত বেশী হইয়া থাকে, সুতরাং কোরিয়ায় উপকার হইবারই কথা। রোগী অতিশয় দুর্ব্বল, চলিতে গেলে পা ঠিক ভাবে পড়ে না যেন কাঁপে এবং দূরের স্থানের দূরত্বকে কম মনে করে। নিকটে আছে মনে করিয়া হাত বাড়ায় ।

নাক মুখ খোঁটা লক্ষণ:- টাইফয়েড করে প্রায়ই দেখিতে পাওয়া যায় যে, মস্তিষ্কের উত্তেজনা বশতঃ রোগী নাক, মুখ, চোখ, ঠোঁট খুঁটিয়া রক্ত বাহির করে, রোগী বিছানা পত্র ও কাপড় খোঁটে। উক্ত লক্ষণে হায়োসিয়ামস উপকারী।

ইউরিমিয়া বা মূত্রনাশ বিকারে লক্ষণ:- ভয় পাইয়া প্রস্রাব বন্ধ হইয়া বা প্রসবের পর প্রস্রাব বন্ধ হইলে হায়োসিয়ামস বিশেষ। উপকারী। টাইফয়েড জ্বরে ও বিকারের সহিত অসাড়ে মূত্র নির্গত হইলে, ঐ মূত্র শুকাইলে লাল গুঁড়া গুঁড়া পদার্থ বিছানায় চাদরে লাগিয়া আছে দেখা গেলেও ইহা কার্যকরী। মূত্রনালীর পক্ষাঘাত। কলেরা পীড়ার ইউরিমিয়া বিকার অবস্থায় যখন রোগী সম্পূর্ণ অজ্ঞানভাবে উলঙ্গ হইয়া পড়িয়া থাকে, মাঝে মাঝে লিঙ্গে হাত দেয় কিংবা লিঙ্গ ধরিয়া টানে, অসাড়ে বেদনাহীন মল ত্যাগ করে, চক্ষুর তারা লাল বর্ণ ও বড় হয়। একদৃষ্টে চাহিয়া থাকে, পলক ফেলে না, জিহ্বা বেশ পরিষ্কার থাকে, দাঁতে ময়লা জমে, পেট ডাকে, মুখ দিয়া ফেনা বাহির হয়, হিকা হয়, মূত্রনালীতে প্রস্রাব জমিয়াও প্রস্রাব নিঃসরণ হয় না অথবা অসাড়ে বিছানায় প্রস্রাব করে, এই অবস্থায় ইহা উপকারী।

কাশি লক্ষণ:- আলজিব বাড়িয়া জিবের গোড়ায় আসিয়া ঝুলিয়া পড়ার জন্য কাশি হয়। স্নায়বিক শুষ্ক কাশি রাত্রিতেই কাশি বাড়ে। শুইলে আরও বাড়ে কিন্তু উঠিয়া বসিলেই ঐ কাশির নিবৃত্তি হয়। রিউমেন্সেও ঐ প্রকার শুষ্ক কাশি, তবে ইহাতে গলার ভিতর সুড় সুড় করিয়া কাশি হয় ও দিনরাত্রি সমানভাবে কাশি হইতে থাকে। যক্ষ্মা কাশি ও হুপিং কাশির শেষাবস্থায় অনেক সময় এই প্রকার কাশি দেখা যায়।

অনিদ্রা লক্ষণ:- শিশুদের অনিদ্রায় ইহা বিশেষ উপযোগী। নিদ্রা আসিলেই শিশুর হাত পা কাঁপিয়া উঠে এবং শিশু চীৎকার করিয়া উঠে। শিহরিয়া উঠে বা ভয় পাইয়া জাগিয়া উঠে। যেখানে অনিদ্রার কোন প্রকৃত কারণ পাওয়া যায় না সেখানে হায়োসিয়ামস উপকারী। নার্ভাস ব্যাক্তিগণের অনিদ্রা, সমস্ত রাত্রি ছটফট করে, শ্বাস প্রশ্বাসে কষ্ট হয়, ঘুমাইতে ঘুমাইতে হঠাৎ লাফাইয়া উঠিয়া পড়ে।

হিকা লক্ষণ:- হিকায় যদি মাথা হইতে পায়ের পেশী পর্যন্ত স্পন্দিত হয় অথবা হিক্কার প্রাবল্যে হাত পা যেন হেঁচকা টানে নড়িয়া উঠে, তাহা হইলে ইহা উপকারী। বিকারে রোগী অজ্ঞান তৎসহ হিক্কা ৷ পেটে কোন অস্ত্রোপচার করার পর হিক্কা হইলে ইহা উপকারী।

গলনালীর লক্ষণ:- শূল বেদনা, মনে হয় যেন তলপেটে ফাটিয়া যাইবে। নাভির নিকটে নিঃশ্বাস গ্রহণের সময় খোঁচা মারা বেদনা, উদর পেশীতে আঘাত লাগার মত বেদনা, পেট কোলা ও পেটে স্পর্শসহিষ্ণু বেদনা। শূল বেদনা সহ বমন, ঢেকুর উঠে। বমনোদ্বেগ সহ শিরোবেদনা। শূলবেদনাসহ বমন, ঢেকুর উঠে। বমনোদ্বেগ সহ শিরোঘূর্ণন। রক্তবমন (পাকস্থলী হইতে) উত্তেজক খাদ্য খাওয়ার পর কুফল। 

হাইড্রোফোবিয়া বা জলাতঙ্ক পীড়া লক্ষণ:- জলাতঙ্ক পীড়া জল দেখিলে রোগী ভয় পায়। পাগল কুকুর কামড়ানোর পর এই পীড়া হইলে হায়োসিয়ামস উপকারী। এনাগেলিস এবং ট্র্যামো ও এই পাড়ার ভাল ঔষধ ।

পক্ষাঘাত লক্ষণ:- কোন কঠিন পীড়ার পর কোন অঙ্গের বা কোন বিশেষ পেশীর পক্ষাঘাত, সেই সঙ্গে সেই অঙ্গ বা সেই পেশীতে অথবা অন্য পেশীতেও স্পন্দন এবং হ্যাঁচকা টানের ভাব।

প্রান্তদেশে লক্ষণ:- রোগী শয্যা খুঁটে, হাত নাড়ায়, শূন্যে কিছু ধরিতে চায় ও হাত বাড়ায়। খিঁচুনী ও আক্ষেপ। পায়ের ডিমে ও পায়ের আঙ্গুল খিল ধরে। নিদ্রা আসিলেই শিশুর হাত পা কাঁপিয়া উঠে। রোগী নাক মুখ খোঁটে। দেহের একদিকের পেশীর স্পন্দন প্রভৃতি লক্ষণে ইহা উপকারী।

উপচয় বা বৃদ্ধি:- ঋতুকালে, আহারের পর, শয়নকালে আক্রান্ত অংশ স্পর্শে, চরিত্রে অবিশ্বাসে । 

উপশম:- বেলেডোনা, ক্যামোমিলা, ভিরেট্রাম, নাতম ।

ক্রিয়ানাশক ঔষধ:- ক্যামো, চায়না, বেল, এসিড এসে, এসিড নাইট ।

ক্রিয়া স্থিতিকাল:- ৬ হইতে ১৪ দিন

শক্তি বা ক্রম:- ৬ হইতে ২০০ শক্তি।




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ