এই ব্লগটি শুধুমাত্র নব্য চিকিৎসক এবং শিক্ষাথীদের
জন্য প্রযোজ্য।
Carbo Vegitalis
– কার্বো ভেজিটেলিস
প্রতিশব্দ : ভেজিটেবল চারকোল, কার্বো, লিগনি, কাষ্ঠ
অঙ্গ, উদ্ভিজ্জ কার্বন।
দেশীয় নাম : কাঠ কয়লা।
উৎস ও বর্ণনা :
বিচ কাঠ হইতে শব্জী অঙ্গার প্রস্তুত হয়। এই কাষ্ঠ জ্বালাইয়া প্রাপ্ত
কয়লা কাল বর্ণের ছিদ্রময় এবং ভঙ্গুর হইয়া থাকে। জ্বালাইবার সময় ইহা হইতে শিথা বাহির
হইতে দেওয়া উচিত নয়। কাঠ কয়লা বিচূর্ণ করিয়া ইহা প্রস্তুত করা হয়।
প্রুভার : মহ্ত্না হ্যানিম্যান ইহা প্রুভ করেন।
ক্রিয়ার স্থান : ইহার প্রদান ক্রিয়া পরিপাক পথের
শ্লৈষ্মিক ঝিল্লীতে। রক্তের উপর ক্রিয়া করিয়া জীবনী শক্তির ও স্নায়ু শক্তি হারাইয়া
ফেলিয়াছে তাহাদের ক্ষেত্রে ইহা কার্যকরি।
মানসিক লক্ষন :
১. রোগীর স্মৃতি শক্তি দুর্বল ও জড়ত্বপূর্ণ।
২. অন্ধকারে রোগী ভুতের ভয়ে চীৎকার করে উঠে।
৩. রোগী খিটখিটে ও রাগী।
৪. রোগী অলস সর্বদা শুইয়া বসিয়া থাকিতে চায়।
চরিত্রগত লক্ষণ :
১. রোগীর পেটে অত্যন্ত বায়ু, মনে হয় পেট পেটে যাবে, কলিক বেদনা, টেকুর উঠিলে
পেট ফোলা একটু কমে।
২. জীবনী শক্তি হ্রাস, নিঃশ্বাস ঠান্ডা, জিহ্বা শীতল, মুখ ফ্যাকাশে ।
৩. দাঁতের গোড়া আলগা হইয়া সামান্যতেই রক্ত বাহির হয়।
৪. দুর্গন্ধ ময় মল বার বার অসাড়ে নির্গত হয় ও জ্বালা করে।
৫. শরীরের কোন অঙ্গে চাপ দিলে সে অঙ্গে ঝিঁ ঝিঁ করে ।
৬. অতিরিক্ত পাখার বাতাস পাইতে চায়।
৭. গ্যাংগ্রীন ও পঁচাক্ষত।
৮. টক, মিষ্টি ও লবন খাওয়ার ইচ্ছা।
প্রয়োগক্ষেত্র :
কলেরা, বদ হজম, স্বরভঙ্গ, স্ফোটক ও ক্ষত, হাঁপানি ও কাশি, টাইফয়েড়, সবিরাম
জ্বর, পেট ফাঁপা, নাসিকা হইতে রক্তস্রাব, দুর্বলতা, ক্যান্সার ও ক্ষত, কোষ্ঠবদ্ধতা,
আমাশয়, শিরঃপীড়া, দন্তের পীড়া, কর্ণের পীড়া, স্ত্রীরোগ, চর্মপীড়া।
কলেরায় লক্ষণ :
রুগী মরার মত পড়ে থাকে, নাড়ী পাওয়া যায় না, জিহ্বা শীতলতা, ঠান্ডা নিশ্বাস,
কনুই হইতে হাত ও হাঁটু হইতে পা পর্যন্ত হিমাঙ্গ, কপালে প্রচুর ঘাম।
বদহজম বা অজীর্ণ
:
রাত্রি জাগরন, মধ্যপান, অতিরিক্ত ইন্দ্রিয় চালনা, নিদ্রাভঙ্গের পর মাথাধরা,
গা বমি বমি, দুগ্ধ খাইলে পেট ফোলে, ঢেঁকুর ও বায়ুতে দুর্গন্ধ থাকে, ইহার সহিত কোষ্ঠবন্ধতা।
কখন কখন প্রাতঃকালীন উদরাময়।
স্ফোটক ও ক্ষত লক্ষণ
:
ক্ষত হইতে অতিশয় দুর্গন্ধযুক্ত পূঁজ নির্গত হয়, সে সাথে অত্যন্ত জ্বালা থাকে,
গ্যাংগ্রীন ও পঁচাক্ষত।
দুর্বলতায় :
শরীরের কোন স্থান হইতে রস রক্ত নির্গত হইয়া, অধিক পরিমাণে গয়ার উঠিয়া অধিক
উদরাময়ে ভূগিয়া, অধিক রতিক্রিয়া করিয়া কিম্বা অধিক হস্তমৈথুন করিয়া দুর্বল ও জীর্ন
শীর্ন হইয়া পড়িলে।
ক্যান্সার ও ক্ষত
:
সকল ক্ষত ও ক্যান্সার উপরের দিকে বিস্তৃত হয়, ক্ষত গভীর হয় না, ক্ষতে রাত্রে
জ্বালা হয় সেজন্য নিদ্রা যাইতে পারে না। রোগী পাখার বাতাস চায়।
দন্তপীড়ায় :
দাঁতের মাড়ীর মাংস সরিয়া গিয়া দাঁতের গোড়া বাহির হইয়া পড়ে, পানসে দাঁত, পরিষ্কার
জন্য দাঁতন করিলেই রক্ত বাহির হয়। ক্রমশঃ দাঁতের গোড়া আলগা হয়, দাঁত পড়িয়া যায়।
কর্ণপীড়া :
রোগী বধির হইয়া যায়, হাম কিম্বা আরক্ত জ্বরের পর কর্ণে পাতলা দুর্গন্ধ পূঁজ
স্রাব ও কর্ণে খোলা হওযায় বধির হইলে।
চর্মপীড়ায় :
চুলকানি, সন্ধ্যায় ও বিছানার গরমে বৃদ্ধি। বার্ধকো পচনশীল ক্ষত যাহা পদাঙ্গুলিতে
আরম্ভ হয়। শয্যায় বহুদিন শয়ন করিবার ফলে ক্ষত, সহজেই রক্তপাত হয়। ক্ষত সহজেই ভাল হইতে
চায় না, তৎসহ জ্বালা বেদনা।
স্ত্রী পীড়ায় :
ঋতুর পূর্বে মানসিক অবসাদ। শ্বেত প্রদর স্রাবে যোনীদেশ হাজিয়া যায় যোনীতে ক্ষত
হয়। অত্যান্ত কুটকুট করে, চুলকায় ও জ্বালা করে। ডান দিকের ডিম্বাকোষে বেদনা ও ভারবোধ,
জরায়ুর মুখে ফোলা, ঋতুস্রাব শীঘ্র শীঘ্র ও পরিমাণে অধিক হয়।
বৃদ্ধি :
আবদ্ধ গৃহে, ভিজা আবহাওয়া যুক্ত গুমট গরমের দিনে, গুরুপাক দ্রব্য সেবনে, আট
করিয়া জামা কাপড় করিলে, সন্ধ্যায় ও রাত্রে খোলা বাতাসে, শয্যা হইতে উঠিলে, আহার কালে,
শরীরে তরল পদার্থ ক্ষয়ের পর, মধ্যপানে, মাংস ও পচামাংস এবং চর্বিযুক্ত খাদ্য ভক্ষণে।
উপশম :
ঢেকুর উঠিলে, পাখার বাতাসে, নির্মল বায়ু সেবনে।
ক্রিয়ানাশক :
আর্সেনিক, ক্যাম্ফার, কফিয়া, ল্যাকেসিস, এম্বাগ্রিসিয়া।
পরবর্তী ঔষধ :
একোনাইট, চায়না, লাইকো, নাক্স, সালফার।
ক্রিয়া স্থিতিকাল
:
৬০ দিন
ক্রম : ৬ হইতে ২০০
শক্তি । ধাতু দোষ পরিবর্তনের জন্য উচ্চ শক্তি ব্যবহার্য।
ডাঃ মহি উদ্দিন
প্রভাষক :- ফেনী হোমিওপ্যাথিক
মেডিকেল কলেজ।
যোগাযোগ
:- ফরাজী হোমিও হল।
সদর হাসপাতাল, উত্তর বিরিঞ্চি রোড় - ফেনী
blog: htth://fhhfeni.blogspot.com
0 মন্তব্যসমূহ