Ledum Paluster - লিডাম প্যালাষ্টার





এই ব্লগটি শুধুমাত্র নব্য চিকিসক এবং শিক্ষাথীদের জন্য প্রযোজ্য।


Ledum Paluster - লিডাম প্যালাষ্টার


প্রতিশব্দ :
ওয়াইন্ড রোজমেরি, মার্শটি, মার্শলিডাম, মার্শ সিস্টাস, এন্থস সাইলভেষ্ট্রিস, লিডাম। 

বর্ণনা :
ইহার কান্ড ২ হইতে ৩ ফুট উঁচু হয়। উপরিভাগ সবুজ ও উজ্জ্বল এবং নীচের ভাগ মরিচা বর্ণের। সাদা অথবা মলিন লাল গোলাপী বর্ণের ফুল এই জাতীয় বৃক্ষে ফুটিয়া থাকে। এই গাছ খুব গন্ধযুক্ত। টাটকা গাছ হইতে ঔষধে ব্যবহৃত হয়। 

স :
উত্তর ইউরোপের জলাভূমি, এশিয়ায় এই গাছগুলি পাওয়া যায়। 

প্রুভার :
 ডাঃ হ্যানিম্যান ও ডাঃ টেষ্টি ইহা প্রুভ করেন। 

প্রস্তুত প্রনালী :
টাটকা গাছড়া হইতে সুরাসার সহযোগে ইহার মূল অরিষ্ট প্রস্তুত হয়। ২x এবং উচ্চ শক্তি পরিশ্রুত সুরাসারের সহিত প্রয়োগ হয়। 

ক্রিয়াস্থান :
শ্লৈষ্মিক ঝিল্লী, মস্তিষ্ক, চর্ম এবং অস্থির উপর ইহা ক্রিয়া করিয়া থাকে। 

চারিত্রগত লক্ষণ :
১. চক্ষুতে কনকনানি ছানি
২. সন্ধিবাত
৩. ভ্রমণকালে মাথাঘোরানি আরম্ভ হয়, একদিকে পড়িয়া যাইবার প্রবণতা।
৪. সর্বদাই শরীরে ঠান্ডা ও শীত অনুভব করে।
৫. আক্রান্ত অংশে হাত দিয়ে দেখিলে ঠান্ডা বোধ হয়।
৬. বাত অথবা গেঁটে বাত নিম্নদিক থেকে আরম্ভ হইয়া ক্রমশঃ উপরের দিকে পরিচালিত হয়।
৭. ডান উরুর সন্ধি আক্রান্ত, আক্রান্ত স্থান সরু হইয়া যায়।
৮. পা ও পায়ের গোড়ালি সামান্যতেই মচকাইয়া যায়।
৯. চক্ষুতে আঘাতের জন্য কালশিরা।
১০. মদ্যপানে করিলে সকল পীড়ার লক্ষনের বৃদ্ধি পায় ।
১১. কোন স্থানের হাড় আহত হইয়া অনেক দিন পর্যন্ত জোড়া না লাগিলে কাল, নীলবর্ণ বা সবুজ বর্ণ হওয়া।
১২. হাতে বা পায়ে পেরেগ বা গজাল ফুটিবার পর ব্যথা ও ক্ষত।
১৩. পায়ের তলায় চুলকানি।
১৪. বাতাক্রান্ত বা ব্যথা – বেদনার স্থান খুব শীতল বা বরফ জলে ডুবাইলে যন্ত্রনার উপশম। 

 প্রয়োগক্ষেত্র :
বাত, পুরাতন বাত, আঘাতজনিত বেদনা। ইঁদুরের, বোলতা, ভিমরুল প্রভৃতির দংশন, রক্তস্রাব, চক্ষুর পীড়া, চর্মপীড়া।

বাত পীড়া :
বাত বেদনা বিশেষত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সন্ধিগুলিতে আক্রমন করে। যন্ত্রনা রাত্রিতে বিছানার গরমে, সন্ধ্যা হইতে মধ্যরাত্রি পর্যন্ত ও তাপ পয়োগে বৃদ্ধি, ঠান্ডা প্রয়োগে উপশম হয়। বেদনা খোঁচামারা, দপ দপ করে এবং সামান্য নড়াচড়ায় বৃদ্ধি হয়। পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলির নিম্নভাগ ও পায়ের তলা বেদনা দায়ক, ভর দিয়ে চলিতে পারেনা। বেদনা নিম্ন দিকে থেকে উপরের দিকে পরিচালিত হয়। 

আঘাত জনিত বেদনা :
 যে কোন আঘাত হেতু নীল বা কালশিরা পড়িলে, কোন স্থানে কাঁটা, খোঁচা, সূঁচ, পেরেক বা গলাল ফুটিয়া আঘাত বা আহত হইলে। ইঁদুর, বোলতা, ভিমরুল, মশক প্রভৃতির দংশনেও লিডাম ব্যবহার্য। 

চর্মপীড়ায় :
পায়ের তলায় ও গোড়ালির প্রবল চুলকানি, বিছানার গরমে বৃদ্ধি হয়। মশার দংশনের পর চুলকানির সৃষ্টি হয়। মদ্যপায়ীদের চর্মপীড়া। 

রক্তস্রাবে :
বতগ্রস্ত ও মাতালদের মুখ দিয়ে রক্ত উঠিলে, রক্তের বর্ণ ঘোর লাল হয় তাহার সঙ্গে ফেনা থাকে। জরায়ুর অর্বুদ হইয়া রক্তস্রাব হইলে। 

শ্বাসপীড়ায় :
শ্বাস যন্ত্রের পীড়ায় কাশির সহিত রক্ত উঠা, শ্বাসকষ্ট, বতসহ রক্ত কাশি, হুপিং কাশিতে আক্ষেপ।

বৃদ্ধি :
রাত্রে, সুরাপানে, উত্তাপে, নড়াচড়ায়, বস্ত্রাবৃত করিলে। 

উপশম :
ঠান্ডা জলে পা ডুবাইলে, ঠান্ডায়, মাথা খুলিয়া রাখিলে, বিশ্রামে ও স্হির হইয়া থাকিলে। 

পরবর্তী ঔষধ :
সালফিউরিক এসিড, সালফার, চেলিডোনিয়াম, নাক্স, একোনাইট, বেলেডোনা, ব্রায়োনিয়া, রাসট্রক্স, পালসেটিলা, হাইপেরিকাম, এপিস, রুটা, আর্নিকা।

ক্রিয়ানাশক : ক্যাম্ফার। 

ক্রিয়াস্থিতিকাল : ২৫ দিন।

ক্রাম : ৬ হইতে ২০০ শক্তি।





ডাঃ মহি উদ্দিন
প্রভাষক :- ফেনী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ।
যোগাযোগ :- ফরাজী হোমিও হল।
সদর হাসপাতাল, উত্তর বিরিঞ্চি রোড় - ফেনী
মোবাইল : ০১৮১৪-৩১ ৯০ ৩৩।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ