এই
ব্লগটি
শুধুমাত্র
নব্য
চিকিৎসক
এবং
শিক্ষার্থীদের
জন্য
প্রযোজ্য
।
China – চায়না
সমজাতীয়
ও বৈজ্ঞানিক নাম
১. সিঙ্কোনা অফিসিন্যালিস
২. সিঙ্কোনা ক্যালিসিয়া
৩. সিঙ্কোনা কডিফোলিয়া
৪. সিঙ্কোনা ফ্লাভা
৫. কুইন কুইনা
৬. জেসুইস বার্ক
৭.
পেরুভিয়ান বার্ক
প্রুভার
১৭৯০ সালে স্যামুয়েল হ্যানিম্যান তার নিজের উপর সিঙ্কোনা ছালের গুনাগুন পরিক্ষা
করেন।
প্রাপ্তিস্থান
ভারতের নিলগিরি, সিকিম, এবং পশ্চিম বঙ্গ। দক্ষিন ভারতের কাঠমুন্ডু আসামের খাসিয়া
ও জয়ন্তিয়া পাহাড়ে, মধ্য ভারতের সাতপুরা এলাকা ও বার্সার কেরাণ পাহাগে এই সকল গাছড়ার
চাষ করা হইয়া থাকে।
উৎস
সিঙ্কোনা গাছ এই ঔষধ প্রস্তুত হয়। গাছের শাখা-প্রশাখা, কান্ড এবং মূল হইতে সিঙ্কোনা
ছাল সংগ্রহ করা হয়। এই গাছ বিভিন্ন জাতীয় হইতে পারে। এই গাছ গুলো ৬০ হইতে ৮০ ফুট উঁচু
হয়ে থাকে।
ধাতু প্রকৃতি
বলিষ্ট ব্যক্তি অথবা এক সময় সবল ছিল কিন্তু অতিরিক্ত রক্তস্রাব, মৈথুনের ফল,
স্বপ্নদোষের ফলে, শুক্রক্ষরণ, প্রদরস্রাব, লালাস্রাব, মলস্রাব, পুঁজস্রাব, স্থন্যদান
ইত্যাদির ফলে শরীর হইতে তরল পদার্থের ক্ষয় দুর্বল হয়ে পড়িয়াছে।
ক্রিয়াস্থান
সমস্ত স্নায়ুমন্ডলীর উপর, লিভার,
পাকাশয়, রক্তে বিশেষ ক্রিয়া।
মানসিক লক্ষণ
মেজাজ খিটখিটে, বিষর্ম, বিরক্ত
এবং উদাসীন।
বাচিঁয়া থাকিতে ইচ্ছা নাই, কিন্তু
আত্নহত্যার সহসের অভাব।
রাত্রিকালে শুয়ে শুয়ে আকাশ কুসুম
চিন্তা।
সমান্য স্পর্শে অসহ্য, জোরে চাপে
উপশম।
দুধ
পানে পেটে গন্ডগোল।
চরিত্রগত লক্ষণ
শরীর হতে তরল পদার্থের ক্ষয়ের
ফলে নানা রকম দুর্বলতা ও পীড়া।
নেশা জাতীয় দ্রব্যর গন্ধ সহ্য করিতে পারেনা।
ক্ষুদা থাকার সত্ত্বেও খাইতে পারেনা,
সব খাদ্য তিতা মনে হয়।
মুখের চেহারা মলিন থাকবে, চোখ
বসে যাবে, দেখতে মরার মত।
মৈথুনের ফলে বা স্বপ্নদোষের ফলে
শুক্রপাত জনিত দুর্বলতা।
সবিরাম জ্বর-শীত, উত্তাপ এবং ঘর্ম-এই
তিনটি লক্ষন স্পর্ষ্ট।
দিনের শেষে দিকে রোগলক্ষন বাড়ে।
নিদ্রায় তৃপ্তি নাই, রাত ৩ টার
পর লক্ষণ বৃদ্ধি।
প্রয়োগক্ষেত্র
রক্তহীনতা, রক্তস্রাব, দুর্বলতা, অজীর্ন,
উদারাময়, কামলা বা ন্যাবা, শ্বাসযন্ত্রর পীড়া, শিরঃপীড়া, জ্বর, স্বপ্নদোষ, দন্ত ও চক্ষুর
পীড়া, স্ত্রীরোগ।
রক্তস্রাব
শরীলের যে কোন স্থান হইতে রক্তস্রাব হইলে। অতিরিক্ত পরিমানে রক্তস্রাব হয়ে রোগী ফ্যাকাশে ও দুর্বল হইয়া পড়ে। সমস্ত শরীল ঠান্ডা হইয়া যায়। গর্ভস্রাবের পর অতিরিক্ত রক্তস্রাব হইলে, রক্তস্রাবের পর মাথাঘোরা থাকিলে।
দন্তপীড়া
দাঁত আলগা হইয়া যায়, মাড়ি ফুলিয়া উঠে। মনে হয় যেন দাঁত গুলো লম্ভা হয়ে গেছে। দাাঁত ও মাড়ি হইতে রক্তস্রাব, দাঁত কালো ও দুর্গন্ধযুক্ত।
চক্ষুপীড়া
অধীক পরিমানে কুইনাইন সেবনজনিত চক্ষুতে অন্ধকার দেখা। রক্ত, বীর্য প্রভৃতি শরীরের পদার্থের ক্ষয় হেতু অন্ধকার, দৃষ্টিহীনতা, রাতকানা, চক্ষুর পাতা যন্ত্রনাদায়ক বেদনা।
লক্ষণ
বৃদ্ধি
অল্প স্পর্শে,
বায়ু প্রবাহে, একদিন অন্তর, তরল পদার্থের ক্ষয়ে, রাত্রে, আহারের ফলে, সামনের দিকে ঝুঁকলে।
লক্ষণ
উপশম
উপড় হিইলে,
দাঁতে ও মাথায় জোরে চাপ দিলে, মুক্ত বাতাসে এবং উত্তপে।
ক্রিয়ানাশক
ফেরাম মেট,
আর্সেনিক, সালফার, বেলেডোনা, ন্যাকেসিস, মার্কসল, পালসেটিলা।
ক্রিয়াকাল
ক্রিয়া – ২১
দিন।
ডাঃ মোঃ মহি উদ্দিন
প্রভাষক:- ফেনী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ।
যোগাযোগ:- ফরাজী হোমিও হল
সদর হসপাতাল মোড়, উত্তর বিরিঞ্চি রোড়-ফেনী।
1 মন্তব্যসমূহ
Good information
উত্তরমুছুন