Dementia - স্মৃতিভ্রংশ
ডিমেনশিয়া কী?
কিছু কিছু রোগ
আছে যা আমাদের মস্তিষ্ককে ঠিকমত কাজ করা থেকে বিরত রাখে। যখন কারো এরকম রোগ হয়ে
থাকে, তাদের কোন কিছু মনে রাখা,
চিন্তা করা ও সঠিক কথা
বলা নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। তারা এমন কিছু বলতে বা করতে পারে যা অন্যদের কাছে
অদ্ভূত মনে হতে পারে, এবং তাদের জন্য
দৈনন্দিন কাজ করা কষ্টকর হয়ে উঠতে পারে। পূর্বে তারা যেমন ছিল তেমন তারা নাও থাকতে
পারে।এককথায় স্মৃতিতে কাজ না করা স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে যাওয়া।
আমাদের মস্তিষ্ক আমরা যা চিন্তা, অনুভব, বলি ও করি তার প্রায় সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এটি আমাদের স্মৃতিগুলোও সংরক্ষণ করে থাকে।
আমাদের মস্তিষ্ক আমরা যা চিন্তা, অনুভব, বলি ও করি তার প্রায় সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এটি আমাদের স্মৃতিগুলোও সংরক্ষণ করে থাকে।
বর্তমানে বিশ্বে
পাঁচ কোটি লোক ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত। ২০৫০ সাল নাগাদ এ সংখ্যা ১৫ কোটি ছাড়িয়ে যাবে বলে দারনা করা হচ্ছে। দেশে
ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ১০ লাখেরও বেশি বলে ধারণা করা হয়।
এটি কেন হয়ে থাকে?
ডিমেনশিয়া এক
ধরনের রোগ। বিশেষ করে যাদের বয়স ৬৫ পার হয়েছে, এমন ব্যক্তিদের বেশি হয়ে থাকে। বয়স বাড়ার সাথে
সাথে সবার ডিমেনশিয়া হয়ে থাকে এমনটা কিন্তু নয়। এটি বিভিন্ন রোগের কারণে হয়ে থাকে। এ রোগ আক্রান্ত
ব্যক্তিরা সাধারণত কিছু মনে রাখতে পারেন না।
আমরা সবাই মাঝে
মাঝে বিভিন্ন জিনিস ভুলে যাই, যেমন কোথায়
আমাদের চাবি রেখে এসেছি। এটার মানে এই নয় যে আমাদের সবার ডিমেনশিয়া আছে।
ডিমেনশিয়ার লক্ষণগুলো ধীরে ধীরে খারাপ হতে থাকে যার ফলে দৈনন্দিন জীবন বাধাগ্রস্ত
হয়ে থাকে।
লক্ষণ:-
যখন কারো ডিমেনশিয়া শুরু হয়, তখন নিম্নোক্ত জিনিসগুলো প্রকাশ পেতে থাকে:
অল্প সময়ের মধ্যে
একই প্রশ্নের পুনরাবৃত্তি করা।
জিনিসপত্র ভুল
স্থানে রাখা।
মনযোগ ধরে রাখা
বা সরল সিদ্ধান্ত গ্রহণ কঠিন হয়ে উঠা।
দিনের তারিখ বা
সময় সম্পর্কে নিশ্চিত না হওয়া।
হারিয়ে যাওয়া,
বিশেষ করে নতুন নতুন
স্থানে।
সঠিক শব্দ
ব্যবহার বা অন্যদের কথা বুঝতে অসুবিধা হওয়া।
অনুভূতিতে
পরিবর্তন, যেমন সহজে বিমর্ষ
ও মর্মাহত হয়ে পড়া, বা কোন কিছুর
প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলা।
ডিমেনশিয়া খারাপের
দিকে যেতে থাকলে রোগীর জন্য স্পষ্ট করে কথা বলা ও তার প্রয়োজন বা অনুভূতি সম্পর্কে
কাউকে জানানো কষ্টকর হয়ে পড়ে। তাদের জন্য নিজে থেকে খাওয়া ও পান করা, কোন কিছু ধোয়া ও পোশাক পরা এবং অন্যদের সাহায্য
ছাড়া শৌচাগারে যাওয়া কঠিন হয়ে উঠতে পারে।
এসব বিভিন্ন
সমস্যা বর্ণনা করতে চিকিৎসকেরা ডিমেনশিয়া শব্দটি ব্যবহার করে থাকে।
বয়স বাড়ার সাথে
সাথে সবার ডিমেনশিয়া হয়ে থাকে এমনটা কিন্তু নয়।
এসব রোগ
মস্তিষ্কের ভিন্ন ভিন্ন অংশকে প্রভাবিত করে থাকে, তাই এগুলো রোগীদেরকে ভিন্ন ভিন্নভাবে
ক্ষতিগ্রস্ত করে থাকে।
চিকিৎসা:-
এই পর্যন্ত সকল
চিকিৎসাশাস্ত্র মতে বলা হচ্ছে যে ডিমেনশিয়া রোগের কোন চিকিৎসা এখনো আবিষ্কার
হয়নি। তবে হোমিওপ্যাথিতে এই রোগটির সুন্দর চিকিৎসা আছে। কারণ
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা হচ্ছে লক্ষণ ভিত্তিক চিকিৎসা তাই ডিমেনশিয়া রোগটির যেই লক্ষণগুলি
আছে সেই লক্ষন উপর চিকিৎসা করলে ইনশাআল্লাহ সম্পূর্ণ সুস্থ হতে পারে।
ধাতুগত লক্ষন:-
অনোসমোডিয়াম - মোবাইল, কম্পিউটার, টেলিভেশন দেখে স্মরণশক্তি লোপ হয়।
প্লামবাম মেট - স্মরণশক্তি লোপ কিম্বা দুবলতা, প্রকৃত কথা স্মরণ করিতে অক্ষম, পূবের কি কথা এখন বলবে তা বলতে পারে না।
এনাকাডিয়াম - কিছুই স্মরণ থাকেনা, এইমাত্র বলিয়া ছিল, পরমুহুতেই ভূলিয়া যায়, বৃদ্ধদের ও দুবলকর পীড়া ভোগার পর এবং যুবক ও যুবতীদের স্মৃতিশক্তি হ্রাস হয়।
আজেন্টাম মেট - কথা বলতে বলতে ভূলে যায়, চুপ করে থাকে, নিজেকে প্রকৃত বয়সের চেয়ে অধিক বয়ষ্ক মনে করে।
রিউমেক্স - জরায়ুতে সুড়সুড়ি বা একটু স্পশেই কামপ্রবৃদ্ধি নারীকে জাগিয়ে তোলে, সময়ে সময়ে যৌন উত্তেজনা অধিক হওয়ার কারণে তার জ্ঞানবুদ্ধি লোপ পায় অথবা যে কোন উপায়ে বিয্যেস্থলনে বা হস্তমৈথুনে বাধ্য হয় স্মৃতিশক্তি হ্রাস হয়।
অন্যান্য ঔষধ সমুহ :-
নাক্স, একোনাইট, ল্যাকেসিস, নেট্রাম মিউর, সালফার, এনাকাডিয়াম,
থুজা, সিপিলিনাম, টিউবারকুলিনাম, মেডোরিনাম, বেলেডোনা, কেলি ফস, লাইকোপোডিয়া, কোলচিকাম,
এ্যাব্রোমা আগষ্ট, আরো
অনেকে ঔষধ আছে।
1 মন্তব্যসমূহ
আলহামদুলিল্লাহ অত্যন্ত তথ্যবহুল আলোচনা।
উত্তরমুছুন