GRAPHITIES - গ্রাফাইটিস
এই ব্লগটি শুধুমাত্র নব্য চিকিৎসক এবং শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য ।
প্রতিশব্দ
:-
ব্লক
লেড , কালসীসা , সূৰ্মা , কার্বো মিনেরালিস , গ্রাফাইটিস ।
উৎস
:-
ইহা একটি খনিজ অংগার ।
বর্ণনা
:-
বিশুদ্ধ
জাতীয় গ্রাফাইটিস ইংল্যাণ্ডের বরোডল খনিতে ইহা পাওয়া যায় । ইহা একটি
কাল ধূসর বর্ণের , দীপ্তিময় নরম পদার্থ, কোন গন্ধ নাই ।
প্রস্তুত
প্রণালী :-
প্রস্তুত
প্রণালী ও ব্ল্যাক লেড
অর্থাৎ কাল সীসার বিচর্ণ হইতে এই ঔষধ প্রস্তুত
হয় । প্রথমে উহাকে
চূর্ণ করিয়া পরে তরলক্রমে ঔষধ । প্রস্তুত করিতে
হয় ।
আবিষ্কার
: -
ডাঃ
হ্যানিমান ইহা আবিষ্কার করেন ।
ধাতুপ্রকৃতি
:-
ক্রিয়াস্থান
: -
চর্মের
উপরই ইহার প্রধান ক্রিয়া দেখিতে পাওয়া যায় । পরিপাকযন্ত্র , অন্ত্রসমূহের
শ্লৈষ্মিক ঝিল্লী , গ্রন্থি , কর্ণ , মূত্রনালী , স্ত্রীলোকদের জরায়ুর উপর ইহার ক্রিয়া দৃষ্ট হয় । গৌরবর্ণ
মোটাসোটা লোক । স্থুলকায় স্ত্রীলোক , যাহাদের চর্মরোগ হইবার প্রবণতা ও কোষ্ঠবদ্ধের ধাতু
তাহাদের ক্ষেত্রেই গ্রাফাইটিস উত্তম ক্রিয়াশীল ।
মানসিক
লক্ষণ :-
মানসিক
দিক দিয়া ইহার রোগী সর্বদাই আশংকাপূর্ণ , ব্যাকুল , সর্বদাই বিষণ ও সংশয়াপন্ন ।
সর্ব সময়ের জন্য একটি অহেতুক অমঙ্গল সংঘটিত হইবার আশংকায় মনটি ইহার সর্বদাই চঞ্চল থাকে । মোটকথা বিষন্নতা
ও নৈরাশ্যে মনটি নানা দুশ্চিন্তায় । কোনও বিষয়ে
স্থির সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া ইহার রোগীর অসম্ভব ব্যপার । কোনও পুস্তক
পাঠ করিয়া উহার অর্থ উপলব্ধি করিতে বা একটি পত্র
লিখিতে অনেক সময়ের প্রয়োজন হয় । চিঠিখানি হয়ত
বারবার খুলিয়া পড়ে , ঘরে তালা দিয়া পুনরায় আসিয়া দেখিয়া যায় । নিজ চিন্তাধারা
ও কর্ম পদ্ধতিতে আত্মনির্ভরতার অভাব । গ্রাফাইটিসের রোগী
ক্রন্দনশীল এবং গীতবাদ্য শ্রবণে বিষণ্ণতাপূর্ণ ভাবাবেগের উদয় হইতে দেখা যায় । মাঝে মাঝে
নৈরাশ্যের আতিশয্যে আত্মহত্যার ইচ্ছা । দেখা দেয়
কিন্তু তাহাতে অতিশয় ভীতি থাকায় উহা কার্যত সম্পাদন করিতে পারে । রোগী কোন
কার্যে নিযুক্ত থাকিলেও হাত পা নাচায় ।
১. ইহার রোগীর
পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে কোন বিবেচনা বোধই থাকে না। কিভাবে
পরিচ্ছন্ন থাকিতে হয় সেই বিষয়ে সম্পূর্ণ অঙ্গ ।
২. রোগী
শীতকাতর , কিন্তু রক্তোচ্ছ্বাসের অনুভূতির সময় গরম কাতর । আর সহ্য
করিতে পারে না । কি
গরম কি ঠাণ্ডা কোনও
প্রকার বাতাস চায় তবে উদ্মপথে রক্তোচ্ছাসজনিত উত্তাপের উপশম কল্পে সে ঐ সময়
শুধু মুক্ত বাতাস চায় ।
৩. রোগী গৌরবর্ণ , স্থুলদেহ ও মেদপূর্ণ, শরীর
মোটাসোটা আছে বা মোটাসোটা হইতেছে
অথবা পূর্বে মোটাসোটা ছিল ।
৪. শিশু অত্যন্ত নির্লজ্জ বেহায়া , অতিশয় বিরক্ত করে , তিরস্কার করিলেও তও নকরিতে বিরত
হয় না বরং হাসিয়া
উঠে । শিশুর একজিমা
ও চর্মরোগ , তাহা হইতে মধুর ন্যয় রস ঝরে ।
৫. গাত্রচর্ম দেখিতে
অস্বাস্থ্যকর , পূজ
হয় , পুরাতন ক্ষত পাকিয়া উঠে ।
৬. কাটাফাটা চর্ম
কিংবা দেপিতে কাউর গায়ের ন্যায় । তাহা হইতে
চটচটে রস
নির্গত হয় । চোখের পাতায়
একজিমা , পাতা লালবর্ণ , পাতার ধারগুলি মাছের আঁশের মত পদার্থ জমা
কিংবা মামড়ি পড়া ।
৭. মাথার উপর কোনও এক গোলাকার সীমাবদ্ধ
স্থানে জ্বালা ।
৮. কোষ্ঠবদ্ধতা , মল
খুব শক্ত , মল নিঃসরণে কষ্ট
হয়। বাহ্যের পর মলদ্বারে ক্ষতের
ন্যায় টাটানি ।
৯. হাতের ও
পায়ের আঙ্গুলের নখের অস্বাভাবিক বিকৃতি বা বৃদ্ধি , কখন
নখ অনিয়মিত বাড়ে , পুরু হয় , আবার কখনও ফাটা ফাটা দাগ হইয়া ক্ৰমশঃ নখ নষ্ট হয়
।
১০. অতিরিক্ত
রতিক্রিয়া কিংবা শুক্র ক্ষয়ের নিমিত্ত জননেন্দ্রিয়ের দুর্বলতা ।
১১. পুরুষ
সহবাসে অনিহা , ঋতু বিলম্বে প্রকাশিত হয় । ঋতুর পূর্বে
ও পরে প্রদর স্রাব , হাজারিক স্রাব দিনরাত্রি নির্গত হয় ।
১২. মাথায় ও মুখে হুলফোটান
বেদনা ও জ্বালা ।
পীড়া ডানদিকে আরম্ভ হইয়া বামদিকে যায় ।
১৩.
মাছ , মাংস , সঙ্গীত ও সঙ্গমে বিতৃষ্ণা
।
ধাতুগত
লক্ষণ :-
যে
সকল মোটাসোটা ( থলথলে ) ও ফর্সা এবং
শীতকাতুরে স্ত্রীলোকদের কোষ্ঠবদ্ধতার ধাত ও যাহাদের দেরীতে
ঋতুস্রাব হয় , তাহাদের পাড়ায় ইহা উপযোগী । ক্যালকেরিয়া কার্ব
যেমন মোটা সোটা শিশুদের পক্ষে উপযোগী , গ্রাফাইটিস তেমনই মোটা সেটা বয়স্কা স্ত্রীলোকদের
পক্ষে উপযোগী ।
প্রয়োগক্ষেত্র
:-
চর্মপীডা , চক্ষুর পীড়া , জরায়ুর ক্যানসার , শ্বেতপ্রদর , ডিম্বাশয়ের পীড়া , স্থনের পীড়া , ক্লোরোসিস , পুং জননেন্দ্রিয় পাড়া , পাকাশয়ের পীড়া , অজীর্ণ , অশ , ভগন্দর , কর্ণপীড়া
, বধিরতা , স্বরভঙ্গ , কাশি , সবিরাম জ্বর , লিভারের বিবৃদ্ধি , মেদরোগ , কোষ্ঠকাঠিন্য , টিকার
কুল প্রভৃতি ক্ষেত্রে ইহা
ব্যবহৃত হয় ।
প্রাফাইটিসের
সহিত সোরিণাম, নেট্রাম
মিউর ও পেট্রোলিয়ামের
চর্মপীড়ার লক্ষণের তুলনা।
প্রাফাইটিস
:–
প্রাফাইটিসের
চর্ম অধিকাংশ সময়ে ঘর্মবিহীন । যদি কোন সময়ে সামান্য ঘাম হয় তবে তাহা দুর্গন্ধযুক্ত কিন্তু
পদতলে । প্রাফাইটিসের চর্মপীড়াগুলি সাধারণতঃ কানের পিছনে , হাতের তালু , কনুই , জননেন্দ্রিয় প্রভৃতির সংযোগ স্থলে ও গুহ্য প্রদেশে
বেশ মোটা মোটা রস ও পূজপূর্ণ
ফুস্কুড়ি আকারে দেখা যায় । মাথার উপরিভাগে
ও পশ্চাতে , গালে , চক্ষুতে , লিঙ্গ প্রদেশেও এই একজিমা দেখা
দেয় এবং তাহা হইতে মধুর ন্যায় গাঢ় যাব নিঃসত হয় । শীতকালেও ঠাণ্ডাতেই ইহার চর্মপীড়ার বৃদ্ধি ঘটে এবং উহা হইতে ঘন আঠাল দুর্গন্ধযুক্ত
পুজাৰ হইতে থাকে । আক্রান্ত স্থান
ফাটিয়া যায় কিন্তু তাহাতে বেদনা বিশেষ কিছু থাকে । দেহে সামান্য ক্ষত হইলেও উহাতে পুঁজ হয় , পুরাতন ক্ষত চিহ্নসমূহ পুনরায় পূজপূর্ণ ক্ষতে পরিণত হয় । ইহার চর্মপীড়ার
প্রবণতা এত বেশী যে
, সমগ্র দেহটিতে রং বেরং এর
নানা প্রকার চর্মপীড়ার চিহ্ন দেখা যায় ।
নেট্রাম
মিউর :-
নেট্রাম মিউর - দাড়িতে একজিমা , ক্ষৌরকুণ্ড , সন্ধির ভাঁজে ‘ হস্তপদাদির ভঁজে
, হাঁটুর ভাজে । একজিমায় রস
পড়ে , অত্যন্ত চুলকায় ।
পেট্রোলিয়াম
:-
পেট্রোলিয়াম
- ইহার চর্মপীড়া বেদনাপূর্ণ । প্রথমদিকে পূজ
পরিমাণে অল্প ও পাতলা থাকে
কিন্তু উহা ক্রমে যতই আঠাল ও গাঢ় হইতে
থাকে ততই দুর্গন্ধযুক্ত হইতে থাকে । ইহার ইরাপসান
ও একজিমা অনেকটা গ্রাফাইটিসের ন্যায় । কর্ণের পশ্চাতেই
অধিক হয় । মাথায় উদ্ভেদ
থাকে । শীতকালে ইহার
উদ্ভেদসমূহ বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয় এবং গ্রীষ্মকালে আপনিই কমিয়া যায় । গ্রাফাইটিসে ইরাপসান
হার্পিসের ন্যায় , পেট্রোলিয়ামে একজিমার ন্যায় ।
সরিনাম
:-
নানা
আকারের এবং নানা বর্ণের চর্মপীড়া ইহাতে দেখা যায়। নানা প্রকার বর্ণ বৈচিত্রের মধ্য দিয়া কোথাও বা গাঢ় বা
পাতলা পঁচা গন্ধযুক্ত পূজে পরিপূর্ণ , আবার কোথাও বা একেবারে শুষ্ক
প্রকৃতির অথচ দুর্গন্ধযুক্ত - কোনও কোনও ক্ষেত্রে উদ্ভেদগুলি অসংলগ্ন । আবার ক্ষেত্রবিশেষে
দলবদ্ধ আকারে বিকশিত থাকিতেও দেখা যায় । ইহার চর্মপীড়ার
বৃদ্ধি যদিও শীতকালে তথাপি সমগ্র রোগী হিসাবে ইহার বৃদ্ধিও যে কোনও প্রকার
ভিজা বা শুষ্ক জাতীয়
ঠাণ্ডায় এবং আবহাওয়া পরিবর্তনে লক্ষ্য করা যায় । চর্মপীড়ায় চুলকাইতে
চুলকাইতে রক্ত বাহির হইলেও চুলকানির নিবৃত্তি হয় না । অনেক
সময় কোন প্রকার উদ্ভেদ ছাড়াই প্রবল চুলকানি , রোগীর শরীর হইতে দুর্গন্ধ বাহির হয় । রোগী নিজেও
গন্ধ পায় । চর্মপীড়া চাপা
দেওয়া হইলে কষ্টকর শ্বাস প্রশ্বাস যুক্ত হাঁপানির আবির্ভাব হয় ।
গ্রাফাইটিসের
লক্ষণ:-
ফিউলা
ধাতুজনিত চক্ষু প্রদাহে । যখন কর্ণিয়াতে
( স্বচ্ছতুক ) প্রায়ই অগভীর ক্ষত হয় অথবা প্রদাহ উপস্থিত হয় , চক্ষুর পাতার ধারগুলি পুরু হয় এবং সেই পুরুস্থানের
উপর মামড়ি থাকে , চক্ষু কখনও জুড়িয়া যায় , কখনও যায় না , তখন ইহা উপকারী। চক্ষুর পাতার ধারগুলি ফাটিয়া যায় , সেখান হইতে রক্তপাত হয় । দৃষ্টি
শক্তির গোলমাল - এক অক্ষর দুইবার
দেখে মনে হয়, অক্ষরগুলি নড়িয়া চড়িয়া বেড়ায় । সেজন্য
চক্ষু হইতে জল, পড়ে ও চক্ষু জ্বালা
করে । অনেক সময়
চক্ষুর জলের সহিত পূজ মিশ্রিত থাকে । এই পূজ
পাতলা এবং যে স্থানে লাগে
তথায় হাজিয়া যায় । সেই সঙ্গে
যদি নাসিকা রন্ধ্রের চারিদিকেও ফাটিয়া যায় এবং সেখানে মামড়ি পড়ে এবং নাসিকা দিয়াও হাজাকারক স্রাব নির্গত হয়।
স্ত্রীপীড়ায়:-
ইহার
রোগিনী সুন্দরী , গৌরবর্ণা , মোটাসোটা। মোটাসোটা হইলেও দেহ ররক্তহীন ও দুর্বল , সামান্য
কারণেই ঠাণ্ডা লাগে ও সর্দি হয়
এবং প্রায়ই কোষ্ঠবদ্ধ থাকে , চর্ম খসখসে
হয় , উদ্ভেদ হইতে মধুর ন্যায় রস পড়ে ।
ঘামে অতিশয় দুর্গন্ধ প্রভৃতি লক্ষণে গ্রাফাইটিস ব্যবহেয়।
স্তনের
পীড়ায়:-
প্রসূতির
স্তনের বোটা ফাটিয়া রক্ত পড়িলেও তথায় ক্ষত হইলে অথবা ক্ষত আরোগ্য হইবার পর ক্ষত চিহ্ন
মধ্যে পুনরায় প্রদাহ ও যন্ত্রণা হইলে
এবং শেষে ক্যানসারে পরিণত হইলে ও ভজন দুগ্ধ
নিঃসৃত না হইলে ইহা
উপযোগী ।
ঋতুস্রাব
লক্ষণ: -
ঋতু
অনেক বিলম্বে দেখা দেয় , ঋতুরোধ , পরিমাণে অল্প এবং ইহার বর্ণ যেন ফ্যাকাশে ও জনের মত
নির্দিষ্ট সময়ে ঋতু হয় না । রোগিনী
রক্তহীন কিন্তু দেখিতে মোটাসোটা । ঋতসাবের পূর্বে
উদরের উর্বভাগে চুলকায় এবং রজঃস্রাবের সময়ে উহাতে ছিভিয়া ফেলামত ব্যথা হয় । রজঃস্রাবের সময়
স্বর বসিয়া যায় , সর্দি কাশি ও ঘন হয়
, প্রাতে গা বমি করে
।
শ্বেতপ্রদর:-
প্রচুর
দুর্গন্ধ এবং পরিমাণে অধিক ও দুধের ন্যায়
সাদা । যেখানে লাগে
সেখানে হাজিয়া যায়
। ঋতুস্রাবের পরিবর্তে শ্বেতপ্রদরস্রাব দেখা যায় । বামদিকের ডিম্বকোষ
ফোলে , কঠিন , স্পর্শ করা যায় না , হাত ছোয়াইলে বেদনা অনুভব হয় ।
জরায়ু
ও ডিম্বকোষের
পীড়ায়:-
ডিম্বকোষদ্বয়
বর্ধিত ও কঠিনতা প্রাপ্ত
হয় , জরায়ু , ও ডিম্বকোষে স্পর্শানুভূতি
। হাত উপরের দিকে অনেকটা তুলিলে জরায়ুতে যন্ত্রণা , জরায়ুর স্থানে নিচের দিকে ঠেলা মারা বেদনা । ইহা জরায়ুর
ফুলকপির ন্যায় আঁচিল আরোগ্য করে , জরায়ু ক্যান্সার রোগের বৃদ্ধি দমন করে , ঐসব ক্ষেত্রে জ্বালা ও দুর্গন্ধ রক্তাক্ত
স্রাব থাকে, ঋতুর পূর্বে যোনীদ্বারে ভীষণ চুলকানি । ঋতুকালে জননেন্দ্রিয়ের
এবং দুই উরুর মধ্যবর্তী স্থানে সুস্পষ্ট হাজা ।
পুং
জননেন্দ্রিয় পীড়ায়:-
প্রাফাইটিসের
লক্ষণ - দুর্দমনীয় কামেচ্ছা , জননেন্দ্রিয়ের অত্যন্ত উত্তেজনা এবং রাত্রে স্বপ্নদোষ , উত্তেজনা এত প্রবল হয়
যে , লিঙ্গ যোনী প্রবিষ্ট হওয়ার সাথে সাথে বীর্যপাত হইয়া যায় । হস্তমৈথুন ও
অতিরিক্ত ইন্দ্রিয় চালনায় পরবর্তী ধ্বজভাঙ্গে ইহা অত্যন্ত উপযোগী । লিঙ্গাগ্রে হাজী
ও ফাটিয়া যাওয়া , অণ্ডকোষের ও লিঙ্গের শোথ।
অণ্ডকোষের উপর
ভিজা উদ্ভেদ ও চুলকানি ।
মূত্ৰনলী পথে লালা মেহের ন্যায় চটচটে স্রাব।
পাকাশয়
পীড়া ও কোষ্ঠবদ্ধতায়:-
সকালবেলায়
মুখে দুর্গন্ধ , এমনকি
কাঁচা ডিমের গন্ধ এবং রােগী উহা নিজেই অনুভব করে । মাংসাহার করিলে
রােগী সহ্য করিতে পারে না । বিশেষতঃ
মুখের গন্ধ ও উপর একপ্রকার সিস্টিক টিউমার ( আব খুব নরম ও তুলতুলে ) হয় তাহাতেও গ্রাফাইটিস
উপকারী ।
সবিরাম
জ্বর:-
জ্বর সকালে
৫টা , ৬টা অথবা ৭টায় এবং বিকাল ৪টা হইতে ৮টার মধ্যে কম্প হইয়া জ্বর আসে । শীতাবস্থায়
পিপাসা থাকে না , শীতের সময় পা বরফের মত ঠাণ্ডা থাকে এবং রোগী গায়ে একবার শীত একবার
জ্বালা অনুভব করে । উত্তাপাবস্থায় রাত্রে উত্তাপের সহিত ছটফটানি সেইজন্য বিছানায়
থাকিতে পারে না বা নিদ্রাওঃ যাইতে পারে না । হাত পা খুব গরম ও অত্যন্ত জ্বালা অনুভব
করে । সন্ধ্যার সময় উত্তাপ আরম্ভ হইয়া তাহা সারা রাত্রি থাকে সেই সঙ্গে মাথা ও ঘাড়ে
ব্যথা । ঘর্মাবস্থায় রাত্রে প্রচুর পরিমাণে ঘর্ম হয় , সামান্য নড়িলে চড়িলে ঘর্ম
হয়, ঘাম টক ও দুর্গন্ধযুক্ত । পায়ে দুর্গন্ধযুক্ত ঘর্ম এবং সেজন্য পা হাজিয়া যায়
। জিহ্ব - মুখে অত্যন্ত দুর্গন্ধ , নিঃশ্বাসে যেন প্রস্রাবের গন্ধ , ঠোটে , নাকের আগায়
ও নাসিকা ধারে বেদনা ও ফাটা ফাটা।
লিভার
পীড়া:-
লিভার বড় ও উহা খুব শক্ত হওয়া , এত বেদনা যে তাহার
উপর কাপড়ের ভার পর্যন্ত সহ্য করিতে পারে না । অথবা সেই ভারেই বেদনা ও যন্ত্রণা বৃদ্ধি
পায় । সেই সঙ্গে কোষ্ঠবদ্ধ বা কোষ্ঠকাঠিন্য ।
স্ত্রীলোকদের
মেদ:-
যে সকল স্ত্রীলোকদের
পেট খুব বড় হয় অর্থাৎ অনেকবার প্রসবের পর পেট খুব বড় হয় , এমনকি ঝুলিয়া পড়ে
, তাহাদের পক্ষে ইহা উপযোগী ।
কোষ্ঠবদ্ধতায়:-
কোষ্ঠবদ্ধতায়
কঠিন মল। অর্ধসিদ্ধ ডিমের সাদা অংশের মত আমে আবৃত থাকে অথবা মলে আমের টুকরা দেখতে পাওয়া
যায়। অত্যন্ত কোথ দিতে হয়, মলদ্বার ফাটা থাকে।
প্রান্তদেশ:-
ঘাড়ে , কাঁধে
, পৃষ্ঠে এবং অঙ্গ প্রত্যঙ্গে বেদনা । মেরুদণ্ডে বেদনা , কটিদেশে বেদনা , তৎসহ অতিশয়
দুর্বলতা , বাম হাত অবশ , বাহুদ্বয় নিষ্ক্রিয় হইয়া পড়ে । আঙ্গুলের নখ মোটা, নখের
তলা স্ফীতি । নিম্নাঙ্গের স্ফীতি , পায়ের আঙ্গুলের নখ বিকৃত । হাতের আঙ্গুলের ডগা
ফাটা ফাটা , পায়ে দুর্গন্ধ ঘর্ম ।
বুদ্ধি:-
রাত্রিকালে
, ঋতুস্রাবের সময়ে ও পরে , ঠাণ্ডা বাতাসে , উত্তাপে , আলোকে , স্নানে , বায়ু সেবনে
, চুলকাইলে ।
উপশম:-
মুক্ত বাতাসে
, ভ্রমনের পর , বিশ্রামে , আহারান্তে , উষ্ণঃ দুগ্ধ পানে , স্পর্শে এবং চলন্ত রেল গাড়ীতে
( বধিরতা ) ।
সম্বন্ধযুক্ত:-
চর্মরোগে
সালফারের পর , স্থুলতা হ্রাসের জন্য ক্যালকেরিয়া কার্বের পর এবং প্রদর রোগে সিপিয়ার
পর , ঋতুস্রাবে লাইকোপোডিয়াম ও পালসেটিলার পর , যুবতীদের প্রমেহ রোগে ক্যালকেরিয়ার পর।
পরবর্তী
ঔষধ:-
গ্রাফাইটিসের
লৌহের অংশ আছে। সেজন্য সকল পীড়ায় ইহার পর ফেরাম মেট উপকারী ।
অনুপূরক
ঔষধ: -
আর্সেনিক
ও ফেরাম মেট ।
ক্রিয়ানাশক
ঔষধ:-
সুরাসার
, একোনাই , আর্সেনিক , চায়না ।
ক্রিয়া
স্থিতিকাল:-
৪০ হইতে ৫০
দিন ।
ব্যবহারের
ক্রম:-
৬ হইতে ২০০
বা আরও উচ্চশক্তি । মলদ্বারে ও স্তনের ক্ষত রোগে ইহার ৩x বিচূর্ণ দ্বারা মলম প্রস্তুত
করিয়া প্রয়োগ করা উচিত ।
ডাঃ মোঃ মহি উদ্দিন
প্রভাষক:-
ফেনী হোমিওপ্যাথিক
মেডিকেল কলেজ
ও হাসপাতাল
।
যোগাযোগ:- ফরাজী হোমিও হল
সদর হসপাতাল মোড়, উত্তর বিরিঞ্চি রোড়-ফেনী।
2 মন্তব্যসমূহ
আমার ইস্কিন ডিজজ সবাই বলে এটা সোরাসিস এটার জন্নো কি কোনো রকম ঔষধ কন্টিনিউ করতে হবে কি কারন এই রোগ ভালো হয় আবার বেক করে01648469392
উত্তরমুছুন01814 319033
মুছুন