নিউরোসিস-Neurosis, তৃতীয় অধ্যায়, চতুর্থ বর্ষ

 

নিউরোসিস - Neurosis




চিকিৎসক তাঁর জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার সাহায্যে রোগীর কিছু কিছু মানসিক অবস্থা দর্শন করেন। যে গুলির পিছনে দৈহিক কোন কারণ খুঁজিয়া পাওয়া যায় না। মনের এইরূপ অবস্থাকে নিউরোসিস বলে।

যেমন-
১) অহেতুক ভয় ও চিন্তায় বার বার প্রস্রাব পায়খানা যাওয়া।
২) কোন কাজ করার সময় হাত পায়ের কম্পন থাকা।
৩) অহেতুক চিন্তিত অবস্থা।
৪) সাধারণ ব্যাপারে অতিশয় ভীত সন্ত্রস্ত হওয়া ও ঘাবড়াইয়া যাওয়া।
৫) নাড়ীর গতি ও শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি বৃদ্ধি পাওয়া।
৬) ঘুম কম হওয়া বা ঘুমাইতে গেলে অনেক দেরীতে ঘুম আসা।
৭) বমি বমি ভাব বা ক্ষুধামন্দা ও পেট ফাঁপার ভাব থাকা।

কারণতত্ত্ব:
১) দীর্ঘদিন রোগ ভোগ করা।
২) অতিরিক্ত মাদকদ্রব্য সেবন।
৩) অত্যধিক শুক্রক্ষয়, হতাশ প্রেম প্রভৃতি।
৪) অপুষ্টিজনিত কারণ।
৫) মাত্রাতিরিক্ত দৈহিক ও মানসিক পরিশ্রম।
৬) কঠিন আঘাত পাওয়া প্রভৃতি।


লক্ষণাবলী-
১) স্নায়বিক দুর্বলতা দেখা দেয়, চিন্তা ক্ষমতা লোপ পায়।
২) মাথাঘোরা, গা বমি ভাব দেখা দেয়।
৩) স্নায়ুশূল।
৪) অনেক সময় উন্মত্ততা দেখা দেয়।
৫) কানে নানা প্রকার শব্দ হয়, চোখে ঝাপসা দেখে।
৬) হত উদ্যম, অনিদ্রা দেখা দেয়, অনেক দেরীতে ঘুম আসে।
৭) উদাসীন ভাব, মৃগীরোগ দেখা দিতে পারে।
৮) খাদ্যে অনাসক্তি, স্বাদহীনতা।
৯) ঋতুর গোলযোগ দেখা দেয়।

এই পীড়া তত মারাত্মক নয়। মানসিক প্রফুল্লতা, পুষ্টিকর খাদ্য, স্বাস্থ্যকর স্থানে বসবাস, মুক্তবায়ুতে বেড়ানো এবং নিয়মিত চিকিৎসায় আরোগ্য হয়।

 চিকিৎসা- 
লক্ষণানুযায়ী নিম্নলিখিত ঔষধগুলি ব্যবহৃত হয়।

১) সালফার- মস্তক ও পদতলে জ্বালাকর উত্তাপ, চর্মরোগ প্রবণতা। নিয়মিত সময় অন্তর স্নায়ুর গোলযোগ।

২) চায়না- নিয়মিত কাল অন্তর স্নায়ুশূল, শায়িত অবস্থায়, ও রাত্রিকালে বৃদ্ধি, জীবনীয় পদার্থের ক্ষয় হেতু পীড়া।

৩) ফেরাম মেট- ঠাণ্ডা পানিতে গোসলের দ্বারা স্নায়ুশূল, দপদপানি বেদনা, রাত্রিকালে ও শায়িত অবস্থায় বৃদ্ধি।

৪) মেজেরিয়াম- স্নায়ু পীড়ার উত্তম ঔষধ। আক্রান্ত স্থান স্পর্শসহ ও বেদনা উত্তাপে বৃদ্ধি পায়। পারদের অপব্যবহার বা উপদংশ বিষদুষ্ট ক্ষেত্রে উপযোগী।

৫) আইরিস ভার্স- প্রতিদিন সকালে নাস্তা করার পর স্নায়ু বেদনাসহ মিষ্টি স্বাদযুক্ত শ্লেষ্মা ও পিত্তবমন।



    চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত ওষুধ খাবেন না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ