অষ্টম অধ্যায়
রোগ জীবাণু ও প্যাথলজি
Bacteria and Pathology
প্রশ্ন- রোগজীবাণু কি?
উত্তর: পৃথিবীতে এমন কতগুলি জীব আছে যাহারা অপরের মধ্যে বা অপরের উপর নির্ভর করিয়া জীবণ ধারণ করে, ফলে যাহার উপর নির্ভর করে সে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, বিনিময়ে নির্ভরশীল জীবটি উপকৃত হয়। রোগজীবাণু হইল রোগের শেষফল এবং রোগের বাহক যাহা রোগ সৃষ্টির উত্তেজক কারণ হিসাবে কাজ করে। জীবাণু এত ক্ষুদ্র যে অনুবীক্ষণ যন্ত্র ছাড়া খালি চোখে উহাদেরকে দেখা যায় না।
প্রশ্ন- নিদানশাস্ত্র বা প্যাথলজির সহিত রোগ জীবাণুর সম্পর্ক কি?
উত্তর: জীবানুর মধ্যে রোগের প্রভাব বিদ্যমান। জীবাণুর সংস্পর্শে আসিলে রোগ হইতে পারে। কারণ রোগপ্রবণতা রোগাক্রান্ত হওয়ার অন্যতম শর্ত। জীবাণু রোগ সৃষ্টির উত্তেজক কারণ হিসাবে কাজ করে। ভিন্ন ভিন্ন রোগের লক্ষণও ভিন্ন। রোগের দ্বারা বিকৃত ও পরিবর্ধিত অঙ্গের গঠনবিন্যাস ও জীবাণু সম্বন্ধে গবেষণাই নিদান শাস্ত্রের কাজ। জীবাণু রোগ বিস্তারে সাহায্য করে আর নিদানশাস্ত্র বিকৃত অঙ্গ ও জীবাণু সম্পর্কে গবেষণা করে। প্যাথলজির জ্ঞান দ্বারা রোগজীবাণুকে সনাক্ত করিতে হয়।
প্রশ্ন- জীবাণু ধ্বংসের দ্বারা চিররোগ নিরাময় করা সম্ভব নয় কেন?
উত্তর: জীবাণু ধ্বংস দ্বারা চিররোগ নিরাময় করা মোটেই সম্ভবপর নয়। মহাত্মা হ্যানিমান জীবাণু সম্বন্ধে পরিচিত থাকিলেও জীবাণুকে চিররোগের স্রষ্টা বলিয়া গ্রহণ করেন নাই। রোগশক্তি অতিন্দ্রীয়। মায়াজম জীবন্ত দেহে রোগপ্রবণতা সৃষ্টি করে এবং মায়াজমই রোগের স্রষ্টা। অতিন্দ্রীয় রোগশক্তির সংক্রমণে অতিন্দ্রীয় জীবনীশক্তি আক্রান্ত তথা ব্যাধির উৎপত্তি এই তত্বকেই তিনি প্রচার করিয়াছেন। যেহেতু জীবাণু কোন রোগের স্রষ্টা নয়, তাই উহা ধ্বংস করিলে রোগ নিরাময় হয় না।
আবার দেখা যায় যে, ব্যাধির রোগজীবাণু ধ্বংস করার চেষ্টায় বিপদের সম্ভাবনাও আছে। কারণ একজন রোগীকে সম্পূর্ণভাবে জীবাণুমুক্ত করার ফলে তাহার জীবনীশক্তির স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একেবারেই ভাঙ্গিয়া যাইতে পারে। ফলে সম্পূর্ণ জীবাণুশূণ্য হইয়া রোগীর মৃত্যু ঘটিতে পারে। তাছাড়া রোগজীবাণুরাও সরাসরি আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়িয়া তোলে। তাই আজ যে ঔষধি যে রোগজীবাণু সহজেই ধ্বংস হয় কিছুদিন পর সেই একই ব্যক্তির শরীরে ঐ ঔষধ রোগজীবাণু ধ্বংস করিতে পারে না। কারণ রোগ জীবাণুরাও Drug Resistant হইয়া উঠে। কিন্তু মায়াজমের চিকিৎসা দ্বারা রোগ প্রবণতা দূর করিলে তাহা হয় না। কারণ এই উপায়ে জীবণীশক্তিকে উজ্জীবিত করা হয়, ফলে তার স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। সুতরাং রোগ জীবাণু ধ্বংসের দ্বারা চিররোগ নিরাময় করা সম্ভব নয়।
প্রশ্ন- প্যাথলজির সংজ্ঞা দাও। চিররোগ চিকিৎসায় প্যাথলজির সাহায্যের প্রয়োজনীয়তা বর্ণনা কর।
উত্তর: প্যথলজি প্যাথলজি কথাটির বাংলা অর্থ হইল রোগবিদ্যা বা নিদানশাস্ত্র। ইহাতে জীবিত মানুষের রুগ্নাবস্থার পরীক্ষিত বিবরণ দেওয়া থাকে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের যে শাখায় রোগ, রোগের কারণ, উৎপত্তি, বিকাশ, নিয়ন্ত্রণ, রোগাক্রান্ত অঙ্গের পরিবর্তিত গঠন বিন্যাস, লক্ষণ, আক্রমণকাল, হ্রাসবৃদ্ধির উপশম প্রভৃতি নিয়া আলোচনা, পর্যালোচনা ও গবেষণা করে তাহাকে প্যাথলজি বলে।
চিররোগ চিকিৎসায় প্যাথলজির সাহায্যের প্রয়োজনীয়তা:
সকল চিররোগের কারণ মায়াজম। ইহার অশুভ প্রভাবে মানুষ পীড়িত হয়। চিরমায়াজম সোরা, সিফিলিস ও সাইকোসিস হইতে চিররোগের উৎপত্তি। হোমিওপ্যাথিক দৃষ্টিভঙ্গীতে রোগশক্তি সূক্ষ্ম ও অজড়। জীবনীশক্তির বিকৃত অবস্থাজনিত সৃষ্ট লক্ষণকেই রোগ বলা হয়। আপাতদৃষ্টিতে এই বিধানে প্যাথলজির কোন প্রয়োজন আছে বলিয়া মনে না হইলেও গভীরভাবে চিন্তা করিলে দেখা যাইবে প্যাথলজি চিররোগ চিকিৎসায় একেবারে নিষ্প্রয়োজন নহে। রোগলক্ষণ, রোগের ক্রমবিকাশ ভোগকাল, ভাবীফল, পরিণতি প্রভৃতি বিষয়ে জ্ঞানলাভের জন্য প্যাথলজির জ্ঞান আবশ্যক। রোগ নির্ণয় করিতে গিয়া এবং চিকিৎসার জন্য রোগীর মল, মূত্র, কফ, কাশি, ধাতু, হৃদপিণ্ডের অবস্থা, ফুসফুসের অবস্থা, লিভার, কিডনীর অবস্থা প্রভৃতি পরীক্ষা প্রয়োজন হয়। রোগ নির্ণয়ে প্যাথলজি সহায়তা করিয়া থাকে, মায়াজমের সঙ্গে ইহার কোন সম্পর্ক নাই। মায়াজম রোগ সৃষ্টি করে, আর প্যাথলজি রোগসৃষ্টির পর উহার লক্ষণ ও বিকৃত অবস্থা নিয়া রোগচিত্র প্রস্তুতিতে সাহায্য করে।
প্রশ্ন- মায়াজম ও নিদানতত্ত্ব (প্যাথলজি) এর মধ্যে পার্থক্য কি?
উত্তর: ক) মায়াজম- Miasm শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ উপবিষ, দূষিত বাষ্প। মহাত্মা হ্যানিমানের মতে সকল তরুণ ও চিররোগের কারণই হইল এই মায়াজম। ইহা প্রাকৃতিক রোগ সৃষ্টিকারী দানব।
খ) নিদানতত্ত্ব- প্যাথলজি বা নিদানতত্ত্ব রোগের কারণ, উৎপত্তি, বিকাশ, নিয়ন্ত্রণ, রোগগ্রস্ত অঙ্গের পরিবর্তিত গঠন বিন্যাস, জৈবিক ক্রিয়াকর্ম প্রভৃতি আলোচনা, পর্যালোচনা ও গবেষণা করে। ইহা রোগ নির্ণয়ে সাহায্য করে, মায়াজমের সঙ্গে ইহার কোন সম্পর্ক নাই। মায়াজম রোগ সৃষ্টি করে আর প্যথলজি বিশেষ করিয়া হোমিও প্যাথলজি রোগ সৃষ্টির পর উহার লক্ষণ ও বিকৃত অবস্থা নিয়া রোগের চিত্র প্রস্তুতিতে সাহায্য করে।
প্রশ্ন- প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা বা নৈদানিক অনুসন্ধানের উদ্দেশ্য কি?
উত্তর: নৈদানিক অনুসন্ধান দ্বারা রোগ কর্তৃক দেহের যান্ত্রিক পরিবর্তন লক্ষ্য করিয়া রোগ নির্ণয় করাই ইহার উদ্দেশ্য। তথাকথিত এলোপ্যাথিক চিকিৎসকগণ প্যাথলজিক চিকিৎসার জন্য অগ্রাধিকার প্রদান করিলেও হোমিওপ্যাথিতে প্যাথলজির গুরুত্ব উল্লেখযোগ্য নহে। তবে হোমিও প্যাথলজি নামে আলাদা প্যাথলজির উপর ভিত্তি করিয়া অনুসন্ধান করা যাইতে পারে। উক্ত অনুসন্ধানের উদ্দেশ্য হইতেছে হোমিও নীতির বিরূপ নহে বরং প্রয়োজন অনুযায়ী চিকিৎসার সহায়তা করা এবং যথাযথভাবে রোগ নির্ণয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করা।
প্রশ্ন- প্যাথলজির হোমিওপ্যাথিক ও এলোপ্যাথিক দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে পার্থক্য কি?
উত্তর : রোগী চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথির সহিত এলোপ্যাথির দৃষ্টিভঙ্গীতে যথেষ্ট পার্থক্য রহিয়াছে। তাই প্যাথলজির ও হোমিওপ্যাথিক ও এলোপ্যাথিক দৃষ্টিভঙ্গীর মধ্যে পার্থক্য আছে। নিম্নে তাহা আলোচনা করা হইল।
হোমিওপ্যাথিক দৃষ্টিভঙ্গী
১। হোমিওপ্যাথিতে প্যাথলজির ভূমিকা মুখ্য নয়।
২। রোগীর চিকিৎসা করা হয় বলিয়া প্যাথলজির ভূমিকা গৌণ।
৩। জীবনীশক্তির দৃষ্টিকোণ হইতে প্যাথলজি রচিত হয়।
৪। হোমিওপ্যাথিতে রোগ সৃষ্টিকারী কোন জড়বস্তুর অসিত্ব স্বীকার করা হয় না বলিয়া প্যাথলজির প্রয়োজন থাকিলেও ইহার ভূমিকা জোরালো নয়।
৫। যেহেতু হোমিওপ্যাথিতে রোগীর চিকিৎসা করা হয়। তাই রোগ লক্ষণ এবং ঔষধের লক্ষণ নির্ণয়ই এখানে প্রধান বিষয়। প্যাথলজির জ্ঞান থাকিলে চিকিৎসায় সুবিধা হয়। তবে প্যাথলজি ছাড়াও সঠিক রোগী চিকিৎসা এখানে সম্ভব।
৬। হোমিওপ্যাথিক দৃষ্টিভঙ্গীতে প্যাথলজিকে আমরা হোমিওপ্যাথিক প্যাথলজি নামে আখ্যায়িত করিতে পারি।
এলোপ্যাথিক দৃষ্টিভঙ্গী
১। এলোপ্যাথিতে প্যাথলজির ভূমিকাই প্রধান।
২। রোগের চিকিৎসা করা হয় বলিয়া প্যাথলজির ভূমিকা মুখ্য।
৩। এখানে জীবনীশক্তির অস্তিত্ব স্বীকার করা হয় না। তাই জীবনীশক্তির দৃষ্টিকোণ হইতে প্যাথলজি রচিত হয় নাই।
৪। এলোপ্যাথিক দৃষ্টিভঙ্গী রোগজীবাণু বা জড়বস্তুর দ্বারা রোগ সৃষ্টি হয়। এই ধারণা আছে বলিয়া জড়বস্তুর খোঁজ করার জন্য প্যাথলজির ভূমিকা জোরালো।
৫। এলোপ্যাথির রোগের চিকিৎসা করা হয় বলিয়া প্যাথলজি ভিন্ন রোগ নির্ণয় এখানে অসম্ভব।
৬। এলোপ্যাথিতে রোগ জড়বস্তু, তাই রোগ নির্ণয়ে যে প্যাথলজির সাহায্য নেওয়া হয় তাহাকে এলোপ্যাথিক প্যাথলজি নামে আখ্যায়িত করা হয়।
১। হোমিওপ্যাথিতে প্যাথলজির ভূমিকা মুখ্য নয়।
২। রোগীর চিকিৎসা করা হয় বলিয়া প্যাথলজির ভূমিকা গৌণ।
৩। জীবনীশক্তির দৃষ্টিকোণ হইতে প্যাথলজি রচিত হয়।
৪। হোমিওপ্যাথিতে রোগ সৃষ্টিকারী কোন জড়বস্তুর অসিত্ব স্বীকার করা হয় না বলিয়া প্যাথলজির প্রয়োজন থাকিলেও ইহার ভূমিকা জোরালো নয়।
৫। যেহেতু হোমিওপ্যাথিতে রোগীর চিকিৎসা করা হয়। তাই রোগ লক্ষণ এবং ঔষধের লক্ষণ নির্ণয়ই এখানে প্রধান বিষয়। প্যাথলজির জ্ঞান থাকিলে চিকিৎসায় সুবিধা হয়। তবে প্যাথলজি ছাড়াও সঠিক রোগী চিকিৎসা এখানে সম্ভব।
৬। হোমিওপ্যাথিক দৃষ্টিভঙ্গীতে প্যাথলজিকে আমরা হোমিওপ্যাথিক প্যাথলজি নামে আখ্যায়িত করিতে পারি।
এলোপ্যাথিক দৃষ্টিভঙ্গী
১। এলোপ্যাথিতে প্যাথলজির ভূমিকাই প্রধান।
২। রোগের চিকিৎসা করা হয় বলিয়া প্যাথলজির ভূমিকা মুখ্য।
৩। এখানে জীবনীশক্তির অস্তিত্ব স্বীকার করা হয় না। তাই জীবনীশক্তির দৃষ্টিকোণ হইতে প্যাথলজি রচিত হয় নাই।
৪। এলোপ্যাথিক দৃষ্টিভঙ্গী রোগজীবাণু বা জড়বস্তুর দ্বারা রোগ সৃষ্টি হয়। এই ধারণা আছে বলিয়া জড়বস্তুর খোঁজ করার জন্য প্যাথলজির ভূমিকা জোরালো।
৫। এলোপ্যাথির রোগের চিকিৎসা করা হয় বলিয়া প্যাথলজি ভিন্ন রোগ নির্ণয় এখানে অসম্ভব।
৬। এলোপ্যাথিতে রোগ জড়বস্তু, তাই রোগ নির্ণয়ে যে প্যাথলজির সাহায্য নেওয়া হয় তাহাকে এলোপ্যাথিক প্যাথলজি নামে আখ্যায়িত করা হয়।
প্রশ্ন- ব্যাকটেরিয়া ও প্যাথলজির সম্পর্ক বর্ণনা কর।
উত্তর: ব্যাকটেরিয়া একপ্রকার অতিক্ষুদ্র সরলতম ক্লোরোফিলবিহীন
প্রোক্যিারিওটিক আনুবীক্ষণিক এককোষী জীব। অনুবীক্ষণ যন্ত্র ছাড়া খালি চোখে ইহাদের দেখা যায় না। মানবদেহে প্রবেশ করিয়া ইহারা আকৃতি অনুসারে, ফ্লাজেলার সংখ্যা ও অবস্থান অনুসারে, অক্সিজেন নির্ভরশীলতা অনুসারে, পূজসৃষ্টির ক্ষমতা অনুসারে ব্যাকটেরিয়াকে বিভিন্নভাগে ভাগ করা হয়। স্ট্রেপটোকক্কাস, স্ট্যাফাইলোকক্কাস, নিউমোকক্কাস, মাইক্রোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকুলোসিস, গনোকক্কাস, মেনিনগোকক্কাস, ভাইব্রিওকলেরি প্রভৃতি বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া মানবদেহে রোগ সৃষ্টি করে। রোগ নির্ণয়, রক্ত, মল মূত্র, ধাতু, কফ প্রভৃতি পরীক্ষা ও গবেষণার জন্য প্যাথলজির প্রয়োজন হয়। কোন বিশেষ ব্যাকটেরিয়া দ্বারা রোগ সৃষ্টি হইয়াছে, জীবাণুর পরিচয় ও ক্ষতিকর কার্যকলাপ সম্বন্ধে জানার জন্যও প্যাথলজির জ্ঞান আবশ্যক। তাই বলা যায় ব্যাকটেরিয়ার সহিত প্যাথলজির সম্পর্ক অত্যন্ত বিবিড়।
প্রশ্ন- ব্যাকটেরিয়ার কার্যাবলী লিখ।
বা, ব্যাকটেরিয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা বর্ণনা কর।
উত্তর: ব্যাকটেরিয়ার উপকারিতা:
ক) মাটির উর্বরতা রক্ষা- মাটি প্রস্তুতে, মাটির আর্দ্রতা রক্ষায় এবং আবর্জনা হইতে পচনক্রিয়ায় প্রস্তুত জৈবসার মাটির উর্বরতা সৃষ্টিতে ব্যাকটেরিয়ার যথেষ্ট ভূমিকা রহিয়াছে।
খ) ঔষধ প্রস্তুতে- প্রয়োজনীয় এন্টিবায়োটিক ঔষধ প্রস্তুতে ইহা ব্যবহৃত হয়।
গ) প্রতিষেধক তৈরী- ব্যাকটেরিয়া হইতে কলেরা, টাইফয়েড, যক্ষ্মা, ডিপথিরিয়া প্রভৃতি রোগের প্রতিষেধক প্রস্তুত হয়।
ঘ) নাইট্রোজেন স্থিতিকরণ- সীম, কলাই, মটর প্রভৃতি উদ্ভিদের মূলে অবস্থিত ব্যাকটেরিয়া বায়ুমণ্ডল হইতে নাইট্রোজেন শোষণ করিয়া উদ্ভিদের মূলে সঞ্চিত রাখিয়া পরে অক্সিজেন সহযোগে প্রয়োজনীয় নাইট্রেটে পরিণত করে।
ঙ) তন্ত্র পচানো- ইহার ক্রিয়া দ্বারা পাটের জাগে পাটের পচন ক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়।
চ) চা ও তামাক শিল্পে- চা ও তামাক গাজানোর জন্য বিশেষ ধরণের ব্যাকটেরিয়া ব্যবহৃত হয়।
ছ) দুগ্ধজাত দ্রব্যাদি তৈরী- দুধ হইতে দধি, পনীর, মাখন উৎপাদনে ইহা সক্রিয়া ভূমিকা পালন করে।
ব্যাকটেরিয়ার অপকারিতা:
ক) রোগসৃষ্টি- মানবদেহে বিভিন্ন মারাত্মক রোগ ব্যাকটেরিয়া হইতে সৃষ্টি
হয়।
খ) পশুর রোগ সৃষ্টি- গরু ছাগলের যক্ষ্মা, মুরগীর মড়ক প্রভৃতি
ব্যাকটেরিয়া হইতে সৃষ্টি হয়।
গ) উদ্ভিদের রোগ সৃষ্টি- টমেটো, আপেল, লেবু প্রভৃতি গাছ ব্যাকটেরিয়া
দ্বারা সহজে আক্রান্ত হয়।
ঘ) খাদ্য দ্রব্য নষ্ট- খাদ্য সামগ্রী দ্রুত নষ্ট হওয়া ও পচনধরার পেছনে ব্যাকটেরিয়াই দায়ী।
0 মন্তব্যসমূহ