মস্তিষ্কঝিল্লী প্রদাহ, তৃতীয় অধ্যায়, চতুর্থ বর্ষ

তৃতীয় অধ্যায় 

মেনিনজাইটিস বা মস্তিষ্কঝিল্লী প্রদাহ 
Meningitis








প্রশ্ন— মেনিনজাইটিস বা মস্তিষ্কঝিল্লী প্রদাহের সংজ্ঞা লিখ ।
উত্তর ঃ আমাদের মস্তিষ্ক ও কশেরুকা মজ্জা পৃথক ৩টি পর্দা দ্বারা আবৃত থাকে। প্রথম পর্দার নাম ডুরা মেটার, মধ্য পর্দার নাম এরাকনয়েড, নিম্নপর্দার নাম পায়ামেটার। এই তিনটি পর্দার সমষ্টিকে মেনিনজেস বলে। এই মস্তিষ্ক ও কশেঙ্কা মজ্জার আবরক ঝিল্লীর প্রদাহকে মেনিনজাইটিস বলে। ইহা একটি তরুণ সংক্রমক পীড়া।




প্রশ্ন-  মেনিনজাইটিস বা মস্তিষ্কঝিল্লী প্রদাহের শ্রেণীবিভাগ লিখ ।
উত্তর ঃ শ্রেণীবিভাগ—মেনিনজাইটিস বিভিন্ন প্রকারের হয়। যথা—
১) ব্যাসিলাস মেনিনজাইটিস।
২) প্যাকি মেনিনজাইটিস।
৩) লেপ্টো মেনিনজাইটিস।
৪) নিউমোকক্কাস জনিত মেনিনজাইটিস।
৫) পায়েজিনক মেনিনজাইটিস।
৬) টিউবারকুলার মেনিনজাইটিস।
.




প্রশ্ন- ব্যাসিলাস মেনিনজাইটিসের লক্ষণাবলী বা উপসর্গ লিখ ।
উত্তর : ব্যাসিলাস মেনিনজাইটিসের লক্ষণাবলী : এই পীড়ায় সামান্য জ্বরসহ তড়কা হইয়া আক্রমণ সূচিত হয়। মস্তিষ্কের নিম্ন ও গ্রীবাদেশস্থ মেনিনজেস মধ্যে তীব্র প্রদাহ হয় এবং রস অবতরণের পথ বন্ধ হইয়া মস্তিষ্ক মধ্যে চাপ বৃদ্ধি পায়। শিশুদের মধ্যেই ইহা অধিক পরিমাণে দেখা যায়। রোগীর বার বার বমি হইতে থাকে। পেছন দিকে ঘাড় বাঁকিয়া যায়, পেশীসমূহ শীর্ণ হয়।





প্রশ্ন- প্যাকি মেনিনজাইটিসের লক্ষণাবলী বা উপসর্গ লিখ ।
উত্তর ঃ প্যাকি মেনিনজাইটিসের লক্ষণাবলী : সাধারণতঃ আঘাতের কয়েকদিন পর হইতে শিরঃপীড়া এবং মানসিক পরিবর্তনসহ রোগাক্রমণ সূচিত হয় এবং মত্ত কের আহতস্থানে প্রবল বেদনা বোধ হয়। এই পীড়ায় ডুরা মেটার আক্রান্ত হয়, জীবাণু ডুরা ভেদ করিতে না পারিয়া ডুরার বাহিরে স্ফোটক উৎপন্ন করে। এই পীড়ার লক্ষণসমূহ মস্তকের আঘাত হইতে ডুরা মধ্যস্থ ক্ষুদ্র শিরা ছিন্ন হইয়া রক্তস্রাব হেতু প্রকাশ পায়। ঐ ক্ষরিত রক্ত একটি কোষ মধ্যে আবদ্ধ হইয়া তাহার চাপে মেনিনজাইটিসের লক্ষণাদি প্রকাশ পায়। ইহার লক্ষণাদি স্মৃতিভ্রম, নিদ্রালুতা, মূর্ছা প্রভৃতি। কয়েক সপ্তাহ কাটিয়া যাওয়ার পর হঠাৎ শিরঃপীড়া কমন ও হঠাৎ অচেতনাবস্থা। ধীরে ধীরে অপটিক স্নায়ুর প্রদাহ, পেশীর আক্ষেপ, অর্ধাঙ্গের পক্ষাঘাত প্রভৃতি প্রকাশিত হইয়া রোগীর অজ্ঞানভাব দেখা দেয় ও রোগী মৃত্যুবরণ করে।




প্রশ্ন- লেপ্টো মেনিনজাইটিসের কারণ ও লক্ষণাবলী লিখ ।
উত্তর : কারণ ও লক্ষণাবলী- সাধারণতঃ গনোকক্কাস, স্ট্রেপটোকক্কাস, স্ট্যাফাইলোকক্কাস প্রভৃতি জীবাণু সংক্রমণে এই রোগ প্রকাশিত হয়। লেপ্টো মেনিনজাইটিসে পায়া এরাকনয়েডের বিস্তৃত স্থানে প্রদাহ দেখা দেয় এবং সেই সাথে মস্তিষ্কের এবং মস্তিষ্ক কোষ ঝিল্পীরও প্রদাহ হইয়া থাকে।




প্রশ্ন-  নিউমোকক্কাস জনিত মেনিনজাইটিসের কারণ ও লক্ষণাবলী লিখ ।
উত্তর : কারণ ও লক্ষণাবলী বিভিন্ন পীড়ার উপসর্গরূপে ইহা প্রকাশ পাইতে পারে। অনেক সময় প্রাথমিকভাবেও ইহার আক্রমণ দেখা যায়। পুরা মধ্যে পূজ সঞ্চয়, লোবার নিউমোনিয়া, মধ্যকর্ণ প্রদাহ প্রভৃতি পীড়ার উপসর্গ হিসাবে এই জাতীয় মেনিনজাইটিস দেখা দেয়। এই পীড়ায় রোগী খুব দ্রুত অজ্ঞান হইয়া পড়ে। মস্তিষ্ক মজ্জারস ঘন এবং পূঁজযুক্ত হয় এবং তাহার মধ্যে জীবাণু পাওয়া যায় ।



প্রশ্ন-  পায়োজেনিক মেনিনজাইটিসের কারণ ও লক্ষণাবলী লিখ।
উত্তর : কারণ ও লক্ষণাবলী- ইহা রক্ত মধ্যে পুঁজজনিত মেনিনজাইটিস। দেহের বিভিন্ন স্থানের দূষিত ব্যাধি হইতে স্ট্যাফাইলোকক্কাস ও স্ট্রেপটোকক্কাস জীবাণু এরাকনয়েড নিম্নস্থানে উপস্থিত হইয়া নিউমোকক্কাসজনিত পীড়ার ন্যায় লক্ষণ প্রকাশ করে। ইহার মস্তিষ্ক মজ্জারস ঘন ও পুঁজযুক্ত এবং একপ্রকার বিশেষ জীবাণু উহার মধ্যে পাওয়া যায়। এই পীড়া প্রায় আরোগ্য হয় না।
 



প্রশ্ন- টিউবারকুলার মেনিনজাইটিসের কারণ ও লক্ষণাবলী লিখ।
উত্তর : কারণ ও লক্ষণাবলী- এই পীড়া সাধারণতঃ হাম, বসন্ত, হুপিংকফ, পড়িয়া গিয়া মাথায় আঘাত, আরক্ত জ্বর, মানসিক উত্তেজনা, শিশু কলেরা, প্রভৃতি কারণে হইয়া থাকে। দরিদ্র পরিবারের সন্তানদের, বিশেষ করিয়া ২ হইতে ৬ বৎসর বয়সের শিশুদের এই পীড়া বেশী হয়। পীড়া আক্রমণের পূর্বে শিশু দুর্বল, খিটখিটে, মুখের চেহারা, পরিবর্তন, খেলায় অনিচ্ছা, অনিদ্রা, অস্থিরতা, ক্ষুধালোপ, অঙ্গ- প্রত্যঙ্গ ক্রমশঃ শীর্ণ হইতে থাকে।




প্রশ্ন- মেনিনজাইটিস বা মস্তিষ্ক ঝিল্পী প্রদাহের কারণতত্ত্ব লিখ ।
উত্তর মেনিনজাইটিসের কারণতত্ত্ব- মেনিনগোকক্কাস এবং মাইক্রোব্যাক্টেরিয়াম টিউবারকুলোসিস নামক জীবাণু দ্বারা মেনিনজেস আক্রান্ত হইলে, মস্তকে আঘাত পাওয়া, স্কার্লেট ফিভার, টাইফয়েড, বসন্ত, হাম, নিমোনিয়া, আলসারেটিভ এন্ডোকার্ডাইটিস, তরুণ বাত, পুরাতন চর্মপীড়া বসিয়া যাওয়া, সর্দিগর্মী, অতিশয় মানসিক পরিশ্রম প্রভৃতি কারণে এই পীড়া হইয়া থাকে ।




প্রশ্ন-  মেনিনজাইটিস বা মস্তিষ্কঝিল্লী প্রদাহের লক্ষণাবলী বা উপসর্গ বা ক্লিনিক্যাল ফিচার লিখ ।
উত্তর ঃ লক্ষণাবলী- মেনিনজাইটিসের লক্ষণাবলী নিম্নে প্রদত্ত হইল ।
১) প্রথমাবস্থায় শীত হইয়া বা শীত না হইয়াও জ্বর হয়। শিশুদের হইলে তড়কা, মাথার পেছন দিকে দুরন্ত বেদনা, বেদনায় রোগী চীৎকার করিয়া কাঁদে। ১০৪/১০৫ ডিগ্রী পর্যন্ত জ্বর উঠিতে পারে।
২) চক্ষু লাল বর্ণ, প্রলাপ বকা, অস্থিরতা, মুখের পেশীর কম্পন, বমন, কোষ্ঠবদ্ধতা, চক্ষু তারকার সংকোচন, প্রসারণ, চক্ষুর পাতা পড়িয়া আসা, হস্তপদের কম্পন, গ্রীবাদেশের আড়ষ্টবোধ এবং তাহা বৃদ্ধি পাইয়া ঘাড় কঠিন ও অনমনীয় হইয়া পড়া, কটিদেশে বেদনা, পায়ে ব্যথা।
৩) শরীর বাঁকিয়া যায়, অসাডভাবে পড়িয়া থাকে, স্নায়ুমণ্ডলীর পক্ষাঘাত।
৪) রোগজীবাণু প্রথমে গলনলী বা ফ্যারিংসে যায়। অবশেষে রক্তের সাথে মিশিয়া মস্তিষ্ক ঝিল্লী ও মেরুদণ্ডের ঝিল্লী আক্রমণ করে। ঐ সব অংশের প্রদাহ হয় ও জল জমিতে শুরু করে।
৫) জ্বর বৃদ্ধির সাথে রোগী প্রলাপ বকে, বিড়বিড় করে, মাঝে মাঝে চমকাইয়া উঠে ও চীৎকার করে। বালিশের উপর মাথা এপাশ ও পাশ করে। হাত দিয়া মাথায়
কিল মারে।
৬) ফুসফুস আক্রান্ত হইলে নিমোনিয়ার লক্ষণ প্রকাশ পায় ।
৭) মাংসপেশীর স্পন্দন, তড়কা, ধনুষ্টংকার লক্ষণ থাকে, দেহ বাঁকিয়া যায়।
৮) অনেক সময় ঘাড় বাঁকিয়া যায়।
৯) জ্বরের সাথে ঘাড়ের এত প্রচণ্ড ব্যথা থাকে যে ফিরাইতে পারে না। শুইয়া থাকিলে মাথা তুলিয়া হাঁটুর দিকে বাঁকাইতে পারে না।

প্রশ্ন- মেনিনজাইটিস বা মস্তিষ্কঝিল্লী প্রদাহের রোগ নির্ণয় বা ডায়াগনোসিস লিখ।

উত্তর: রোগ নির্ণয়- এই রোগ নির্ণয়ের প্রধান লক্ষণ কারনিগ সাইন। টিটেনাসের সাথে এই পীড়ার পার্থক্য নির্ণয় করা প্রয়োজন। টিটেনাসের জ্বরের পূর্বে দাঁত কপাটি লাগিয়া যায় কিন্তু মেনিনজাইটিসে তাহা হয় না এবং টিটেনাসে পুরাতন ক্ষত সৃষ্টির ইতিহাস থাকে, কিন্তু ইহাতে থাকে না। রক্ত পরীক্ষায় শ্বেত কণিকার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। সেরিব্রো স্পাইনাল ফ্লুয়িড (C.S.F.) পরীক্ষা করিলে উহার স্বাভাবিক বর্ণ পরিষ্কার পানির মত না হইয়া উহা ঘোলাটে হয়। মাইক্রোস্কোপের দ্বারা পরীক্ষা করিলে ফ্লুয়িডে পাস সেল (Pus Cell) মেনিনগোকক্কাস বা মাইকোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকুলোসিস জীবাণু পাওয়া যাইবে।


প্রশ্ন- মেনিনজাইটিস বা মস্তিষ্কঝিল্লী প্রদাহের ভাবীফল লিখ।

উত্তর: ভাবীফল- এই পীড়া অত্যন্ত মারাত্মক, প্রায়ই আরোগ্য হয় না। ধীর গতিতে পীড়ার আক্রমণ চলিলে চিকিৎসার সময় পাওয়া যায়। হঠাৎ আক্রমণ হইলে বাঁচার সম্ভাবনা কম। শিশু মৃত্যুর সংখ্যাই বেশী। ৬/৭ দিনের মধ্যে যদি মাথা বেদনা, জ্বর, শরীরের বেদনা ও ঘাড়ের পিঠের কঠিন ভাব কমিয়া আসে তবে আরোগ্যের সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু টাইফয়েড অবস্থা থাকিলে, সংকোচক পেশীর পক্ষাঘাত, উচ্চ গাত্রতাপ, কোমা, হঠাৎ হিমাঙ্গ অবস্থা প্রভৃতি থাকিলে রোগী মৃত্যুবরণ করে।


প্রশ্ন- মেনিনজাইটিস বা মস্তিষ্কঝিল্লী প্রদাহের জটিলতা লিখ।

উত্তর: জটিলতাঃ

১) ব্রংকোনিমোনিয়া দেখা দিতে পারে।

২) সুচিকিৎসা না হইলে বা কদাচিৎ রোগীর রক্ষা পাইলে তাহাদের মানসিক বিকৃতি, পক্ষাঘাত, বধিরতা, অন্ধত্ব, খিঁচুনী প্রভৃতি দেখা দেয়।

৩) সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুয়িড (C.S.F.) এর চাপ বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য দেহ বাঁকিয়া গিয়া মৃত্যু হয়। অনেক সময় ব্রেণের সূক্ষ্ম শিরাদি ছিঁড়িয়া যাইতে পারে।

৪) দেহের চাপ অতি বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য ও টক্সিমিয়ার জন্য রোগী হার্ট ফেল করে।



প্রশ্ন- মেনিনজাইটিস বা মস্তিষ্কঝিল্লী প্রদাহের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা ও পথ্য লিখ এবং পীড়ার সহিত সম্বন্ধযুক্ত ৫টি ঔষধের বৈশিষ্ট্যসূচক লক্ষণ লিখ।


উত্তর : চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা- রোগীর গৃহ শীতল ও মৃদু আলোকযুক্ত হওয়া প্রয়োজন। চুল খুব ছোট বা ন্যাড়া করিয়া মাথায় ও ঘাড়ে ক্রমাগত ঠাণ্ডা পানির ধারা বা আইসব্যাগ প্রয়োগ করিতে হইবে। গাত্রতাপ অধিক হইলে শীতল পানিতে গা মোছাইয়া দিতে হইবে। রোগীর যাহাতে চোখে আলো না লাগে এবং মুক্ত বাতাস চলাচল করে এমন ঘরে রাখিতে হইবে। বালিশের উপর বালিশ দিয়া উঁচু করিয়া রোগীর মাথা রাখিতে হইবে। কোষ্ঠ পরিস্কার রাখিতে হইবে।

পথ্য- বরফ জল পান এবং বরফ চুষিতে দেওয়া উচিত। বেদানা, আঙ্গুর, কমলালেবু প্রভৃতি ফলের রস এবং দুগ্ধ, ছানার জল, গ্লুকোজ, বাচ্চা মুরগীর জুস, প্রভৃতি সুপথ্য।

ব্যবহৃত ৫টি ঔষধের নির্দেশক লক্ষণ:

১) বেলেডোনা- জ্বরসহ মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চয় ও প্রলাপ। চোখমুখ লালবর্ণ। রোগীর মাথা পিছনের দিকে টানিয়া ধরে মনে হয় যেন খিঁচিয়া ধরিয়াছে। আলো ও গোলমাল সহ্য করিতে পারে না। হাম, আরক্ত জ্বর, প্রভৃতি পীড়ার পর এই রোগ সৃষ্টি হয়। সর্দি গর্মি হইয়াও অনেক সময় ইহা দেখা দেয়। প্রবল উত্তেজনা, ঘ্রাণ শক্তির বিকৃতি, আক্ষেপ, মাথায় যন্ত্রণা এই ঔষধের বৈশিষ্ট্য।

২) হেলিবোরাস- মাথার ও ঘাড়ের পশ্চাৎ দিকের বেদনাসহ অবসন্নতা, মস্তিষ্কে জল সঞ্চয় হবার আশংকা, প্রথমাবস্থায় জ্ঞান লোপ এবং বালিশে মাথা গোঁজে। আচ্ছন্নভাবে পড়িয়া থাকে এবং চীৎকার করিয়া উঠে। কপালের মাংস সংকুচিত হয়, চোখ বসিয়া যায়, একদৃষ্টিতে উদাসভাবে তাকাইয়া থাকে। চোখের তারা উপরের দিকে ঘুরিতে থাকে। প্রস্রাব কম হয়। অজ্ঞান ভাবে পড়িয়া থাকে কিন্তু মুখ নাড়ে।

৩) সাইকিউটা- গাত্রতাপ বৃদ্ধি এবং কোন কোন সময় ঠাণ্ডা। চোখের কনিনীকা প্রসারিত এবং অসাড়। মুখ চোখের পেশীর আক্ষেপ, দাঁতে দাঁতে লাগা, মাথার পশ্চাতে প্রবল বেদনা। হিক্কা, ধনুষ্টংকারের মত মাথা ঘাড়ের দিকে বাঁকিয়া *যায়। বাকরোধ, কানে শুনিতে পায় না। বুকের পেশীর আক্ষেপের জন্য শ্বাসকষ্ট, মুখ দিয়া ফেনা উঠে, কম্পনভাব।

৪) এপিস মেল- অজ্ঞান হইয়া পড়িয়া থাকে বা কেবল মাথা এপাশ ওপাশ করে। অজ্ঞান অবস্থায় হঠাৎ চীৎকার দিয়া উঠে। অস্থিরতা বেশী। শরীরের যে কোন একটি পেশীর বা সমস্ত শরীরের খিঁচুনী। জিহ্বা লাল ও শুষ্ক। জিহ্বা কাঁপে। পিপাসা নাই।

৫) আর্ণিকা- আঘাত লাগার কয়েক সপ্তাহ পর মেনিনজাইটিসের লক্ষণ প্রকাশ পায়। মস্তিষ্ক ও মেরুমজ্জা উভয়ের আঘাতজনিত কনজেসসন। আঘাতের ফলে মস্তিস্ক মধ্যে রক্ত ক্ষরণ হওয়ার ফলে রক্তের চাপে মস্তিষ্কের সংকোচন। ক্ষরিত রক্ত শোষণ করিতে ইহার ক্ষমতা অসীম।

ইহা ছাড়া এই পীড়ায় লক্ষণানুযায়ী একোনাইট, ব্রায়োনিয়া, 'ওপিয়াম, জেলসিমিয়াম, এগারিকাস, ইগ্নেসিয়া, সিমিসিফিউগা, কুপ্রম মেট, গ্লোনয়িন, ল্যাকেসিস, স্ট্রমোনিয়াম, জিঙ্কাম, ভিরেট্রাম ভিরিটি প্রভৃতি ঔষধও ব্যবহৃত হয়।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ