এই ব্লগটি শুধুমাত্র নব্য চিকিৎসক এবং শিক্ষাথীদের
জন্য প্রযোজ্য।
Kali Muriaticum - কেলি মিউরিয়েটিকাম
উৎস : পটাশিয়াম
ক্লোরাইড হইতে এই ঔষধ প্রস্তু হয়।
সাধারণ নাম
: ক্লোরাইড অব পটাশ।
অপর নাম : পটাশিয়াম
ক্লোরাইড, কেলি ক্লোরেটাম।
সংক্ষিপ্ত নাম
: কেলি মিউর ( K.M )
রাসায়নিক সংকেত
: KcI
প্রয়োগ ক্ষেত্র :
ব্রঙ্কাইটিস, সর্দি, বৃদ্ধাঙ্গুলির
প্রদাহ, স্ফোটক, জ্বর, আমাশয়, কর্ণপীড়া, শোথ, ডিপথিরিয়া, নিমোনিয়ার দ্বিতীয় অবন্থায়,
বাগী, ছানি, কোষ্ঠবন্ধতা, উদরাময়, একজিমা, চক্ষুপীড়া, অর্শ, হৃদপিন্ডর পীড়া, শ্বেতপ্রদর,
প্রমেহ, বাত, যকৃত বৃদ্ধি, দন্তপীড়া, শিরঃপীড়া, পাকস্থলী পীড়া।
ঔষধটির
বিশেষত্ব : জিহবার সাদা বর্ণের প্রলেপ। ইহার সকল স্রাব সাদা বর্ণ, গাঢ় ও আঠাল।
প্রধান প্রধান প্রয়োগক্ষেত্র :
১. সাদা বর্ণের
হিজবা লক্ষণের সাথে যে কোন রোগে ইহাকে ব্যবাহার করা যায়।
২. ইহা ডিপথেরিয়া
রোগের প্রধান ঔষধ।
৩. তৈলাক্ত
বা গুরুপাক দ্রব্য আহারের পর বমন, অজীর্ণ বা উদরাময়।
৪. চর্মরোগে
ফেস্কাপড়া। দগ্ধস্থান ফোস্কাপড়া।
৫. রক্তআমাশয়
রোগের প্রধান ঔষধ । পেটে অসহ্য বেদনাসহ পুনঃ পুনঃ মলত্যাগ। সাদা আম নির্গমন।
৬. দুধের মত
সাদা চটচটে শ্বেতপ্রদর ।
৭. শিশু জিহবায়,
ঠোঁটে ও মুখের মধ্যে সাদা ছোট ছোট ক্ষত।
৮. ইহা সূতিকাজ্বর
ও দুগ্ধজ্বরের প্রধান ঔষধ।
৯. ঘুংড়ি কাশি
ও গুপিং কাশির প্রধান ঔষধ ।
১০. সকল প্রকার
বসন্ত রোগে।
১১. হামের দ্বিতীয়াবস্থার প্রধান ঔষধ। হামের কুফলে উদরাময়,
বধিরতা, কাশি ইত্যাদি।
১২. চর্মরোগ বসিয়া গিয়া মৃগী রোগের উৎপত্তি হইলে।
১৩. টাইফয়েড
জ্বরের প্রধান ঔষধ।
১৪. জন্ডিস-সাদামল,
সাদা জিহবা ও হলদে প্রস্রাব।
১৫. টিকা দেয়ার
জন্য কোন চর্মরোগ হলে ইহা উৎকৃষ্ট।
১৬. একজিমা-
বিখাউজ থেকে যখন ময়দার মত শুকনা সাদা খুশকির ন্যায় গুঁড়া পদার্থ উঠতে থাকে বা সাদা
স্রাব নির্গত হয়।
১৭. এপেনডিসাইটিস
– রোগের পুরাতন অবন্থায়, তরুন অবন্থায় ফেরাম ফসের সহিত পর্যাক্রমে ব্যবহার্য।
কেলি মিউরের ধাতু :
এন্টি সাইকোটিক
ও এন্টি সিফিলিটিক।
হ্রাস : বিশ্রামে,
স্থির থাকিলে, উত্তাপে ধীরে ধীরে সঞ্চালনে, আহারে।
বৃদ্ধি : তৈলাক্ত
খাদ্য, ঘৃত, গুরুপাকদ্রব্য ভক্ষণে পেটের পীড়া, সঞ্চালনে বেদনা, বিছানার উত্তাপে, তীক্ষ্ন
তেজস্কর আলোতে, ঠান্ডা বাতাসে, শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমে।
বিশেষ বিশেষ রোগে শক্তির ব্যবহার :
ডিপথেরিয়ায়
৬X শক্তি। অজীর্ণ বা উদরাময় ৬X শক্তি। চর্মরোগে
ফেস্কাপড়া। দগ্ধস্থান ফোস্কাপড়া ৩X শক্তি। রক্তআমাশয় লক্ষণে ৩X শক্তি। ঘুংড়ি কাশি ও গুপিং কাশিতে ৩X শক্তি বা ১২X শক্তি। একজিমায় ১২X শক্তি। তবে
পুরাতন পীড়ায় ২০০X শক্তি।
ডাঃ মহি উদ্দিন
প্রভাষক :- ফেনী হোমিওপ্যাথিক
মেডিকেল কলেজ।
যোগাযোগ
:- ফরাজী হোমিও হল।
0 মন্তব্যসমূহ