ভিটামিন এ
Vitamin A
ভিটামিন এ একটি ফ্যাট-দ্রবণীয় ভিটামিন, যা দৃষ্টিশক্তি, ত্বকের স্বাস্থ্য, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং কোষের বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ভিটামিন এ-এর উপকারিতা:
- দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে – রাতকানা প্রতিরোধ করে এবং চোখের স্বাস্থ্য বজায় রাখে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে – সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
- ত্বকের সুস্থতা বজায় রাখে – ব্রণ ও অন্যান্য চর্মরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
- হাড় ও দাঁতের গঠনে সাহায্য করে – হাড়ের বৃদ্ধি ও মজবুতকরণে ভূমিকা রাখে।
- প্রজনন ক্ষমতা ও ভ্রূণের বিকাশে সহায়ক – গর্ভাবস্থায় সঠিক বৃদ্ধি ও বিকাশে সাহায্য করে।
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে – কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে এবং বার্ধক্যজনিত সমস্যা কমায়।
ভিটামিন এ-এর উৎস:
প্রাণীজ উৎস (রেটিনয়েডস, সরাসরি ভিটামিন এ):
- গরুর কলিজা (লিভার)
- ডিমের কুসুম
- মাছের তেল (যেমন কড লিভার অয়েল)
- দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার (যেমন ঘি, মাখন, পনির)
উদ্ভিজ্জ উৎস (বিটা-ক্যারোটিন, যা শরীরে ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হয়):
- গাজর
- মিষ্টি আলু
- কুমড়ো
- পালং শাক ও অন্যান্য সবুজ শাক
- আম, পেঁপে
- লাল ও হলুদ বর্ণের ফল ও সবজি
ভিটামিন এ-এর ঘাটতির লক্ষণ:
- রাতকানা বা দৃষ্টিশক্তির সমস্যা
- শুষ্ক ত্বক ও খুশকি
- সংক্রমণের প্রবণতা বৃদ্ধি
- শিশুদের বৃদ্ধি ধীর হয়ে যাওয়া
- মুখ ও চোখের শুষ্কতা (জেরোফথ্যালমিয়া)
অতিরিক্ত ভিটামিন এ গ্রহণের সমস্যা:
অতিরিক্ত ভিটামিন এ গ্রহণ করলে লিভারের সমস্যা, মাথাব্যথা, বমিভাব, হাড় দুর্বল হয়ে যাওয়া এবং গর্ভাবস্থায় জন্মগত ত্রুটি হতে পারে। তাই প্রাকৃতিক খাদ্য থেকে সঠিক পরিমাণে গ্রহণ করাই ভালো।
0 মন্তব্যসমূহ