ভিটামিন ডি - Vitamin D

 

ভিটামিন ডি  
Vitamin D


ভিটামিন ডি একটি ফ্যাট-দ্রবণীয় ভিটামিন, যা শরীরের ক্যালসিয়াম ও ফসফেটের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি হাড়, দাঁত ও পেশির সুস্থতার জন্য অপরিহার্য।

ভিটামিন ডি-এর উপকারিতা:

  1. হাড় ও দাঁতের গঠন মজবুত করে – ক্যালসিয়াম শোষণে সহায়তা করে, যা অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধে সাহায্য করে।
  2. ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে – রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়।
  3. হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় – রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
  4. মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায় – বিষণ্নতা ও মানসিক ক্লান্তি কমাতে সাহায্য করে।
  5. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক – ইনসুলিন উৎপাদনে ভূমিকা রাখে।
  6. ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে – কোষ বিভাজনকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং ফ্রি র‍্যাডিক্যালের ক্ষতি কমায়।

ভিটামিন ডি-এর প্রাকৃতিক উৎস:

  • সূর্যালোক – সকালে ১০-৩০ মিনিট রোদে থাকা সবচেয়ে কার্যকর উৎস।
  • মাছ – স্যামন, টুনা, সার্ডিন, মাকরেল।
  • ডিমের কুসুম
  • গরুর যকৃৎ (লিভার)
  • দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার (ফর্টিফায়েড দুধ, দই, পনির)।
  • মাশরুম (বিশেষত সূর্যালোকে জন্মানো মাশরুম)।

ভিটামিন ডি-এর ঘাটতির লক্ষণ:

  • হাড় দুর্বল হওয়া বা ব্যথা
  • মাংসপেশির দুর্বলতা
  • ক্লান্তি ও অবসাদ
  • শিশুদের রিকেটস রোগ (হাড় নরম হয়ে বিকৃত হওয়া)
  • প্রাপ্তবয়স্কদের অস্টিওমালাসিয়া (হাড় নরম হয়ে যাওয়া)

ভিটামিন ডি-এর অতিরিক্ত গ্রহণের সমস্যা:

অতিরিক্ত ভিটামিন ডি গ্রহণ করলে কিডনিতে ক্যালসিয়াম জমে যেতে পারে, যা কিডনিতে পাথরের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তাই সঠিক মাত্রায় গ্রহণ করা উচিত।

ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি থাকলে, সূর্যালোকের পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাস ও প্রয়োজনীয় হলে ডাক্তার পরামর্শ অনুযায়ী সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা যেতে পারে।



প্রভাষক, ডাঃ মহি উদ্দিন
ফরাজী হোমিও হল ফেনী। 
01814319033

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ