ভিটামিন ডি
Vitamin D
ভিটামিন ডি একটি ফ্যাট-দ্রবণীয় ভিটামিন, যা শরীরের ক্যালসিয়াম ও ফসফেটের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি হাড়, দাঁত ও পেশির সুস্থতার জন্য অপরিহার্য।
ভিটামিন ডি-এর উপকারিতা:
- হাড় ও দাঁতের গঠন মজবুত করে – ক্যালসিয়াম শোষণে সহায়তা করে, যা অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধে সাহায্য করে।
- ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে – রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়।
- হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় – রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায় – বিষণ্নতা ও মানসিক ক্লান্তি কমাতে সাহায্য করে।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক – ইনসুলিন উৎপাদনে ভূমিকা রাখে।
- ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে – কোষ বিভাজনকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং ফ্রি র্যাডিক্যালের ক্ষতি কমায়।
ভিটামিন ডি-এর প্রাকৃতিক উৎস:
- সূর্যালোক – সকালে ১০-৩০ মিনিট রোদে থাকা সবচেয়ে কার্যকর উৎস।
- মাছ – স্যামন, টুনা, সার্ডিন, মাকরেল।
- ডিমের কুসুম।
- গরুর যকৃৎ (লিভার)।
- দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার (ফর্টিফায়েড দুধ, দই, পনির)।
- মাশরুম (বিশেষত সূর্যালোকে জন্মানো মাশরুম)।
ভিটামিন ডি-এর ঘাটতির লক্ষণ:
- হাড় দুর্বল হওয়া বা ব্যথা
- মাংসপেশির দুর্বলতা
- ক্লান্তি ও অবসাদ
- শিশুদের রিকেটস রোগ (হাড় নরম হয়ে বিকৃত হওয়া)
- প্রাপ্তবয়স্কদের অস্টিওমালাসিয়া (হাড় নরম হয়ে যাওয়া)
ভিটামিন ডি-এর অতিরিক্ত গ্রহণের সমস্যা:
অতিরিক্ত ভিটামিন ডি গ্রহণ করলে কিডনিতে ক্যালসিয়াম জমে যেতে পারে, যা কিডনিতে পাথরের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তাই সঠিক মাত্রায় গ্রহণ করা উচিত।
ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি থাকলে, সূর্যালোকের পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাস ও প্রয়োজনীয় হলে ডাক্তার পরামর্শ অনুযায়ী সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা যেতে পারে।
প্রভাষক, ডাঃ মহি উদ্দিন
ফরাজী হোমিও হল ফেনী।
01814319033
0 মন্তব্যসমূহ