ভগন্দর
Fistula
ভগন্দর (Fistula-in-Ano) হলো মলদ্বারের চারপাশে বা তার সংলগ্ন টিস্যুতে অস্বাভাবিক সংযোগ (ফিস্টুলা) তৈরি হওয়া। এটি সাধারণত পায়ুপথের সংক্রমণের ফলে হয়ে থাকে।
ভগন্দর (Fistula-in-Ano) এর জন্য হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বেশ জনপ্রিয়, বিশেষ করে দীর্ঘমেয়াদী ব্যবস্থাপনার জন্য। হোমিওপ্যাথিক ওষুধ রোগীর লক্ষণ অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়।
হোমিওপ্যাথিক ওষুধ:
Silicea
পুঁজযুক্ত ভগন্দর – ক্ষত থেকে দীর্ঘদিন ধরে পাতলা বা ঘন পুঁজ বের হয়, যা ধীরে ধীরে ভালো হচ্ছে না।
ক্ষতের সঠিকভাবে না শুকানো – যেকোনো কাটা-ছেঁড়া বা সংক্রমিত জায়গা ঠিকমতো শুকাতে চায় না।
ফোঁড়া ও অবিরত পুঁজ হওয়া – শরীরের বিভিন্ন স্থানে বারবার ফোঁড়া হওয়া এবং পুঁজ জমা হওয়া।
ঠান্ডা সংবেদনশীলতা – সামান্য ঠান্ডা লাগলেই সমস্যা বেড়ে যায়।
অস্থিরতা ও দুর্বলতা – রোগী সবসময় ক্লান্ত বোধ করে, খিদে কমে যায়, এবং হাত-পা ঠান্ডা থাকে। Myristica Sebifera – এটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিকের মতো কাজ করে এবং ভগন্দর দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে।
পুঁজযুক্ত ভগন্দর – ক্ষত থেকে দীর্ঘদিন ধরে পাতলা বা ঘন পুঁজ বের হয়, যা ধীরে ধীরে ভালো হচ্ছে না।
ক্ষতের সঠিকভাবে না শুকানো – যেকোনো কাটা-ছেঁড়া বা সংক্রমিত জায়গা ঠিকমতো শুকাতে চায় না।
ফোঁড়া ও অবিরত পুঁজ হওয়া – শরীরের বিভিন্ন স্থানে বারবার ফোঁড়া হওয়া এবং পুঁজ জমা হওয়া।
ঠান্ডা সংবেদনশীলতা – সামান্য ঠান্ডা লাগলেই সমস্যা বেড়ে যায়।অস্থিরতা ও দুর্বলতা – রোগী সবসময় ক্লান্ত বোধ করে, খিদে কমে যায়, এবং হাত-পা ঠান্ডা থাকে। Myristica Sebifera – এটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিকের মতো কাজ করে এবং ভগন্দর দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে।
Hepar Sulph
প্রচণ্ড ব্যথাযুক্ত ভগন্দর – পুঁজ জমে গেলে ব্যথা তীব্র হয় এবং ছুঁলে ব্যথা আরও বেড়ে যায়।
তীব্র সংবেদনশীলতা – আক্রান্ত স্থানে সামান্য স্পর্শেই ব্যথা হয়।
পুঁজযুক্ত সংক্রমণ – ক্ষত থেকে ঘন, দুর্গন্ধযুক্ত পুঁজ বের হয়।
ফোঁড়া বা ভগন্দর ফেটে পুঁজ বের হওয়া – পুঁজ বের হওয়ার পর কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যায়, তবে দ্রুত নতুন সংক্রমণ হয়।
গরমে অবস্থার উন্নতি, ঠান্ডায় অবনতি – রোগী ঠান্ডা সহ্য করতে পারে না, ঠান্ডা লাগলেই সমস্যা বাড়ে।
রাতের দিকে ব্যথা বেশি অনুভূত হয়।
প্রচণ্ড ব্যথাযুক্ত ভগন্দর – পুঁজ জমে গেলে ব্যথা তীব্র হয় এবং ছুঁলে ব্যথা আরও বেড়ে যায়।
তীব্র সংবেদনশীলতা – আক্রান্ত স্থানে সামান্য স্পর্শেই ব্যথা হয়।
পুঁজযুক্ত সংক্রমণ – ক্ষত থেকে ঘন, দুর্গন্ধযুক্ত পুঁজ বের হয়।
ফোঁড়া বা ভগন্দর ফেটে পুঁজ বের হওয়া – পুঁজ বের হওয়ার পর কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যায়, তবে দ্রুত নতুন সংক্রমণ হয়।
গরমে অবস্থার উন্নতি, ঠান্ডায় অবনতি – রোগী ঠান্ডা সহ্য করতে পারে না, ঠান্ডা লাগলেই সমস্যা বাড়ে।
রাতের দিকে ব্যথা বেশি অনুভূত হয়।
Calcarea Sulph
দীর্ঘস্থায়ী পুঁজযুক্ত ভগন্দর – ক্ষত দীর্ঘদিন ধরে ভালো হয় না এবং বারবার পুঁজ বের হয়।
হলুদাভ পুঁজ – ক্ষত থেকে ঘন, হলুদাভ বা সবুজাভ রঙের পুঁজ বের হয়।
পুঁজ শুকিয়ে গেলেও আবার হয় – ভগন্দর কিছুদিন ভালো থাকে, কিন্তু কিছুদিন পর আবার সংক্রমিত হয়ে পুঁজ জমে যায়।
ক্ষত শুকানোর প্রবণতা কম – সংক্রমণ বা কাটাছেড়া সহজে শুকাতে চায় না।
ক্ষত থেকে রক্তমিশ্রিত পুঁজ বের হওয়া – ক্ষত থেকে সামান্য রক্তের সাথে পুঁজ বের হতে পারে।
গরম আবহাওয়ায় সমস্যা বাড়ে – রোগীর অবস্থা গরম বা আর্দ্র আবহাওয়ায় খারাপ হতে পারে।
দীর্ঘস্থায়ী পুঁজযুক্ত ভগন্দর – ক্ষত দীর্ঘদিন ধরে ভালো হয় না এবং বারবার পুঁজ বের হয়।
হলুদাভ পুঁজ – ক্ষত থেকে ঘন, হলুদাভ বা সবুজাভ রঙের পুঁজ বের হয়।
পুঁজ শুকিয়ে গেলেও আবার হয় – ভগন্দর কিছুদিন ভালো থাকে, কিন্তু কিছুদিন পর আবার সংক্রমিত হয়ে পুঁজ জমে যায়।
ক্ষত শুকানোর প্রবণতা কম – সংক্রমণ বা কাটাছেড়া সহজে শুকাতে চায় না।
ক্ষত থেকে রক্তমিশ্রিত পুঁজ বের হওয়া – ক্ষত থেকে সামান্য রক্তের সাথে পুঁজ বের হতে পারে।
গরম আবহাওয়ায় সমস্যা বাড়ে – রোগীর অবস্থা গরম বা আর্দ্র আবহাওয়ায় খারাপ হতে পারে।
Thuja
বারবার ভগন্দর হওয়া – ভগন্দর একবার ভালো হলেও পুনরায় দেখা দেয়।
দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণ – ভগন্দর সহজে ভালো হয় না এবং দীর্ঘদিন ধরে পুঁজ বের হতে থাকে।
চামড়ার ফোলা বা অতিরিক্ত মাংস বৃদ্ধি – ক্ষত শুকিয়ে গেলেও সেখানে বাড়তি মাংস বা ত্বক জমে যায়।
ক্ষত থেকে দুর্গন্ধযুক্ত পুঁজ – ঘন, দুর্গন্ধযুক্ত পুঁজ বের হয়, যা ধীরে ধীরে শুকাতে থাকে।
তৈলাক্ত, ঘামযুক্ত ত্বক – রোগীর ত্বক সাধারণত তৈলাক্ত ও আর্দ্র হয়, বিশেষ করে মুখে ও শরীরে।
ঠান্ডায় ও আর্দ্র আবহাওয়ায় অবস্থা খারাপ হয় – রোগীর সমস্যা ঠান্ডা ও স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে বেড়ে যায়।
বিষাক্ত পদার্থ জমে থাকা (Toxin Build-up) – Thuja শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে, বিশেষ করে যদি রোগী অতিরিক্ত ওষুধ বা ভ্যাকসিন গ্রহণের পর সমস্যায় ভোগে।
বারবার ভগন্দর হওয়া – ভগন্দর একবার ভালো হলেও পুনরায় দেখা দেয়।
দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণ – ভগন্দর সহজে ভালো হয় না এবং দীর্ঘদিন ধরে পুঁজ বের হতে থাকে।
চামড়ার ফোলা বা অতিরিক্ত মাংস বৃদ্ধি – ক্ষত শুকিয়ে গেলেও সেখানে বাড়তি মাংস বা ত্বক জমে যায়।
ক্ষত থেকে দুর্গন্ধযুক্ত পুঁজ – ঘন, দুর্গন্ধযুক্ত পুঁজ বের হয়, যা ধীরে ধীরে শুকাতে থাকে।
তৈলাক্ত, ঘামযুক্ত ত্বক – রোগীর ত্বক সাধারণত তৈলাক্ত ও আর্দ্র হয়, বিশেষ করে মুখে ও শরীরে।
ঠান্ডায় ও আর্দ্র আবহাওয়ায় অবস্থা খারাপ হয় – রোগীর সমস্যা ঠান্ডা ও স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে বেড়ে যায়।
বিষাক্ত পদার্থ জমে থাকা (Toxin Build-up) – Thuja শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে, বিশেষ করে যদি রোগী অতিরিক্ত ওষুধ বা ভ্যাকসিন গ্রহণের পর সমস্যায় ভোগে।
Acid Nit
তীব্র ব্যথাযুক্ত ভগন্দর – ক্ষত বা সংক্রমণের স্থান ছুঁলেই ব্যথা তীব্রভাবে অনুভূত হয়।
ক্ষত থেকে দুর্গন্ধযুক্ত পুঁজ বা রক্তপাত – ক্ষত থেকে পচা গন্ধযুক্ত রক্তমিশ্রিত পুঁজ বের হতে থাকে।
ক্ষত শুকিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে আরও গভীর হয় – ভগন্দর বা সংক্রমণ ধীরে ধীরে গভীর হতে থাকে এবং ভালো হতে সময় নেয়।
ছুরির মতো ধারালো ব্যথা (Splinter-like Pain) – রোগী অনুভব করে যে, ক্ষতস্থানে সুই বা ছুরি বিঁধছে।
ক্ষতের চারপাশ শক্ত ও ফুলে যায় – সংক্রমিত অংশ ফোলা এবং শক্ত হয়ে যেতে পারে।
ঠান্ডা ও আর্দ্র আবহাওয়ায় সমস্যা বাড়ে – শীত বা বর্ষার সময় লক্ষণগুলো বেড়ে যায়।
মলদ্বার সংক্রান্ত সমস্যা – অনেক সময় ভগন্দর ছাড়াও পাইলস বা মলদ্বারের ফাটল (Anal Fissure) থাকতে পারে, যা তীব্র ব্যথা সৃষ্টি করে।
তীব্র ব্যথাযুক্ত ভগন্দর – ক্ষত বা সংক্রমণের স্থান ছুঁলেই ব্যথা তীব্রভাবে অনুভূত হয়।
ক্ষত থেকে দুর্গন্ধযুক্ত পুঁজ বা রক্তপাত – ক্ষত থেকে পচা গন্ধযুক্ত রক্তমিশ্রিত পুঁজ বের হতে থাকে।
ক্ষত শুকিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে আরও গভীর হয় – ভগন্দর বা সংক্রমণ ধীরে ধীরে গভীর হতে থাকে এবং ভালো হতে সময় নেয়।
ছুরির মতো ধারালো ব্যথা (Splinter-like Pain) – রোগী অনুভব করে যে, ক্ষতস্থানে সুই বা ছুরি বিঁধছে।
ক্ষতের চারপাশ শক্ত ও ফুলে যায় – সংক্রমিত অংশ ফোলা এবং শক্ত হয়ে যেতে পারে।
ঠান্ডা ও আর্দ্র আবহাওয়ায় সমস্যা বাড়ে – শীত বা বর্ষার সময় লক্ষণগুলো বেড়ে যায়।
মলদ্বার সংক্রান্ত সমস্যা – অনেক সময় ভগন্দর ছাড়াও পাইলস বা মলদ্বারের ফাটল (Anal Fissure) থাকতে পারে, যা তীব্র ব্যথা সৃষ্টি করে।
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার উপকারিতা:
ব্যথা ও প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
সংক্রমণ কমিয়ে ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে।
অস্ত্রোপচারের বিকল্প হিসেবে ধীরে ধীরে কার্যকর হতে পারে।
ব্যথা ও প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
সংক্রমণ কমিয়ে ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে।
অস্ত্রোপচারের বিকল্প হিসেবে ধীরে ধীরে কার্যকর হতে পারে।
সতর্কতা:
রোগীভেদে ওষুধের কার্যকারিতা ভিন্ন হতে পারে।
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা গ্রহণের আগে অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথের পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
প্রভাষক, ডাঃ মহি উদ্দিনফরাজী হোমিও হল ফেনী। 01814319033
রোগীভেদে ওষুধের কার্যকারিতা ভিন্ন হতে পারে।
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা গ্রহণের আগে অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথের পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
0 মন্তব্যসমূহ