অ্যাজমা - Asthma
অ্যাজমা (Asthma) হলো এক ধরনের দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্টজনিত রোগ, যেখানে শ্বাসনালীতে বারবার সংকোচন ও প্রদাহ হয়, ফলে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়।
অ্যাজমার কারণ
- এলার্জি
(Allergy)
- ধুলোবালি,
ধোঁয়া, ফুলের রেণু, পশুপাখির লোম, কেমিক্যাল ইত্যাদি।
- শ্বাসনালী
সংক্রমণ
- ঠান্ডা-কাশি বা সর্দি থেকে বেড়ে যায়।
- আবহাওয়া
পরিবর্তন
- ঠান্ডা
বাতাস, বর্ষাকাল বা ভোরবেলায় বেশি হয়।
- পারিবারিক
কারণ
(Hereditary)
- পরিবারে
কারও থাকলে অন্যদেরও হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
- অন্যান্য
- ধূমপান
বা ধোঁয়া শ্বাস নেওয়া।
- মানসিক
চাপ, টেনশন।
- অতিরিক্ত ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রম।
অ্যাজমার প্রধান লক্ষণ
- শ্বাস
নিতে কষ্ট হয় (বিশেষত নিশ্বাস ছাড়তে সমস্যা)।
- শোঁ
শোঁ শব্দ করে শ্বাস নেওয়া।
- কাশি
(রাতে বা ভোরে বেশি হয়)।
- বুকে
চাপ বা ভারী অনুভূতি।
- হঠাৎ আক্রমণের মতো শ্বাসকষ্ট হয়।
প্রতিকার / করণীয়
- ধুলো,
ধোঁয়া, ঠান্ডা বাতাস, পশুপাখির লোম এড়িয়ে চলা।
- নিয়মিত
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশে থাকা।
- ঠান্ডা
পানীয়, বরফ, অতিরিক্ত ঠান্ডা খাবার এড়িয়ে চলা।
- মানসিক
চাপ কমানো, সঠিক বিশ্রাম নেওয়া।
- শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম (Breathing exercise / Pranayama)।
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
অ্যাজমার জন্য অনেক কার্যকরী
ঔষধ আছে, তবে রোগীর
সামগ্রিক লক্ষণ অনুযায়ী বেছে নিতে হয়।
- Arsenicum album
- মাঝরাতে
বা ভোরবেলায় শ্বাসকষ্ট।
- শ্বাসকালে
বুক জ্বালা করে, ভয়ে অস্থির থাকে।
- সামান্য
হাঁটলেই হাঁপানি বেড়ে যায়।
- Ipecacuanha
- প্রচণ্ড
কাশি, বমি বমি ভাব, অনেক সময় বমি হয়।
- বুক
ভরা ভরা লাগে, শ্বাসকষ্ট হয়।
- Antimonium tartaricum
- বুকে
অনেক কফ জমে, কিন্তু সহজে বের হয় না।
- কাশি
দিলে দম বন্ধ হয়ে আসে।
- বেশি
দুর্বল রোগীদের জন্য।
- Sambucus nigra
- শিশুদের
অ্যাজমা, রাতে ঘুম ভেঙে যায় শ্বাসকষ্টে।
- নাক
বন্ধ হয়ে যায়, শ্বাস নিতে কষ্ট হয়।
- Spongia tosta
- শুকনো
কাশি, শ্বাসকালে বাঁশির মতো শব্দ।
- রাতে
বেশি হয়, গলায় শুষ্কতা।
- Natrum sulphuricum
- আর্দ্র
আবহাওয়ায় (বর্ষাকালে) হাঁপানি বেড়ে যায়।
- সর্দি, ঠান্ডার কারণে শ্বাসকষ্ট।
**গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ:**
কোনো ঔষধ নিজে
নিজে সেবন করবেন না
অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
নিয়মিত ফলোআপ করুন
ফরাজী হোমিও হল ফেনী।
01814319033
হোমিওপ্যাথিতে স্বস্তি ও নিরাপদ চিকিৎসার
নিশ্চয়তা।
0 মন্তব্যসমূহ