Baptisia tinctoria - ব্যাপটিসিয়া
Baptisia tinctoria হোমিওপ্যাথিতে
বিশেষ
করে
টায়ফয়েড
টাইপ
জ্বর,
সংক্রমণ
ও
সেপটিক
অবস্থায়
বহুল
ব্যবহৃত
একটি
ওষুধ।
এর
মানসিক,
চারিত্রিক,
বিশেষ
লক্ষণ
ও
প্রয়োগক্ষেত্র
নিচে
দেওয়া
হলো:
- বোটানিক্যাল
নাম:
Baptisia tinctoria
- সাধারণ
নাম:
Wild Indigo (ওয়াইল্ড
ইন্ডিগো),
Horsefly Weed
- পরিবার
(Family): Leguminosae (Fabaceae পরিবার)
- অংশ
(Part used):
- মূল
(Root)
- তাজা
গাছ
(Fresh plant)
- প্রস্তুত
প্রণালী:
তাজা
গাছ
থেকে
Mother tincture (Q) তৈরি
করা
হয়,
সেখান
থেকে
শক্তি
(Potency) প্রস্তুত
হয়।
উদ্ভিদের
পরিচয়
- এটি
উত্তর
আমেরিকার
বুনো
গাছ,
বিশেষ
করে
যুক্তরাষ্ট্র
ও
কানাডার
বনে
জন্মে।
- গাছ
প্রায়
২–৩
ফুট
উঁচু
হয়,
শাখা-প্রশাখা
ঝোপালো।
- ফুল
হলুদ
রঙের,
শুঁটির
মতো
ফল
ধরে।
- শিকড়
বহু
শাখা
বিশিষ্ট,
ওষুধ
প্রস্তুতিতে
বেশি
ব্যবহার
হয়।
ঐতিহাসিক
প্রেক্ষাপট
- আমেরিকার
আদিবাসীরা
(Native Americans) এই
গাছকে
বিভিন্ন
সংক্রমণ
ও
জ্বরের
চিকিৎসায়
ব্যবহার
করত।
- হোমিওপ্যাথিতে
এটি
প্রথম
ব্যবহার
করেন
Dr. C. Hering এবং
পরে
Dr. Hale এর
“New Remedies”-তে
বিস্তারিত
বর্ণনা
পাওয়া
যায়।
মানসিক
লক্ষণ
(Mental Symptoms)
- বিভ্রান্তি
(Confusion): সবকিছু
অস্পষ্ট
মনে
হয়,
জিনিসপত্র
বা
মানুষ
চিনতে
পারে
না।
- ভ্রম
(Delusion):
- মনে
হয়
শরীরের
অঙ্গপ্রত্যঙ্গ
ছড়িয়ে
গেছে,
জোড়া
দিতে
হয়।
- মনে
হয়
শরীর
ভেঙে
গেছে
বা
একাধিক
স্থানে
পড়ে
আছে।
- অচেতনভাব
(Stupefaction): প্রশ্ন
করলে
সঠিক
উত্তর
দিতে
পারে
না,
ভুলে
যায়।
- অস্থিরতা
ও
নেশাগ্রস্ত
ভাব
(Intoxicated, besotted look)।
- কথাবার্তায়
অসংলগ্নতা
(Delirium) – বিশেষ
করে
জ্বরে।
চারিত্রিক
লক্ষণ
(Characteristic Symptoms)
- মুখ
থেকে
দুর্গন্ধ,
মুখ
শুকনো
অথচ
পানি
খেতে
চায়
না।
- জিভে
বাদামি
রঙের
আবরণ,
জিভ
ভারী,
কথা
বলতে
কষ্ট
হয়।
- শরীর
ভারী,
অবসন্ন,
দুর্বল,
বিছানায়
ডুবে
যেতে
চায়।
- ঘা
বা
ক্ষত
দ্রুত
সেপটিক
হয়ে
যায়,
নোংরা
দুর্গন্ধ
হয়।
- জ্বরের
সাথে
মাথা
ভারি
ও
ঘোর
ঘোর
ভাব।
- ডায়রিয়া
– পচা,
দুর্গন্ধযুক্ত,
আকারহীন,
দুর্গন্ধ
এত
বেশি
যে
ঘরে
থাকা
যায়
না।
বিশেষ
লক্ষণ
(Keynotes / Peculiar Symptoms)
·
মনে
হয়
শরীর
ভেঙে
টুকরো
টুকরো
হয়ে
গেছে,
একসাথে
জোড়া
দিতে
হয়।
·
জ্বরের
সাথে
অস্পষ্ট
চেতনা,
নেশাগ্রস্ত
ভাব,
ঘোর।
·
দুর্গন্ধ
(offensive discharges) প্রতিটি
স্রাবে
– মুখ,
নাক,
ঘাম,
মল,
ঘা
সবকিছুতেই।
·
জিভ
ভারী
হয়ে
যায়,
কথা
জড়ানো।
· অল্পক্ষণেই চামড়া শিথিল হয়ে যায়, মুখাবয়বে মৃতপ্রায় অবস্থা।
প্রয়োগক্ষেত্র
(Clinical Uses)
- টায়ফয়েড
জ্বর
ও
টাইফয়েডাল
স্টেট।
- সেপটিক
অবস্থা,
রক্তদূষণ।
- ম্যালিগন্যান্ট
আলসার,
গলা
ও
টনসিলের
আলসার
(ulcerated sore throat)।
- ইনফ্লুয়েঞ্জা,
যেখানে
মারাত্মক
দুর্বলতা
ও
বিভ্রান্তি
আছে।
- সেপটিক
ডায়রিয়া
– দুর্গন্ধযুক্ত,
পচা,
কালচে
মল।
- আলসারেটিভ
অবস্থায়,
যেখানে
তীব্র
দুর্গন্ধ
ও
দ্রুত
ক্ষয়
হয়।
- প্রসূতি জ্বর (Puerperal fever) – সেপটিক প্রকার।
টাইফয়েড
জ্বর
:-
- রোগী
একেবারে
অবসন্ন,
শক্তিহীন,
বিছানায়
ডুবে
যেতে
চায়।
- শরীর
ভারী,
যেন
ভেঙে
গেছে
মনে
হয়।
- জ্বরের
সাথে
তীব্র
বিভ্রান্তি
— মানুষ
চিনতে
পারে
না,
জায়গা
বোঝে
না।
- চোখ
নেশাগ্রস্তের
মতো,
ঘোর
ঘোর
ভাব।
- মুখ
শুকনো,
কিন্তু
পানি
খাওয়ার
ইচ্ছা
নেই
(Arsenicum বা
Bryonia-এর
মতো
বারবার
পানি
চায়
না)।
- জিভে
বাদামি
রঙের
আবরণ,
ভারী
জিভ,
কথা
জড়িয়ে
যায়।
- ঘাম,
মল,
প্রস্রাব,
নিঃশ্বাস—
সবকিছুতেই
দুর্গন্ধ।
- মল
পচা,
কালো,
দুর্গন্ধযুক্ত,
আকারহীন।
- জ্বরের সময় শরীর দ্রুত ক্ষয়প্রাপ্ত হয়, ত্বক ঢিলে হয়ে যায়, মুখ মৃতপ্রায় হয়ে পড়ে।
টাইফয়েডাল
স্টেট:-
(অর্থাৎ
টাইফয়েড
জ্বরের
মতো
উপসর্গ,
অন্য
জ্বর
বা
সেপটিক
অবস্থায়)
- মানসিক
অবস্থা:
- বিভ্রান্তি,
ভ্রম
— মনে
হয়
শরীর
ছিঁড়ে
আলাদা
হয়ে
গেছে,
নিজেকে
জোড়া
দিতে
হয়।
- প্রশ্ন
করলে
উত্তর
দিতে
দেরি
করে,
ভুল
উত্তর
দেয়।
- কথা
অসংলগ্ন,
বকবক
করে।
- শারীরিক
অবস্থা:
- মুখ
থেকে
পচা
দুর্গন্ধ।
- আলসারেশন—
টনসিল,
গলা
বা
অন্ত্রে।
- ডায়রিয়া
– দুর্গন্ধযুক্ত,
পচা,
আকারহীন,
অনেক
সময়
রক্ত
মেশানো।
- গলা
ব্যথা,
নীচে
ছড়িয়ে
যাওয়া
আলসার
(malignant sore throat)।
- শরীরের
প্রতিটি
স্রাবে
পচা
দুর্গন্ধ।
সেপটিক
অবস্থা
(Septic State) :-
- রোগী
যেন
নেশাগ্রস্ত
বা
অচেতন
— কথা
অসংলগ্ন,
প্রশ্ন
করলে
উত্তর
দিতে
দেরি
করে।
- শরীর
ভেঙে
গেছে
মনে
হয়,
টুকরো
টুকরো
হয়ে
ছড়িয়ে
আছে
— Baptisia-এর
বিশেষ
ভ্রম।
- মুখ
থেকে
পচা
দুর্গন্ধ,
নিঃশ্বাসেও
দুর্গন্ধ।
- ক্ষত,
ঘা
বা
আলসার
দ্রুত
সেপটিক
হয়ে
যায়
— নীলচে,
কালচে,
দুর্গন্ধযুক্ত
পুঁজ
বের
হয়।
- জ্বরের
সাথে
ঘোর
ঘোর
ভাব,
চোখ
লালচে,
মুখ
ঢিলে,
মৃতপ্রায়
চেহারা।
- সব
স্রাব
(discharges) অত্যন্ত
দুর্গন্ধযুক্ত
— ঘাম,
মল,
প্রস্রাব,
থুতু
সবকিছুতেই
পচা
গন্ধ।
- শরীর
অবসন্ন,
বিছানা
থেকে
উঠতে
চায়
না,
বিছানায়
ডুবে
যায়।
রক্তদূষণ
(Septicemia / Blood poisoning) এ
লক্ষণ:-
- রক্তে
সংক্রমণ
হলে
রোগী
চেতনাহীন,
অর্ধেক
ঘুমন্ত,
বিভ্রান্ত
থাকে।
- শরীরের
টিস্যু
দ্রুত
ক্ষয়প্রাপ্ত
হয়,
ত্বক
ঢিলে,
নরম,
নীলচে
দাগ
পড়ে।
- পচা
দুর্গন্ধযুক্ত
জ্বর
— প্রতিটি
নিঃসরণে
সেপটিক
গন্ধ।
- অন্ত্রের
আলসার
ও
পচা
ডায়রিয়া।
- রক্ত
মেশানো
বা
কালচে,
দুর্গন্ধযুক্ত
মল।
- প্রসূতি
জ্বর
(Puerperal fever) – যেখানে
প্রসবের
পর
রক্তদূষণে
অবস্থা
সেপটিক
হয়ে
যায়।
কবিতা-
🌼 Baptisia tinctoria
🌼
জ্বরে
বিভ্রান্তি, চোখে আসে ঘোর,
মনে হয় দেহ ভেঙে
পড়েছে চারদিক জুড়ে ছড়ানো ভর।
জিভ ভারী হয়ে যায়,
কথা জড়িয়ে যায়,
দুর্গন্ধে চারদিক ভরে, শ্বাসও নিতে
দায়।
ঘা হয় সেপটিক, মল
পচা গন্ধে ভরা,
অবসন্ন দেহ বিছানায় ডুবে
যেতে চায় সারা।
মুখ শুকিয়ে যায়, তবু পানির
প্রতি নেই টান,
চোখে নেশার ছাপ, মনে অস্থির
ভ্রম মান।
টাইফয়েড,
সেপটিক জ্বর – এ যেন তার
রাজ্য,
Baptisia tinctoria সারে
মরণ ব্যাধির সাজ্য।
শরীর মনে বিভ্রম আনে,
ঘোরের মতো ধাঁধা,
হোমিওর ভান্ডারে এ ওষুধে মেলে
শান্তির বাধা।
0 মন্তব্যসমূহ