অর্গানন অব মেডিসিন (তৃতীয় বর্ষ)
পঞ্চম অধ্যায়
চির রোগের চিকিৎসা (২০৪-২০৯)
যে সকল পুরাতন রোগ দীর্ঘদিন যাবৎ অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা হতে সৃষ্ট এবং যে সকল অসংখ্য ঔষধজাত রোগ প্রাচীনপন্থী চিকিৎসকদের দ্বারা তুচ্ছ প্রকৃতির রোগের অযৌক্তিক, অবিরাম, কষ্টদায়ক ও বিপদ সংকুল চিকিৎসার ফলে উৎপন্ন হয়েছে সেগুলোকে বাদ দিলে অবশিষ্ট পুরাতন রোগসমূহের অধিকাংশই তিনটি চিররোগ বিষ শক্তি হতে উৎপন্ন হয়েছে বলে ধরে নিতে হবে এবং সে সকল চিররোগ বিষ হচ্ছে আভ্যন্তরীণ উপদংশ, আভ্যন্তরীণ প্রমেহ এবং প্রধানত ও সর্বাপেক্ষা বেশী আভ্যন্তরীণ সোরা। এদের প্রত্যেকটির সংক্রমণ আপন প্রতিনিধিরূপে স্থানীয় প্রাথমিক লক্ষণ- খোস পাচড়া, উপদংশের ক্ষত বা বাগী এবং প্রমেহের আঁচিল শরীরের বহির্ভাগে প্রকাশিত হবার আগেই সমগ্র শরীরতন্ত্রকে স্বীয় আয়ত্বে এনে সম্প্রসারিত করে এবং এগুলিই এদের বিকাশকে বন্ধ করে রাখে। এই সকল স্থায়ী রোগ বিষ শক্তি জাত রোগসমূহের স্থানীয় লক্ষণ সমূহকে অপসারিত করলেই শক্তিশালী প্রকৃত দ্রুত অথবা বিলম্বে নিশ্চিতভাবেই তাদের প্রচণ্ডভাবে প্রকাশ করে। ফলে নামহীন অসংখ্য যন্ত্রণাময় চিররোগ বিস্তার লাভ করে শত সহস্র বছর হতে মানব জাতিকে মহামারী গ্রন্থ করে ফেলেছে। যদি চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা যুক্তি সংগতভাবে সেগুলোকে আরোগ্য করতে সতেষ্ট হতেন, বাহ্য লক্ষণ অনুসারে স্থানীয় ঔষধ প্রয়োগ না করে যদি একমাত্র সদৃশ যথার্থ ঔষধ আভ্যন্তরীণ প্রয়োগ করতেন তা হলে এই তিনটি রোগ বিষ শক্তিকে দেহের অভ্যন্তরে বিনষ্ট করতে সক্ষম হতেন। সেগুলোর একটিও আবির্ভূত হতে *পারত না।
অনুচ্ছেদ নং- ২০৫
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক চিররোগ বিষ শক্তিজাত এই সকল প্রাথমিক লক্ষণসমূহের একটিকে তাদের পরিনামজাত গৌণ রোগগুলোর কোনটিকে কখনো বাহ্যিক ঔষধ প্রয়োগ করে চিকিৎসা করবেন না এমন কি যে সব বাহ্যিক ঔষধ সঠিকভাবে ক্রিয়া করে বা যেগুলো স্থুলভাবে কার্যকরী তাদের কোনটির দ্বারাই নয়। যখন যা আত্মপ্রকাশ করে তিনি সেটির উপর ভিত্তি করেই সেই বিশাল মায়াজমকে আরোগ্য করবেন। ফলে তার মুখ্য ও গৌণ লক্ষণসমূহ স্বতঃই অন্তর্হিত হয়ে যাবে। কিন্তু হায়! পূর্ববর্তী প্রাচীন পন্থী চিকিৎসকগণ এই পদ্ধতি অনুসরণ করেন নাই বলে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকগণ লক্ষ্য করেন যে প্রাথমিক লক্ষণগুলোকে ইতি পূর্বেই বাহ্যিক ঔষধ প্রলেপ দিয়ে লুপ্ত করা হয়েছে। তাঁকে এখন গৌণ লক্ষণ নিয়েই চিকিৎসা কার্য পরিচালনা করতে হবে অর্থাৎ এই সকল সহজাত রোগ বিষ শক্তিসমূহের বৃদ্ধি ও ক্রমবিকাশ জনিত উপসর্গগুলো বিশেষত আভ্যন্তরিণ সোরাজাত চির প্রকৃতির রোগগুলো নিয়েই চিকিৎসার কাজে সম্পাদন করতে হবে। এই সকলই আভ্যন্তরিন চিকিৎসা সম্বন্ধে একজন চিকিৎসক বহুবর্ষ ব্যাপি একক মননশীলতা, পর্যবেক্ষণ ও অভিজ্ঞতা অর্জন করলেই লাভ করতে পারেন। আমার ক্রনিক ডিজিজেস নামক গ্রন্থে তা বিবৃত হয়েছে। পাঠকগণ তা অবশ্যই দেখে নিবেন।
অনুচ্ছেদ নং- ২০৬
পিতা চিররোগের চিকিৎসা শুরু করার আগে রোগীর কোন সময় কোন যৌন রোগ বা আচিলযুক্ত প্রমেহ হয়ে ছিল কি না, তা বিশেষ সতর্কভাবে অনুসন্ধান করতে হবে। কারণ যে ক্ষেত্রে শুধু সিফিলিসের লক্ষণ অথবা তা অপেক্ষা বিরল- আচিল সংযুক্ত প্রমেহ বর্তমান থাকে সে ক্ষেত্রে কেবল তা অবলম্বন করেই চিকিৎসা কার্য পরিচালনা করতে হবে। অবশ্যই সাম্প্রতিককালে এই রোগ এককভাবে খুব কমই দেখা যায়। যে সকল ক্ষেত্রে সোরা বর্তমান থাকে সে সব ক্ষেত্রে যৌন রোগের সন্ধান পাওয়া গেলে এই চিকিৎসা পদ্ধতির কথা মনে রাখতে হবে। কারণ সে ক্ষেত্রে সোরা বিষের সঙ্গে যৌন উপবিষ অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে থাকে বিশেষত যে সকল ক্ষেত্রে শুধুমাত্র সিফিলিসের লক্ষণ বর্তমান থাকে না সেরূপ সব ক্ষেত্রেই এরূপ জটিল অবস্থা দেখা যায় কারণ যখন চিকিৎসক মনে করেন তার কাছে একটি পুরাতন দুষ্ট যৌন রোগ গ্রন্থ রোগী রয়েছে তখন তাঁকে সর্বদাই বা প্রায় সর্বদাই জটিলতা প্রাপ্ত সোরাযুক্ত সিফিলিসের চিকিৎসা করতে হবে। কারণ আভ্যন্তরিন চুলকানি প্রবণতাই (সোরা) অধিকাংশক্ষেত্রে চির রোগসমূহের প্রধান কারণ। কোন কোন সময় এই দুইটি মায়াজম আবার অনেক দিনের রোগগ্রস্থ শরীরে প্রমেহের (Sycosis) সহিত বিজড়িত হতে পারে। অথবা নাম যাহাই হোক না কেন, বেশীর ভাগক্ষেত্রে সোরাই অন্যান্য চির রোগসমূহের একমাত্র প্রধান কারণ। আবার অনেকক্ষেত্রে সেগুলো প্রায়ই ব্যর্থ এলোপ্যাথিক চিকিৎসার ফলে তালগোল পাকিয়ে, বাড়িয়ে ও মারাত্মকভাবে বিকৃত হয়ে যেতে দেখা যায়।
অনুচ্ছেদ নং- ২০৭
উপরোক্ত বিষয় অবগত হবার পর হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকগণকে অনুসন্ধান করে জেনে নিতে হবে যে, সেদিন পর্যন্ত ঐ সকল পুরাতন রোগের জন্য কিরূপ এলোপ্যাথিক চিকিৎসা গৃহীত হয়েছে, প্রধাণতঃ পুনঃপুনঃ কি কি বিকৃতি সৃষ্টিকারী ঔষধ (Perturbing medicins) প্রয়োগ করা হয়েছে। কি প্রকার খনিজ ধাতব মিশ্রিত প্রস্রবণে স্নান করানো হয়েছে ও তার কিরূপ ফল পাওয়া গেছে ইহার দ্বারা প্রাথমিক অবস্থা হতে রোগের কতখানি অধোগতি হয়েছে তা তিনি বুঝতে পারবেন। সম্ভব হলে এই সকল মারাত্মক কৃত্রিম প্রক্রিয়ার আংশিক সংশোধন করতে পারবেন। অথবা যে সকল ঔষধ পূর্বে অযথাভাবে প্রয়োগ করা হয়েছিল সেগুলোর পুনঃ প্রয়োগ রোধক করতে, সক্ষম হবেন।
অনুচ্ছেদ নং- ২০৮
তারপর রোগীর বয়স, তার আহার-বিহার, বৃত্তি, পারিবারিক পদমর্যাদা সামাজিক সম্বন্ধ প্রভৃতি বিবেচনা করতে হবে। এসব তার রোগ বৃদ্ধির কারণ কিনা অথবা চিকিৎসাপথের সহায়তা বা প্রতিবন্ধক কি না তাও নিরূপণ করতে হবে। এভাবে তাঁর প্রকৃতি ও মানসিক অবস্থা জ্ঞাত হয়ে তা চিকিৎসার পথে কোন বাধা সৃষ্টি করতে পারে কিনা অথবা উহাকে কিভাবে পরিচালিত উৎসাহিত বা সংশোধিত করতে হবে তাও উপলব্দি করতে হবে।
অনুচ্ছেদ নং- ২০৯
এই কাজ সমাপ্ত হলে রোগীর সহিত বারবার আলাপ আলোচনার মাধ্যমে পূর্ব বর্ণিত উপদেশ অনুসারে চিকিৎসক কে রোগের যথাসাধ্য পূর্ণাঙ্গ প্রতিচ্ছবি অংকন করার চেষ্টা করতে হবে উহা দ্বারা তিনি অত্যন্ত স্পষ্ট বিশেষ চরিত্রগত লক্ষণসমূহকে বিস্তারিতভাবে গ্রহন করতে সমর্থ হবেন। এই পূর্ণাঙ্গ রোগীলিপি অবলম্বন করে তিনি প্রথম এন্টিসোরিক বা অন্যকোন সদৃশতম ঔষধ নির্বাচন করে চিকিৎসা আরম্ভকরতে ও অগ্রসর হতে পারবেন।
১। প্রশ্নঃ চিররোগ কাকে বলে?
চিররোগের সংজ্ঞা:
যে সকল রোগ মানবদেহের অজ্ঞাতে, চির মায়াজম অর্থাৎ সোর, সিফিলিসি ও সাইকোসিস হতে উৎপন্ন রোগগুলিকেই, চিররোগ বলা হয়। এন্টিমায়াজমেটিক ঔষধের দ্বারা আরোগ্য করা না হলে দৈহিক-মানসিক সর্বপ্রকার যত্ন নেয়া সত্বের এরা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেতে -থাকে, ক্রমশ অবনতির পথে চলতে থাকে ও অধিকতর যন্ত্রনা দিয়ে রোগীকে আজীবন কষ্ট দেয়। কু-চিকিৎসা হতে উৎপন্ন রোগসমূহ ছাড়া এগুলি হচ্ছে মানবজাতির সর্বাপেক্ষা অধিক ও সবচাইতে বড় শত্রু।
কারণ বলিষ্ট দেহ, নিয়মনিষ্ঠ জীবন-যাপন ও জীবনীশক্তির সতেজ কার্যকারীতা এদেরকে নির্মূল করতে সক্ষম হয় না।
২। প্রশ্ন: হোমিওপ্যাথিক দৃষ্টিকোণ থেকে রোগের সংজ্ঞা লিখ।
১১,১৬ বা, রোগ সম্পর্কে হোমিওপ্যাথির ধারণা কি।
রোগ সম্পর্কে হোমিওপ্যাথির ধারণা:
জীবন বিরোধী কোন শক্তি বা প্রভাবের দ্বারা মানুষের জীবনী শক্তির বিশৃংঙ্খলা হেতু দেহ ও মনে প্রকাশিত অস্বাভাবিক চিহ্ন ও লক্ষণাবলীকে রোগ বলা হয়। রোগ হলো অজড়, অশুভ, প্রাকৃতিক শক্তি যা জীবনী শক্তির উপরে প্রভাব বিস্তার করলে দেহ ও মনে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। অর্থাৎ জীবনীশক্তি বিশৃংখলার ফলে শারীরিক ও মানসিক অস্বাভাবিক পরিবর্তন হওয়াকেই রোগ বলে। ডাঃ হ্যানিম্যান কর্তৃক আবিষ্কৃত হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতি সিমিলিয়া সিমিলিবাস কিউরেন্টার অর্থাৎ সদৃশ বিধান চিকিৎসা। হোমিওপ্যাথিক ঔষধ সুস্থ মানুষের দেহে পরীক্ষিত শক্তিকৃত ঔষধ যা রোগারোগ্যে বিশেষ ভূমিকা রাখে। স্থুল মাত্রায় ঔষধ সেবন করলে মানব দেহের দৈহিক ও মানসিক সুস্থ অবস্থার পরিবর্তন বা বিকৃতি ঘটে। এই বিকৃত বা লক্ষণ সমষ্টি যদি প্রাকৃতিক রোগে আক্রান্ত কোন রোগীর রোগ লক্ষণের সদৃশ হয় এবং রোগীকে ঐ শক্তিকৃত ঔষধ সূক্ষ্ম মাত্রায় প্রয়োগ করা হয়, তা হলে রোগী নির্দোষ আরোগ্য লাভ করে। অতএব রোগ সম্বন্ধে হোমিওপ্যাথিতে যে ধারণা পোষণ করে তা হল রোগ অজড়, অশুভ, প্রাকৃতিক সূক্ষ্মশক্তি।
রোগ সম্পর্কে হোমিওপ্যাথির ধারণা:
জীবন বিরোধী কোন শক্তি বা প্রভাবের দ্বারা মানুষের জীবনী শক্তির বিশৃংঙ্খলা হেতু দেহ ও মনে প্রকাশিত অস্বাভাবিক চিহ্ন ও লক্ষণাবলীকে রোগ বলা হয়। রোগ হলো অজড়, অশুভ, প্রাকৃতিক শক্তি যা জীবনী শক্তির উপরে প্রভাব বিস্তার করলে দেহ ও মনে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। অর্থাৎ জীবনীশক্তি বিশৃংখলার ফলে শারীরিক ও মানসিক অস্বাভাবিক পরিবর্তন হওয়াকেই রোগ বলে। ডাঃ হ্যানিম্যান কর্তৃক আবিষ্কৃত হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতি সিমিলিয়া সিমিলিবাস কিউরেন্টার অর্থাৎ সদৃশ বিধান চিকিৎসা। হোমিওপ্যাথিক ঔষধ সুস্থ মানুষের দেহে পরীক্ষিত শক্তিকৃত ঔষধ যা রোগারোগ্যে বিশেষ ভূমিকা রাখে। স্থুল মাত্রায় ঔষধ সেবন করলে মানব দেহের দৈহিক ও মানসিক সুস্থ অবস্থার পরিবর্তন বা বিকৃতি ঘটে। এই বিকৃত বা লক্ষণ সমষ্টি যদি প্রাকৃতিক রোগে আক্রান্ত কোন রোগীর রোগ লক্ষণের সদৃশ হয় এবং রোগীকে ঐ শক্তিকৃত ঔষধ সূক্ষ্ম মাত্রায় প্রয়োগ করা হয়, তা হলে রোগী নির্দোষ আরোগ্য লাভ করে। অতএব রোগ সম্বন্ধে হোমিওপ্যাথিতে যে ধারণা পোষণ করে তা হল রোগ অজড়, অশুভ, প্রাকৃতিক সূক্ষ্মশক্তি।
৩। প্রশ্নঃ রোগ কি? ইহার শ্রেণীবিভাগ কর।
রোগের সংজ্ঞা:
জীবন বিরোধী কোন শক্তি বা প্রভাবের দ্বারা মানুষের জীবনী শক্তির বিশৃংখলা হেতু দেহ ও মনে প্রকাশিত অস্বাভাবিক চিহ্ন ও লক্ষণাবলীকে রোগ বলা হয়। রোগ হলো অজড়, অশুভ, প্রাকৃতিক শক্তি যা জীবনী শক্তির উপরে প্রভাব বিস্তার করলে দেহ ও মনে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। অর্থাৎ জীবনীশক্তির বিশৃংখলার ফলে শারীরিক ও মানসিক অস্বাভাবিক পরিবর্তন হওয়াকেই রোগ বলে।
রোগের শ্রেণীবিভাগ:
হোমিওপ্যাথির নিয়মনীতি অনুসারে রোগ কে দুই ভাগে ভাগ
করা যায়। যথাঃ-
১। তরুণ রোগ (Acute Diseases) বা অচির রোগ
২। পুরাতন রোগ (Chronic Diseases) বা চির রোগ
তরুন রোগ আবার তিন প্রকার যথাঃ
(i) ব্যক্তিগত তরুণ রোগ, (ii) বিক্ষিপ্ত তরুণ রোগ ও (iii) মহামারী
তরুণ রোগ।
পুরাতন রোগ আবার তিন প্রকার যথাঃ জা
(i) মিথ্যা চির রোগ, (ii) প্রকৃত চির রোগ ও (iii) ঔষধ জনিত চির রোগ।
৪। প্রশ্ন: তরুণ ও চিররোগের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় কর।
০৮ বা, চির ও অচির ব্যাধির মধ্যে পার্থক্য বর্ণনা কর।
১১ চির ও অচির ব্যাধির মধ্যে পার্থক্য:
৫। প্রশ্নঃ চির রোগ চিকিৎসায় রোগীর কি কি বিষয় অনুসন্ধান আবশ্যক?
বা, চিররোগ চিকিৎসায় রোগীলিপি প্রস্তুত প্রণালী আলোচনা কর।
বা, চিররোগ চিকিৎসায় রোগীলিপি প্রস্তুত প্রণালী আলোচনা কর।
১৪চিররোগ চিকিৎসায় রোগীর নিম্নলিখিত বিষয় অনুসন্ধান আবশ্যকঃ
মহাত্মা ডাঃ হ্যানিম্যান অর্গানন অব মেডিসিন গ্রন্থের ১৮৫-২০৩নং অনুচ্ছেদে স্থানীয় রোগের চিকিৎসা, ২০৪-২০৯ নং অনুচ্ছেদে চির রোগের চিকিৎসা, ২১০-২৩০ নং অনুচ্ছেদে মানসিক রোগের চিকিৎসা সম্বন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। উক্ত অনুচ্ছেদের রোগসমূহ চির রোগের অন্তর্ভুক্ত।
চিররোগ চিকিৎসায় রোগীলিপি সংগ্রহের সময়
(i) রোগীর লক্ষণ সমষ্টি সংগ্রহ করতে হবে।
(ii) রোগের কারণ অনুসন্ধান- অর্জিত না বংশগত জানতে হবে।
(iii) মিশ্র মায়াজম, উত্তেজক বা আনুসাঙ্গিক কারণ জানতে হবে।
(iv) রোগীর রোগ সম্পর্কিত পারিবারিক বা বংশগত ইতিহাস জেনে নিতে হবে।
(v) রোগীর রোগ সম্পর্কিত অতীতের ইতিহাস জানতে হবে।
(vi) রোগীর ব্যক্তিগত বিষয়াবলী যেমন- শখ, অভ্যাস, রোগীর সামাজিক অবস্থান ও পেশাগত অবস্থান জানতে হবে।
(vii) রোগীর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সাধারণ চিত্র, চেহারা, শারীরিক গঠন এনিমিয়া, জন্ডিস, আঁচিল, তাপমাত্রা, শ্বাস-প্রশ্বাসের হার, পালস, ব্লাডপ্রেসার, চর্মের অবস্থা, মল-মূত্র, ঘর্ম, স্রাব ইত্যাদির ইতিহাস জানতে হবে।
(viii) সার্বদৈহিক অবস্থা- কাতরতা, সর্দি লাগার প্রবণতা, গোসলের ইচ্ছা-অনিচ্ছা, খাদ্য গ্রহনে ইচ্ছা অনিচ্ছা, স্বপ্ন, ঘুম ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে হবে।
অতএব উপরিউক্ত বিষয়াবলী চিররোগ চিকিৎসায় রোগীর আদর্শ আরোগ্যের জন্য আবশ্যক।
মহাত্মা ডাঃ হ্যানিম্যান অর্গানন অব মেডিসিন গ্রন্থের ১৮৫-২০৩নং অনুচ্ছেদে স্থানীয় রোগের চিকিৎসা, ২০৪-২০৯ নং অনুচ্ছেদে চির রোগের চিকিৎসা, ২১০-২৩০ নং অনুচ্ছেদে মানসিক রোগের চিকিৎসা সম্বন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। উক্ত অনুচ্ছেদের রোগসমূহ চির রোগের অন্তর্ভুক্ত।
চিররোগ চিকিৎসায় রোগীলিপি সংগ্রহের সময়
(i) রোগীর লক্ষণ সমষ্টি সংগ্রহ করতে হবে।
(ii) রোগের কারণ অনুসন্ধান- অর্জিত না বংশগত জানতে হবে।
(iii) মিশ্র মায়াজম, উত্তেজক বা আনুসাঙ্গিক কারণ জানতে হবে।
(iv) রোগীর রোগ সম্পর্কিত পারিবারিক বা বংশগত ইতিহাস জেনে নিতে হবে।
(v) রোগীর রোগ সম্পর্কিত অতীতের ইতিহাস জানতে হবে।
(vi) রোগীর ব্যক্তিগত বিষয়াবলী যেমন- শখ, অভ্যাস, রোগীর সামাজিক অবস্থান ও পেশাগত অবস্থান জানতে হবে।
(vii) রোগীর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সাধারণ চিত্র, চেহারা, শারীরিক গঠন এনিমিয়া, জন্ডিস, আঁচিল, তাপমাত্রা, শ্বাস-প্রশ্বাসের হার, পালস, ব্লাডপ্রেসার, চর্মের অবস্থা, মল-মূত্র, ঘর্ম, স্রাব ইত্যাদির ইতিহাস জানতে হবে।
(viii) সার্বদৈহিক অবস্থা- কাতরতা, সর্দি লাগার প্রবণতা, গোসলের ইচ্ছা-অনিচ্ছা, খাদ্য গ্রহনে ইচ্ছা অনিচ্ছা, স্বপ্ন, ঘুম ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে হবে।
অতএব উপরিউক্ত বিষয়াবলী চিররোগ চিকিৎসায় রোগীর আদর্শ আরোগ্যের জন্য আবশ্যক।
৬। প্রশ্ন: প্রকৃত চিররোগ ও মিথ্যা চিররোগের পার্থক্য নির্ণয় কর। ১২
বা, চিররোগ ও মিথ্যা চিররোগের মধ্যে পার্থক্য লিখ। ১৬
প্রকৃত চিররোগ ও মিথ্যা চিররোগের পার্থক্য নির্ণয়ঃ
৭। প্রশ্ন: প্রাকৃতিক রোগ এবং কৃত্রিম রোগের মধ্যে পার্থক্য লিখ। ০৮ প্রাকৃতিক রোগ এবং কৃত্রিম রোগের মধ্যে পার্থক্য:
৮। প্রশ্নঃ মিথ্যা চিররোগ বলতে কি বুঝ? ইহার চিকিৎসা কিরূপে করবে? ১০, ১১ বা অলিক চিররোগ বলতে কি বুঝ? ১৬
মিথ্যা চিররোগ/অলিক চিররোগের সংজ্ঞা:
মহাত্মা ডাঃ হ্যানিম্যান হোমিওপ্যাথির চিকিৎসা আইন গ্রন্থ "অর্গানন অব মেডিসিন"-এর ৭৪-৭৮ নং অনুচ্ছেদে চিররোগের প্রত্যেক প্রকার সম্বন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। এর মধ্যে ৭৭নং অনুচ্ছেদে ডাঃ হ্যানিম্যান অলিক/মিথ্যা চিররোগের সম্বন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।
যে সকল চিররোগ সৃষ্টিতে চির মায়াজমের প্রভাব থাকে না, শুধুমাত্র অস্বাভাবিক জীবন-যাপন প্রণালীর কারণে রোগ বলে মনে হয় অর্থাৎ সব সময় বর্জনসাধ্য ক্ষতিকর প্রভাবসমূহের অধীনে থেকে মানুষ যে সকল রোগের দ্বারা আক্রান্ত হয় সে সকল রোগকে, মিথ্যা/অযথাই চিররোগ বলা হয়। যেমন- নিয়মিত খাদ্য গ্রহন না করা, রাত্রি জাগরণ, পুষ্টিকর খাদ্যাভাব, মানসিক দুঃচিন্তা, রাগ, অনাকাংখিত শোক, অনিষ্টকর বিবিধ মদ বা খাদ্যের আসক্তি হওয়া, স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর বিভিন্ন প্রকার অসংযত আচরণে লিপ্ত হওয়া, জীবন ধারনের জন্য প্রয়োজনীয় বস্তুসমূহ হতে সুদীর্ঘকাল বঞ্চিত থাকা, অস্বাস্থ্যকর স্থানে, বিশেষতঃ স্যাঁতসেঁতে ভূমিতে, গুহায় বা বদ্ধ ঘরে বাস করে, ব্যায়াম বা মুক্ত বাতাস হতে বঞ্চিত, শারীরিক-মানসিক গুরুতর পরিশ্রমে স্বাস্থ্য নষ্ট করা, সর্বদা মানসিক দুশ্চিন্তা ইত্যাদি হতে এ প্রকার রোগ উৎপন্ন হয়।
মিথ্যা চিররোগের চিকিৎসা নিম্নরূপ:
১। স্বাভাবিক জীবন-যাপন প্রণালীর ব্যবস্থা করতে হবে।
২। নিয়মিত খাদ্য গ্রহন করা, নিয়মিত রাত্রি নিদ্রা, পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহন, মানসিক প্রশান্তি ইত্যাদি ব্যবস্থা করতে হবে।
৩। যদি কোন ক্রনিক মায়াজম (chronic miasm) দেহের ভিতরে লুকিয়ে না থাকে তা হলে এ ধরণের স্ব-কৃত অসুস্থ অবস্থা-উন্নততর জীবনযাপন আরম্ভ করলে বিনা ঔষধে দূরীভূত হয়। সুতরাং এদেরকে প্রকৃত চিররোগ বলা যায় না।
৯। প্রশ্নঃ কোন ধরনের লক্ষণসমূহ ঔষধ নির্বাচনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ?
বা, কোন লক্ষণগুলি ঔষধ নির্বাচনের জন্য বেশী প্রয়োজন হয় ?০৮, ১২
বা, ঔষধ নির্বাচনে কি ধরনের লক্ষণের গুরুত্ব অধিক? ১২
ঔষধ নির্বাচনের নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি বেশী প্রয়োজন:
মহাত্মা বিজ্ঞানী ডাঃ হ্যানিম্যান "অর্গানন অব মেডিসিন" গ্রন্থের ১৫৩ ও ১৫৪ নং অনুচ্ছেদে ঔষধ নির্বাচনে লক্ষণের গুরুত্ব/প্রয়োজনীয়তা সম্বন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।
তাঁর মতে, সদৃশ বিধান সম্মত ঔষধের এ অনুসন্ধানে অর্থাৎ প্রাকৃতিক লক্ষণ সমষ্টির সহিত পরিচিত ঔষধসমূহের লক্ষণগুলির তালিকার তুলনা দ্বারা যে রোগ আরোগ্য করতে হবে তার সদৃশ একটি কৃত্রিম রোগোৎপাদিকা শক্তি বাহির করার জন্য রোগের অপেক্ষাকৃত বিস্ময়কর, সুস্পষ্ট দৃষ্টি আকর্ষক, একক, অসাধারণ, অদ্ভূত, বিশেষ পরিচায়ক বিরল লক্ষণের মূল্যই সর্বাধিক।
চিকিৎসাশাস্ত্রানুসারে, যে সকল লক্ষণের কোন ব্যাখ্যা করা যায় না, চিকিৎসকের কাছে অদ্ভুত মনে হয়, বিস্ময়ের সৃষ্টি করে তাই অসাধারন লক্ষণ, আর এ জাতীয় লক্ষণই ঔষধ নির্বাচনে সবচেয়ে বেশী মূল্যবান। কোন রোগের সর্বাপেক্ষা উপযুক্ত ঔষধ বলে স্থিরকৃত ঔষধের লক্ষণসমূহ হতে, রোগের অনুরূপ যে চিত্র প্রস্তুত হয়, তার মধ্যে যদি ঐ রোগের বিশেষ, অসাধারণ, অদ্ভূত ও পরিচায়ক লক্ষণগুলি অধিকতর সংখ্যায় এবং অধিকতর সাদৃশ্যসহ বর্তমান থাকে, তবেই সে ঔষধ ঐ রোগের মহৌষধ।
অতএব, উপরিউক্ত আলোচনা হতে ইহাই প্রতীয়মান হয় যে, সুষ্পষ্ট দৃষ্টি আকর্ষক, অসাধারণ, অদ্ভুত, বিরল প্রকৃতির পরিচায়ক লক্ষণের প্রয়োজনীয়তা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে সুদূরপ্রসারী। সুতরাং ইহার গুরুত্ব অপরিসীম।
১০। প্রশ্ন: লক্ষণ ও চিহ্নের মধ্যে পার্থক্যগুলি উল্লেখ কর।
লক্ষণ ও চিহ্নের মধ্যে পার্থক্যসমূহ নিম্নরূপ:
১১। প্রশ্নঃ কোন রোগ সর্বাপেক্ষা দুরারোগ্য? ১১
বা, সর্বাপেক্ষা দুরারোগ্য ব্যাধি বলিতে কি বুঝ? ১৩
ডাঃ স্যামুয়েল হ্যানিম্যান "অর্গানন অব মেডিসিন” গ্রন্থের ২৭৬নং অনুচ্ছেদে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় কোন ঔষধের প্রতি অযথা আসক্তি বর্জনীয় সম্বন্ধে বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন।
ডাঃ হ্যানিম্যান বলেন- কোন ঔষধ রোগীর ক্ষেত্রে সদৃশ বিধানমতে উপযোগী হওয়া সত্বেও মাত্রা অত্যন্ত বড় হলে তার প্রতিটি মাত্রায় ক্ষতি সাধন করে এবং ঔষধ যত বেশী রোগের সদৃশ হয় ও যতই উচ্চশক্তিতে নির্বাচিত হয় তার বড় মাত্রাসমূহ ততোধিক ক্ষতি করে। উহা অসদৃশ ও রুগ্নাবস্থায় সম্পূর্ণ অনুপযোগী (allopathic) ঔষধের ঐরূপ বড় মাত্রা অপেক্ষা আরো বেশী ক্ষতিকর হয়ে থাকে। সুনির্বাচিত হোমিওপ্যাথিক ঔষধের বড় মাত্রাসমূহ বিশেষ করে ঘনঘন প্রয়োগ করা হলে স্বাভাবিক নিয়মেই প্রভুত ক্ষতি সাধন করে। এরা অর্থাৎ বড় মাত্রাসমূহ প্রায়ই রোগীর জীবন বিপন্ন করে তোলে বা রোগকে অসাধ্য করে দেয়। জীবনীশক্তির অনুভূতির দিক হতে এরা প্রাকৃতিক রোগকে ধ্বংস করে দেয় এবং হোমিওপ্যাথিক ঔষধের বড়মাত্রা ব্যবহারের সময় হতে রোগ আর মূলরোগ ভোগ করে না ঠিকই কিন্তু তার ফলে রোগী সদৃশ অধিকতর উগ্র ঔষধজাত রোগের দ্বারা অধিকতর রুগ্ন হয়ে পড়েন। সেই রোগ দূর করা সর্বাপেক্ষা দুঃসাধ্য।
১২। প্রশ্ন: সোরার বিশেষত্ব কি? ইহার চিকিৎসা পদ্ধতি আলোচনা কর।
সোরার বিশেষত্ব ও চিকিৎসা:
সোরা হচ্ছে একটি মায়াজম, যা রোগ সৃষ্টিতে সাহায্য করে বা রোগ প্রবণতা তৈরি করে। অনুভূতিশীল, সতর্ক, চটপটে, নানা কল্পনায় পূর্ণ কিন্তু তা কাজে পরিণত করার প্রবনতা নেই। ভ্রান্ত বা বন্ধ্য দার্শনিক, সামান্য পরিশ্রমে মানসিক ও শারীরিক ক্লান্তি আসে। দুঃখ ও শোক থেকে পীড়া হয়, উৎকণ্ঠা ও উদ্বেগ, আত্মবিশ্বাসহীন এবং মৃত্যু, অন্ধকার, একাকীত্ব ও ব্যর্থতার ভয়। বর্তমান অবস্থা, পরিবেশ, আর্থিক অবস্থা ও বিবাহিত জীবনে অতৃপ্ত। অস্থিরতা বর্তমান। রোগীর রোগ লক্ষণ সমষ্টি নিয়ে এন্টিসোরিক ঔষধ প্রয়োগ করলে রোগী সোরা মুক্ত হবে। সোরা আক্রান্ত ব্যক্তি অচির রোগে ভোগে এবং এর চিকিৎসায় রোগী আকাঙ্খা অনুসারে রোগী খাদ্য ও পানীয় ব্যবস্থা করতে হয়। এতে রোগীর রোগ যন্ত্রণা লাগব হয় কিন্তু চিররোগে তা হয় না।নবীতে পঠি লবণের মতো বসে থাকো ৪৮ টোটাক হলো লাইক অ্যান্ড ডু
১৩। প্রশ্ন: সোরার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য লিখ। ১১
সোরার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ:
(i) অত্যন্ত সংবেদনশীল, অনুভূতিশীল, সতর্ক, চটপটে, নানা কল্পনায় মন পরিপূর্ণ কিন্তু কাজে পরিণত করার প্রবণতা নাই।
(ii) সামান্য পরিশ্রমে মানসিক ও শারীরিক ক্লান্তি আসে, দুঃখ ও শোক থেকে রোগের উৎপত্তি হয়।
(iii) স্মৃতিশক্তি দুর্বলতা, ভয়, হতাশা, উদ্বেগ, বিষন্ন।
(iv) চটপটে, ভীষণ চঞ্চলতা, সবসময় ব্যস্তবাগিস, সময় খুব তাড়াতাড়ি বা খুব ধীরে কাটে।
(v) সহজেই আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়ে, আত্মবিশ্বাস প্রত্যাশা করে কিন্তু অক্ষম।
(vi) উদরাময়, প্রচুর পরিমাণ প্রস্রাব ও ঘাম নির্গত হলে রোগীর আরামবোধ।
(vii) চোখ বুজলে, হাঁটার সময়, যানবাহনে চড়লে, সমুদ্র ভ্রমণেকালে বমি বমিভাব ও বমি এবং মাথাঘোরা।
(viii) খুস্কি, মাথার চর্মে শুষ্কতা সহ অত্যন্ত চুলকানি, চুল শুষ্ক, সহজে জট বাঁধে, মাথায় স্থানে স্থানে সাদা হয়ে যায়।
(ix) সূর্যের আলো অসহ্য, খুব সংবেদনশীল তাতে চোখের ব্যথা হয় এবং চোখ বুজে যায়, প্রদাহ চোখের কোণে পুঁজের মত স্রাব, চুলকানি ও জ্বালা।
(x) কান থেকে অবিরত পাতলা দুর্গন্ধযুক্ত পূজ পড়ে, কর্ণমূলগ্রন্থি ফোলা, নানা রকম শব্দ, শুরশুরানি ও চুলকানি ইত্যাদি।
(xi) নাকে শুষ্কতা অনুভূতি, রক্তস্রাব, নাক বন্ধ, ঘ্রাণশক্তি অতি প্রবল বা দুর্বল ও লুপ্ত, সর্দি ঝরে, হাঁচি, ব্যথাপূর্ণ ফোঁড়া।
(xii) চেহারা মলিন, বিমর্ষ, মেটে বর্ণেরসহ চোখ কোটরাগত, ঠোঁট দুটি লাল বর্ণের, ফোলা জ্বালা করে।
(xiii) জ্বরে মুখমন্ডল খুব লালচে দেখায়, উত্তপ্ত ও উজ্জ্বল দেখায়।
(xiv) মুখের ভিতরের শ্লৈষ্মিকঝিল্লীতে প্রদাহ, দূর্গন্ধযুক্ত টক, মিষ্টি, পচা পুতিগন্ধময়, তিক্ত স্বাদ। রাতে বা সকালে মুখে শুষ্কতা অনুভূতি।
(xv) মিষ্টি, অম্ল, টকজাতীয় খাদ্যের আকাংখা, গরম খাদ্য ও পানীয়ে, ভাজা জাতীয় ও পাকা ফলের ইচ্ছা, সিদ্ধ খাদ্যে অনিচ্ছা।
(xvi) সমস্ত শরীরে ঝাকুনিসহ প্রচন্ড হৃদস্পন্দন, দুর্বলতা, উদ্বেগ, ভীতি, পূর্ণতা ও ভার ভার অনুভূতি।
(xvii) সব সময় ক্ষুধার্ত, এমনকি পেট ভর্তি থাকলেও, পেটের মধ্যে পাথরের মত চাপবোধ, আহারের পর পেটের মধ্যে কম্প, ধড়ফড়ানি, গুড়গুড় কলকল শব্দ।
(xviii) মলদ্বারে চুলকানি, মলশক্ত, শুষ্ক, কোষ্ঠবদ্ধতা, নির্গমনে কষ্ট।
(xix) চর্মের বিশেষত্ব হল তীব্র চুলকানি ও জ্বালা, চুলকানি মধ্যরাতের আগে, বিছানার গরমে, পোশাক পরিবর্তনে তা খুব অসহনীয় হয়।
(xx) স্বপ্ন-দুঃখদায়ক, আতংকজনক, উদ্বেগপূর্ণ, কামোদ্দীপক দেখে।
(xxi) দাঁড়ালে, ঘরের উত্তাপে, খাওয়ার পর, পূর্ণিমায়, সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত, চর্মরোগ ও স্রাব চাপা পড়লে বৃদ্ধি।
(xxii) হ্রাস- হাঁটলে, শুয়ে থাকলে, বিশ্রামে, ধীরে সঞ্চালনে, তাপে, চর্মরোগ ও স্রাব পুনঃপ্রকাশিত হলে।
১৪। প্রশ্ন: পরিপোষক কারণ সম্পর্কে আলোচনা কর। ০৯, ১০
বা, রোগের উত্তেজক কারণগুলি কি কি?
রোগের উত্তেজক/পরিপোষক কারণসমূহ নিম্নরূপ:
(i) বংশগত কারণে,
(ii) বয়স,
(iii) লিঙ্গ (পুরুষ/মহিলা),
(iv) ঋতু,
(v) আবহাওয়া,
(vi) পেশা,
(vii) পারিবারিক অবস্থা,
(viii)
সামাজিক অবস্থা, (ix) ব্যক্তিগত আভাস, (x) শারিরীক গঠন (xi) পুষ্টির অবস্থা (xii) বাসস্থান (xiii) বিভিন্ন ধরনের মাইক্রোঅর্গানিজম।
চলমান - - --- -- -- - -
.jpeg)



0 মন্তব্যসমূহ