কষ্টিকাম - Causticum
বাংলা নাম: কস্টিকাম
পূর্ণ নাম: Causticum Hahnemanni
উৎস: এটি হোমিওপ্যাথির
একটি যৌগিক প্রস্তুতি।
ড. হ্যানিম্যান slaked lime (চুন) ও potassium bisulphate মিশিয়ে তা পাতন
(distillation) করে যে
তরল অংশ পাওয়া
যায়, সেটিই Causticum।
অর্থাৎ এটি একটি
পটাশিয়াম হাইড্রেট জাতীয়
যৌগ, যা হ্যানিম্যান
নিজেই আবিষ্কার করেছিলেন।
আবিষ্কার
- আবিষ্কারক: ড. স্যামুয়েল হ্যানিম্যান (Samuel Hahnemann)
- সময়কাল: প্রায় ১৮০৫ খ্রিস্টাব্দে
- হ্যানিম্যান এটিকে
“হোমিওপ্যাথির নিজস্ব
সৃষ্টি” বলেন, কারণ এটি
কোনো প্রাকৃতিক পদার্থ থেকে
নয়, বরং রাসায়নিক বিক্রিয়ায় তিনি
নিজেই তৈরি
করেছিলেন।
মানসিক লক্ষণ
- অতিমাত্রায় সংবেদনশীল ও সহানুভূতিশীল – অন্যের দুঃখে
কাঁদে।
- অন্যায়ের প্রতিবাদে উত্তেজিত হয়।
- সহজে কাঁদে,
বিশেষ করে
দুঃখজনক কাহিনি
শুনলে।
- ভয় – অন্ধকারে, বজ্রপাত-বিদ্যুতে ভয় পায়।
- ভবিষ্যৎ নিয়ে
উদ্বেগ, হতাশা।
- ভুলে যাওয়া
(Forgetful), বিশেষ করে
লেখার বা
বলার সময়
শব্দ মনে
রাখতে পারে
না।
- মনমরা, বিষণ্ণ; বিশেষ করে
মানসিক শোক
বা ভয়
থেকে রোগ
শুরু হয়।
চারিত্রিক লক্ষণ
- সাধারণত গরমকাতর (Hot patient) — ঠান্ডা বাতাস
সহ্য করতে
পারে না।
- বৃষ্টির সময়
বা ঠান্ডা
হাওয়ায় রোগ
বেড়ে যায়।
- শুকনো কাশি,
রাতের বেলা
বেড়ে যায়;
কাশি করতে
গিয়ে প্রস্রাব বেরিয়ে যায়।
- গলার ভেতর
ও বুকে জ্বালা-পোড়া অনুভূত
হয়।
- মুখে আঁচিল
বা দগদগে
ঘা হতে
পারে।
- ত্বক শুষ্ক
ও ফেটে যায়,
বিশেষ করে
হাতের তালু
ও আঙুলের গোড়ায়।
- পেশির দুর্বলতা ও প্যারালাইসিস জাতীয় লক্ষণ
দেখা যায়,
বিশেষ করে
মুখ বা
ডান পাশের।
বিশেষ লক্ষণ
- ঠান্ডা
থেকে মুখ
বা স্বরযন্ত্র অবশ হয়ে
যাওয়া।
- গলা,
বুকে, ত্বকে দগদগে
অনুভূতি।
- ত্বকে আঁচিল
ও জয়েন্ট শক্ত
হয়ে যাওয়া।
- কাশিতে প্রস্রাব বেরিয়ে যাওয়া।
- বিশেষ করে
ঠান্ডা, আর্দ্র পরিবেশে
কাজ করা
লোকদের মধ্যে।
- ধীরে ধীরে
শরীরের কোনো
অংশ অবশ
হয়ে যায়।
- ভয় পাওয়ার
পর শিশু
হাঁটতে পারে
না।
প্রয়োগক্ষেত্র (Therapeutic Uses)
- মুখ, জিহ্বা, স্বরযন্ত্র, হাত বা
পা অবশ
হয়ে যাওয়া।
- স্বরভঙ্গ, গলা বসে
যাওয়া, কণ্ঠনালীতে প্রদাহ।
- শুকনো, টান টান
কাশি; কাশিতে প্রস্রাব বের হয়ে
যায়।
- পোড়া দাগ,
আঁচিল, দগদগে ঘা।
- ঠান্ডা লাগলে
জয়েন্ট শক্ত
হয়ে যাওয়া,
হাতের আঙুল
ফাটা।
- প্রস্রাব আটকে
থাকা, অজান্তে বেরিয়ে
যাওয়া, দুর্বল মূত্রাশয়।
- শুষ্ক, ফাটা, আঁচিলযুক্ত ত্বক।
- যারা কথা
বা গান
বেশি বলেন,
তাদের কণ্ঠে
দুর্বলতা।
একক লক্ষণ:-
১। লিখিবার সময় মাথা নাড়ে
২। শিশু প্রথম ঘুমেই বিছানায় প্রস্রাব করে
৩। রক্ত দেখিলে ভয় পায়
৪। মূত্রযন্ত্রে ( অসাড়ে প্রস্রাব নির্গত হইলে )
৫। এলাজি আগুনে ফোড়ার মতো
কালো দাগ
৬। কানে ঘন্টার শব্দ বা
বিবিন্ন দরনের শব্দ হওয়া
৭। কানে শো শো, গুন গুন,
ঠং ঠং, নানা প্রকার শব্দ হওয়া
৮। গলায় বেদনা সাহ সুড় সুড়ে
কাশি, কশির দমকে প্রস্রাব নিগত হয়, ঠান্ডা জল পানে (আইক্রিম) খেলে কাশি উপসম হয়।
৯। জিহবা সবুজ রংগের ময়লা,
জিহবা দুই দিকে সাদা।
১০। প্যারালাইসিস, ডান হাত
পা, চোখ, মুখের পক্ষাঘাত, ডানদিকের পক্ষাঘাতে ও জিহবার পক্ষাঘাতে।
১১। চোখের সামনে কুয়াশা
দেখে, চক্ষুর পাতা ঝুলিয়া পড়ে (শোথ) , চোখের সামনে অগুন ও কালো দাগ দেখা।
১২। যে কোন রোগের সাথে প্রচুর
ঘাম।
১৩। নিজের দুঃখের কথা অন্যকে
বলতে বলতে কান জালাপালা করে পেলে (শুধু নিজের দুঃখের কথা বলে)।
১৪। সন্দেহ করে তাহার দুঘটনা
ঘটবে (বিপদ হবে), নিজের খারপ দিগগুলো ভাবে (চিন্তা করে)।
১৫। হোমিওপ্যাথিক ঔষধ বিশ্বাস করে না বা ঔষধের প্রতি আস্তা নাই।
১৬।
চুন খাওয়ার পর মুখ পুড়ে গেলে।
ডোজ ও পোটেন্সি
- সাধারণত ৬, ৩০, ২০০ পোটেন্সি ব্যবহার হয়।
- দীর্ঘস্থায়ী স্নায়বিক বা ত্বকের
রোগে Causticum 200 বা 1M পর্যায়ক্রমে প্রয়োগ করা
যায়।
- বহিরাগত প্রয়োগে
(আঁচিল বা
পোড়া স্থানে)
Causticum Q (Mother tincture) মিশিয়ে
লাগানো যেতে
পারে (ডাক্তারের পরামর্শে)।
·
** গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ: **
·
কোনো ওষুধ নিজে নিজে সেবন করবে না
·
ফারাজী হোমিও হল ফেনী।
·
০১৮১৪৩১৯০৩৩
·
হোমিওপ্যাথিতে স্বস্তি ও চিকিৎসার নিশ্চয়তা।
.jpg)
0 মন্তব্যসমূহ