ভিটামিন ই
Vitamin E
ভিটামিন ই হলো একটি চর্বিতে দ্রবণীয় ভিটামিন যা আমাদের শরীরের কোষকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। নিচে এর কিছু মূল দিক তুলে ধরা হলো:
ভিটামিন ই কী?
- এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ফ্রি র্যাডিক্যালের আক্রমণ থেকে কোষ রক্ষা করে।
- কোষের মেমব্রেন, দেহের বিভিন্ন টিস্যু এবং অঙ্গের সুরক্ষায় ভূমিকা রাখে।
উপকারিতা:
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কার্যকলাপ: শরীরের কোষকে ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিক্যাল থেকে রক্ষা করে।
- ত্বক ও চুলের যত্ন: ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে এবং চুলের স্বাস্থ্য রক্ষায় সাহায্য করে।
- ইমিউন সিস্টেম: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক।
- হার্টের স্বাস্থ্য: রক্তের লিপিড লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং হার্টের রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
উৎস:
- তেল: সূর্যমুখীর তেল, সয়াবিন তেল, বাদামের তেল।
- বাদাম ও বীজ: বাদাম, কাস্টার্ড বাদাম, সূর্যমুখী বীজ।
- সবুজ পাতা: পালং শাক, ব্রোকলি।
- অন্যান্য: কিছু ফল এবং শাকসবজি।
কতটুকু দরকার?
- প্রতিদিনের প্রয়োজনীয়তা বিভিন্ন মানুষের জন্য ভিন্ন হতে পারে, তবে একজন প্রাপ্তবয়স্কের জন্য সাধারণত ১৫ মিলিগ্রাম পর্যন্ত ভিটামিন ই যথেষ্ট।
অতিরিক্ত মাত্রা ও সতর্কতা:
- অতিরিক্ত ভিটামিন ই গ্রহণ করলে তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, তাই পরিমিত মাত্রায় গ্রহণ করা উচিত।
- কোনো নতুন সাপ্লিমেন্ট শুরু করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া ভালো।
উপসংহার:
ভিটামিন ই আমাদের দৈনন্দিন স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক পরিমাণে এবং সঠিক উৎস থেকে ভিটামিন ই গ্রহণ করলে শরীরের কোষগুলো সুস্থ থাকবে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পাবে।
প্রভাষক, ডাঃ মহি উদ্দিন
ফরাজী হোমিও হল ফেনী।
01814319033
0 মন্তব্যসমূহ